![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব-ই শান্ত থাকি। মানুষের উপকার করার চেষ্টা করি।
রহিম চাচার যে নিষ্পাপ ছেলেটি মেয়েদের দিকে তাকাইতেও লজ্জা পেত, রাস্তায় মেয়ে দেখলেই পাশ কাটিয়ে চলে যেত, আজ সেই ছেলেটি মেয়েদের পিছনে পিছনে ঘুরে।
আনিস সাহেবের যে মেয়েটি ছেলে দেখলেই সব সময় তাদেরকে এড়িয়ে চলতো, সেই মেয়েটি আজ অনায়সে রাতের পর রাত ছেলেদের সাথে আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দেয়।
ছকিনা আন্টির যে ছেলেটি সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে পারতো না, এখন সেই ছেলেটি ঘন্টার পর ঘন্টা আফিম সেবন করে এক পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠে।
পাড়ার যেই মেয়েটি পর্দা ছাড়া এক মুহুর্তও নিজেকে কল্পনাও করতো না, ভদ্রতার জন্যে গ্রামে বিখ্যাত ছিল, সেই মেয়েটি এখন ফ্যশনের নামে বিকিনি পরে চলা ফেরা করে।
আয়েশা ম্যামের যেই ছেলেটি এক সময় বইয়ের ফোঁকা ছিল, সব সময় জ্ঞান আহরণে নিজেকে নিবেদিত রাখতো, এখন সেই ছেলেটি রাতের পর রাত ফেসবুকে চ্যাটিং করে সময় পার করে দেয়।
সন্ধ্যার পর যেই মেয়েটি বাসায় পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, এখন সেই মেয়েটি প্রতিনিয়ত তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে লীলা খেলায় মেতে উঠে।
আমাদের সমাজে এমন মানুষের অভাব নাই, কিছু মানুষ পথভ্রষ্ট হয় সংগ দোষে,আর কিছু একটু স্বার্থের জন্যে ও নিজেকে একটু আধুনিক করতে নিজের আদর্শ ও ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিয়ে দেয়।
ভাবতেও অবাক লাগে মানুষ এতো ব্যক্তিত্বহীন হতে পারে? পশুর মাঝেও কিন্তু একসময় তার ব্যক্তিত্ববোধ জেগে উঠে। অথচ এগুলা না করেও স্বার্থ হাসিল করা যায়। ইচ্ছা করলেও মডেলও হওয়া যায়।
সমাজের কল্যাণে হোক, না হয় নিজের কল্যাণের জন্যে হলে হোক, আমরা নিজেদেরকে একটু পরিবর্তন করি। নিজের পরিবারের দিকে একটু তাকাই। একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলি। নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলি।
©somewhere in net ltd.