নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘরকুনো ভবঘুরে। পথের প্রতি কি এক ভীষণ আকর্ষন অনুভব করি। অজানা অচেনা পথের ডাক শুনতে পাই। কিন্তু, সে ডাকে সাড়া দায়ে হয়না, দিতে পারিনা।

আতিক ইশরাক ইমন

প্রলাপ বক্তা

আতিক ইশরাক ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্থহীন প্রলাপ ১০ (রাতের প্রলাপ)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৭

আক্রমণ আসছে দুদিক থেকে। উপর থেকে এবং পাশ থেকে। মাথার উপরে সিলিং ফ্যানটা, যেটার রঙ একসময় খাঁটি ঘি এর মত ঘিয়েরঙের ছিল, কালের বিবর্তনে ও নিয়মিত আবর্তনে যা এখন প্রায় হাড়ির তলার মত কালো হয়ে গেছে, সেটা হাঁপানি রোগীর মত শব্দ করে ঘুরছে। ওদিকে পাশে জানালাটাও খোলা আছে, সকালে বেরোনোর সময় যদিও বন্ধ করে বেরিয়েছিলাম, আর ঘরে আসার পরেও তা খুলেছিলাম বলে মনে পরছে না, তারমানে এই অপকর্ম নির্ঘাত রুমমেটের। দুদিকের বাতাসের আক্রমনে আমি কুপোকাত হয়ে বিছানায় পড়ে আছি। এখন প্রশ্ন হতে পারে, উঠে যেয়ে কেন ফ্যান আর জানালাটা বন্ধ করছি না? কারন হলো আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাই না। যারা আমাকে অলস হিসেবে আবিষ্কার করে ও তা প্রচার করে চরম আনন্দ ও পুলক (পুলক টা কিন্তু চরম নয়, ওটা সাধারনই) অনুভব করে, তাদের আবিষ্কারটা ব্যর্থ প্রমান করতে ইচ্ছে করছে না। তারচেয়ে এই ভালো, পাতলা কাঁথা মুড়ি দিয়ে গুটিশুটি মেরে শুয়ে, রাতের শব্দ শুনতে শুনতে ঘুমের ওয়েটিং লিস্ট থেকে ডাক পাবার আশায় থাকি। আচ্ছা, গভীর রাতে কাকের ডাক শুনেছেন? বাইরে কেনজানি এই অসময়ে কাক ডাকছে। নিস্তব্ধ শীতল রাতে কাকের কর্কশ ডাকটা কিন্তু দারুণ লাগছে। অনুভূতিটা জীবনানন্দের কবিতার মত। দূর্বোধ্য সুন্দর।
(বিঃদ্রঃ আমি যতটা অলস হবার ভান করি ততটাও কিন্তু না। আজকে বুয়া আসেনি কিন্তু শীত আসি আসি করছে। বুয়া না আসার ব্যাপারে পরে আসি, আগে শীত আসার ব্যাপারটায় আসি। শীতের প্রস্তুতি হিসেবে কিছু হালকা গরম কাপড়-চোপড় বের করে ধুয়ে দিয়েছি। তবে ব্যাপারটা হয়েছে কি, কাচা-কাচির ব্যাপারটা একটু কেঁচে গেছে। বেশি পছন্দের সাদা টি-শার্ট , যেটায় উল্ভারিনের মাথা ছাপা আছে, সেটার সাথে কম পছন্দের একটা লাল রঙের শার্ট ভিজিয়ে রাখার কারনে দেকি সাদাটা একদম লালে লাল হয়ে গেছে! "দাগ থেকে যদি দারুন কিছু হয় তাহলে দাগই ভালো", কিন্তু ব্যাপার হল, এই দাগ কোনদিক দিয়ে যে দারুন কিছু লাগতে পারে তা বুঝছি না। যাইহোক, এবার বুয়া না আসার ব্যাপারটায় আসি। যেহেতু বুয়া আসেনি তাই রান্নাও হয়নি, আর যেহেতু রান্নাও হয়নি সেহেতু আজকে আরো বেশি ক্ষুধা লেগেছে। কি আর করা, ক্ষুধা নিবারন করতেই হবে। তাই রান্না করে ফেললাম খিচুড়ি, ডিম ভাজি আর আলুভর্তা। আহা! দারুন হয়েছে, ডিম ভাজি আর ভর্তাটা, খিচুড়িটা জগাখিচুড়ি হয়ে গেছে। জগাখিচুড়ি কাকে বলে জানেন? যে খিচুড়ি জগে করে পরিবেশন করা যায় তাকেই জগা খিচুড়ি বলে। আর আপনি যদি মগে করে সেটা পরিবেশন করেন তাহলে সেটাকে বালা হবে মগাখিচুড়ি।
ধন্যবাদ, একটি কাল্পনিক বকবক শোনার জন্য।)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়ে ভালো লাগেনি, ধন্যবাদ দিয়েছেন, চেপে গেলাম।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৩

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: ভালো যে লাগেনি সেটা জানানোর জন্য আবারো ধন্যবাদ :D

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এত ধন্যবাদের কারণে, বলতে হয়, ভালো লিখেছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.