![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।
বর্তমানে বাংলাদেশে মানুষের জীবনের দাম নাই। কে কখন কোথায় কিভাবে মরবে সারক্ষন শংকায় থাকতে হচ্ছে। নিশ্চিন্ত মনে যে, রাস্তায় স্বাধীনভাবে চলাফিরা করবো সে অবস্থা নেই। যুদ্ধ পরিস্থিতি চারিধারে। ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করে যে স্বাধীন রাষ্ট গঠিত হল তা আজ ধংসের সমুক্ষীন দেশের রাজনৈতিক কপটতার কারনে। রাজনৈতিক কপটতা আমাদের অমানুষ বানিয়ে ফেলেছে। এই রাজনিতিই আমাদের দেশের স্বাধীনতার মুল চালিকা শক্তি ছিল। আর আজ সেই রাজনিতি কোথায়?
কেবলই প্রতিহিংসা আর হানা হানি। দেশ ও এর জনগনের ভাগ্য নিয়ে যেন দুই ক্ষুধার্ত শিয়ালের কামরাকামরি-মারামারি ঝগড়া। সবাই বলে আমরা জনগনের জন্য হেন করছি। তেন করছি। সরকার বলে জনগন আমার পক্ষে। বিরোধিীদল বলে জনগন আমার পক্ষে। কেউ বলেনা আমরা জনগনের স্বার্থের পক্ষে। আমরা জনগনের জন্য। সবাই শুধু জনগনকে ব্যবাহর করতে চায় তার স্বার্থে।
বাসে বোমা মারা হচ্ছে। জনগন মারা যাচ্ছে। সরকার বলে বিরোধীদের কাজ। বিরোধী বলে সরকারের কাজ। দায় চাপা চাপি চলে প্রতিনিযত। কেউ তদন্ত করে বের করে না কে আসল অপরাধী। উল্টো জনগনের এই দুরঅবস্থাকে ব্যবাহার করে চলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের অমানবিক খেলা। সরকারে যেই থাকুক সে সবসময় বলে হরতাল -অবরোধ খুবই খারাপ কাজ। সন্ত্রাসী কাজ। গাড়ী পোড়ানো ঠিক নয়। জনগনের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করে তাদের স্বাধীন ভাবে চলাচলে বাধা প্রদান ঠিক নয়। বোমো মেরে মানুষ মারা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারা বর্বর কাজ। কিন্তু এরাই আবার যখন বিরোধী দল হয় তখন বলে হরতাল অবরোধ গনতান্ত্রিক অধিকার। এরাই বাসে বোম মেরে মানুষ মারে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারে। সত্যই সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ।
জনগন এখন রাজনৈতিক কপটতার হিংস্র থাবায় তরপায়। মিছিল হয়।হরতাল হয়। অবরোধ হয়। নেতারা কোথায়? মরছে আমার তোমার ভাই। ভাংছে আমার তোমার গাড়ি। পুড়ছে আমার তোমার টাকায় কিনা বাস। নেতারা পর্দার অন্তরালে থেকে সংলাপের নামে মৌজ মাস্তি করবে আর কর্মিরা গুলি খেয়ে মরবে। সরকার আর বিরোধীরা ডিনার পাটিতে যেয়ে হাসাহাসি রং তামাসা করবে আর পাবলিক মরবে আগুনে পুড়ে। রুসুনের সকল কোয়ার পাছা একজায়গায়। আসলে বর্তমানে রাজনৈতক সকল নেতাই তাদের নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য রসুনের কোয়ার মত একজায়গায় মিলিত হয়। তাদের মধ্যে কোন বিভক্তি তখন নাই। শেয়ার মার্কেট লুটের ঘটনাই তার বড় প্রমান । সরকার ও বিরোধী দল মিলে জনগনের টাকা মেরে দিল। একটি তদন্ত কমিটি হল। তাতে চিহ্নিত হল কার এর নাটের গুরু। কিন্তু সরকার কোন পদক্ষেপ নেয় নি। বিরোধীদল ও জনগনের আমানত রক্ষায় কোন জোড়দার আন্দোলন করেনি। স্বার্থের কাছে আজ আদর্শ সেটা যতই মহান হোকনা কেন পরাজিত। আমে দুধে মিলে গেল আটি গড়াগড়ি খেল।
প্রশাসন সরকারের নাচের পুতুল। যেভাবে নাচায় নাচে। বিরোধীদলে নেতাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কারন কি তারা বোমা মারে। তারা গাড়িতে আগুন দেয়। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করছে। শুনে মনে হয় সরকার জনগনের কথা কি জানপরানইনা ভাবে। কিন্তু এগুলো যে আই ওয়াশ তা বুঝতে জনগনের এখন আর বাকি নাই। জনগনকে এতো বোকা ভাবার দরাকার নাই।
সরকারের ফাটা কেষ্ট এস্টাইলের মন্ত্রী যখন বলেন, পর্দার অন্তরালে আলাপ চলছে। সমঝোতায় পৌছলে আটাকৃকত বিরোধীনেতাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে।
কি বুঝা গেল ? দেশের আইন এখন হত্যাকারিদেরও ছেরে দিতে কুন্ঠা করেনা যদি তা স্বার্থ হাছিলের জন্য হয়। বিচার করবে স্বাধীন বিচার বিভাগ। মাননিয় মন্ত্রী কথায় আপনার কাছে এখণ কি মনে হচ্ছে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। না আইন আর প্রশাসন চলছে সরকারী গতিতে। জনগনের কথা কেউ ভাবছে না।
জনগন পিষ্ট হচ্ছে অনবরত মরিচের মত । কপট রাজনৈতিক নেতৃত্বের পুতার আঘাতে। হে আল্লাহ তুমিতো মজলুমের দোয়া কবুল কর। তুমি এই জুলুম অত্যাচার এই অসহায় অবস্থা থেকে আমাদের দেশ ও দেশের জনগনকে উদ্ধার করো।
©somewhere in net ltd.