নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সাহিত্যচর্চা

আতিকুর রহমান ফরায়েজী

আমি আতিকুর রহমান ফরায়েজী। মোঃ জহুরুল ইসলাম ও মোছাঃ চাঁদমণি খাতুন-এর তিন পুত্রের মধ্যে বড়। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম মোঃ আতিকুর রহমান। বংশীয় ঐতিহ্য অনুষ্ঠানের পর নামের শেষে ফরায়েজী যুক্ত করি। ১৯৯১ সালের ২০ এপ্রিল, বাংলা ০৭ বৈশাখ ১৩৯৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার নওদাবন্ডবিল গ্রামে পিতার বাসভবনে জন্মগ্রহণ করি। বর্তমানের এই রঙ্গ তামাসাময় এবং নিরস সাহিত্যের বাইরে থেকে পরিকল্পিতভাবে সাহিত্য চর্চায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। শৈখিন চারুশিল্পিময় আমি অবসর সময় কাটাতে পছন্দ করি- গান শোনা ও সংগিত চর্চায়।

আতিকুর রহমান ফরায়েজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিক বাংলা সাহিত্য এবং পাঠক

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮


আমাদের সমাজে এখন পাঠকের অনেক বেশি অভাব- কথাটা এখনকার অধিকাংশ লেখকেরা প্রায়ই স্বীকার করে নিয়েছেন। তাদের মতে তাদের আধুনিক লেখনী পড়ার মানসিকতা আছে এমন পাঠকসমাজ আজ বিলুপ্তের পথে। তাই হাতে নাতে ফল পাওয়া দুষ্কর প্রায়।

ধরুন, মেনে নিলাম যে, এখনকার সময়ে পাঠকের অনেক বেশি অভাব। তার কারণও যথাযথ। যেমন- বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগেও যে বয়সে মানুষের আনন্দ বিনোদনের জন্য বই পড়া হতো, এখন সেই বয়সে আনন্দ বিনোদনের জন্য কম্পিউটার, ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত সবাই। তাই এমন ধারনা করাটাই স্বাভাবিক। তাই বলে যে পাঠক সৃষ্টি হচ্ছে না এমনটাও ভাবা একদমই বেমালুম মনে হয়। আপনাদের মনে আশার সঞ্চার করিয়ে বলি- এখনও অনেক পাঠক সৃষ্টি হচ্ছে। যদি আমরা স্যার হুমায়ুন আহমেদের কথা কিংবা সৈয়দ শামসুল হকের বলি- তারা মারা গেলেও তাদের পাঠক সংখ্যা কমেনি; বরং বেড়েছে। কিংবা স্যার জাফর ইকবালের কথা বলি অথবা নির্মলেন্দু গুণের মত লেখকদের কথা বলি- তাদের পাঠকের সংখ্যা কিন্তু একে বারে কম নয়। প্রকৃত পক্ষে তাদের সংখ্যাই বেশি। লক্ষ করলে দেখবেন বাংলাদেশের মত উন্নতশীল দেশে খুব কম সংখ্যক লোকই তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে, আর বাকীগুলো এই বই নিয়েই পড়ে আছে। সুতরাং, ‘পাঠক নেই’ এ কথার ঘোরতর বিরোধী আমি। আমরা আধুনিকতার নামে যে সকল সাহিত্য পাঠকদের হাতে তুলে দিচ্ছি তা প্রকৃত পক্ষে তাদের কাছে অখাদ্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে কি না, সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে এখন। তার কারণও যথাযথ।

বর্তমান সময়ে আমরা যে সকল আধুনিক কবিতার জন্ম দিচ্ছি তার অর্থ আমরা বুঝি, কিছু অজ্ঞাত শব্দের ব্যবহার, ভাষার কঠিনতা এবং ছন্দের অমিল। আর আমাদের সাহিত্যের উপর সাধারণ পাঠকের অরুচি আসার হয়ত এটাই প্রধান অন্তরায়। আমরা কখন পাঠকের মনের আকাজ্ঞা নিয়ে চিন্তা করি না। আমাদের যা মনে আশে তাই সাহিত্য বলে চালিয়ে দিতে চাই। সত্য কথা বলতে আমাদের আধুনিক কবিতা বলতে যে কবিতাগুলো বুঝি তার সাথে বাংলা আধুনিক কবিতার কোন মিল নেই। আমার দেখা মতে, পাঠকমহল আমাদের মতো এমন আধুনিক কবিতা অনেক লিখতে পারেন। তাই তারাও আজ পাঠকের সারি ছাড়িয়ে লেখকের সারিতে দাড়িয়েছে।

আমার কাছে বর্তমান সাহিত্যকে যে ভাবে মনে হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই উপস্থাপন করার প্রয়াস করেছি। এতে যদি কারো খারাপ লাগে তার জন্য আমি একাগ্র চিত্তে ক্ষমা প্রার্থী। কেননা, কারো মানসিকতায় আঘার করার ইচ্ছা আমার কোন দিনই নেই।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: পাঠকের সংখ্যা খুব কম।
এটা খুব দুঃখজনক।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩০

আতিকুর রহমান ফরায়েজী বলেছেন: সত্যই দুঃজনক।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

লায়নহার্ট বলেছেন: {'মানসিকতা' হবে}

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩১

আতিকুর রহমান ফরায়েজী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখলে হয়ত কিছু পাঠক কপালে ঝুটলেও ঝুটতে পারে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩১

আতিকুর রহমান ফরায়েজী বলেছেন: ক’জন ভালো লিখছে ! এটা একটা বিষ্ময়ই খেকে যাই।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আজকাল যারা লিখছেন, উনাদের অনেকের লিখাই অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। লেখকের লেখা সম্পর্কে পাঠক ধারণা পেয়ে যাচ্ছে। সুতরাং, বই বুঝে শুনে কিনছে।
পড়ালেখার হার, জ্ঞানবিজ্ঞানের অগ্রগতি, মানুষ ইত্যাদি নিয়ে ভাবলে পাঠক কমছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

আধুনিক কবিতার পাঠক আধুনিক কবিরাই। আমিও আধুনিক কবিতার পাঠক। ছন্দময়, অন্ত্যমিলের কবিতার চাইতে আধুনিক গদ্যকাব্য বা কবিতাই আমার বেশি ভালো লাগে। পড়ার সুবাদে, শখের বসে মাঝেমধ্যে কাকেরঠ্যাং, বকের ঠ্যাং লিখার চেষ্টা করি। এসব পড়ে যদি কেউ আমাকে কবি বলে তাহলে কি আর করা। আমার মতো অনেকেই আছেন। মূলকথা, কবিতা যারা বুঝেন না, তারা কবিতার পাঠক নয়। আধুনিক, প্রাচীন ব্লা... ব্লা এসব কথার কথা।

তবে আধুনিকতার নামে কেউকেউ গরুরচনাও লিখছেন আজকাল। তাদের কবি ভাবাও বোকামি!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

আতিকুর রহমান ফরায়েজী বলেছেন: যারা ভালো লিখছেন, পাঠক তাদের খুঁজে নিচ্ছে। আর যারা মোটামুটি ভালোমানের লেখক, তারা অনলাইনে লেখা প্রকাশ করে না।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত। ভালো বলেছেন। পাঠক সংখ্যা ক্রমশ কমার কারনগুলিও যথার্থ।

শুভকামনা রইল।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

আতিকুর রহমান ফরায়েজী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৮

রাকু হাসান বলেছেন:


বিশেষ লেখকের পাঠকের অভাব নেই । নতুন যারা এসেছে তাঁরা খুব একটা ভাল করছে না ,কয়েকজন ছাড়া । প্রযুক্তির জন্য বই বিক্রি কমেছে আগের থেকে পিডিএফ এর কারণে । নতুন পাঠক সৃষ্টিতে পাঠক,লেখক,লেখিকা ,কবিদের ভূমিকা রাখা উচিত । বইপড়ুয়া জাতি হোক বাঙালি ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩২

আতিকুর রহমান ফরায়েজী বলেছেন: নিশ্চয়, আমিও মনে প্রাণে চাই- বাঙালি প্রচুর বই পড়ুন এবং আলোর মুখ দেখুক।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

*কালজয়ী* বলেছেন: সত্যিই এখনো কি পাঠক আছেন??

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩২

আতিকুর রহমান ফরায়েজী বলেছেন: এখনো কিছু পাঠক আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.