![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।
আমি যুবকের একজন গ্রাহক। যুবক কে শুরু থেকে দেখে আসছি। তাই যুবক সম্পর্কে আামার একটা মুল্যায়নতো অবশ্যই আছে। হ্যা তা হয়তো সবার কাছে তেমন গুরুত্ব পূর্ণ নাও হইতে পারে। কিন্তু কেউ মনে না করলেও আমার জন্য যুবকের কর্মাকান্ডে মূল্যায়ন খুবই দরকার। কারন আমি অত তুখার মেধা সম্পন্ন কেউ না হতে পারি কিন্ত বিবেক সম্পন্ন মানুষতো।
যুবক জলে ভাসা পদ্ম নয়। এর কোন শিকর নাই। এটা ভাবা সত্যই বোকামি। যুবকের শিকর হল এর বিশ্বাসে। সেটা আর্ধাত্তিক বিশ্বাস হতে পারে আবার আত্মবিশ্বাস হতে পারে। যুবক এর সকল মানুষই আরবের খোমরা খেজুর পাক পবিত্র এটা যেমন বলা যাবেনা তেমনি যুবক এর লক্ষ উদ্দেশ্য পতরানা করা এটাও বলা যাবে না। বলা হচ্ছে যুবকের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল করে বিচার করা হবে। কথা হল কিসের বিচার করা হবে? কেউ হয়তো বলবেন প্রতরনার বিচার। লক্ষ মানুষের টাাক মেরে দেবার বিচার। তাই নাকি? এই কথা। যুবক যতদিন সচল ছিল তার বিরুদ্ধে প্রতারনার একটি অভিযোগ কি কেউ দেখাতে পারবে? পারবে না। হাজারো চেষ্টা করলেও পারবে না। হ্যা তাদের ভিতরে কিছু দুর্নিতি ছিল। কিছু মুস্টিমেয় অসৎ লোকদের মাঝে। সেটা সব প্রতিষ্ঠানেই থাকে। তা ধত্যব্য নয়। কিন্তু মৌলিক ভাবে তাদের কোন সমস্যা ছিল না তখন। অনতত প্রতারনা করার কোন সিমটম তখন কেউ দেখেছে বলতে পারবেনা। তাহলে যুবক সমস্যায় পতিত হবার পর প্রতারনা করেছে? না সেটাও বলা যাবে না। প্রশ্ন হতে পারে "কেন বলা যাবে না? টাকা পয়সা কিছুই দেয না । কারো টিকিটা দেখিনা।" ও এই কথা । এর জন্যতো দায়ী ওরা না । এর জন্য দায়ী তো পরিবেশ পরিস্থিতি । এইটা বুঝতেতো আর বিশিষ্ট গবেষক হওয়া লাগেনা। এই পরিবেশে যে কোন প্রতিষ্ঠান সেটা যদি সরাকারীও হয় এমন আচরন করবে। আচ্ছা আপনিকি সারক্ষান আপনার শরির চুলকান? বলবেনতো "তাকেন? যখন চুলকানি উঠে তখন চুলকাই।" এইতো আসল কথায় আসছেন। চুলকানি উঠল বলে এলার্জি জনিত কারনে চুলকান। যুবকের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে যুবক কাউকে প্রতারনা করতে চায় নি বা করেও নি। কিন্তু প্রতি হিংসার এলার্জীতে আক্রান্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে মানুষের কাছ থেকে দুরে রয়েছে। তাই বলে একেবারে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি। এটাতো মাঠের কর্মিরা যারা এখনো কাজ করছে বিভিন্ন দায় দেনা পরিশোধ সংক্রান্ত প্রোগাম নিয়ে তাদের সাথেই যোগাযোগ করলে পরিস্কার হয়ে যায়। কথা বলছিলাম প্রতরনা নিয়ে। যদি প্রতারনার ইচ্ছাই থাকতো তবে সবাই দেশ ছেরে চলে যেত। বেহুদা মানুষের দায় দেনা শোধের ঝামেলা ঘারে নিত না। এর মধ্যে যুবকের রথি মহারথিরা কতবার যে বিদেশ ভ্রমন করেছেন নানা কারনে। আবার ফিরে এসেছেন। প্রতারনার নিয়ত থাকলে ফিরত আসতেন না। আর বিশেস ট্রাইবুনাল যদি হতো তখন ইন্টারপুলের মাধ্যমে তাদের আনা লাগত। কথা হলে এমন কিছু কি হয়েছে। না হয় নাই। তারা দায় দেনা পরিশোধের চেষ্টায় লেগে রয়েছে। এখন বিশেষ ট্রাইবুনাল টা কি কারনে? প্রতারনার জন্য না দায় দোন পরিশোধের চেষ্টা করার জন্য? এটাই একটা প্রশ্ন।
যুবেকর সংশ্লিষ্টরা হামলা মামলা সয়ে এদেশে যেহেতু এখন আছে তাই তাদের প্রতারক বলাটা কতটুকু যুক্তি যুক্ত? লক্ষ মানুষের টাকা যুবক মারেনি। যুবক টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেছে। হ্যা সেসব প্রকল্পে কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক ঢুকে নিজেদের ফয়দা হাসিল করেছে। আর প্রতিষ্টান বিপদে পড়লে তার ফুরুৎ হয়ে গেছে। এরপরও যুবক তাদের গৃহিত প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল। এইসব প্রকল্পে যুবক প্রচুর টাাক বিনিযোগ করেছে। যুবক সমস্যায় পতিত হবার পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারী আমলা ও প্রতিষ্ঠান এইসব প্রকল্প লুটে নিযেছে। তাহলে টাকা মারল কে? করুন বিশেষ ট্রাইবুনাল করুন। সমস্যা নাই। তবে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিশেষ ট্রাইবুনাল করতে হবে।
আচ্ছা এতো প্রতারনা প্রতারনা বলা হচ্ছে। এইটা কোন সময়ের ? বললামতো পূর্বে প্রতারনা নাই। তাহলে কি পরে তারা যে সময়ে অবস্থার চাপে পরে বাধ্য হয়ে দুরে দুরে রয়েছে। লিকুইট মানি ফ্লো নাই । জনগনের টাকা দিবার প্রশ্নই তো আসে না। সেই সময়টাই কি প্রতারনার সময় বলা হচ্ছে? যদি তাই হয়, যারা এটা ভাবছে তাদের মাথার সবকটা স্কু ঢিলা। একটা স্কুও যদি ঠিক থাকতো তবে এ্টা ভাবতো যেই লোক মাঠে পা ভাল থাকা অবস্থায় গোল আর গোল দিত সে লোক এর পা যদি কাটা যায় বা বড় কোন চোট লাগে সে কি তখন আর আগের মত পার্ফমেন্স শো করতে পারবে? তখন তা আশা যে করবে তাকি বলবেন? ঢিলাইতো বলবেন নাকি? কাজেই যুবক কোন প্রতারনা করেনি। হ্যা বর্তমানে প্রতারনা করছে কিনা গ্রাহকের দায় দেনা পরিশোধ নিয়ে সে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করা যেতে পারে। আর কোন প্রতরনার সিমটাম পেলে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। যুবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বেচ্ছায় কারো টাকা মেরে দিয়েছে এমন নজির আগে পরে কেউ দেখাতে পারবে না। হ্যা কিচু অসৎ কর্মী ব্যাক্তিগত ভাবে প্রতিষ্ঠানের নাম ভাংগিয়ে দু নম্বরী করতেই পারে। এমন কর্র্মী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেই আছে। কি আছে না? তাই বলে পুরো প্রতিষ্ঠান তো খারপ নয়। সার্বিক ভাবে যুবক তার লেন দেনে সৎ ছিল সবসময়। আর নিয়মিত ছিল তাদের লেন দেন। কারন দর্শানোর কারনেই এর বত্যয় ঘটেছে। তাদের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মানুষ আস্থা হারিয়েছে। লেন-দেন তখণই বন্ধ হয়ে গেছে। মোট কথা যুবক পরিস্থিতির স্বীকার এটাই সত্য কথা।
বলা হচ্ছে যুবক আবার জমি দেবার নাম করে নতুন ভাবে প্রতারনা শুরু করেছে। আচ্ছা এদেশের সরকার কি কানা? অন্ধ?
বা বোধশক্তি হিন পাগল? প্রতারক প্রতিষ্ঠানের তোকমা যাদের লাগিয়ে দিয়েছে সরকার তাদের কাজে কি সরকারী নজরদারী নাই? অবশ্যই আছে। যদি থাকে তবে সরকার তাদের প্রতরনা করতে দিচ্ছে কেন? কথা হল প্রতারনা হলেই না সরকার বাধা দিবে। জমি রেজিস্ট্রেশন করে কে? সরকারী লোক। সে কি যুবকের মামা খালু হয? গেল আর রেজিস্ট্রি দিয়ে দিল। মোট কথা সরল হিসেবে যুবকরে বিচারের কাঠগড়ায় দারকরানো ঠিক না। এর জন্য প্রচুর ভাবনার বিষয় আছে। আচ্ছা বলেন তো কমিশনতো অনেক হইল। মন্ত্রনালয় নিজেদের মধ্যে অনেক চিঠি চালাচালি করল। কি লাভ হইল। বলা হয় এক মন্ত্রনালয় হতে আরেক মন্ত্রনালয়ে দুরত্ব কম কিন্তু চিঠি যেতে লাগ মাস কি বছর? বলতে পারেন কেন এত সময় লাগে? কারন সরকার বিপদে আছে যুবক নিয়া। তারা সরল হিসোবে আসতে পারছে না। ভাবছে আর ভাবছে। এক মন্ত্রলয় ভাবাভবি করে সময় ক্ষেপন করে আবার আরেক মন্ত্রনালয়ে পাঠায়। সেও ভাবে। খালি ভাবে। কুলকিনারা পায় না। তাই কম দুরত্বেও দেরি হচ্ছে।
যুবকের কিছু সংখ্যাক প্রাক্তন মাঠকর্মি মনে করে যুবক প্রতরনা করছে। তারা গ্রুপ করে মাঝে মাঝে পত্রিকায় বিবৃতি দেয়। এ ছারা আর কোন কাজ করে না। তারা আসলে হুস হারিয়ে বেহুশ হয়ে গিয়েছে। তারা ভেবেছে এভাবে বিবৃতি দিলেই সরকার তাদের দায় দেনা শোধ করে দেবে। দিয়েছেতো নাকি? দুইটা কমিশন হইল? দিয়েছে না? কিছুই আদায় হয় নাই।
খারি কমিটি আর কমিশন ছারা। আর এখন দায় দেনা শোধের ধারের কাছেও নাই বিশেষ ট্রাইবুনালে যুুবকের বিচার।
বিচার হইলে কি লাভ? ধরলাম যুবকের রথি মহারথিদের ধইরা ফাসি দিয়া দিল বিশেষ ট্রাইবুনাল তাতে কি গ্রাহক টাকা পাইবো? এই হুস হারারা কবে বুঝবো।
এইসাব ট্রাইবুনাল খালি সমস্যা বৃদ্ধি করে যাবে সমাধান দিবে না। যুবকের রথিমহারথিদেরই দায় শোধ করতে হবে। সেক্ষেতে বিচার সমাধান নয়। গ্রাহকের দায় শোধে সরকারকে অন্য কিছু ভাবতে হবে যদি যুবকের বর্তমান দায়শোধ কার্যক্রম পছন্দ না হয়। কোন অবস্থায় ট্রাইবুনাল দিয়ে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়া যাবেনা। এতে শুধু কিছু লোক শাস্তি পাবে সত্য কিন্তু গ্রাহক যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই থেকে যাবে। কিছুই পাবে না।
তাই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়া দরকার। ট্রাইবুনাল করে সময় নষ্ট না করে যুবক সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে গ্রাহকের পাওনা কিভাবে পরিশোধ করা যায় সেই দিকে নজর দিন। যুবক প্রতারনা আগেও করেনি । পরেও করেনি। পরে যা ঘটেছে তা হল পূর্বের ভুলের খেসারত হিসেবে। কিভাবে? মন চাইল একটা চালু প্রতিষ্ঠানকে হুট করে কারন দর্শানো নোটিশ পাঠিয়ে দিলাম। তার বিরুদ্ধে অমূল অভিযোগ উপস্থাপন করালাম? সব মগের মুল্লুক আর কি?
তারা লেন দেন করেছে যতটুকু আইন আছে তা মেনে। যেই আইন নাই তা মানার কোন প্রশ্নই আসে না। আর তার জন্য বিচারতো রিতিমত হাস্যকর বিষয়। ব্যাংক এর নির্দেশ মানতে যুবক বাধ্য ছিলা না। যুবক তার রেজিষ্ট্রিকৃত প্রতিষ্ঠানের নিয়ম নিতি মানতে বাধ্য। তাই তারে কোন ফল্ট হলে সেই আইনে তাকে ধরতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনে নয়। আর ঐ ব্যাংক তার অধিনস্থ কোন প্রতিষ্ঠান ছাড়া আার কাউকে কারন দর্শাতে পারে না।যুবক কখনোই বাংলাদেশ ব্যাংকের অধিনস্থা কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না। প্রতি হিংসা জ্বলে একটি ভাল উদ্বোগকে নষ্ট করা হয়েছে। আর এখন এর ঠেলা সইতে না পেরে বেদিশা সবাই।
তাই মহান সৃষ্টির কর্তার কাছেই প্রার্থনা করি তিনি যেন গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেবার একটা ব্যবস্থা করেন। এই সব কমিশন কমিশন আর আদলত আদালত খেলা আর ভাল লাগে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আসলেই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়া দরকার।