নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

আমাদের দেশে তিন প্রকার শিক্ষা ব্যবস্থা আছে। বাংলা, ইংরেজী আর মাদ্রাসা। বাংলা ও ইংরেজীর প্রতি সবার আগ্রহ বেশী। মাদ্রাসাকে সবাই একটু অন্যরকম ভাবে দেখে। দেখা য়ায সমাজের বৃত্তবানদের বেশীর ছেলেমেয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। মধ্যবিত্তদের বেশীর ভা্গ বাংলা মিডিয়ামে পড়ে। মধ্যবিত্তদের কিছু অংশ আছে তারা তাদের ছেলেমেয়েদের মাদ্রসায় পড়ান। তাও আবার আলিয়া মাদ্রাসায়। যে সরকারী ভাবে অনুমোদিত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। দারিদ্রের কষাঘাতে পিষ্ট গরিব মানুষের সন্তারা কেউ হয়তো পড়েই না। আর যাও বা পড়ে তাদের বেশীর ভাগকে দেযা হয় কাওমি মাদ্রসায়। সরকারী ভাবে কাওমী মাদ্রাসার কোন বোর্ড নাই। তাই এ মাদ্রসা গুলো নিজেরা একটা ফাউডেশন গঠন করে তার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে। সরকারী হস্তক্ষেপ না থাকায় এ শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কাওমি মাদ্রাসায় সাধারনত আরবী উর্দূ ফরাসী ইত্যাদি ভাষায় পড়শুনা হয়। বাংলা আগে ছিল না ইদানিং বাংলা সংযোজন হয়েছে। এ শিক্ষাব্যবাস্থার সিলেবাসে রয়েছে পবিত্র কোরআন আর হাদিসের আরবী উর্দু তাফসীর আর ইসলামী ফিকাহ এবং হিফজুল কোরআন। এতে করে আলেম হওয়া যায় সত্য কিন্তু একজন সঠিক যোগ্য আলেম হওয়া যায় কি? এই শিক্ষা ব্যবস্থায় দরকার আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে সমন্বয় সাধন। এখানে সংযোজন করা দরকার ইংরেজী, গণিত, বিজ্ঞান. কম্পিউটার ইত্যাদি বিষয়। আর এ জন্য দরকার সরকারী হস্তক্ষেপের। তা না হলে কওমী মাদ্রসার আলেমরা আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে ব্যর্থ হয়ে পিছিয়ে পড়বে। মাদ্রসার ছাত্রদের ইদানিং জংগি বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা আসলে কতটুকু যুক্তিযুক্ত? মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন না করে বা সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা না করে শুধু তাদের সমালোচনা করা কি ঠিক? জংগি কি আধুনিক শিক্ষপ্রতিষ্টান বা শিক্ষা ব্যবস্থায় হচ্ছে না? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় সে খানে প্রতিনিয়ত চলছে অস্রের মোহরা। কয়টা মাদ্রাসা এমন দেখা গেছে যেখানে ওপেন অস্রের মোহরা দেয়া হয়?
ইসলামী শিক্ষার মুখ্য জায়গা হলো মাদ্রাসা । যেখানে ধর্মীয় মুল্যবোধ এর চর্চা করা হয়। যার ফলে নৈতিকতার শিক্ষায় গড়ে উঠে একজন শিক্ষার্থী। হ্যা অব্যবস্থাপনা আর কারো লাগমছারা স্বেচ্ছাচারিতায় কোন কোন মাদ্রাসা পরিনত হচ্ছে কয়েদ খানায় কিংবা টর্চার সেলে। এগুলো যাতে না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এর জন্য সম্পূর্ণ মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ি করা ঠিক হবে না। স্কুলে দেখা যায পড়া শুনার সময় একটা বাধা ধরা রুটিন আছে। মাদ্রাসায়ও আছে কিন্তু তা ভিন্ন। এখানে দেখা যায একজন শিক্ষার্থী সেই সকালে ঢুকে আরে বের হয় রাতে । কেন? এমন হবে? একজন শিক্ষার্থীর খোলামেলা হাওয়ায় অবসরের দরকার আছে। সরাক্ষন কেন থাকবে বন্দির মতো। এদিকে মাদ্রাসার হর্তা কর্তারা দৃষ্টি দেয না। আজ সরকারী নজরদারি থাকলে সরাকারী একটা কারিকুলামে বা সিস্টেমে চলত মাদ্রাসাগুলো। আজ তাই তারা লাগাম ছাড়া ঘোড়ার মতো যেদিকে ইচ্চা ছুটছে নিজের মতো করে। এটা ওদের দোষ নয়। যতদিন মাদ্রসাার জন্য একটি সঠিক নিতিমালা না আসবে ততদিন এমনটাই হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: সরকারের মত সময় পাল্টানো আদর্শের হাতে মাদ্রাসা শিক্ষার নিয়ন্ত্রণ দেয়ায় এতটা নির্ভর করা যায়না। সরকারের হস্তক্ষেপে যেমন কিছু লাভ আছে, পাশাপাশি মৌলিক ক্ষতিও ব্যাপক। সরকারের মাঝে থাকা নাস্তিক শ্রেণী প্রায়ই মাদ্রাসা গুলোকে তার মৌলিক অবস্থান থেকে সরিয়ে দিতে তৎপর হয়। অন্যদিকে আলিয়া মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষা যুক্ত করেও মূলত বাম ধারার এই শ্রেণীর কারনে ছেলেরা উচ্চশিক্ষায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। বহু বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সাবজেক্টে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে অপকৌশলে তারা সংবিধানকে পাশ কাটিয়েছে।

অবশ্যই মাদ্রাসায় আধুনিক বিজ্ঞানকে যুক্ত করা উচিত, তবে সেটা করার 'আশাটা', সরকারের হস্তক্ষেপে হওয়া এই মুহুর্তে অনেকটাই বেঠিক বলে মনে হয় আমার।

তাছাড়া কওমী মাদ্রাসার ইতিহাস বরাবরই ক্ষমতাশালী বা সরকারের হস্তক্ষেপের বাইরে থাকার ইতিহাস। এদিক থেকে বিষয়টা বিবেচনা করতে হবে। মাদ্রাসা গুলোকে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতায় আনার ক্ষেত্রে সরকারকেও আন্তরিক ভাবে ভাবতে হবে মাদ্রাসার মৌলিকত্ব রক্ষার বিষয় নিয়ে। সেজন্য মাদ্রাসা গুলোর নীতি নির্ধারনকে কিছু নীতিমালার দ্বারা আলাদা ভাবে সুরক্ষা দিয়ে আইন করা উচিত। পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার শত্রুরা যেন ষড়যন্ত্রে সফল হতে না পারে সেজন্যও বাড়তি নজর দিতে হবে।

এভাবে সরকারকেই মাদ্রাসা বান্ধব হয়ে আলেম সমাজ এর আস্থা অর্জন করতে হবে আগে। আর এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি হবার আগে ঐতিহ্যগত অভিবাকবদের কাছেই যেকোন আবেদন পৌছে দিয়ে উন্নয়ন করানো অধিক নিরাপদ। আম কুড়াতে গিয়ে ছালাটাই যেন হারিয়ে না যায় সেটাও ভাবা উচিত।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

আতা স্বপন বলেছেন: সমস্যাটা হলও আমাদের আলেমদের মধ্যে সচেতনার অভাব। তারা যদি একটু ঐক্যবদ্ধ থাকতো। তাহরে যে সরকারাই আসুক আলেমদেরতো তারা ডাকতো। তাদের পরমর্শতো নিত। কিন্তু দুখের বিষয় আমাদের আলেমরা শতধা বিভক্ত। রাজনীতিকরন করা হয়েছে তাদের। ফলে যার যার স্বার্থের পিছে আছে আলেমদের একাংশ। তাই রিক্সতো একটু থাকছেই। ছালা যাতে না হারায় তাই জনগনকে সাথে নিয়ে আলেম সমাজকে সোচ্চার হতে হবে। আশা ছেরে দিলে হবে না। জীবন মানেই সংগ্রাম। আল্লাহ তাদেরই সাহায্য করেন যারা নিজেদের নিজেরা সাহায্য করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.