নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি আধিপত্ত নয় হ্জ্ব ব্যাবস্থাপনা মুসলিম মিল্লাতের অধিনে হোক

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

আচ্ছা আমরা মুসলমানরা কেন কাফনের কাপর পরে হজ্জে যাই? আগে হজ্জে যাবার সময় দায় দেনা মিটিয়ে ছেলে মেয়ে বিবাহ দিয়ে তারপর হজ্জে যেত। কেন? কারন হাজী আল্লহর উদ্দেশ্যেই ঘর থেকে বের হয়। সেটা এ জগতে হোক বা পরজগতে। সে জীবিতফিরে আসতেও পারে আবার মৃত্যুকে আলিংগন করতে পারে। দুটো সম্ভাবনা নিয়েই বের হয়। হজ্জে স্বাভাবিক মৃত্যু প্রতি বছরই হয়। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যু ? কেউ কি আশা করে? তারপরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে, হচ্ছেও। আল্লাহ পবিত্র কালামে বলেন, জলেস্থালে যত বিপর্যয় (দুঘৃটনা/বিশৃংখলা) সব মানুষের দু হাতের কামাই। সেই দৃষ্টি কোন হতে হ্জ এ অস্বাভাবিক মৃত্যু গুলোকে দেখতে হবে। আর এর জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। আর মৃত্যু যেভাবেই হোক তা নিয়ে আফসোস বা হা হুতাস করা ঠিক না। এটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত। মাতম নয় চাই এই মাতমের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর শাস্তি।

পবিত্র জায়গায় মরার সৌভাগ্য কজনের হয়। মরতে তো একদিন হবেই। সেই মরন যদি হয় জান্নাতে যাবার চাবি তা হলে সে মরন আশা করবেনা কেন একজন মুসলমান। এই ভাবনাটা আমাদের প্রত্যেকটি ধর্মভীরু মুসলমানদের বিশ্বাস ও চাওয়া।
ধর্ম নির্ভর করে বিশ্বাসের উপর তাই এই বিশ্বাস বা এই আশা থাকাটা অমুলক নয়। কিন্তু পাসাপাশি এটাও জানা দরকার কেউ তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে বা দায়িত্বে অবহেলার কারনে কোন ব্যাক্তি বা গোষ্টিকে মুত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে নাতো! মহাল আল্লাহ আমাদের মৃত্যু যে জায়গায় যে অবস্থায় রেখেছে হবেই এটা যেমন সত্য তেমনই কোন মৃত্যুর জন্য কোন দোষি কেউ হলে তাকে শাস্তি দিতে হবে এটাও সত্য।

সৌদি সরকারের দায়িত্বে যেহেতু হজ্জ্ব অনুষ্ঠান আযোজন করা হয়। তাই তার যাবতিয় দায় দায়িত্ব সৌদি সরকারেরই। সেখানে কোন অবহেলা বা কোন প্রকার অব্যবস্থাপনার জন্য দায় তাদেরই। প্রতি বছরের মত এ বছরও পবিত্র হজ্জ পালন করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজীরা কাবার মেহমান হয়ে এসেছেন। কিন্তু তাদরে মেহমানদারি যে রক্ত দিয়ে হবে তা হয়তো তারা ধারনা করতে পারেিন। এ সৌভাগ্যের মরন। ঠিক আছে। তাই বলে সৌদি সরকারের অবহেলাকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না। ক্রেন দুর্ঘটনায় মার গেল কয়েকশ হাজী তার রেশ কাটতে না কাটতেই মিনা দুর্ঘটানা ঘটল। এখানে যে, কত জন নিহত বা আহত হল তা এখনো সঠিক ভাবে জানা যায়নি। কেন এই অব্যবস্থপনা? কেন এই স্বেচ্ছাচারিতা? মেহমান হাজীদের জীবন নিয়ে কেন এমন হেলাফেলা। ক্রেনগুলো কি এই সময়টাতে সরিয়ে রাখা যেতো না? কিংবা শয়তানকে পাথর মার সময় যুবরাজ সাধারন মানুষের সথে মিশে শয়তানকে পাথর মারতে পারতো না। তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কেন? যেখানে নামাজ আমরা দাড়া্ই ধনী গরিব, রাজা প্রজা, বাদশাহ ফকির এক কাতারে।তখনতো রাজা কে কেউ আলাদা করে নিরাপত্তা দেয় না। হ্জ্ব একটা এবাদত এখানেও বাদশা ফকির সবাই সমান। এর নিয়ম কানুন সবার জন্য সমান। কি দরকার ছিল যুবরাজের সুযোগ সুবিধা নিয়ে মিনা যাওয়ার। তার নিরাপত্তা করতে গিয়েইতো মিনার এ ট্রেজিক ঘটনার সুত্রপাত। ধমীয় ভাবেই যুবরাজ এই কাজটি কী ঠিক করেছেন? ধমীয় হোক বা রাষ্ট্রিয় হোক বা আন্তর্জাতিক কোন ভাবেই এই কাজটি মেনে নেযা যায় না। এই সকল মর্মান্তিক মৃত্যুর দায় সৌদি সরকারকেই নিতে হবে। সাথে সাথে এই আয়োজন করার দায়িত্ব এককভাবে যাতে সৌদি সরকারের উপর না থাকে সে বিষয়ে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ ব্যাবস্থা নিতে হবে। হজ্জ পালন সংক্রান্ত বিশ্ব মুসলিমের একটি কমিটি গঠন করতে হবে। যাতে এমন ট্রাজিক ঘটনা এড়ানো যায়।

দেখা যাচ্ছে এই সুযোগ এ কিছু ইসলাম বিদ্বেষী মহল তাদের হীন স্বার্থ চিরতার্থ করার জন্য মক্কার হেরেম শরিফ আর হজ্জকে নিয়ে নানা ধরনের কুটুক্তি আর কুৎসা করে যাচ্ছে। তাদের কে বলছি বিশ্বাসীরাই বিজয়ী হয়। তাদের পরাজয় হলেও তারা বিজয়ী কারন তারা বিশ্বাসী। আর যার অবিশ্বাসী তারাই ধংসপ্রাপ্ত । দুনিয়াতেও আখেরাতেও। কারন তাদের কোন লক্ষ্য নাই । যেকোন বস্তুর ধর্ম আছে। আছে না? ওদের তাও নেই। কাজেই ওরা আছে শূন্যতার মাঝে। কাজেই ওদের সব জায়গায়ই জিরো। ওরা শুধু বিলাপ করে । শুধু গেনজাম সৃস্টি করে। শুধু বিশৃংখলার উপদান খোজে ফেরে। শান্তির কোন পথ বা দিশা তারা দিতে পারে না। শুধু হতাশা ছাড়া। তাই ঐসব নৈরাশ্যবাদিদের থেকে মুসলমানদের সাবধান থাকতে হবে। যারা শুধু সুযোগ খুজে ফ্যাৎনা বিস্তারের।

কোন কিছু নিয়ে অযুক্তিক বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। মুমিনদের আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত। তাই মক্কা ট্রাজেডি নিয়ে অপব্যাখ্যা বা কুৎসা থেকে বেচে থাকুন । আসল রহস্য আল্লাহর কাছেই। আমরা আমাদের সাধ্যমতো আল্লাহ যতটুকুর ক্ষমতা দিয়েছেন তাই করি। সিমালংঘন না করি। আখেরাতে আমাদের জিহ্বার কারনেই আমরা বেশী ধরা খাব ।

বিশ্বমুসলিমের আজ উচিত হবে নিজেদের সমস্ত হিংসা বিদ্বেষ অহংকার ভুলে মানব কল্যানে একসাথে কাজ করার। নিজেদের মাঝের ভুল ক্রটিগুলোকে এক্যবদ্ধভাবে সংশোধন করার। আর এ ঐক্য ধরে রাখার। কেউ যেন বিশ্বের যেকোন প্রান্তের কোন মুসলমানকে কোন কষ্ট দিতে না পারে। এ বিষয়ে সবাই জোট বদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসা। প্রাসংগিক ভাবে বলতে হয় ভারতে গুর জবাই নিয়ে মুসলমানদের নির্যাতন। এ বিষয়ে সমস্ত মুসলিম মিল্লাতকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে। সেৌদিকে যেমন ছার দেযা যাবে না তেমন ভারত কেউ নয়। যেখানে মুসলিম নির্যাতন সেখানেই সোচ্চার হতে হবে। ধমীয় শিক্ষা আমাদের তাই বলে। আর যদি শুধু মানবিক ভাবেই বলি তাও একই কথা কোন মানুষকে তার মানবিক অধিকার লংঘন করে কেউ নির্যাতন করতে পারেনা । কারন মানবিকতা মানুষের গুন। পশুর নয়। মানবিকতা যার মধ্যে নাই সতো পশু।

আল্লাহ আমাদের অবিশ্বাসীদের ফেতনা খেকে রক্ষা করুন আর নিজেদের ভুল ত্রুটি গুলোকে আাত্মসমলোচনার মাধ্যমে দুর করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

নতুন বলেছেন: বাঙ্গালীরা দিয়িত্বে থাকলে তো দূনিতি শুরু হবে.... তখন তো আরো সমস্যা শুরু হবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

আতা স্বপন বলেছেন: ভুল । নিজের দেশকে দেশের মানুষকে এতো ছোট করে দেখা ঠিক নয়। হ্যা আমাদের দেশে দুর্নিতি আছে। তা কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই নগন্য। প্রশ্ন হতে পারে চারদিকে দুর্নিতিতে সয়লাব আপনি কেন নগন্য বলছেন? এটা বলা আগে একটি উদাহরন দেই - প্রত্যেকের বাসায়তো ঝাড়ু আছে। আছে না? ঝাড়ুতে অনেক শলা। কিন্তু তা যখন বাধা থাকে তখন সেটা চোখে লাগেনা। কিন্তু যখন সেই ঝাড়ু থেকে কিছু শলা নিয়ে ছড়িয়ে রাখেন তখন কিন্ত চোখে লাগে। আমাদের দেশের দুর্নিতির অবস্থা হল এমন। অন্য দেশে দুর্নিতি আছে অনেক বেশী কিন্তু তা নিয়ন্ত্রিত। ফলে তা চোখে লাগেনা। আর আমার দেশের দুর্নিতি হইল ছাড়া শলার মত অনিয়ন্ত্রীত। কাজেই হিনমন্যতায় ভোগার কিছু নাই। ভাই আমার দেশের মানুষ কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থায় সুনামের সাথে কাজ করছে। ইউ এন এ যথেষ্ট সুনামের সাথে কাজ করছে আমাদের ভাইরা। তাই দৃষ্টি ভংগিটা বদলান।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই আয়োজন করার দায়িত্ব এককভাবে যাতে সৌদি সরকারের উপর না থাকে সে বিষয়ে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ ব্যাবস্থা নিতে হবে। হজ্জ পালন সংক্রান্ত বিশ্ব মুসলিমের একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ++++++

<<এটা নিয়ে বিশ্বের বাকী মুসলিম দেশগুলোকেই সোচ্চার হতে হবে।

দেখা যাচ্ছে এই সুযোগ এ কিছু ইসলাম বিদ্বেষী মহল তাদের হীন স্বার্থ চিরতার্থ করার জন্য মক্কার হেরেম শরিফ আর হজ্জকে নিয়ে নানা ধরনের কুটুক্তি আর কুৎসা করে যাচ্ছে। তাদের কে বলছি বিশ্বাসীরাই বিজয়ী হয়। তাদের পরাজয় হলেও তারা বিজয়ী কারন তারা বিশ্বাসী। আর যার অবিশ্বাসী তারাই ধংসপ্রাপ্ত । দুনিয়াতেও আখেরাতেও। কারন তাদের কোন লক্ষ্য নাই । যেকোন বস্তুর ধর্ম আছে। আছে না? ওদের তাও নেই। কাজেই ওরা আছে শূন্যতার মাঝে। কাজেই ওদের সব জায়গায়ই জিরো। ওরা শুধু বিলাপ করে । শুধু গেনজাম সৃস্টি করে। শুধু বিশৃংখলার উপদান খোজে ফেরে। শান্তির কোন পথ বা দিশা তারা দিতে পারে না। শুধু হতাশা ছাড়া। তাই ঐসব নৈরাশ্যবাদিদের থেকে মুসলমানদের সাবধান থাকতে হবে। যারা শুধু সুযোগ খুজে ফ্যাৎনা বিস্তারের।

<<সহমত।

বিশ্বমুসলিমের আজ উচিত হবে নিজেদের সমস্ত হিংসা বিদ্বেষ অহংকার ভুলে মানব কল্যানে একসাথে কাজ করার। নিজেদের মাঝের ভুল ক্রটিগুলোকে এক্যবদ্ধভাবে সংশোধন করার। আর এ ঐক্য ধরে রাখার। কেউ যেন বিশ্বের যেকোন প্রান্তের কোন মুসলমানকে কোন কষ্ট দিতে না পারে। এ বিষয়ে সবাই জোট বদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসা ..

<< সেইদিনের ভয়েইতো সারা বিশ্বে এন্টিমুসলিম, ইসলামিক প্রোপাগান্ডা! মুসলিমদের জুজু, দৈত বানিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে হাইলাইটস করা। কারণ সত্য মুসলিমের পরিচয় পেলে যে কোন জ্ঞানী, সুস্থ, বিবেকবান মানুষ সেই পরম শান্তির প্রতি আত্ম সমর্পিত হবেনই। তবে তারা যত অপচেস্টাই করুক- সত্যালোকে একদিন সারা বিশ্ব আলোকিত হবেই।ইনশাল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের অবিশ্বাসীদের ফেতনা খেকে রক্ষা করুন আর নিজেদের ভুল ত্রুটি গুলোকে আাত্মসমলোচনার মাধ্যমে দুর করার তৌফিক দান করুন।

<<আমিন।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভুল । নিজের দেশকে দেশের মানুষকে এতো ছোট করে দেখা ঠিক নয়। হ্যা আমাদের দেশে দুর্নিতি আছে। তা কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই নগন্য।

ভাই ব্যক্তিজীবনে কয়েকটি দেশে গিয়েছি কাজ করেছি। এখনো করছি বিদেশি কম্পানীতেই।

ভাই আমার দেশের মানুষ কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থায় সুনামের সাথে কাজ করছে। ইউ এন এ যথেষ্ট সুনামের সাথে কাজ করছে আমাদের ভাইরা। তাই দৃষ্টি ভংগিটা বদলান।

আমরাও অনেক সুনামের সাথেই কাজ করছি। কিন্তু যখন দূনিতি করাটাই সিস্টেম হয়ে দাড়ায় তখন ভাল ভাবে কাজ করাটায় সমস্যা।

সেই অভিঙ্গতা থেকেই বলছি যে আমাদের দেশে দূনিতি এখন নিয়ম। আপনি কিভাবে দেশে দূনিতি উন্নতো দেশের চেয়ে কম দেখলেন বুঝলাম না।

কম হয়তো আফ্রিকার কিছু দেশ, হয়তো পাকিস্তানের মতন কিছু দেশের থেকে। কিন্তু কোন উন্নত দেশে এতো দূনিতি হয়না।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

আতা স্বপন বলেছেন: আমার দেশের মানুষ ভাল । তবে সিস্টেমে গেলে আরো ভাল হয়ে যাবে। আমাদের দেশে নিয়ন্ত্রটা নাই। তাই যতটুক দূনীতি আছে তা বেশী মনে হচ্ছে। আপনিতো নিশ্চয়ই ভাল ভাবে কাজে করেছেন বিদেশে। কেন? কারন আপনি ভাল সিস্টেম পেয়েছেন। মানুষতো ঋপুর তারনায় কিছু ভুল করবেই। তাই বলে সবসময় করবে এটা ভাবা ঠিক নয়।
উন্নত দেশে দূর্নিতি বলেন নৈরাজ্য বলেন , হিংস্রতা বলেন বেশী। আপনি হয়তো শুনেছেন একবার আমেরিকাতে লোড শেডিং হয়েছিল অল্প সময়ের জন্য। তাদের পুর সিস্টেম ভেঙ্গে পরেছিল। দেখা গেল সে সময়টাতে সে দেশে প্রচুর ক্রাইম সংগঠিত হয়েছিল। আরেকটি ঘটনা প্রয়াত লেখক হুমায়ূ্ন আহমেদ তার একটি সৃতিচারনমুলক লেখায় বলেন, আমেরিকার একজন মা তার ছেলেকে হত্যা করে কুকুর দিয়ে খাইয়েছে যেন তাকে ধরতে না পারে। এমন আচরন কি আমার দেশের কোন মা করতে পারবে?
উন্নত বিশ্বের ক্রাইম বলুন বা দুর্ণিতী সবই খুব উন্নতমানের হিংস্রাতয় ভরা। তাদের নিয়ন্ত্রন ব্যাবসথার কারনে তা কেউ দেখে না। অথচ আমাদের টা দেখা যায়।

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

নতুন বলেছেন: ভাই সিস্টেমটা ভাল কে করবে???

আমাদের দেশে আইনের অভাব নেই কিন্তু সবখানেই স্বজনপ্রীতি+দূনিতি+সুবিধাবাদ...

বিদেশিরা কেন ভাল সিসটেমে চলে? এরা তো ধম` খোদা মানে না। তবুও এরা দূনিতি কম করে।

উন্নত দেশে দূর্নিতি বলেন নৈরাজ্য বলেন , হিংস্রতা বলেন বেশী। এটা ভুল বললেন। উন্নত দেশে সব খবর দ্রুত ছড়ায় তাই সবাই জানে বেশি।

আপনার পরিচিত যারা উন্নত দেশে আছে তাদের জিঙ্গাসা করুন ।

আমাদের দেশের মানুষের মনের থেকে পরিবত`ন না আসলে সমাজ/দেশের উন্নতি হতে অনেক সময় লাগবে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১০

আতা স্বপন বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের মনের থেকে পরিবত`ন না আসলে সমাজ/দেশের উন্নতি হতে অনেক সময় লাগবে
আপনার এই কথাটিতেই আছে সিস্টেম কে ভাল করবে তার উত্তর। দেশের মানুষই করবে। আসমান থেকে ফেরেশতা নাযিল হবে না ভাই। তাদের মনের পরিবর্তন হ্যা এটাই দরকার। এজন্য বেশী বেশী কাউন্সীলিং দরকার। আপনি বললেন উন্নত দেশেরমানুষ ধর্ম বিশ্বাসকরে না বলে তারা দুর্নিতি কম করে। আসলে ক্রাইম সেটা যে ধরনেরই হোক সেটা যে কেউ করতে পারে আস্তিক বলেন আর নাস্তিক। তবে ধর্ম বিশ্বাসী সো কল্ড এদের বাদ দিলে প্রকৃতরা কিন্তু সত্যই চেইন্জ হয়ে যায়। তাদের জীবনে পরিবর্তন আসে। উন্নত বিশ্বের দুর্নিতি কম বা বেশী এ নিয়ে আসলে তর্ক করে লাভ নেই। কারন আমাদের মধ্যে বিদেশ প্রিতি বেশী। তার যদি কোন খারাপ কাজও করে তাও তারা আদর্শ মনে করে। নিজের দেশে আজ স্বাধীন । এই দেশকে গড়ার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের। আমাদের মাঝে যে মন্দটা আছে তা সংশোধন করতে আমাদের একে অপরকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের মধ্যে ভাল কথা ভাল কাজের চর্চা করতে হবে। আমাদের ময়দান থেকে পালিয়ে সমাজ পরিবর্তন করার স্বপ্ন ত্যাগ করতে হবে। মানুষের মাঝে থেকে তাদের সাথে উঠা বসা করে একে অপরকে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। ধর্মগুলোও তাই বলে। সমাজ পরিবর্তন করতে হবে। এই কথা সবাই বলে। কিন্তু কিভাবে হবে তা কেউ হাতে কলমে দেখায় না। এখানেই আমাদের ফাক। আপনার বাবা দুর্নিতি বাজ । আপনি সন্তান প্রতিবাদ করুন। একদিন দুদিন তিনদিন. ..... তার মাঝে নিশ্চয় একটু হলেও চিন্তা আসবে বা পরিবর্তন আসবে। আর এভাবেই আমরা নিজেরাই ঠিক করতে পারব আমাদের পরিবার সমাজ তথা রাস্ট্র কে। কি বলেন ? তাই না।

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: পরিবত`ন আনতে হলে মানুষের সচেতনেতা দরকার শিক্ষা দরকার সেটা কেন জানি সমাজে কমে যাচ্ছে।

বিদেশ প্রীতি না আমি বললাম নিজের গত দশ বছরে কয়েক দেশের নিজে কাজ করার অভিঙ্গতার আলোকে যে উন্নতে দেশে দূনিতি কম।

আপনি আমাদের দেশে কোথায় দূনিতি কম দেখলেন বুঝতে পারলাম না। কারন আমাদের দেশে এমন কোন সংস্হা/অফিস নেই যেখানে দূনিতি হয়না। ( উদাহরন দিলাম না কারন যেখানে দূনিতি হয়না সেটাই হাতে গোনা হবে.. যদিও তেমন কোন সংস্হা/অফিসের নাম আমার মনে পড়ছে না আপনি যদি সাহাজ্য করতেন)

আপনি আশাবাদী এবং সেটা অবশ্যই ভাল। কিন্তু বাস্তব মেনে নিতে দোষ তো নাই।

আমাদের দেশের মানুষ একটা ট্রেন্সিসন পিরিওড পার করছে। আগে মানুষ নরক/দোজক/পাপের ভয়ে মন্দকাজ করতো না। এখন সেই ভয় কমে গেছে তাই ভয়কম।

মানুষের মাঝে বিবেকবোধ/মানবতা বোধের শিক্ষা দিতে হবে নতুন করে। সেটা যখন কাজ করবে তখন আবার মানুষ বিবেববোধ/নৌতিকতা/মানবতাবোধে উদ্ভুদ্ব হয়ে কাজ করবে।

আমাদরই পরিবত`ন করতে হবে। নিজে ভাল হয়ে পাশের মানুষকে ভাল করার চেস্টা যদি সবাই শুরু করে তবে আমাদের সমাজও পরিবত`ন আসবে।

কিন্তু হজ্জ পরিচালনার মতন বিষয়ে দূনিতি করবেনা সেই রকমের মানুষ এখন দেশে কমই আছে। ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.