নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্ভাবনাময় একটি প্রতিষ্ঠানের সর্বস্বহরন- প্রশাসক নিয়োগ অতপর..........

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

যুবকের দোষ কি?

দোষ হল কারো সহায়তা না নিয়ে দেশের মানুষের নিজস্ব অর্থায়নে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখা।

যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো কি?

অনেক অভিযোগের মাঝে কমন অভিযোগ গুলো হল-

১.বেশী মুনাফার লোভ দেখিয়ে টাকা কালেকশন।

২. জনগনের টাকা ফেরৎ না দেয়া।

৩. জনগনের টাকা আত্মসাৎ করে নিজেদের সম্পদ বাড়ানো।

৪.অবৈধ ব্যাংকিং



অভিযোগ গুলো কতটুকু সত্য?

১. মুনাফাখোর-

যে যেই কাজে নিয়োজিত সে তার কাজে অন্যের সুবিধা আদায়ের জন্য লোভের আশ্রয় নেয়। এটা কি অপরাধ? রাজনৈতিক নেতারাতো নির্বাচনী ইসতেহারে কত লোভ দেখায়। এটাতো অপরাধ হয় না। আবার ধরেন মার্কেটিং অফিসারদের কথা তারা পন্য বিক্রয় করে লোভ দেখিয়ে নানা ধরনের মন ভোলানো কথা বলে। এগুলো কিন্তু স্বৃকিত। তবে কেন যুবকরে বেলায় বেশী মুনাফার লোভ দেখানো অপরাধ হবে। তারা বেশী মুনফার লোভ দেখিয়েছে সত্য কিন্তু তারা সে মতে লাভ কিন্তু দিয়েছে একটা সময় পর্যন্ত। সমস্যাযুক্ত হবার পর ভিন্ন কথা।

২. জনগনের টাকা ফেরৎ না দেয়া-

সমস্যা যুক্ত প্রতিষ্ঠান কি করে সমস্যা না কাটিয়ে টাকা ফেরৎ দিবে। ফুটবল প্লেয়াররের পা ভাংলো এসময় তার পায়ের চিকিৎসা দরকার। পা টা ঠিক না হলেতো সে খেলতে পারবে না। খেলতে পারলেই না গোল দেবার প্রশ্ন।

৩. টাকা আত্মসাত -

এটা একটা কমন ধারনা। সবার ক্ষেত্রে তা সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। গরপত্তা কথা বলে কি লাভ? যদি তাদের নিজস্ব সম্পদ গড়ে থাকতো তারা বাংলার মাটিতে এখনো বসে থাকতো না অপবাদ নিয়ে। উড়াল দিত আকাশে। কমিশনতো দুটি হলো তারা কি দেখাতে পেরেছে যুবকের দায়িত্বশীলরা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বরং তার ফকির হয়ে এখন ঘুরছে সরকারের দারে দারে। আর তাদের ফকির করেছে সমাজের স্বর্থন্বেশী মহল। কেড়ে নিয়েছে তাদের সম্পদগুলো।

৪. অবৈধ ব্যাংকিং

সোসাইটি এক্টটে যুবক ব্যাংকিং করতে পারবে কি পারবে না সে সম্পকেৃ কোন সুস্পষ্ট নিতিমালা নেই। তাই তারা তাদের মত কাজ করে গেছে। এক্ষেত্রে যদি মনে হয় তাদের এ কাজটি ঠিক নয় তাহলে তাদের সংশোধিত নিতিমালা আওতায় এনে কাজ করার সুযোগ দেওয়াটাই ছিল যুক্তিযুক্ত। অভিযোগ করে ঝুকিতে ফেলে বেকার সমস্যা বাড়ানোর কোন দরকার কি ছিল?

সত্যকার অর্থে যুবকের দূর্বলতা-

মৌলিক কিছু দূর্বলতা যুবকের ছিল যা সত্যই যুবককে আজকের এই অবস্থার সমুক্ষিন করেছে-

১. দায়িত্বশীলদের মনে আমিই সববুঝি বাকিরা মূর্খ এ ধারন পোষন করার টেন্ডেন্সি

২. যাকে তাকে বিশ্বাস করা

৩. সুদুর প্রসারি চিন্তা না করে প্রজেক্ট হাতে নেয়া

৪. আইনি জটিলতার কথা চিন্তা করে স্কীম বা সঞ্চয় কার্যক্রম চালানো।

৫. সরকারী আমলা আর এম.পি মন্ত্রীদের পেছেনে লাখ লাখ টাকা খরচ।

৬. নিজের অবস্থান না বুঝে জাতিয় পর্যায়ে ব্যায় বহূল ফ্যাসটিভল পোগ্রাম করে টাকা অপচয়।

৭. প্রবলেম কোম্পানীগুলো ক্রয় করা বা সেখানে বিনিযোগ করা।

৮. মাঠের লোকদের মাঝে কেন্দ্রীয় তদারকি জোর দার না করা। ফলে যে যার মত কাজ করেছে।

৯. মিডিয়ার সাথে সু সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে বেহুদা অর্থ খরচ।

১০. সব সময় এটা ভাবা আমি যাই করি আমাকে কেউ ছুতে পারবে না।

আরো অনেক দূর্বলতা ........।



এসব দূর্বলতাই কি যুবকের পতনের কারন?

এসব দূবলাতই শুধু নয় ।এগুলার কিছুটা প্রভাবতো আছে। তবে মুল কারন হলো সরকার আমাদের ইর্ষা করতে শুরু করেছিল। ব্যাংক গুলো আমাদের ইর্ষা করতে শুরু করেছিল। তাদের ইর্ষার আগুনের বলি হল যুবক। আর মিডিয়ার অপপ্রচার এ পতনের পথকে আরো সুগম করেছে।



কেন এই ইর্ষা? কেন এই অপ্রপ্রচার?

বৈধ হোক অবৈধ হোক যুবক যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছিল তাতে খুব অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠানটি অনেকগুলো প্রতিষ্টানৈর অংশিদার বা মালিক হয়ে গিয়েছিল। তাদের কোন সহায়তা না নিয়ে বা তাদের কোন প্রকার চাঁদা বা ঘুস না দিয়ে।

সম্পদ গুলোর কয়েকটা-

১. আর .টিভি

২. আই. এফ .আই.সি ব্যাঙক

৩. টেলিবার্তা (যুবক ফোন)

৪. বীচ হ্যাচারী

৫. মেঘনা সী ফুড

৬. লামা রাবার ইন্ডাট্রিজ

৭. যুবক সিরামিক

৯. যুবক হাউজিং এন্ড রিযেল এস্টেট

১০. বি.কে. টাওয়ার

১১. যুবক আইটি

১২. যুবক ট্যুরিজম

১৩. অধ্যায়ন

১৪. দৈনিক দেশ বাংলা

১৫. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি

আরো অনেক.....................সম্পদ জমি জামা /বাড়ী/ মার্কেট।



ইর্ষান্বত মহল পন করেছিল ধংস করতে হবে একে। তারা সফল কি বিফল সময় বলে দিবে। তবে যুবকের মূত্যু হয়নি। যুবক আবার ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। আল্লাহ সহায় থাকলে তার এ ঘুরে দাড়ানো সফল হবে।



যুবকের সম্পদ গুলো বর্তমান অবস্থা -

আরটিভি নিল বেংগল গ্রুপ।

টেলিবার্তা ঋণ মামলার খপ্পরে।

দেশ বাংলা কোরাইশির দখলে

যুবক হাউজিং ধুকে ধুকে চলছে।

বিকে টাওয়ার যুবকের কর্মী বাহিনির বহু গ্রুপের এক গ্রুপের দখলে।

মেঘনা সী ফুড শরিফ সাহেবের কবজায়।

ভিক্টোরিয়া ইউনিভাসিটিও পার্টনারদের দখলে।

জমি জামাও সরকারী পেটোয়া বাহীনির দখলে ।

দখল আর দখল । পুরো নিস্ব করে ছাড়লো প্রতিষ্ঠানটাকে।

এখন শুধু টিকে আছে যুবক সিরামিক। এই একটি কোম্পানীও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে খুব বেশী এগোতে পারছে না।



প্রতিকার কি?

উদ্ধার করতে হবে এ সম্পদগুলো। সরকারী ভাবে এ উদ্যোগ নিতে হবে।

গ্রাহকের টাকা দিতে হবে। প্রশাসক নিয়োগ করা হলে কোন সমস্যা নাই।

বরং ভালো। তার তত্ববধানে সম্পদগুলো উদ্ধার করা হলে গ্রাহকদের পাওনা দেনা পরিশোধ করা সহজ হবে।



দৈনিক যুগান্তরে ১৯/১১/২০১৩ সংখ্যায় যুবরে প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত খবরটি পজেটিভ। যুবকের গ্রাহকরা এমনকি দায়িত্বশীলরাও এটা চায়। এ বিষয়ে যুবকের তরফ থেকে ঋণ সহায়তা চেয়ে অক্টোবরে/১৩ এর দিকে একটি চিঠি অর্থমন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। যা পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সরকার ও যুবকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গ্রাহকদের টাকা পরিশোধে কাজ করবে। যা প্রশাসক নিয়োগকে সমর্থন করে।



অতিসত্বর প্রশাসক নিয়োগ করে সরকার যুবক সংক্রান্ত একটা সুষ্ঠ সমাধান করবে এটাই প্রত্যাশা।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: জনগনের টাকা ফেরৎ না দেয়া। এর বিবারনে আপনি বলেছেন সমস্যা যুক্ত প্রতিষ্ঠান কি করে সমস্যা না কাটিয়ে টাকা ফেরৎ দিবে। ধরুন আপনি চাকরি করেন ঢাকা শহরে কিন্তু আপনার হেড অফিস রংপুরে । বউ নিয়ে একা থাকেন। মাসে দুই বার হেড অফিস রংপুরে যাওয়া লাগে । এখন বাড়ীতে একা যুবতী থাকবে কোন চিন্তা নাই বাড়ী ওয়লা খুব ভাল লোক ।তার দায়িতে রেখে নিশ্চিতে চলে যান । কিন্তু একদিন আপনি দেখলেন আপনার বউ এর সাথে অপকর্ম করছে আপনার সেই ভাল লোক বাড়ী ওয়লা। আপনি কি করবেন ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

আতা স্বপন বলেছেন: অবশ্যই আমি তখন রেগে মেগে যা ইচছা তাই কান্ড ঘটাব। কিন্তু তা করে কি কোন লাভ হবে। বাস্তবতা আষাঢ়ের তর্জন গর্জন সার।

আপনার উদহারনটির মর্মবানি যদি আমি ভুল না বুঝি তা হল বিশ্বাস করা।
বিশ্বাস করে ঠকা। এখন এখানে বুঝতে হবে বৌটিরও কোন দোষ আছে কিনা। না বেচারা বাড়িওয়ালা কোন ষরযন্ত্রের স্বিকার।

জটিলতা হলো আমরা বিশ্বাস করি যারে তারে। বিশ্বাস বুঝে শুনে করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.