নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছে দেশ?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

আমাদের দেশ আজ মহা সংকটে। দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা আজ জেলে। চলছে সংলাপের জন্য আহবান। একটা শিশুও বুঝবে যে, এমনতর অবস্থায় সংলাপ আহবান প্রহশন ছাড়া কিছু নয়। সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে আত্মতৃপ্তিতে ভুগছে। এটাযে, শেষ করতে হবে, এটা যে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করতে হবে, এটার রায় যে কার্যকর করতে হবে তা ভুলে বসে আছে। তা না হলে দেশের বর্তমান অরাজগতাপূর্ণ প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে সহনশীল ভুমিকা রাখত। প্রতিহিংসা পরায়ন বা হিংস্র বা আক্রমনাত্মক হত না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সুষ্ঠ ভাবে শেষ করতে বিরাধীদলের সহযোগীতা যে লাগবে একথা তার বেমালুম ভুলে বসে আছেন। তাদের কে যে সাথে নিয়ে এটা শেষ করতে হবে তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই। বরং বিরোধীদলের উপর জেল আর জুলুম নির্যাতন করে কখনো কখনো কুটুক্তি করে দুরুত্ব তৈরী করা হচ্ছে। এটা কি দেশের জন্য শুভ। এই যে বিরোধীদল কে ক্ষেপিয়ে হরতালের পর হরতাল দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ধংস করা হচ্ছে তাতে কি লাভ হচ্ছে? এতে আরো অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনিশ্চিতয়তার মাঝে দেশ ছুটে চলছে। আস্তিকতা -নাস্তিকতার বিভাজনে দেশ। ধর্মকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে দারকরানো হচ্ছে। অথচ ইসলামী দল মানেই বা ধর্মীয় সংগঠন মানেই যুদ্ধপরাধীদ বা যুদ্ধাপরাধীদের দল এটা ঠিক নয়। এ বিষয়টি সরকার পরিস্কার করছে না। বলছেনা মুক্তিযোদ্ধরা ধর্ম বিদ্বেষী নয়। Click This Link

বরং যারা এবিষয়টি কেন্দ্র করে সত্য উদঘাটনে তৎপর তাদের জেল গুম হত্যার স্বীকার হতে হচ্ছে।

যে সমস্য বর্তমানে তা সরকার ইচ্ছে করলে সমাধান করে শান্তি আনতে পারে দেশে- ১.তত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যতে সরকার অনড়। কেন? বুঝতে পারছি না। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন বা অন্তবর্তীকালিন সরকারের অধিনে নির্বাচনতো হতেই পারে। সরকারের একগুয়েমী বিরোধীদল কে করে তুলেছে আন্দোলনমুখি। তাই হরতাল জ্বালাও পোড়াও এখন নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে গেছে। দুটি দলকে আশু এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. হেফাজতে ইসলাম নামে নতুন এক ইসলামী শক্তি বিরটা জনসভা করে জানান দিলো। ১৩ দফা দাবি দিল। সরকার তাদের একবার সর্মথন করে আবার পরে বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। দ্বীমুখি একটি ভাব প্রকাশ করে। খোলাশা করে কোন মতামত দেয় না। এতে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হচ্ছে। সরকারের উচিত হবে তাদের সাথে আলোচনায় বসে তাদের ১৩ দফার ব্যাখ্যা চাওয়া এবং তাদের যুক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার বিষয়ে চিন্তাা ভাবনা করা।

৩. জামাত শিবির এর বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেই সরকারের। কেন? তাদরে উচিত খোলাশা করে জামাত শিবির সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া। এটাকি থাকবে? না থাকবে না। জামাতকে নিয়ে ভলিবল খেলা জাতি আর দেখতে চায় না।

৪. গনজাগরন মঞ্চ নিয়েও সরকারের দ্বীমুখি নীতি। প্রথমে এটার পক্ষে মন্ত্রি এমপিরা সংহতি প্রকাশে করে । পরে লেজে পা পড়ায় এটার পিছনে লাগছে। গনজাগরন মঞ্চ আর ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঠেলে দিয়ে সরকার নির্বাচনী ফয়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। সরকারের উচিত আস্তিক -নাস্কিত সমস্যা সমাধানে দুপক্ষকে ডেকে মুখোমুখি সংলাপের মাধ্যমে একটা সুরাহার পথ তৈরী করা।

৫. সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমন হচ্ছে। সরকারী আর বিরোধী দল একে অপরকে দায়ি করেই যেন সন্তুষ্ট। এ বিষয়টি বন্ধ করতে হবে সে বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেই। এ পর্যন্ত হাতে নাতে কাউকে ধরা হয়নি। যদিও একজন ধরা পড়ল সে নাকি পাগল। অথচ সরকারী দালের ছাত্র বা যুব সংঘঠনের কর্মী (সভাপতি বা সাম্পাদক কিছু হবেন)। এ ভাবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমন তাদের বাসা বাড়ী জ্বালিয়ে দেয়া খুবই অমানবিক। কারো জীবন বা কোন সম্প্রদায়ের জীবন নিয়ে রাজনিতির নোংরা খেলা করা উচিত নয়। এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে আসল অপরাধীদের কঠিনতম শস্তি দেয়া উচিত। সে যে দলেরই হোক না কেন, যত প্রভাব শালিই বা নিকট আত্মিয় হোক না কেন।

দলের চেয়ে দেশ বড় ।

দেশের চেয়ে ধর্ম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

পুংটা বলেছেন: আফগানস্থান যাচ্ছে ভাই... তাড়াতাড়ি ওঠেন। B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.