![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আতিকুর রহমান ফরায়েজী। মোঃ জহুরুল ইসলাম ও মোছাঃ চাঁদমণি খাতুন-এর তিন পুত্রের মধ্যে বড়। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম মোঃ আতিকুর রহমান। বংশীয় ঐতিহ্য অনুষ্ঠানের পর নামের শেষে ফরায়েজী যুক্ত করি। ১৯৯১ সালের ২০ এপ্রিল, বাংলা ০৭ বৈশাখ ১৩৯৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার নওদাবন্ডবিল গ্রামে পিতার বাসভবনে জন্মগ্রহণ করি। বর্তমানের এই রঙ্গ তামাসাময় এবং নিরস সাহিত্যের বাইরে থেকে পরিকল্পিতভাবে সাহিত্য চর্চায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। শৈখিন চারুশিল্পিময় আমি অবসর সময় কাটাতে পছন্দ করি- গান শোনা ও সংগিত চর্চায়।
বেলা এবার হলো বুঝি প্রভাত পারাবার।
আঁধার হেরি সম্মুখে তাও,
অকুলে ভাসে দুকূলা নাও;
তৃভূবনে উথলি উঠে তৃপ্ত শরবর।
পঞ্চমুখর দৃপ্তি আঁখি
আঁধার আলোয় জ্বলজ্বল।
আবছা আলোয় কি যে দেখি
বুঝিনে তার ভার,
ওগো পারি না যে আর।
নও এ তরী ঝঞ্ঝা পুরী করাও পারাপার।
পঞ্চ দিনে দাড়টি বেয়ে
তৃভূবনে এলেম নেয়ে
সম্মুখে চাই
নয়নাভায় দেখিতে যে পাই
সপ্ত পারাবার।
ওগো সহিতে নারি আর।
নও এ তরী ঝঞ্ঝা পুরী করাও পারাপার।
তপ্ত রোদনে রৃদ্ধ ক্রদন
শুকায়ে গিয়াছে আজ।
আকাজেতে বাধিয়াছে তাই কাজ।
কি যে কঠিনসম হৃদম মম
বুঝিতে পারি নে আর
তবুও সহিতে পারিনা ভার।
ঝিমায়ে পরি ক্লান্ত হয়ে,
গান থেমে যায় শ্রান্ত স্বরে
বন্দি যারা চলছে ধেয়ে
আকাশ পারাবারে
উঠছে কারা গান গেয়ে।
তবু কি রোষে যে দাড় বেয়ে যায়
উতাল পারাবারে
পাল ছেড়া এই নায়ে।
হায় ওযে ঢেউ জাগানে নেয়ে।
তাইতো বুঝি উথলি উঠে
সপ্ত সরবর।
ওগো ক্ষণ থাকে না আর
নও এ তরী ঝঞ্ঝা পুরী করাও পারাপার।
যে গান ছিলো শেষ হয়েছে
যে সুর ছিলো স্বর হয়েছে
ঝঞ্ঝা দ্বারে পড়ে।
দিক ভোলা এ নায়ে দিক ভূলেছি আজ
তবুও কি যেন সক সাজ
সাজছে সকল নেয়ে।
কি যেন কি ভয়ে
আসতেছে ত্রাস ছেয়ে
সপ্ত পারাবারে।
তাইতো জানি আসছে থামি
শত কলরল।
ওগো সন্ধা নামে সূর্য হল পড়পড়।
নও এ তরী ঝঞ্ঝা পুরী করাও পারাপার।
১৯ চৈত্র ১৪২০
©somewhere in net ltd.