নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘরকুনো ভবঘুরে। পথের প্রতি কি এক ভীষণ আকর্ষন অনুভব করি। অজানা অচেনা পথের ডাক শুনতে পাই। কিন্তু, সে ডাকে সাড়া দায়ে হয়না, দিতে পারিনা।

আতিক ইশরাক ইমন

প্রলাপ বক্তা

আতিক ইশরাক ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভেচ্ছা রইলো, শুদ্ধতম কবি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

হয়ত এই নবীন শতাব্দীতে ঐ নক্ষত্রের নিচে তিনি ছিলেন গভীরভাবে অচল একজন মানুষ। তার মধ্যে জীবনে ছুটে চলার দ্রুততা ছিল না, তিনি জীবনের পথে অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাইতেন না। প্রয়োজনগুলো ছিল খুবই সামান্য। এতটাই সামান্য যে জীবনের লক্ষে হেঁটে হেঁটেই পোঁছানোর সময় ছিল। তার তো কোনো তাড়া ছিল না। লক্ষে পোঁছে গেলেও ধীর সুস্থে বসে অনেক্ষন ধরে অপেক্ষা করতেও আপত্তি ছিল না। জীবনে সফলতা পাবার উত্তেজনায় সবাই যখন পাগলপ্রায়, তখনো তিনি গভীর উদাসীনতায় নিমজ্জিত। তাইতো তিনি বলেছিলেন,
"আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করবার অবসর আছে।
জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক; আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
তাঁর মায়ের আশা ছিল ছেলে তার কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় হবে।ছেলে মায়ের মনের আশা পূরণ করেছিলেন। কথায় নয়, কাজের মাধ্যমেই নিজের পরিচয় রেখেছেন। নামের মধ্যেই আনন্দ ছিল তাঁর, সেজন্যই কি না কে বা জানে, জীবনে বড় দুঃখ-কষ্টের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।আর কেউ নন, তিনি জীবনন্দ দাশ।কবিতার মধ্যদিয়ে তিমির হনন করেছেন যিনি, রূপসী বাংলার রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন কবিতার তুলি দিয়ে। শুভ জন্মদিন কবি, আপনি আমাকে কবিতা ভালোবাসতে শিখিয়েছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.