![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব-ই শান্ত থাকি। মানুষের উপকার করার চেষ্টা করি।
কিছু পিতা মাতা তার সন্তানদের মধ্যে কাউকে এক চোখা করে ফেলে। ওই সন্তানকে পারিবারিক সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখে।
ওই সন্তানকে সব সময় একটা চাপের ভিতর রাখে। সব দোষ যেন ওই সন্তানের। সন্তানটি তাদের সাথে মিশতে চাইলেও তারা সেই সুযোগটুকুও দেয় না। এর ফলে ওই সন্তানটি পারিবারিকভাবে কোনো সাপোর্ট পায় না। সেই সারাক্ষণ হীনমন্যতায় ভুগে। সুন্দর পৃথিবীটা তার কাছে নরক হয়ে দাঁড়ায়। সে হাজারও মানুষের মাঝে একা হয়ে পড়ে। লজ্জায় তার অন্য ভাই-বোনদের সাথেও মিশতে পারে না। কেউ-ই যেন তাকে বুঝতে চায় না।
তার হঠাৎ করে মনখারাপের কষ্টগুলো কারো সাথে সে মনখুলে বলতে পারে না। বললে তার পরিবারের সম্মান হানী ঘটবে, এই চিন্তায় তার আর বলা হয়ে উঠেনা।
ফলে কিছুদিনের মধ্যে সে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন খারাপ কাজ চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, বিভিন্ন নেশা জাতক দ্রব্য গ্রহন, পতিতা বৃত্তি ইত্যাদিতে জডিয়ে পড়ে।
সন্তান গড়ার কারিগর হলো পরিবার। অথচ সে পরিবার থেকে কিছুই পায়নি। সে হয়ে পডে সব চেয়ে খারাপ ব্যক্তি। এই খারাপ হওয়ার পিছনে যে তার পরিবার-ই দায়ী, কেউ-ই তা খুটিয়ে দেখে না। সবাই তাকে এড়িয়ে চলে। হয়তো একসময় এই কষ্ট, অবহেলা ও যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সে আত্নহুতির পথ বেচে নেয়। এভাবেই পরিস্হিতির স্বীকার হয়ে নষ্ট হয়ে যায় ভবিষ্যতের জাতির কর্ণধার হাজারও সন্তান।
এই বিষয় গুলো কারো চোখে পড়েনা, পড়লেও কেউ এই অসহায় সন্তানদের পক্ষাবলম্বন নিয়ে প্রতিবাদ করে না। তাই পিতা-মাতার উচিৎ সন্তানকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া সন্তানের ভুল হলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা,নিয়মিত সন্তানের পরিচর্যা করা, আর সন্তানেরও উচিৎ পিতামাতাকে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান করা।
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০২
নবিন ব্লগার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
আহম কামাল বলেছেন: সহমত ||
| ধন্যবাদ |