![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।
বর্তমানে হরতালকে ইসলামে দৃস্টিতে ব্যাখ্যা করতে যেয়ে এমন ফতোয় আসছে যে, হরতাল ইসলামে হারাম। এটা মানুষকে কষ্ট দেয়। যারা হরতাল করে আর এতে সামিল হয় সবাই জাহান্নামী!!!
হরতাল আধুনিক প্রতিবাদের ভাষা জানি তা হারাম বা হালাল করলকে? হরতাল হারাম না হালাল এ বিষয়েতো কোন সুরা বা হাদিস নাই। যেমন নাই ফেসবুক চেটিং আর ইন্টারনেটে বসে মানুষের সমালোচনা করা। ফেসবুক যদি দাওয়াতের মাধ্যম হয়ে তাহলে কথা হবে হিকমতের সাথে ফেসবুকে আড়াল থেকে খোচা মেরে নয়। হরতাল জনগনের কষ্ট। তাই এটা রাজনৈতীক কালচার থেকে বাদ দেয়া দরকার। রাজনিতি করতে হলে বর্তমানে মানুষসৃষ্ট এই সিসেটম ফলো করে প্রতিবাদ করতে হবে। এটা ইসলামিক কিনা এটা যদি বলি তাহলে বলতে হয় গনতন্ত্র বা রাজতন্ত্র বা সমাজতন্ত্র কোনটাই ইসলামে নাই। ইসলাম বলে আল্লাহর তন্ত্র। অর্থাৎ তার আইন। কোন দেশে এখন তেমন ব্যাবস্থা নাই। আমরা হয়েছি গোবরে পোকার মত। জম্ম গ্রহন করেই গোবর পেযেছি। পেয়েছি গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্র রাজতন্ত্র এসব। আর এর সাথে পেয়েছি কিছু সিসটেম। যা মানুষের গড়। গোবরে পোকা যেমন শত চেষ্টা করেও নিজের শরীর থেকে তার গোবর বা গন্ধ দুর করতে পারেনা তেমনি আমরাও এই সিসটেম থেকে বেড় হতে পারছিনা। যদি আল্লাহ কোন পথ না দেখান আদো পারব কিনা জািননা। কথা হলো চেষ্টা করতে হবে সিসটেম থেকে বের হবার। আল্লাহ বান্দর চেষ্টা দেখেন। সে সফল হলে ২টি পুরষ্কার আর বিফল হলে চেষ্টার পুরস্কার পাবে। হরতাল একটা রাজনৈতিক বাজে সিসটেম তা সবাই যার যার মত ইউজ করে। এটা বিলুপ্ত হওয়া দরকার। তবে হুট করে এ সিসটেম থেক বের হওয়া যাবে না। বা যায়না এর জন্য একটু সময়তো লাগে। আর লাগে প্রচার ও দাওয়াত। যা হতে হবে হিকমতের মাধ্যমে কাউকে খোচা দিয়ে ঘা করে নয়। ডা: জাকির নায়েকের আমি একজন ভক্ত। তার কথা বলা ধরনটায় নানা টেকনিক রযেছে। মানুষকে কষ্ট না দিয়ে কিভাবে সঠিক পথের দাওয়াত দিতে হয় তা তিনি ভালই জানেন। আমরা বর্তমানে তার মত একজন দায়ির স্টাইল ফলো করতে পারি । হরতাল করলে হারম কাজ হবে এটা ততক্ষণ বল যাবে না যতক্ষন হরতাল সরাকরী ভাবে নিষেধ না হয়। এ দুভোগ এর দায়ভার সরকারের। এই সিসটেম লালন করার জন্য। সরকার ক্ষমতায় থাকতে যদি একটি কুকুর মারা যায় তার ভার সরকারের। এটা হাদিস। কারন তাকে আল্লাহ এ জন্য শাসক করেছে যাতে সে জনগনকে শান্তীতে রাখে। ন্যায় বিচার করে। হাদিসে আছে ৪টি কাজ করে। দেশের মানুষ খবার পাবেনা অভাবে চুরি করলে সেখানে হাত কাটার বিধান ইসলামে নাই। খলিফা হারুন অর রশিদের একটি গল্প আছে। আমাদের শাসকরা যতদিন হযরত ওমর রা. মত জনগনের খেদমত না করবে জনগনের ন্যায়বিচার না দিবে ততদিন হরতাল কেন আরো অনেক মানষসৃষট আজাবে আমাদের পড়তে হবে। আল্লতো বলেছেণ এ পুথিবীর এতো বিপর্যয় এগুলো মানুষের দুই হাতের কামাই। তাই সিসটেম পরিবর্তন না হোয়া অবদি হালাল হারাম বলাটা যুক্তি যুক্ত নয়। এটা বলা যায় এটা পরিহার করার চেষ্টা করা উচিত। রাজনিতি থেকে হরতাল সরানোর দায়ীত্ব জনগনের। কারন তারা ভোট দিয়ে সরকার করে। তারা এমন সরকারকে ভোট দিক যারা হরতাল বাদ করবে।
হরতাল জুলুম। অবশ্য সত্য। কিন্তু এই জুলুমকে আমরাই প্রতিষ্টিত করেছি এটা কেন ভুলে যাই। দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পোষার মত। আমরা জনগন এমন শাসককে ভোট দিয়েছি যারা ক্ষমতায় থাকলে হরতালকে জুলুম বলে। আর ক্ষমতা থেকে সরে গেলে বলে অধিকার। আপনি যত্ন সহকারে কাল সাপ পুষবেন আর তার স্বভাব হলো ছোবল মারা এটা যেনেও। সে যখন ছোবল মারবে তখন বলবেন এটা সাপের দোস তা কি করে হবে। আমি ভোট দিয়েছে জালিমকে । তার জুলুমের ভুক্তভোগী আমাকেই হতে হবে ততদিন যতদিন না আমরা জালিমকে ইগনোর করব। আল্লাহ ন্যায় বিচারক। হরতাল আমাদের তৈরী। তাই আল্লাহ আমাদের ক্রিয়েশান দিয়ে আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন। আল্লার আইন ও বিধান মতে রাস্ট্র না চললে এমনতো হবেই। আল্লাহ বলেছেন যখন মানুষ তার আইন কানুন থেকে দুরে সরে যায় তথন তার উপর জালিম কে শাসক রুকে চাপিয়ে দেন। আর তাইতো আমরা জুলুমে আছি।
হরতাল জুলুম যেমন সত্য তেমনি এজুলমের কস্টও সত্য। এটা আসলে যেই দেক না কেন আমাদের এই সিসটেমে থাকতেই হবে যতদিন না্ আমরা তওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসবো। তাই হরতাল কেন দিল হরতাল হারাম না হালাল বা যারা হরতাল ডাকল তারা মুমিন না এই টাইপের হাদিস প্রচান না করে অর্থাৎ কাঁদা ছোড়াছুরি না করে বা এসব বলে আহাযারি না করে আল্লার কাছে মাফ চান। আল্লাহ যেন সঠিক পথে আমাদের পরিচালিত করেন। আমাদের অপরাধ মার্জনা করেন। আসলে জুলমটা যাতে বন্দ হয় এর জন্য যাতে ঘৃনা বোধ হয় এ বোধ আল্লাহ জুলুমে রেখে আমাদের শিক্ষা দিচ্চেন। কিন্তু নাদান আমরা বান্দাগন তার নদর্শন কি বুঝতে পারছি? পারছিনা বলেই এ ওকে কাফির মুরতাদ মুনাফিক বলে কাদাছোড়াছুরি করছি। এসব না বলে দোয়া করুন। এ ক্রান্তীকাল এ অমনিশা যেনো দুর হয। নিজেদরে মধ্যে আর কত বিভেদ করে রাখবেন নানা তরিকার নামে। অমুক দল না করলে বেহেশত যাওয়া যাবে না বা অমুক তরিকা না মানলে নরকে পুরতে হবে বা অমুক পিরসাহেবের মুরিদ না হলে সুপারীশ পাবানা এভাবে কেউ যদি বলে বা প্রচার করে তা ঠিক নয়। যে আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করে তার আনুগত্য করার জন্য কোরআন পাকে আল্লাহ বলেছেন। কাজেই আমাদের শাসক নির্বাচনে এরই প্রতিফলন থাকা জরুরী।
ভোট সবার ব্যাক্তিগত চয়েজ। কেউ বলে দিলে হবে না। বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে ভোট দিতে হবে। মহানবীর ইন্তেকালের পর কে খলিফা হবে তা নিয়ে একটি ভোট হয়েছিল তাতে কেউ কাউকে প্রভাবিত করেনি। সাহাবারা স্বাধিন ভাবে তাদের পছন্দ মত একজনকে ভোট দিয়েছে। তাইভোট বাংলাদেশের নাগরিক বলে দিবেন তা নয় একজন মুসলমান হিসেবেও শাসক নির্বাচনের জন্য। ভোট দেযা যেতে পারে। তবে ভোট দেবার সময় এটা মাথায় রাখতে হবে যাকে ভোট দিব তার কর্মকান্ড যদি খারাপ হয় তার দায়ভার কিন্তু ভোটারকেই গ্রহন করতে হবে। তাই ভোটদেবার আগে ভাল করে প্রাথীর বা দলের সম্পর্কে জেনে নিন। আল্লার দুনিয়াতে ভাল মানুষ যেমন আছে ভাল দলও আছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে তিনি যেন আমাদের সেই যোগ্যদল আর যোগ্য শাসক বাছাই করে নিতে মদদ করেন।
©somewhere in net ltd.