নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র মৃত্যু:

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫০



كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ
-۳:۱۸۵
প্রত্যেকটি আত্মাকে মৃত্যুর সাধ আস্বাদন করতে হবে- আল ইমরান, ১৮৫। Every soul will taste of death. মরতেতো সবাইকে হবে। কিন্তু সে মৃত্যুটি যেন হয় ভাল মুত্যু । পবিত্র মৃত্যু। কিন্তু এই মৃত্যুকি চাইলেই পাওয়া যাবে? নাতো এর জন্য চাই সাধনা। ভালো মৃত্যু পাবার জন্য প্রথমে সত্যিকারের মুসলমান হতে হবে। একমাত্র একনিষ্ঠ মুসমানই পায় পবিত্র মৃত্যু। গোয়াল ঘরে থাকলে গাযে গোবরের গন্ধ হয়। আতরের ব্যবসা যে করে তার ধারে কাছে গেলে সুগন্ধ পাওযা যায়। তেমনি ইসলামে কায়েম থাকলে, একনিষ্ট মুসলামান হলে জীবন পবিত আর প্রশান্তময় হবে। আর প্রশান্ত জীবনের মৃত্যুইতো পবিত্র মৃত্যূ।

পবিত্র কালামে পাকে আল্লাহ বলেন পরিপূর্ণ /একনিষ্ঠ মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরন কর না। কথা হল একনিষ্ঠ মুসলমান কিভাবে হব? পবিত্র মৃত্যু পেতে হলেতো আমাদের একনিষ্ঠ মুসলমান হতে হবে সবার আগে তাই এ সম্পর্কে সাম্যক জ্ঞান আহরন জরুরী।

 একনিষ্ঠ মুসলমান কি? কিভাবে একনিষ্ঠ মুসলমান হব?
আমরা যারা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করি আসলেইকি আমরা মুসলমান? মুসলমানের ঘরে জম্ম। আমাদের নাম আব্দুর রহিম, আব্দুল করিম । গরুর মাংস খাই। শুধু এই বৈশিষ্টে কি মুসলমান হওয়া যায়? কিংবা এই বৈশিষ্টগুলোই কি মুসলামান হবার জন্য যথেষ্ট?
يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ،-
সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই ও মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ্(সা) আল্লাহ্‌র রাসূল ।
এই কলেমা আমরা হরহামেশা পড়ি। এটা পড়া মুসলমান হবার প্রথম শর্ত। যে এটা পড়ল সে মুসলমান বলে পরিচিতি পেল। কিন্তু এতটুকুই কি যথেষ্ট? কলেমা হল একটি প্রতিশ্রতি। একটি ওয়াদা। যা আল্লাহর সাথে আমরা করেছি। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই আমরা ইসলামে প্রবেশ করেছি। প্রতিশ্রতি দিলে তা রাখতে হবে। ইসলামে দাখিল হবার জন্য আল্লাহর সাথে আমাদের যে চুক্তি তা এই প্রতিশ্রুতির উপরই নির্ভর করে। আমরা আমাদের চলার পথে কত চুক্তি করি। তাই আমরা জানি চুক্তির শর্ত লংঘন করলে সে চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। তাহলে আল্লাহর সাথে যে প্রতিশ্রুতি বা শর্ত দিয়ে ইসলামে দাখিল হলাম নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচিত করলাম তা ভংগ করলে কি আর মুসলিম থাকা যাবে। এটা কি হাস্যকর নয় যে চুক্তির শর্তগুলোকে কাজে পরিনত করলাম না শুধু চুক্তির শর্ত পড়লাম দিন রাত আর ভাবলাম এতেই চুক্তি মানা হয়ে গেল। তাতো নয় কি বলেন? চুক্তি তখনই পরিনতি পাবে যখন তা বাস্তবায়ন হবে। দেখুন আমরা মহান আল্লাহর সাথে যে চুক্তি করেছি কলেমার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করলে চুক্তি মোতাবেক আমরা মুসলামন হতে পারব। নয়তো নয়। শুধু মুসলিম নাম দিয়ে কিছুই হবে না। বা গরুর মাংস খেয়েও কিছু হবে না। আমাদের কলেমার প্রতিশ্রুতিগুলোকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আল্লাহর জমিনে চেষ্টা করতে হবে। আর এর মধ্যদিয়ে মুসলমান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মহান আল্লাহ সুরা হ্জ এর ৭৮ নং আয়াতে বিস্তারিতভাবে বলেছেন-

وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاء عَلَى النَّاسِ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ فَنِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ
তোমরা আল্লাহর পথে শ্রম দাও (জিহাদ কর) যেভাবে শ্রম দেওয়া (জিহাদ করা) উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমারা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের ধর্মে কাযেম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এ কোরআনেও, যাতে রাসুল তোমাদের জন্য স্বাক্ষ্যদাতা আর তোমরা স্বাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্য। সুতারাং তোমরা নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারন কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী।
(And strive hard in Allâh's Cause as you ought to strive (with sincerity and with all your efforts that His Name should be superior). He has chosen you (to convey His Message of Islâmic Monotheism to mankind by inviting them to His religion, Islâm), and has not laid upon you in religion any hardship, it is the religion of your father Ibrahim (Abraham) (Islâmic Monotheism). It is He (Allâh) Who has named you Muslims both before and in this (the Qur'ân), that the Messenger (Muhammad SAW) may be a witness over you and you be witnesses over mankind! So perform As­Salât (Iqamat-as-Salât), give Zakât and hold fast to Allâh [i.e. have confidence in Allâh, and depend upon Him in all your affairs] He is your Maula (Patron, Lord, etc.), what an Excellent Maula (Patron, Lord, etc.) and what an Excellent Helper!)

কলেমার কথা গুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায় তা তৌহিদ আর রিসালত এর সাথে যুক্ত। এর প্রথম অংশ আল্লাহর জাত এবং সিফাত এর সাথে জড়িত। আল্লাহ ছারা কোন ইলাহ নাই। আপনি মানেন ? আমরা মুসলমানরা বলব হ্যা মানিতো। আচ্ছা কেমন মানেন? ইলাহ শব্দের অর্থ হল সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ কোন ইলাহ নাই মানে হল আল্লাহই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। অন্যকোন সৃষ্টিকর্তা নাই। আচ্ছা আপনি একটি কম্পিউটার কিনলেন। সেটা কিভাবে চলবে তা কে বেশী জানবে? অবশ্যই যিনি এটি তৈরি করেছেন। কারন যিনি এটি তৈরী করেছেন তিনিইতো এর প্রোগামসেট করেছেন । তাই কম্পিউটারের সাথে তার তরফ থেকে একটি সিডি আর একটি গাইড বই দেয়া হয়। একজন অপরেটর কিভাবে চালাবে? কোন সমস্যা হলে কি করতে হবে তা তাতে লেখা থাকে। তাই নয় কি? তাই যদি হয় তাহলে মহান আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তিনি সবকিছু সৃস্টি করেছেন। এই জগত কিভাবে চলবে? কোন সমস্যা কিভাবে সমাধান হবে তা তিনিই ভাল জানবেন। আর তাই তিনি একটি মডেল সহ একটি গাইডবই আমাদের জন্য দিয়েছেন। যাতে গাইড বই আর মডেলের অনুসরন করে সৃষ্টিজগতের যাবতিয় কর্মকান্ড পরিচালনা করা যায়। আচ্ছা এবার বলুতো আল্লাহকে মৌখিক ইলাহ মানি সত্য কিন্তু তার দেখানো গাইডবই আর মডেল অনুসারে কি আমার আমাদের কর্মকান্ড চালাচ্ছি? আমরাতো তার সাথে শিরক করছি অনবরত। তার সমকক্ষ স্থির করছি। অথচ বলছি তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই। আমরা নিজেদের ষরঋপুকে নিজেদের ইলাহ বানিয়ে ফেলেছি। নিজের মনের মত চলছি। ঋপুর আছরে হরহামেশা আল্লাহ আর তার মডেলের দেখানো পথ থেকে দূড়ে সরে যাচ্ছি। এবার বলুন কলেমার প্রতিশ্রতিকি মানা হল? আমরা মনচাই জিন্দেগী গুজার করছি। সুদ, ঘুষ, দূর্নিতিতে আজ বিশ্ব সয়লাব। হত্যা খুন সন্ত্রাস আজ নিত্যদিনের ব্যাপার। চুরি ডাকাতি ছিনতাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা। জেনা ব্যাভিচার, অশ্লিলতা আমাদের নিত্যদিনের ফ্যাশন হয়ে গেছে। এই কি আল্লাহর গাইড বই মানা। মডেলের অনুসরন। কলেমার দ্বিতীয় অংশে সেই মডেল সম্পর্কে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ্(সা) আল্লাহ্‌র রাসূল। আল্লাহর রাসুল মানে আল্লাহর পথের দিশারী। যিনি সৃষ্টিজগতের প্রত্যেককে আল্লাহর পথ দেখানোর দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি বিশেষ করে মানুষকে তার স্রষ্টা তথা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের পথ দেখান। আচ্ছা একটা লোককে আমি ভাল ডাক্তার হিসেবে বারবার স্বীকার করছি কিন্তু তার প্রেসক্রাইবকৃত ঔষধ আমি খাইনা শুধু ভাল ডাক্তার স্বীকার করায় কি অসুখ সারবে? অবশ্যই তার ঔষধ খেতে হবে। তেমনি মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সা) কে রাসুল মানি। তার পরামর্শ মত চলি না, মনচাই জিন্দেগীতে চলি। তাহলে কি রাসুলকে মানা হল? যা স্বীকার করলাম কলেমায় তা কি প্রমান করতে পেরেছি নিজেদের জীবনে? আসলেই তাকে রাসুল হিসেব কর্মে স্বীকার করেছি? যদি তাই করতাম তাকে মডেল করে জীবন চালাতাম।
রাসুল (সা) কে মৌখিক ভাবে স্বীকার করার পর তাকে অবশ্য বাস্তবিকভাবে স্বীকার করতে হবে। তা কেমন? তার সুন্নতের অনুসরনই হল তাকে বাস্তবে স্বীকার করা। তার কথা কাজ আর অনুমোদন কে দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমেই রাসুল (সা) কে স্বীকার করা হবে। অথচ আমরা নিত্যদিন রাসুলের দেখানো পথ আর সুন্নত থেকে দুড়ে সরে বিভিন্ন তরিকার নেতাদের আমরা অনুসরন করছি। তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন করছি। অথচ রাসুলেল আদর্শ আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। পবিত্র আল কুরআনুল করিমে সুরা আহযাবের ২১ নং আয়াতে আল্লাহ এরশাদ করেন-

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيراً
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরন করে, তাদের জন্য রাসুল (সা) এর জীবনে উত্তম নমুন/আদর্শ রয়েছে।
Verily in the messenger of Allah ye have a good example for him who looketh unto Allah and the last Day, and remembereth Allah much.
তাই মুসলমানদের একমাত্র নেতা রাসুল (সা) অনুসরন করতে হবে অন্য কোন নেতা বা খাজাবাবা, নেংটা বাবা, বা পিরবাবার নয়। তবেই কলেমার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হবে। হ্যা যে সব আল্লাহর ওয়ালীর কথা ও কাজ আল্লাহ ও নবীর নির্দেশিত পথের সাথে মিলে যায় তাদের অনুসরন করতে কোন বাধা নেই।
আল্লাহর নির্দেশ আর রাসুলের সুন্নত যে সমস্ত লোকের মাঝে আছে তাদের নিয়ে একটা দল গঠনের নির্দেশ পবিত্র কালামে পাকে আছে। মহান আল্লাহ সুরা আল ইমরানের ১০৪ নং আয়াতে এরশাদ করেন-
وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎ কর্মের প্রতি, নির্দেশ দিবে ভাল কাজের আর বারন করবে অন্যায় কাজ হতে। আরা তারাই হল সফলকাম।
And there may spring from you a nation who invite to goodness, and enjoin right conduct and forbid indecency. Such are they who are successful.
অথচ আজ আমরা দল গঠন করছি ঠিকই। তবে তা দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের জন্য। আল্লাহর আদেশ নিষেধ বাস্তবায়নের জন্য নয়। ভন্ড পির আর ভন্ড নেতাদের পিছনে ঘুরে আজ আমরা পথ ভ্রান্ত হয়ে কালেমার প্রতিশ্রুতি ভংগ করছি প্রতিনিযত।

মহানবী (সা) কে রাসুল হিসেবে স্বীকার করার পর আরো যে কাজটি করা উচিত তাহল তার প্রতি দুরুদ প্রেরন করতে হবে। সালাম প্রেরন করতে হবে। মহান আল্লাহ সুরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে এভাবেই এরশাদ করেন-
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগন নবির প্রতি রহমত প্রেরন করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্য রহমতের তরে দোয়া কর ও তার প্রতি সালাম প্রেরণ কর।
Lo! Allah and His angels shower blessings on the Prophet. O ye who believe! Ask blessings on him and salute him with a worthy salutation.
রাসুলে প্রতি দুরুদ পেশ করার ক্ষেত্রে আজকাল আমাদের আলেম ওলামাদের তৈরি বিভিন্ন দুরুদ(সল্লেলা ওয়ালা মুহাম্মদ .... বা ইয়া নবী সালামুআলাইকা) ও শেখ সাদী রহ: একটি কবিতা বা শের (বালাগাল উলা বেকামালিহি.........) কে সবাই পড়েন। অথচ মহানবী বলেছেন দুরুদে ইব্রাহীম হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ দুরুদ। যা আমরা নামাজে পড়ি।
মহানবীকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নবী নিজেই নিষেধ করছেন। এমনকি এটাও বলেছেন তিনি যে কথা বলেননি বা কাজ করেননি তা তার নামে প্রচার করা হলে সে জাহান্নামে আগুনে জায়গা করে নিলো। তাই মহানবী (সা) কে রাসুল মানার পর তাকে সঠিক ভাবে সম্মান করতে হবে। তার সুন্নত পালনে সহিহ দৃষ্টিভংগি গ্রহন করতে হবে। তা না হলে নবীর কথা না মানায় কালেমার প্রতিশ্রতি ভংগ হয়ে যাবে। অনেকসময় রাসুল (সা) কে প্রসংশা করতে যেযে আল্লাহর সিফাতে ভুষিত করে অনেকে। এটা একটা শিরক। এর ফলেও কলেমার প্রতিশ্রুতি ভংগ হয়।

মোট কথা দেখা যাচ্ছে মৌখিক স্বীকৃতি দিয়ে আমরা নিজেদের মুসলমান বলছি। কাজেকর্মে এর বাস্তবায়ন করছি না। অফিস আদালত সমাজ রাষ্ট কিছুই আজ আল্লাহর নির্দেশ আর রাসুলের সুন্নতমত চলছে না। সবাই মনগড়া নিয়মনীতি তৈরী করে চালাচ্ছে সব। অথচ মুসলিম হবার শর্ত যেই কালেমার প্রতিশ্রুতি তাকে বেমালুম উপেক্ষা করে যাচ্ছে। অর্থাৎ মুখে বলে এককথা কাজে করে অন্যটা। একেই বলে মুনাফেকী। যা অনবরত আমাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে। তাহলে কি করে আমি মুসলমান হলাম? আসলে আমাদের মধ্যে কিছু লোক আছে এমন যারা দ্বিধাদ্বন্দে থেকে ইবাদত করে ফলে তারা দুটানায় থাকে নানা বিষয়ে সন্দেহ করে। ভাল হলে আল্লাহর ঠিক আর মন্দ হলে আল্লাহকে দোষারপ করে। ইবাদতের মধ্যে একনিষ্ঠতা বা আল্লাহর তাওয়াক্কুল বা ভরসা নাই। ফলে তারা কালেমা পড়ার পরও প্রকৃত মুসলমান হতে পারে না। দুনিয়া আর আখেরাতে এরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মহান আল্লাহ সুরা হ্জ্জ এর ১১ নং আয়াতে ঘোষান করেন-

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَعْبُدُ اللَّهَ عَلَى حَرْفٍ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَى وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ ذَلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ
মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধাদ্বন্ধে জড়িয়ে আল্লাহর ইবাদত করে। যদি সে কল্যাণ প্রাপ্ত হয়, তবে ইবাদতের উপর কায়েম থাকে এবং যদি কোন পরীক্ষায় পড়ে, তবে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে ইহকালে ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্থ। এটাই প্রকাশ্য ক্ষতি।
(And among mankind is he who worships Allâh as it were, upon the very edge (i.e. in doubt); if good befalls him, he is content therewith; but if a trial befalls him, he turns back on his face (i.e. reverts back to disbelief after embracing Islâm). He loses both this world and the Hereafter. That is the evident loss.)

একনিষ্ট মুসলমানতো সে, যার কথা এবং কাজ বিশ্বাসের উপর নির্ভর। যে সত্যই বিশ্বাস করে আল্লাহই একমাত্র ইলাহ এরপর তা মৌখিব ভাবে স্বীকারের পাসাপাসি কর্মে তা প্রমান করে দেখায়। সে বিশ্বাস করে তার জীবন মরন, ভালমন্দ সবকিছু আল্লাহর হাতেই।
সেইতো একনিষ্ঠ মুসলিম। মুসলিম মানে হল আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করা। এমন ভাবে যে, তুমিই সবকিছুর মালিক, তোমার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত (সটা ভাল হোক বা মন্দ), এর উপর কারো কোন কথার স্থান নাই। দুনিয়াতে কত প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রী আমলা বা ক্ষমতাধর ব্যাক্তি আছে তাদের কথার চাইতে আল্লাহর কথাকেই শ্রেষ্ঠত্ব দিতে হবে। দুনিয়াতে যে সব প্রভাশালী বা ক্ষমতাধর তারা যদি আল্লাহর ফয়সালা মত কোন কথা বলে তাই একমাত্র মানা যাবে। নচেত নয়। মোট কথা একনিষ্ট মুসলমান দুনিয়ার সবকিছু হতে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলকে বেশী প্রাধান্য দিবে। যখনই একনিষ্ঠ মুসলমান হবেন তখনই আপনার চারপাস আপনার জন্য পজেটিভ হয়ে যাবে। কারন এ প্রকৃতি আল্লাহর । এই গাছ পালা পশু পাখি, ঝঞ্জা বাযু নীল আসমান সাগর নদী সবকিছু আল্লাহর। এরা সব সময় আল্লাহর যিকির করে যার যার নিজস্ব পদ্ধতিতে।

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ
তুমি কি দেখনি? যে, আল্লাহকে সেজদাহ করে যা কিছু আছে নভমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি, পর্বতরাজি, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। (সুরা হজ্জ-১৮ নং আয়াত)
(See you not that to Allâh prostrates whoever is in the heavens and whoever is on the earth, and the sun, and the moon, and the stars, and the mountains, and the trees, and Ad-Dawâb (moving living creatures, beasts, etc.), and many of mankind?)


প্রকৃতি আল্লাহর আজ্ঞাবহ হযে যিকির করে। তাই যখনই আপনিও আল্লাহর আনুগত্য স্বিকার করবেন। একনিষ্ঠ মুসলমান হবেন। তখন আপিন এই প্রকৃতির সাথে মিশে তার একটি অংশ হয়ে যাবেন। আর এই প্রকৃতির সবকিছু তখন আল্লাহর ইচ্ছায় আপনার বন্ধু হয়ে অনুকুলে চলে আসবে। এমনকি আপনার শত্রুও। আপনার প্রতি আল্লাহর অপার কল্যান আর রহমত ঝরতে থাকবে। মহান আল্লাহ সুরা হামিম সিজদার ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নং আয়াতে এরশাদ করেন-

وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
তার চেয়ে উত্তম কার কথা হতে পারে যে, আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎ কর্ম করে এবং বলে আমি একজন আজ্ঞাবহ/মুসলমান।
(And who is better in speech than him who prayeth unto his Lord and doeth right, and saith: Lo! I am of those who surrender (unto Him).)

وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ
সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যার শক্রুতা রয়েছে সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।
(The good deed and the evil deed are not alike. Repel the evil deed with one which is better, then lo! he, between whom and thee there was enmity (will become) as though he was a bosom friend.)

وَمَا يُلَقَّاهَا إِلَّا الَّذِينَ صَبَرُوا وَمَا يُلَقَّاهَا إِلَّا ذُو حَظٍّ عَظِيمٍ
এ চরিত্র তারাই লাভ করে, যারা সবর করে। এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা সৌভাগ্যবান।
(But none is granted it (the above quality) except those who are patient, and none is granted it except the owner of the great portion (of the happiness in the Hereafter i.e. Paradise and in this world of a high moral character).

এবার বলুন এই অবস্থায় যদি আপনার মৃত্যূ হয় তা কি পবিত্র মৃত্যু হবে না?
কারন আল্লাহইতো বলেছেন যারা সৎ কর্ম করে তাদের জন্য পুরষ্কার আছে। হতে পারে সেটা দুনিয়াতে বা আখেরাতে বা উভয় জগতে। সুরা ত্বিনের ৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন-

إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَلَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ
কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎ কর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে অশেষ পুরষ্কার।
(Save those who believe and do good works, and theirs is a reward unfailing.)

সুরা হুদের ১১ নং আয়াতে বলেন-
إِلاَّ الَّذِينَ صَبَرُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ أُوْلَـئِكَ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ
তবে যারা ধর্য ধারন করেছে এবং সৎ কর্ম করেছে, তাদের জন্য ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান রয়েছে।
(Save those who persevere and do good works. Theirs will be forgiveness and a great reward.)
পবিত্র মৃত্যু কি একটা সৌভাগ্যময় পুরষ্কার হতে পারে না?

সার কথা হল পবিত্র মৃত্যু পেতে হলে মৃত্যু চিন্তা রাখতে হবে মাথায়। তবেই ভাল কাজ করা যাবে। চিন্তা করতে হবে যেকোন সময় হয়ে যেতে পারি কররের বাসিন্দা। এই বুঝি জান চলে গেল। এই ভয় থাকতে হবে। মৃত্যু মানেইতো কবরের আযাব, হাশর বিচার জান্নাত জাহান্নাম এগুলো সম্পর্কে ভাবতে হবে। আমার জন্য আল্লাহ না জানি কোথায় আবাস রেখেছে। আমার সাথে আল্লাহর আচারন কি হবে? কবরইবা আমার দেহের সাথে কি আচরন করবে। মৃত্যুর একটা যন্ত্রনা আছে আমি কি সেই যন্ত্রান সইতে পারবো? না পারলে কিভাবে এই যন্ত্রনা লাঘব হবে? আমি কি কবরের ফেরেশতাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারবো। মরার আগে এগুলো ভাবতে হবে। দেখবেন এই দুনিয়া আপনার কাছে শূন্য মনে হবে। চাইলেও পাপ কাজ করতে পারবেন না।




 কেন আমরা মৃত্যু চিন্তা করি না?
মৃত্যু একটা অনিবার্য বিষয় যেনেও আমরা তার কথা ভুলে থাকি। ভুলে থাকি মৃত্যুর পর যে জগত তাকে। বিচার দিবসকে। জাহান্নামের আযাবকে। কেন এই ভুলে থাকা? সুরা আত তাকাসুরের ১ ও ২ নং আয়াতের দিকে একটু নজর করলে এর উত্তর পাওয়া যাবে। মহান আল্লাহ বলেন-

أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ
প্রাচুর্যের লালসা তোমাদের গাফেল রাখে। (Rivalry in worldly increase distracteth you)

حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
এমনকি তোমরা করস্থানে পৌছে যাও। (Until ye come to the graves.)

অর্থাৎ সারাটা জীবন প্রাচুর্যের লালসায় মত্ত থেকে সময়গুলো শেষ করে ফেলি। এমনকি কবরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তা জারি থাকে। এই করতে করতে মৃত্যু চলে আসে। আমার যে মরত হবে এই চিন্তা পুরো জীবনে মনেই আসে না। অথচ এই চিন্তাটা থাকলে দুনিযা ও আখেরাতের জীবনটা সুন্দর হত। মুত্যুটাও হত পবিত্র। মৃত্যুর কয়েক মুহুর্ত আগেও অনেকে সাংসারিক কথাই বলে চলে- স্বন্ধ্যা হয়ে গেল মুরগীগুলা খোয়ারে ঢুকাও কেউ, এই টাইপ পেরেশানি। যেখানে চেষ্টা থাকবে কলেমা পড়ার তা না তখনও দুনিয়ার সম্পদের হিসাবনিকাশ। তার সম্পদ তাকে শেষ সময়ও গাফেল করে কালেমা থেকে।


মৃত্যুর সময় কিছু করনীয়:

১. ভাল কথাবার্তা বলা :
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا حَضَرْتُمُ الْمَيِّتَ فَقُولُوا خَيْرًا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَقُولُ قَالَ ‏"‏ قُولِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَأَعْقِبْنَا عُقْبَى صَالِحَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَأَعْقَبَنِي اللَّهُ تَعَالَى بِهِ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم ‏.‏
সুনান আবু দাউদ :: কিতাবুল জানাযা ২১ হাদিস ৩১১৫
মুহাম্মদ ইবন কাছীর (র.)... উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যখন তোমরা কোন মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির নিকট উপস্থিত হবে, তখন ভাল কথাবার্তা বলবে । কেননা, তোমাদের কথার সমর্থনে ফেরেশতারা আমীন বলেন । এরপর আবূ সালামা (রা) যখন ইনতিকাল করেন, তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা) ! আমি (এখন) কি বলব? তখন তিনি (সা) বলেনঃ তুমি বলঃ
অর্থাৎ ইয়া আল্লাহ্! আপনি একে ক্ষমা করুন এবং আমাদের উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন ।
উম্মু সালাম (রা) বলেনঃ আল্লাহ্ আমাকে এর বিনিময়ে মুহাম্মদ (সা)-কে প্রদান করেন ।
(১) কেননা, আবূ সালামা (রা)-এর মৃত্যুর পর নবী (সা) উম্মু সালামাকে বিবাহ করে তাঁকে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা দেন, যা উম্মু-সালামা (রা)-এর জন্য দুর্লভ ও অতুলনীয় মর্যাদার কারণ হয়েছিল ।
(২) মৃত্যুপথযাত্রীর নিকট ''কালিমায়ে তাওহীদ'' পাঠ করাকে 'তালকীন' বলে ।)
Sunan Abi Dauwd :: Book : Funerals (Kitab Al-Jana'iz) 21 Hadith 3115
Narrated Umm Salamah:
The Messenger of Allah (): When you attend dying man, you should say good words, for the angels say Amin to what you say. When Abu Salamah died, I said: What should I say, Messenger of Allah? He said: O Allah forgive him, and give us something good in exchange. She said: So Allah gave me Muhammad () in exchange for him.
২. কালেমা পড়া :
مَوْتَاكُمْ قَوْلَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏
সুনান আবু দাউদ :: কিতাবুল জানাযা ২১ হাদিস ৩১১৭
মুসাদ্দাদ (র.)... আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃত্যুপথযাত্রীকে কালিমার তালকীন দিবেন (অর্থাৎ তার কানের কাছে আস্তে আস্তে ''লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু'' পাঠ করতে থাকবে) ।
Sunan Abi Dauwd :: Book : Funerals (Kitab Al-Jana'iz) 21 Hadith 3117
Narrated Abu Sa’id Al Khudri :
The Messenger of Allah () as saying: Recite to those of you who are dying "There is no god but Allah."
Grade: : Sahih (Al-Albani)
৩. সুরা ইয়াসিন পাঠ করা :
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَكِّيٍّ الْمَرْوَزِيُّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، - وَلَيْسَ بِالنَّهْدِيِّ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اقْرَءُوا ‏{‏ يس ‏}‏ عَلَى مَوْتَاكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ الْعَلاَءِ ‏.‏‏
ضعيف وهذا لفظ ابن العلاء (الألباني)
সুনান আবু দাউদ :: কিতাবুল জানাযা ২১ হাদিস ৩১২১
মুহাম্মদ ইবন আলা ও মুহাম্মদ ইবন মাক্কী (র.)... মা'কাল ইবন ইয়াসার (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃত্যু বরণকারী ব্যক্তির নিকট 'সূরা ইয়াসীন' পাঠ করবে ।
Sunan Abi Dauwd :: Book : Funerals (Kitab Al-Jana'iz) 21 Hadith 3121
Narrated Ma'qil ibn Yasar:
The Prophet (s) said: Recite Surah Ya-Sin over your dying men. This is the version of Ibn al-Ala'
৪. মাতম নয় সবর করা :
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَتَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى امْرَأَةٍ تَبْكِي عَلَى صَبِيٍّ لَهَا فَقَالَ لَهَا ‏"‏ اتَّقِي اللَّهَ وَاصْبِرِي ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ وَمَا تُبَالِي أَنْتَ بِمُصِيبَتِي فَقِيلَ لَهَا هَذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَأَتَتْهُ فَلَمْ تَجِدْ عَلَى بَابِهِ بَوَّابِينَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ أَعْرِفْكَ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّمَا الصَّبْرُ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الأُولَى ‏"‏ ‏.‏ أَوْ ‏"‏ عِنْدَ أَوَّلِ صَدْمَةٍ ‏"‏ ‏.‏
সুনান আবু দাউদ :: কিতাবুল জানাযা ২১ হাদিস ৩১২৪
মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (র.)... আনাস (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ একদা নবী (সা) এমন একজন মহিলার কাছে গেলেন, যে তার বাচ্চার শোকে ক্রন্দন করছিল । তখন তিনি (সা) তাকে বললেনঃ তুমি আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সবর কর । সে মহিলা বলেঃ আপনি তো আমার মত মুসীবতে পতিত হননি । তখন তাকে বলা হলোঃ ইনি তো নবী (সা) ! তখন সে মহিলা তাঁর (সা) নিকট উপস্থিত হলো এবং তাঁর দরওয়াযায় কোন দারোয়ান পেল না । এরপর সে বলেঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা) ! আমি তো আপনাকে চিনতে পারিনি, (কাজেই আমার বেয়াদবী নেবেন না) । তখন নবী (সা) বলেনঃ দুঃখ-বেদনা শুরু হলে অথবা শোকের প্রথম হতে সবর করা প্রয়োজন ।
Sunan Abi Dauwd :: Book : Funerals (Kitab Al-Jana'iz) 21 Hadith 3124
Narrated Anas:
The Prophet (s) came upon a woman who was weeping for her child. He said to her: Fear Allah and have patience. She said: What have you to do with my calamity ? She was then told that he was the Prophet (s). She, therefore, came to him. She did not find doorkeepers at his gate. She said: I did not recognize you, Messenger of Allah. He said: Endurance is shown only at a first blow.
Grade: : Sahih (Al-Albani)
বিলাপা করা যাবে না-
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا عَنِ النِّيَاحَةِ ‏.‏
সুনান আবু দাউদ :: কিতাবুল জানাযা ২১ হাদিস ৩১২৭
মুসাদ্দাদ (র.)... উম্মু আতিয়্যা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের বিলাপ করতে নিষেধ করেছেন ।
Sunan Abi Dauwd :: Book : Funerals (Kitab Al-Jana'iz) 21 Hadith 3127
Narrated Umm 'Atiyyah :
The Messenger of Allah () prohibited us to wail.

Grade: : Sahih (Al-Albani)
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّائِحَةَ وَالْمُسْتَمِعَةَ ‏.‏‏________________________________________
সুনান আবু দাউদ :: কিতাবুল জানাযা ২১ হাদিস ৩১২৮
ইব্রাহীম ইবন মূসা (র.)... আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) বিলাপকারী এবং বিলাপ শ্রবণকারী মহিলাদের উপর লা'নত করেছেন । ________________________________________
Sunan Abi Dauwd :: Book : Funerals (Kitab Al-Jana'iz) 21 Hadith 3128
Narrated AbuSa'id al-Khudri:
The Messenger of Allah () cursed the wailing woman and the woman who listens to her.
Grade : Da'if in chain (Al-Albani)
৫. দাফনকাফন জলদি করা :
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مُطَرِّفٍ الرُّؤَاسِيُّ أَبُو سُفْيَانَ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عِيسَى، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ هُوَ ابْنُ يُونُسَ - عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُثْمَانَ الْبَلَوِيِّ، عَنْ عَزْرَةَ، - وَقَالَ عَبْدُ الرَّحِيمِ عُرْوَةُ بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ - عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْحُصَيْنِ بْنِ وَحْوَحٍ، أَنَّ طَلْحَةَ بْنَ الْبَرَاءِ، مَرِضَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ فَقَالَ ‏ "‏ إِنِّي لاَ أَرَى طَلْحَةَ إِلاَّ قَدْ حَدَثَ فِيهِ الْمَوْتُ فَآذِنُونِي بِهِ وَعَجِّلُوا فَإِنَّهُ لاَ يَنْبَغِي لِجِيفَةِ مُسْلِمٍ أَنْ تُحْبَسَ بَيْنَ ظَهْرَانَىْ أَهْلِهِ ‏"‏ ‏.‏‏
________________________________________
সুনান আবু দাউদ :: কিতাবুল জানাযা ২১ হাদিস ৩১৫৯
আবদুর রহীম ইবন মুতাররিফ রুয়াসী আবূ সুফয়ান ও আহমদ ইবন জানাব (র.)... হুসায়ন ইবন ওয়াহূজ (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ তালহা ইবন বারাআ অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী (সা) তাঁকে দেখার জন্য আসেন । তখন তিনি বলেনঃ আমার ধারণা, শীঘ্রই তালহা প্রাণত্যাগ করবে । কাজেই তোমরা আমাকে এ খবর দেবে এবং তার দাফন-কাফনের ব্যাপারে জলদি করবে । কেননা, মুসলমানদের লাশ তাদের পরিবার-পরিজনদের কাছে বেশীক্ষণ রাখা উচিত নয় ।
________________________________________
Sunan Abi Dauwd :: Book : Funerals (Kitab Al-Jana'iz) 21 Hadith 3159
Narrated Al-Husayn ibn Wahwah:
Talhah ibn al-Bara' fell ill and the Prophet () came to pay him a sick-visit. He said: I think Talhah has died; so tell me (about his death), and make haste, for it is not advisable that the corpse of a Muslim should remain withheld among his family.
Grade : Da'if (Al-Albani)
 কিভাবে পাপি বান্দার পাপ মোচ হবে? কিভাবে নিজেকে পবিত্র করা যাবে?

পাপের কাড়া পড়িয়েই দুনিয়ায় আল্লাহ পাঠিয়েছেন। যাতে পরীক্ষা করতে পারেন। তাই বান্দা পাপ করবেই। পাপের পর একনিষ্ঠ ভাবে তওবা করলে পাপ মোছন হবে। আল্লাহ এটাই চান। বান্দা পাপ করে অনুসুচনা করে তার দিকে ফিরে আসুক। সুরা হা-মিম সিজদাহ এর ৩৬ নং আয়াতে আল্লাহপাক এরশাদ করেন-

وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রনা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরনাপন্ন হোন। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(And if an evil whisper from Shaitân (Satan) tries to turn you away (O Muhammad SAW) (from doing good, etc.), then seek refuge in Allâh. Verily, He is the All-Hearer, the All-Knower.)
কিভাবে পবিত্র হওয়া যাবে এসম্পর্কে রাসুলের বানী-
মুসনাদে আহমদ :: আল্লাহর গুণাবলী এবং সর্বপ্রকার এবং সর্বপ্রকার ত্রুটি থেকে তাঁর উর্ধ্বে থাকা পরিচ্ছেদ
অধ্যায় ১ :: হাদিস ৩২
’উছমান ইবন্ আফফান (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি এমন একটি ’কালিমাহ’ বা বাক্য অবগত আছি, যা আন্তরিক বিশ্বাস সহকারে কোন বান্দা উচ্চারণ করলে সে জাহান্নামের জন্য হারাম (নিষিদ্ধ) হয়ে যায়। (এতদশ্রবণে) হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বলেন, সেই বাক্যটি কী, তা আমি তোমাকে বলে দিচ্ছি। সেটি হচ্ছে ’কালিমাতুল ইখলাস’ বা পুত-পবিত্র করণের বাক্য, যদ্বারা আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা’আলা মুহাম্মদ (সাঃ) - কে ও তাঁর সাহাবীগণকে বিভূষিত (সম্মানিত ও শক্তিশালী) করেছেন; সেটি হচ্ছে ’কালিমাতুত্ তাকওয়া’ বা অন্তরের পরিশুদ্ধতা আল্লাহ ভীরুতা অর্জনের বাক্য, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) পিতৃব্য আবূ তালিবকে তার মৃত্যুও সময় যা পাঠ করানোর জন্য বারংবার পীড়াপীড়ি করেন - তাহল সাক্ষ্য প্রদান করা এই মর্মে যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই।


 পবিত্র মৃত্যু কেমন?
পবিত্র মৃত্যূ মধ্যে শহীদি মৃত্যু হল সবচেয়ে উত্তম। শহীদি মৃত্যু সম্পর্কে মহানবীর একখানা হাদিস-
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ، عَنْ عَتِيكِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَتِيكٍ، - وَهُوَ جَدُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو أُمِّهِ - أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمَّهُ جَابِرَ بْنَ عَتِيكٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَ يَعُودُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ ثَابِتٍ فَوَجَدَهُ قَدْ غُلِبَ فَصَاحَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُجِبْهُ فَاسْتَرْجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏"‏ غُلِبْنَا عَلَيْكَ يَا أَبَا الرَّبِيعِ ‏"‏ ‏.‏ فَصَاحَ النِّسْوَةُ وَبَكَيْنَ فَجَعَلَ ابْنُ عَتِيكٍ يُسْكِتُهُنَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ دَعْهُنَّ فَإِذَا وَجَبَ فَلاَ تَبْكِيَنَّ بَاكِيَةٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَا الْوُجُوبُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ الْمَوْتُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتِ ابْنَتُهُ وَاللَّهِ إِنْ كُنْتُ لأَرْجُو أَنْ تَكُونَ شَهِيدًا فَإِنَّكَ كُنْتَ قَدْ قَضَيْتَ جِهَازَكَ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَوْقَعَ أَجْرَهُ عَلَى قَدْرِ نِيَّتِهِ وَمَا تَعُدُّونَ الشَّهَادَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا الْقَتْلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الشَّهَادَةُ سَبْعٌ سِوَى الْقَتْلِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الْمَطْعُونُ شَهِيدٌ وَالْغَرِقُ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ ذَاتِ الْجَنْبِ شَهِيدٌ وَالْمَبْطُونُ شَهِيدٌ وَصَاحِبُ الْحَرِيقِ شَهِيدٌ وَالَّذِي يَمُوتُ تَحْتَ الْهَدْمِ شَهِيدٌ وَالْمَرْأَةُ تَمُوتُ بِجُمْعٍ شَهِيدٌ ‏"‏ ‏.‏________________________________________

সুনান আবু দাউদ :: কিতাবুল জানাযা ২১ হাদিস ৩১১১
আল-কা'নাবী (র.)...জাবির ইবন আতীক (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) আবদুল্লাহ্ ইবন ছাবিত (রা)-এর রোগের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য আসেন । এ সময় তিনি তাঁকে বেহুশ অবস্থায় পান । তখন রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁকে জোরে ডাকেন, কিন্তু তিনি কোন জওয়াব দেননি । তখন রাসূলুল্লাহ (সা)''ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিঊন'' পাঠ করেন এবং বলেনঃ হে আবূ রাবী ! আমি তোমার ব্যাপারে পরাস্ত হয়েছি । এ কথা শুনে মহিলারা চীৎকার দিয়ে কাঁদা শুরু করে । তখন ইবন আতীক (রা) তাদের শান্ত হতে বলেন । এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ তাদের ছেড়ে দাও, (অর্থাৎ কাঁদতে দাও) । অবশ্য যখন ওয়াজিব হবে, তখন যেন কোন ক্রন্দনকারী আর না কাঁদে । তখন তারা জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা)! ওয়াজিব হওয়ার অর্থ কি ? তিনি বলেনঃ মৃত্যু ।
(রাবী বলেনঃ) তখন আবদুল্লাহ্ ইবন ছাবিত (রা)-এর কন্যা বললোঃ আল্লাহ্র শপথ! আমার তো এরূপ ধারণা ছিল যে, তুমি শহীদ হবে । কেননা, তুমি যুদ্ধের জন্য যাবতীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করছিলে । একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ্ তাকে তার নিয়্যতের ছাওয়াব প্রদান করবেন । তোমরা শাহাদত বলতে কি মনে কর? তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র রাস্তায় কতল হয়ে যাওয়াকে । তখন রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ আল্লাহ্র রাস্তায় শহীদ হওয়া ছাড়াও আরো সাত ধরনের শহীদ আছে যথাঃ
(১) মহামরীতে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(২) পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(৩) পক্ষাঘাতে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(৪) পেটের রোগের কারণে (কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদিতে) মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(৬) কোন কিছুর নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ এবং
(৭) যে মহিলা গর্ভাবস্থায় মারা যাবে, সেও শহীদ ।
Sunan Abi Dauwd :: Book : Funerals (Kitab Al-Jana'iz) 21 Hadith 3111
Narrated Jabir ibn Atik:
The Messenger of Allah () came to visit Abdullah ibn Thabit who was ill. He found that he was dominated (by the divine decree). The Messenger of Allah () called him loudly, but he did not respond.
He uttered the Qur'anic verse "We belong to Allah and to Him do we return" and he said: We have been dominated against you, AburRabi'. Then the women cried and wept, and Ibn Atik began to silence them. The Messenger of Allah () said: Leave them, when the divine decree is made, no woman should weep.

They (the people) asked: What is necessary happening, Messenger of Allah? He replied: Death. His daughter said: I hope you will be a martyr, for you have completed your preparations for jihad. The Messenger of Allah () said: Allah Most High gave him a reward according to his intentions. What do you consider martyrdom?
They said: Being killed in the cause of Allah.
The Messenger of Allah () said: There are seven types of martyrdom in addition to being killed in Allah's cause: one who dies of plague is a martyr; one who is drowned is a martyr; one who dies of pleurisy is a martyr; one who dies of an internal complaint is a martyr; one who is burnt to death is a martyr; who one is killed by a building falling on him is a martyr; and a woman who dies while pregnant is a martyr.
Grade: : Sahih (Al-Albani)

পবিত্র মৃত্যুর লক্ষন:

মৃত্যুর সময় কলেমা নসিব হওয়া
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ أَبِي عَرِيبٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏
সুনান আবু দাউদ :: কিতাবুল জানাযা ২১ হাদিস ৩১১৬
মালিক ইবন আবদিল ওয়াহিদ মাসমাঈ (র.)... মুআয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তির সর্বশেষ কালিমা (কথা) হবে--''লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু,'' সে জান্নাতে প্রবেশ করবে ।
Sunan Abi Dauwd :: Book : Funerals (Kitab Al-Jana'iz) 21 Hadith 3116
Narrated Mu’adh bin Jabal :
The Messenger of Allah () as saying: If anyone's last words are "There is no god but Allah" he will enter Paradise.

মৃতু আসার আগ থেকেই তওবা করার সুযোগ হওয়া
রোগে ভুগে মারা যাওযা
হজ্বে মারা যাওয়া
জিহাদে মারা যাওয়া
আল্লাহর রাহে শাহাদাত বরনকারীদের সম্পর্কে সুরা আল ইমরানে ১৬৯ নং আয়াতে মহান আল্লাহ ঘোষনা করেন-

وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاء عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ
আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকটি জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত।
(Think not of those, who are slain in the way of Allah, as dead. Nay, they are living. With their Lord they have provision.)

দৃর্ঘটানায় মারা যাওয়া
সন্তান প্রসবকালিন মৃত্যু
মৃত্যুর সময় কপালে ঘাম বের হলে
জুমার রাত অথবা দিনে মৃত্যূ হলে।
দীন, জীবন, মাল-সম্পদ ও পরিবারের ইজ্জত বা সম্মান রক্ষায় মৃত্যু
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، - يَعْنِي أَبَا أَيُّوبَ الْهَاشِمِيَّ - عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ مَنْ قُتِلَ دُونَ مَالِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ، وَمَنْ قُتِلَ دُونَ أَهْلِهِ أَوْ دُونَ دَمِهِ أَوْ دُونَ دِينِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ ‏"‏ ‏.‏
________________________________________
সুনান আবু দাউদ :: কিতাব আস-সুন্নাহ অধ্যায় ৪২ হাদিস ৪৭৭২
হারূন ইবন আবদুল্লাহ্ (র).... সাঈদ ইবন যায়দ (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ নবী করীম (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার ধন-সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মারা যাবে, সে শহীদ । আর যে ব্যক্তি নিজের সন্তান-সন্ততি বা নিজের জীবন অথবা দীনের হিফাজত করতে গিয়ে নিহত হবে, সেও শহীদ ।
________________________________________
Sunan Abi Dauwd :: Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah) 42 Hadith 4772
Narrated Sa'id ibn Zayd:
The Prophet () said: He who is killed while protecting his property is a martyr, and he who is killed while defending his family, or his blood, or his religion is a martyr.
Grade: : Sahih (Al-Albani)

রোযা রেখে বা আমলে সলেহ করা অবস্থায় মৃত্যু


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

বিপরীত বাক বলেছেন: প্রাচুর্যের মধ্যে মৃত্যুই পবিত্রতম মৃত্যু। কেননা এতে সব হক আদায় করা থাকে, আর সবার সন্তুষ্টি ও থাকে সন্তান সন্ততির অঢেল দোয়া থাকে। সর্বোপরি স্ত্রীর সন্তুষ্টি থাকে।

তবে আপনার এই বিরাট লেখায়, কোথাও বাপ - মা নামক ঝামেলা টা নেই।

এটা সত্য যে, রাসুল ( সাঃ) কে উক্ত ঝামেলা টানতে হয় নাই। কেননা ওনার পিতা সম্ভবত উনার জন্মের কয়েক মাস আগেই মৃত্যুবরণ করেছিল। আর মাতা আমিনা উনার জন্মগ্রহণের কয়েকবছর পর পরলোকে চলে যান।
তাই বুঝি উপরের বর্ণনায় সব জায়গায়, স্ত্রী, সন্তান সন্ততি, সম্পদ, নিজের রোগ ভোগ, মহামারী, ইত্যাদি আছে।

আর একটা প্রশ্ন। রাসুল (সাঃ) র পিতা-মাতা কি জাহান্নামী হবেন?
কেননা উনারা তো কলেমা পড়ার সুযোগ পান নাই।?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

আতা স্বপন বলেছেন: গর্ভ ধারন কারী যে মহিলা সে কিন্তু মা। মায়ের কথা কিন্তু এসেছে। আমলে সলেহ অর্থ পূর্নময় কর্ম। এটাতে পিতামাতার হক ও সামিল। তাই এই দায়িত্বপালন করতে গিয়ে মৃত্যু হলেও তা পবিত্র মৃত্যু বলা যায় । অবশ্য এটা আমার সম্পূর্ণ নিজস্বমত।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

আতা স্বপন বলেছেন: রাসুল মাকে পায়নি বেশীদিন। বাবা চলেগেছে জম্মের পূর্বে। তাই বলে তিনি পিতামাতার হক আদায় করেননি তা কিন্তু ঠিক নয়। তিনি অন্যসবার পিতা মাতাকে নিজের পিতামাতার সম্মান দিতেন। তার প্রমান তার দুধ মা হালিমা। তিনি তাকে যথেষ্ট সম্মান করতেন। এছারা বুড়ি মহিলাদের তিনি যথেষ্ট সম্মান করতেন। একবুড়িকে তিনি বোঝা তুলে সাহায্য করেছেন। যে কিনা তার ভয়ে পালাতে চেয়েছিল। আরেক বুড়ি তার পাথে কাটা দিত। তিনি সেই বুড়ির বাসায় যেয়ে রোগে সেবা করেছেন। তার মায়ের প্রতি যথেষ্ট পরিমান মায়া ছিল। তিনিইতো বলেছেন মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। মায়ের সম্মান বাবার চেয়ে তিনগুন বেশী।
আমার এ আলোচনায় কালেমার একটি অংশ রাসুলকে স্বীকার করার কথা বলেছি। এর মানে রাসুল মায়ের যে সম্মান দিয়েছেন তা পালনের মধ্যেই কলেমার হক আদায় হবে।
প্রাচুর্যের মৃত্যু পবিত্র মৃত্যু হ্যা এটা একেবারে বেঠিক নয়। যার প্রাচুর্য আছে সে যদি হক আদায় করে সঠিকভাবে তবেতো পবিত্র মৃত্যু পেতে পারে। না করলে কিন্তু মউতে খবিসা অর্থাৎ অপবিত্র মৃতু। আবার অভাবি লোক সে বিনা হিসাবে জান্নাতি। সে যদি ইমানে অটল থাকে । অভাব তাকে কাবু না করতে পারে । তবে তারও পবিত্র মৃত্যু হতে পারে। কারন দুনিয়াতে যার ধনসম্পদ কম আখেরাতে তার হিসাব সহজ হবে-আল হাদিস।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

বিপরীত বাক বলেছেন: বাস্তবে তো উল্টো দেখি।
মানে যেগুলো সুন্নতি জীবনযাপন করে সেগুলোরে দেখি, " স্ত্রীর নিকট উত্তম ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম" এটারে জীবনের মন্ত্র মেনে পথ চলতে।
বাপ-মা রে খাওনপড়নের টাকাটুকা দিয়ে আর কেয়ারটেকার রেখে দিয়ে ঝামেলা শেষ করে। সাথে রেখে জাহান্নামী হওয়ার ঝুঁকি নেয়ার দরকার কি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

আতা স্বপন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। ধন্যাবদ আপনাকে আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
বাস্তবতা উল্টো এটা ঠিকই বলেছেন। কিন্তু হাদিস মাননেওয়ালাদের সম্পর্কে একটু ব্যাঙ্গ করলেন। এটা ঠিক হয়নি। হ্যা হাদিস অনুসারে নবীর সুন্নত মানার চেষ্টা তারা করছে কিন্তু নবীর মতো করে কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। স্ত্রীকে খুশি মান যদি মাকে হেয় করে হয় তা কিন্তু হাদিসের বিরুদ্ধ। হাদিসে সর্বপ্রথম মায়ের অধিকার। তারপার বাবার এর পর অন্যরা। এখানে স্ত্রীকে খুশি করবেন অন্যের অধিকার খর্ব না করে। অন্যায় ভাবে স্ত্রী কে খুশি করে উত্তম হবার কথা ইসলাম বলেনি। আসল কথা হলো প্রত্যেককে তার অধিকার স্ব স্ব ক্ষেত্রে দিতে হবে। একটা উদাহরন দিই- আমি আল্লাহর সাথে শিরক করলে স্ত্রী কাছে উত্তম হব। স্ত্রী যেমুশরীক।সে চায় আমিও মুশরিক হই। আর এতে আমি আল্লাহর কাছে উত্তম হব? এটাতো হতে পারে না। কারন শিরিক হচ্ছে সবচেযে বড় পাপা। আসল কথা হল ইসলামের দেওয়া বিধিবিধানের মধ্যে থেকে স্ত্রী কে ব্যাবহারে , লালন পালনে, সহযোগীতায়, পরামর্শে সর্বাত্তকভাবে স্ত্রীর কাছে উত্তমহতে হবে। ইসলামের অন্যকোন বিধানকে হেয় করে নয়। আর মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। জান্নাত কিন্তু স্ত্রীর কাছে নয়। স্ত্রীর কাছে উত্তম হলে আল্লাহর কাছে উত্তম না হয় হল। এবং সোয়াবও পেলে। ধরলাম জান্নাতের দাবিদারই হল। কিন্তু কেউ যদি মানুষের হক মেরে খায় আল্লাহতো তার গুানা ক্ষমা করার দাযিত্ব নেনা না। এখন কেউ যদি মায়ের অধিকার লংঘন করে স্ত্রীকে খুশি করে জান্নাতের দাবিদার হয় । সে জান্নাতের দাবি মায়ের কষ্টের দরিয়ায় ডুবে যাবে। বরং তার জান্নাতের সোায়াব মা পারে আর সে হয়ে যাবে জাহান্নামী। তাই মা বাবা কাউকে খুশি না করে নিস্তার নাই। সন্তানের কাছে মা বাবাই আল্লাহ আর নবীর পরে বড় পির। যারা সুবিধাবাদি মুনাফেক তারাই সুন্নতকে নিজ মন মত নিজ সুবিধা মত ব্যাবহার করে। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

আতা স্বপন বলেছেন: নবীর মা বাবা জাহান্নামী না জান্নাতি তা একমাত্র আল্লহাই ভাল জানেন। আমরা আমাদের কর্ম আর আমাদের হিসাব নিয়েই ভেবে কুল পাই না। ওনারা কিসে যাবে তা ভেবে লাভ কি? তব্যে হ্যা কুরআনুল করিমে বলা হয়েছে রাসুল সা: এর নবুযতের পুর্বে যা হয়েছে হয়েছে। সেটা তিনি বুঝে নেবেন। ওনার নবুয়তের পরের পাপিদের ওনি করাগন্ডায় হিসাব নিবেন। এটুকুই আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.