নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘরকুনো ভবঘুরে। পথের প্রতি কি এক ভীষণ আকর্ষন অনুভব করি। অজানা অচেনা পথের ডাক শুনতে পাই। কিন্তু, সে ডাকে সাড়া দায়ে হয়না, দিতে পারিনা।

আতিক ইশরাক ইমন

প্রলাপ বক্তা

আতিক ইশরাক ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের পাথেয়

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

সকালেরও নিজস্ব শব্দ আছে। মানুষের কর্মব্যস্ততার। নিস্তব্ধ রাতের শব্দগুলো যেমন আলাদা আলাদা থাকে, সকালেরটা তেমন থাকেনা। সকালে ভিন্ন ভিন্ন বহু শব্দ একসাথে মিশে থাকে। বাড়ির নিচেই বাজার বসে, সেখানকার কেনাকাটা করা, দামাদামি করার শব্দগুলো গুঞ্জনের মত শোনাচ্ছে। পাশেই একটা দালান উঠছে, সেখানে হাতে খোয়া ভাঙা হচ্ছে, তার শব্দ আছে। নিচেই ভ্যান বা রিকশা কিছু একটা গেল, তার বেল বাজানোর শব্দ। ভ্রাম্যমান মাছ বিক্রেতার হাক ডাক, "ওওওওইই মাছ"। ছোট বাচ্চাদের কিচিরমিচির আর তাদের মায়েদের বকাঝকা। পাশেই, কোন বাড়ির কার্নিশে বসে হয়ত চড়ুই ডাকছে। এবং এ সবগুলোই এক সাথেই হচ্ছে। একটা মোমেন্টেই। এমন না যে একটা শব্দ থামার পর অন্যটা শুরু হচ্ছে। রাত্রে হয়ত দেখা যায় (সঠিকভাবে বলতে গেলে, শোনা যায়) দূরে, অনেক দূরে গাড়ি যাবার শব্দ পাওয়া গেল, কিছুক্ষণ পর গলির কুকুরগুলো ডেকে উঠলো, তারপর হঠাৎ করেই নাইট গার্ডের হুইসেলের আওয়াজ নিস্তব্ধতাকে চিড়ে দিল। এই রাতের শব্দগুলোকে যদি প্রশান্তি বলি, তাহলে এই সকালের শব্দগুলোকে বলতেই হয়, জীবনের পাথেয়। কারণ, ছোট বাচ্চাদের কিছু কিছু জুতা আছে না, হাঁটলেই শব্দ হয়, সেটার শব্দ পাওয়া গেল। হয়তবা কারো হাত ধরে মাত্র হাঁটতে শেখা এক পিচ্চি হেলে দুলে হেঁটে গেল। আমি কিছুই দেখছি না, রুমে বসে বসেই প্রতিটা শব্দের পেছনে একটা ছবি, একটা গল্প ভেবে নিচ্ছি। এজন্যই তো, সকালের শব্দগুলো, এক একটা জীবনের গল্প, জীবনের পাথেয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: শব্দ থেকেই সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.