![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব-ই শান্ত থাকি। মানুষের উপকার করার চেষ্টা করি।
স্রষ্টা বলতে পৃথিবীতে কিছুই নেই,,,,,,, প্রাকৃতিক নিয়মেই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে, কেউ তাকে সৃষ্টি করে নি। ভৌগোলিক কারণেই পাহাড়-পর্বত, নদী-সমুদ্র প্রকৃতির প্রয়োজনে তৈরী হয়েছে। বিভিন্ন উত্থান ও পতনের মধ্য দিয়ে মানুষের চাহিদা মেটাতে ও স্বার্থের ভিত্তিতে মানব সভ্যতা গুলো গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন, ও ভৌগোলিকগত কারণেই বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস,ঘুর্ণিঝড়,টর্নেডো ও নদী ভাঙন হয়। এগুলোতে স্রষ্টার কোনো হাত নেই।
.
এই আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে ও আমরা কথিত ধর্মের নামে কুসংস্কারকে বিশ্বাস করি। আমরা বাপ দাদার তথাকথিত অন্ধ অনুকরণকে অনুসরণ করাকেই আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি। মানবতাই যে মানুষের সবচেয়ে বড় ধর্ম, সেটা আমরা ভুলে গিয়েছি। বিজ্ঞানের কল্যানের জন্যেই আজ আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যা আমি নিজেও আগে জানতাম না। ধর্ম মানুষকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে দেয়। ধর্মের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে কখনো অশান্তি ছাড়া শান্তি সৃষ্টি হয় না।
.
সেইদিন সন্ধ্যায় এক বন্ধুর সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে সে স্রষ্টা ও ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি মূলক কথা বলে আমাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসে।
তখন তার প্রতি উত্তরে আমি বলি যে,দেখ দোস্ত কয়েকদিন আগের ঘটনা, তখন রাত প্রায় ২ টার কাছাকাছি, একটি জরুরী প্রয়োজনে আমাকে জাবি ক্যাম্পাস হতে ঢাকা যেতে হবে। কিন্তু সেই রাতে রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না। কিন্তু রাস্তার পাশেই একটা ভাঙ্গা পুরনো গাড়ি ছিল। তাই আমি খুব চিন্তিত ছিলাম, কিছুক্ষণ পর হঠাৎ দেখতে পেলাম যে, সেই ভাঙ্গা গাড়িটি আস্তে আস্তে নতুন হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়িটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে স্টার্ট হয়ে আমার সামনে চলে আসে। আমি গাড়িতে উঠে বসতে না বসতেই গাড়ি চলতে শুরু করে। কিন্তু গাড়িতে কোনো ড্রাইভার ছিলেন না।
.
তখন আমার বন্ধুটি বলে উঠে, আরে তুই কি পাগল হয়েছিস না কি?? ভাঙ্গা গাড়ি মেরামত ছাড়া কেমনে আবার নতুন হয় ?? আর ড্রাইভার ছাড়া গাড়ি চলা কেমনে সম্ভব?? আর ড্রাইভার ছাড়া গাড়ি চললে তো যে কোনো মুহুর্তে এক্সিডেন্ট করবে?? কারো না কারোর হাত অবশ্যই আছে। না হয় কখনো সম্ভব নয়। তখন আমি সুযোগ পেয়ে বলে ফেলি যে, একটি যান্ত্রিক গাড়ি যদি ড্রাইভার ছাড়া চলে না। পুরনো ভাঙ্গা গাড়ি যদি মেরামত ছাড়া নতুন বা ঠিক না হতে পারে?? তাহলে এই সারা বিশ্ব, সৌরজগত, এবং তার ভিতর সব কিছুকে সৃষ্টির পিছনে কারো না কারো হাত অবশ্যই আছে। এবং কেউ না কেউ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতেছে। কেউ যদি নিয়ন্ত্রণ না করতো, তাহলে কিছুই থাকতো না, সব ধ্বংস হয়ে যেত।
তারপর তাকে আমি তাকে ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস সম্পর্কে বলি যে, নিঃসন্দেহে বর্তমানে যে সকল ভূমিকম্প জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ইত্যাদি দেশে-বিদেশে ঘটছে, তা মহান সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত সতর্ককারী নিদর্শনগুলোর একটি, যা দিয়ে তিনি তার বান্দাদের ভয় দেখিয়ে থাকেন। সৃষ্টিকর্তা বলেন,,
‘বল! সৃষ্টিকর্তা তোমাদের উপর থেকে (আসমান থেকে) অথবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে আযাব পাঠাতে সক্ষম, অথবা তিনি তোমাদেরকে দল-উপদলে বিভক্ত করে একদলকে আরেক দলের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতেও সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।’
[সূরা আনআম, আয়াত-৬৫]
.
ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানের আলোকে ভূপৃষ্ঠের নীচে একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় রয়েছে কঠিন ভূত্বক। ভূত্বকের নীচে প্রায় ১০০ কি.মি. পূরু একটি শীতল কঠিন পদার্থের স্তর রয়েছে। একে লিথোস্ফেয়ার (Lithosphere) বা কঠিন শিলাত্বক নামে অভিহিত করা হয়। আমাদের পৃথিবী নামের এই গ্রহের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, কঠিন শিলাত্বক (লিথোস্ফেয়ার)সহ এর ভূপৃষ্ঠ বেশ কিছু সংখ্যক শক্ত শিলাত্বকের প্লেট (Plate) এর মধ্যে খন্ড খন্ড অবস্থায় অবস্থান করছে। ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানের আলোকে এই প্লেটের চ্যুতি বা নড়া-চড়ার দরুণ ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
এই নড়া-চড়ার পিছনেও যে কেউ একজন তো অবশ্যই আছে।
.
আল্লাহর সতর্ককরণ ধরণ-ধারণে, আকার-আকৃতিতে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে আপতিত হয়। কখনো ব্যাপক বিধ্বংসী ঘুর্ণিঝড়ের আকৃতিতে, কখনো দুর্দমনীয় বন্যার আকারে, কখনোবা যুদ্ধের আকারে, কখনো আবার প্রচন্ড বা মৃদু ভূমিকম্পের আকারে। কারণ, তিনি চান না যে, মানুষ অবাধ্য হয়ে তার বিধি-বিধানের প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে প্রবৃত্তি চালিত হয়ে জীবন যাপন করুক
ভূমিকম্প, বন্যা, দূর্যোগ, যুদ্ধ, ইত্যাদির মূল আমাদের মানুষের কর্মের ফল। মহান সৃষ্টিকর্তা তো বলেই দিয়েছেন যে সব আমাদের কর্মের ফল আমাদেরকেই ভোগ করতেই হবে।
.
তিনি আরো বলেন,
যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে, যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে। এবং মানুষ বলবে, এর কি হল। সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে, কারণ, তোমার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন। সেদিন মানুষ তাদের কৃতকর্ম দেখানোর জন্য দলে দলে বেরহবে। আর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে, এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।।
(সুরা আল যিলযাল)
সুতরাং আমরা এখন বলতে পারি যে, ধর্মের কারনেই মানুষের মধ্যে হানাহানি, মারামারি হয় না, এই সব কিছুই আমাদের কর্মের কারনেই সংঘটিত হয়। আর অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা বলতে একজন আছেন, যার সমকক্ষ কেউ নেই।
আমাদের অনেকের ই সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে আমরা না জেনে বিভিন্ন মন্তব্য করি, যা আদৌ সঠিক নয়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২১
নবিন ব্লগার বলেছেন: হ ভাই, অনেকেই জেনেও জানতে চায় না
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬
বিজন রয় বলেছেন: যার যেমন বিশ্বাস।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৪
নবিন ব্লগার বলেছেন: বিশ্বাস সঠিক হওয়া দরকার ভাই
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
কানিজ রিনা বলেছেন: বিশ্বাসে ভগবান অবিশ্বাসে অপমান। আল্লহর নিরানব্বই নাম ঘুরে ফিরে ওই একই প্রকৃতিতে বিরাজমান। প্রকৃতি আল্লাহর তা সৃষ্টির দায়ীত্ব তার। ধন্য়বাদ
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৫
নবিন ব্লগার বলেছেন: ভালো বলেছেন আপু
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
চৌধুরী মাহবুব বলেছেন: ধর্ম কাউকে মারামারি করতে বলে যা করি তা অামাদের প্রয়োজনে । যে ধর্মই হোক তা সুন্দর সত্যের কথা বলে । শান্তির কথা বলে ।
যে যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে তাকে বাধা দেয়ার কথা কোন ধর্ম বলেনা। ধর্ম নিয়ে মারামারি যা হচ্ছে তা মুলত হালুয়া রুটির জন্য।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৬
নবিন ব্লগার বলেছেন: কিন্তু ভাই, অনেকেই বুঝতে চায় না
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০২
দিগন্ত ম বলেছেন: হয়তো উনি বর্তমান বিশ্ব সম্পকে অবগত নয়।বর্তমানে যে যুদ্ধ চলছে অস্ত্র বিক্রয় ও তৈল এর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এর জন্য।কোনো ধর্মের জন্য নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: "........ তাদেরকে বলুন- পারলে তোমরা সূর্য্যকে পশ্চিম দিক থেকে উদয় করো"
-(বাক্কারাহ:25)