নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালাখি করা আমার পেশা নয়, বলতে পারেন এক পপ্রকার নেশা হয়ে দাড়িয়েছে। পড়া লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় বস্তু নিয়ে লেখার চেষ্টা করি। অহংকারী ব্যক্তি কে একদম এড়িয়ে চলি। আল্লাহ অহংকারীকে পছন্দ করেন না। নিজেকে সব সময় ছোট মনে করি।

নবিন ব্লগার

আমি খুব-ই শান্ত থাকি। মানুষের উপকার করার চেষ্টা করি।

নবিন ব্লগার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক ভার্সিটিততে পড়ুয়া একছেলের হতাশার গল্প

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫



ছেলেটির নাম নাহিদ। একটি নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে।
ভার্সিটিতে আসার আগেও ছেলেটি চুপচাপ ছিল। দিনের বেশীর ভাগ সময়ই পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু ভার্সিটিতে এসেই একটু একটু করে একদম পরিবর্তন হয়ে যায়।

নাহিদ ভার্সিটিতে এসেছে প্রায় দশ মাস পেরিয়ে গেছে,অনেক স্বপ্ন নিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে, হাজারো প্রতিযোগীকে পিছনে পেলে একটি সিট পেয়েছে,, মাতাপিতা নিজেরা খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্ট করে মাসে মাসে আমাকে টাকা দিচ্ছে শুধু স্বপ্ন পুরন বা জীবনে ভালো কিছু করার জন্যে।

আর হতভাগা ছেলেটি স্বাধীন লাইফ পেয়ে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস নিজের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। যে সময়ে তার লাইব্রেরীতে গিয়ে পড়াশুনার কথা, সেই সময়কেই সে আনন্দ,মজা-মাস্তি, নোংরামি করে কাটিয়ে দিচ্ছে।
যে টাকা দিয়ে তার বই কেনার কথা, সেই টাকা সে দিয়ে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।

কিছুদিন পর সে নিজের ভুল বুঝতে পপারলো যেযে, সে নিজেকে নিজেই ধোকা দিচ্ছে,
ধোকা দিচ্ছে সে তার স্নেহময়ী বাবা-মাকে।
তার বাবার কষ্টার্জিত পয়সাকে সে নষ্ট করতেছে। কেন সে নিজের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে?? তার মত অনেক ছেলেমেয়েই ভুলে যাচ্ছে, তারা কিসের জন্যে আসছে, আর কি করতেছে?? তারা নিজেকে নিজেই অন্ধকার জগতে নিয়ে যাচ্ছে, যা চকচক দেখালেও খুব ভয়ঙ্কর জগত।

নাহিদ পরিবর্তন হতে চায়, সে তার আগের জীবন পেতে চায়,,যেখানে নেই কোনো অন্ধকারের হাতছানি। সে পড়াশুনা করে পিতামাতার স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। না হয় নিজের কর্মের কুফল আমাকেই ভোগ করতে হবে।

কিন্তু সেপ্রতিদিনই তো বলে, সপ আগামীকাল থেকে বদলে যাবে,
কিন্তু সেই কাল আর ফিরে আসে না,,,,
এভাবে আর কত??
তাই সে প্রতিজ্ঞা করলো, সে আজ এখন থেকে পরিবর্তন হবেই,,,,কিন্তু সে বারবার ব্যর্থ হয়।

সে কিভাবে কি করবে??
সে যে হারিয়ে ফেলেছে তার আত্মবিশ্বাস,সাহস ও মনোবল??
আত্মবিশ্বাসহীন মানুষ তো পশুর সমান,,

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: নাহিদ বেশ বুদ্ধিমান ছেলে তো! সে দশ মাসেই বুঝে গেছে কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ বখে যাওয়া ছেলে-মেয়েরা ভাল-মন্দ বুঝতে বুঝতে দেখে যে তাদের গ্রাজুয়েশন হয়ে গেছে!

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

সুমন কর বলেছেন: সবার, এতো তাড়াতাড়ি শুভ বুদ্ধি আসলে ভালো হতো......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.