নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘরকুনো ভবঘুরে। পথের প্রতি কি এক ভীষণ আকর্ষন অনুভব করি। অজানা অচেনা পথের ডাক শুনতে পাই। কিন্তু, সে ডাকে সাড়া দায়ে হয়না, দিতে পারিনা।

আতিক ইশরাক ইমন

প্রলাপ বক্তা

আতিক ইশরাক ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের "যাও পাখি"

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩



পাখি তুমি চলে জাও তোমার যেখানে যাবার। তোমার খাঁচার দরজা খুলে দিলাম। তুমি মুক্ত আকাশের পাখি, আকাশেই তোমার ঠিকানা, সেখানেই ফিরে জাও, সেখানেই তুমি খুঁজে পাবে জীবনের মানে।
কিন্তু মানুষ কি পাখি? মানুষের কি আকাশে উড়তে পারার ক্ষমতা আছে? নেই তো। তবে মানুষও আকাশে ওড়ে, যদিও সেই ওড়া পাখির মত ওড়া না। সবকিছুকে একই পাল্লায় তাই মাপার উপায়ও নেই।
যাও পাখি উপন্যাসে লেখকের বলার চেষ্টা ছিল সব জটিলতা ছেড়ে সহজ সরল জীবনে ফিরে আসতে পারাটাই সার্থকতা। ব্রজগোপাল চরিত্রের মাধ্যমে সেটা ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। এই চরিত্র এমন একজন মানুষ যে শহুরে ব্যস্ত কুচক্রী জীবনের জটিলতায় হাফিয়ে উঠে গ্রামে চলে আসে। তবে তার পরিবারকে ফেলে আসে শহরেই। উপন্যাসে চরিত্রটাকে যতটা মহান দেখানো হয়েছে আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগেনি। বাস্তবতা থেকে পালিয়ে বাঁচা একজন মানুষ বলেই মনেহয়েছে। কারন, অন্যের উপকার করা অবশ্যই মানুষের কর্তব্য, কিন্তু নিজের পরিবার আর সন্তানদের প্রতিও তো কিছু কর্তব্য আছে। ডায়রির পাতায় শুধু "ভগবান, উহারা যেন সুখে থাকে", লিখে রাখলেই কি তা বাস্তবে কাজে লাগে? না তো।
গল্পের একটি প্রধান চরিত্র সোমেন, তার মধ্যে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে অনিশ্চয়তায়, ভালোবাসার মানুষের কাছে হীনমন্যতায় ভোগা আর মাঝেমদ্ধ্যে সংসারের চিন্তায় অস্থির হওয়া এক যুবকের রূপ খুব ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে। এছাড়াও আরো আছে মা ননীবালা, তার বড় ভাই রণেন, বীণা, একাকীত্বে ভোগা অজিত, শীলা, রিখিয়া আর আরো চরিত্র। বেশ স্বাস্থ্যবান উপন্যাস, এবং এই ইয়পন্যাসে লেখক তার একান্তই নিজের জীবন দর্শন ফুটিয়ে তুলেছেন, শেকড়ের কাছে ফিরে যাওয়ার, খাঁচার পাখি আকাশে ফিরে যাবার সে দর্শন। তবে এজন্য লেখককে তার কল্পনার সুযোগ বেশ ভালোভাবেই নিতে হয়েছে। কারন কল্পনায় এমন এনেককিছুই সম্ভব যা বর্বর বাস্তবতায় সম্ভব না। তাছাড়া কিছু কিছু জাইগা অপ্রয়োজনীয়ভাবেই দীর্ঘ করা হয়েছ, যা অল্প থাকলে ভালো হতো। তবে ঝরঝরে বর্ণনার জন্য সেসব উপেক্ষা করাই জায়।
শেষে এটা বলতে চাই, সময় কাটানোর জন্য এবং তার মদ্ধ্যে কিছুটা চিন্তার খোরাক পাবার জন্য খুবই ভালো একটি উপন্যাস। বিশেষ করে যারা কিছুটা স্বাস্থ্যবান উপন্যাস পড়তে চান তাদের জন্য তো অবশ্য পাঠ্য।
ব্যক্তিগত রেটিং: ৩.৮/৫

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: অনেক আগে পড়েছিলাম। চরিত্র, কাহিনী মোটামোটি সব ভুলে বসে আছি। সেলফ থেকে আবার নামাতে হবে। ধন্যবাদ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: আবার নতুন করে পড়া শুরু করে দিন, সময়টা খুব ভালো কাটবে নিঃসন্দেহে বলা যায়

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৩

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: এখন সময় কাটাচ্ছি রাইফেল, রোটি, আওরাত নিয়ে। এটা শেষ হলেই অইটা নিয়ে বসব। আবারো ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.