![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।
আজ ঈদ উল ফিতর। সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক। ঈদ! কি মজার একটার দিন না! কি আনন্দের একটা দিন। আচ্ছা এই দিনটি কাদের জন্য আনন্দের দিন? সবার জন্যে কি? আমি যতটুকু জানি ঈদের দিনটি শুধু মাত্র রোজদারেদের জন্য আনন্দের দিন। এদিন হল সারামাস পরিক্ষা দেবার পর ফল পাবার দিন। যারা পরিক্ষাই দেয় নি তাদের তো আনন্দের কিছু নাই। এরা হল ছাগলে তিন নম্বর বাচ্চা। এমনই এমনই লাফায়। রমজানের রোজা রাখে নাই। সুদ ঘুষ মদ জয়া এসব ১১টি মাসের মতই চালিয়েছে অথচ ঈদের আনন্দের বেলায় তাদের জন্য রাস্তাঘাটে চলাই দায়। কেনা কাটা থেকে শুরু করে সাজগোজ সবকিছুুতে তারাই এগিয়ে। যারা রোজা রাখেনা তাদের সম্পর্কে মহানবী সা: বলেছেন তারা যেন ঈদগাঁহে না আসে। কি বুঝলেন? ঈদ কাদের জন্য? ঈদের শুরুই হয নামাজ দিয়ে। তাতেই যদি কেউ অংশগ্রহনের পারমিশন না পায় তাহলে ঈদের আন্দটা কোথায় থাকল। কিন্তু তারাও ঈদের জামাতের সামিল হয়। এরা হল সিজনাল নামাজি। ঈদের দুই সিজনে নামাজ পড়ে। আচ্ছা ঈদ তো বলা হয় সবার জন্য। তবে কেন তাদের জন্য নয়? ঈদ আসলেই সবার জন্য তাদের জন্যও ছিল। তবে রোজা না রেখে তা থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে নিজেদের দোষে। ধরুন পরিক্ষা অংশগ্রহনের জন্য প্রবেশ পত্র মানে এডমিটাকার্ড লাগে আর সেই এডমিড কার্ড যদি আপনি ছিরে ফেলে ইচ্ছে করে। তাহলে কি আপনি পরিক্ষার হলে ঢুকতে পারবেন? পরিক্ষা দিলেই তারপরেই না ফলাফলের কথা। যে পরিক্ষাই দিন না । তার ফলাফল কি হবে তাতো সবার জানা। সেটার জন্য কি কেউ আনন্দ করে? শুধু মাত্র আতেল রাই করে।
আচ্ছা ঈদ উৎসব কেন আমাদের কে দেয়া হলো? আমি যতটুক জানি আইমে জাহেলীয়াতে মক্কার কাফের রা নতুন বর্ষ উৎযাপনের জন্য নওরোজ উৎসব পালান করতো। ইসলামের বিজয় এর পর মুসলামানদের নওরোজ উৎসব পালন থেকে বিরত থাকে। এমন পরিস্থিতিতে মহানবী সা: আল্লাহর নির্দেশে ঘোষনা করেন, মুসলমানদের জন্য আল্লাহ দুটি আনন্দের দিন উৎসবের দিন দিয়েছেন তা হল ঈদ উল ফিতর আর ঈদ উল আজহা। অর্থাৎ ইসলাম নতুন বৎসর উৎযাপন উৎসবকে বাতিল করে সেখানে দুটি ঈদ উৎসব মোসলমানদের দিয়েছে। কাজেই কেউ যদি নতুন বছর ঊৎযাপন উপলক্ষ্যে কোন উৎসব করে তা ইসলামি দৃষ্টিতে বেদায়াত। উৎসব হিসেবে নতুন বছর উৎযাপন করা যাবে না। তবে নতুন বছরে পুরোনো সব গ্লানি কালিম মুছে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে দোয়া করা যেতে পারে হয়তবা তা বেদআত হবে না। এটা আমার একান্ত নিজস্ব মত।
আমাদের মধ্যে যারা রোজা না রেখে ঈদ উৎসব পালন করে তাদের মাঝে উৎসব প্রীতিটাই মূখ্য। সেটা যে উৎসবই হোক। হালাল না হারাম দেখার টাইম নাই। এরা ঈদ ও পালন করে আবার নববর্ষও। এসো হে বৈশাখ বলে বলে। আবার থার্টি ফাস্ট নাইটও পালন করে। এমনকি পুজায়ও আছে কিন্তু শুধুমাত্র রোজায় নাই।
হায়রে মুসলমান।
কিসে তোরা আনন্দ ?
ভাব ওরে নাদান।
ঈদ উৎসব রোজাদার বেরোজদার সবাই পালন করলেও বাস্তবিক কোন দোষ নাই। ধর্মীয় ভাবেও সেভাবে কঠোর কিছু বলে নাই। তবে তাদের নিরুৎসাহীত করা হয়েছে। এরপরও তারা সবার সাথে ঈদ উজ্জাপন করায় বরং ভালই হয়েছে সবাই মিলে ঝিলে আনন্দ ভাগাভগি করলাম। তবে সবার সাথ আন্ন্দ কি আসেলেই ভাগাভাগি করতে পারছি আমরা? ইসলাম বলে ধনী গরিব সাবই মিলঝিল করে ঈদ আনন্দ করতে হবে। আমরাকি তাই করতে পারছি?
আমার সন্তানদের ঈদে
জামাজুতা, কেনাকাটার ধুম।
আর গরীন ঐ ছেলের চোখে
নাই কোন ঘুম।
দু মুঠো আহার কি করে যোগাই
আমি যে রাস্তার টোকাই।
যাকাতের কাপর নিয়ে
নাটক কত হয়
ধনীর পূন্যের খেসারতে
লাশ হতে হয়।
লোক দেখানো ভন্ডামী সব
ইসলামি কিছু নয়
এই সুযোগে যদি পাওয়া যায়
রাজনৈতিক পরিচয়।
আমাদের স্বার্থে ইসলামকে আমার ব্যাবহার করি। এই যে যাকাত ফেতরা এগুলো আদায় করার ক্ষেত্রে ইসলামি রীতি যতটুকু জানি ফেতরা খাবার মানে চাউল আটা গম এই টাইপের কিছু আর যাকাত নগদ টাকা প্রদান করে করতে হয়। এই টাকায় ফেতরা আর কাপরের যাকাত যে কিভাবে ঢুকলো ইসলামে বুঝতে পারলাম না।
আসলে ইসলামের যেসব কাজ করলে সমাজে একটু নাম ধাম কেনা যাবে তাই আমরা বেশী বেশী করি। যেমন ঈদ উল ফিতরে কে কত যাকাতের কাপর বিতরন করলাম। কিংবা ঈদ উল আযহায় কে কত দামি গুরুটা কিনলাম। এগুলোতেতো নামী দামি হওয়া যায়। ইসলাম এটা সাপোর্ট করে কি করেনা তাতে কি যায় আসে?
আমার এ লেখাটার উদ্দেশ্য কাউকে ছোট করা নয় বা কোন কৃষ্টি বা কালচারকে ছোট করা নয়। আমর উদ্দ্যেশ হল আমরা যেন যাই করি সঠিক ভাবে জেনে বুঝে করি। ভন্ডামি যেনো না করি। ঈদ উল ফিতর সাবার জন্য বয়ে আনুক সুন্দর এক আগামী্ । যেখানে কাজী নজরুলে মত সবাই বলতে পারি---------
আজ ভুলে যা তোর
দোস্ত দুশমন
হাত মেলা হাতে
তোর প্রেম দিয়ে কর
বিশ্ব নীখিল
ইসলামের মুরিদ।
আসুন মুসলমান হিসেবে সঠিক কাজটি করে ইসলামের প্রচারে সামিল হই। বিশ্বকে ইসলামের মুরিদ করি। আর তা হবে তখনই যখন ইসলামের নিয়ম নিতি আর উ৭সব গুলোকে আমরা সঠিক ভাবে মেনে মানুষের কাছে এর ফজিলত বুঝাতে সক্ষম হব। পবিত্র ঈদের রাত গুলো ফজিলত পূর্ন দোয়া কবুলের রাত। এই রাতে তাই সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা মহান আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন। আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:১৮
ডেড ম্যান ওয়াকিং বলেছেন: মাশাআল্লাহ! পুরো লিখাটি অসাধারণ হুয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।