নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ যখন রাষ্ট্রধর্ম

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

একটা ধর্মকে সম্মান দেখিয়ে তাকে অসম্মান করা কি উচিত হবে? রাষ্ট্রিয় ধর্ম বলে কোন অপশন না রাখলেই হতো। রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার এতদিনপর এসে তাকে যদি বাতিল করা হয় এতে কি শুধু ঝামেলাই বাড়বে না? এই নিয়ে নতুন করে যতই বারাবারি হবে ততই দেশে একশ্রেনীর সুবধাবাদি গুষ্টির আন্দোলনের হাতিয়ার হাতে তুলে দেয়া হবে। তাই নয় কি?

কি দরকার ছিল অতি আবেগ দেখিয়ে ধর্মকে রাষ্ট্রিয় মর্যদায় নেয়ার। যখন তা সবাই চায় না। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে তার অবমাননার পথ করে দিল। সব রাজনৈতিক দলই দেখা গেছে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মকে ঢাল বানাচে্ছ। কিন্তু ভেবে দেখছেনা কেউ যদি সেই ঢাল ভেংগে ফেলে তাহলে ধর্মের অসম্মান হবে।
একটি বিমান বন্দর। নাম হল একজন নাম করা আউলিয়ার নামে। এখন যদি আরেক সরকার এসে সেই নাম বাদ দেয় অপমানটা কার হবে? কেন মিছে মিছি ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো।

আচ্ছা একটু ভেবে দেখুনতো একটা গাছ যখন ছোট থাকে তাকে ফেলে দিলে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু তা যখন বড় হয়ে ছড়িয়ে যায় তখন কিন্ত্ত কাটতে গেলে অনেক সমস্যার সমুক্ষীন হতে হয়। কারন ততদিনে শিকর অনেক দুর চলে গেছে। ঠিক তেমনি রাষ্ট্রিয় ধর্মের বিষয়টি সাধারন মানুষের কাছে খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন হুট করে তা বাতিল হলে । তাদের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আর তা নিয়ে নতুন রাজনিতীর খেলা হতে পারে।

সরকার যদি চায় বিষয়টি নিয়ে গনভোট করতে পারে। এতে যদি জনগন রায় দেয় রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের পক্ষে সরকার নির্বিঘ্নে কোন ঝামেলা ছাড়াই তা করতে পারবে। মোটকথা জনগণকে সাথে নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা এটা করা ঠিক হবে না। কারন জনপ্রতিনিধি ধর্মীয় বিষয়ে অতটা পারদর্শী নাও হতে পারেন । তাই তাদের মতমতে এ বিষয়ে জনগনের প্রকৃত চাওয়া প্রকাশিত না হলে সমস্যা ঘুনিভুত হবে শুধু কাজের কাজ কিছু হবে না। হ্যা জোড় করে চেষ্টা করলেই এ কাজটি সরকার করতে পারে কিন্তু জোর করে কিছু করলে হিতে বিপরীত হয়। জোর করে কিছু খাওয়ালে বমি হতে পারে। সরকারকি তাই চায়?

রাজনৈতিক ভাবে শুরু হলেও রাষ্ট্রিয় ধর্ম বিষয়টি এখন আবেগ পর্যায়ে চলে গেছে। রাজনৈতিক নাই। তাই সরকারের উচিত খুব হুটহাট নয়, ভেবে চিন্তে এই বিষয়ে সঠিক কর্মপন্থায় সঠিক প্রদক্ষেপ নেয়া। যে কাজ শক্তিতে হয় না কৌশলে তা খুবই সহজ।
বিষয়টি সরকারকে ভাবার জন্য অনুরোধ করছি।.

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

নিউটনিয়ান বলেছেন: ধরে নিলাম রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না, তাহলে রাষ্ট্রধর্ম কি থাকবে?

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২১

আতা স্বপন বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম রাষ্ট ভাষা এই দুটি বিষয়েই দেখা যায় সংখ্যাগষ্ঠতার বিচার করে করা হয়। অথচ দেখা যায় অন্যধর্মাবলম্বী ও অন্য জাতিগত ভাষার লোকও আছে। তাই বিতর্ক হলো রাষ্ট্র ভাষা থাকলে রাষ্ট্রধর্ম কেন নয়?

রাষ্ট্র ভাষার ক্ষেত্রে যদি বিবেচনায় হয় সবার ব্যাবহৃত ভাষা। এ ভাষায় কথা বললে সবাই বুঝবে। জাতিগত ভাষাগুলো বেশীর ভাগ লোকেরই অজনা। তাই তারা রাষ্ট্র ভাষার মর্যদায় আসতে কি পারে? হ্যা তারা যদি ব্যাপক প্রসার ঘটাতে পারে তাদের জাতি গত ভাষার তবেই তারা রাষ্ট্র ভাষার মর্যদার জন্য লড়তে পারে।

অপরদিকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দেশের বেশীর ভাগ মানুষই মেনে নিয়েছে। কেন বলতে পারেন? ঐ একই সূত্র বেশীর ভাগলোকইতো মুসলিম। এদেশের প্রতিটি মানুষ ধর্মান্ধ না হলে ধার্মিক। আযানের সুরে তাদের সকাল হয়। ধর্ম রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় থাকলে তাদের ধর্মীয় কি লাভ হবে তা তারা বোঝে না। কিন্তু তারা চায় সরকার ইসলামের পথকে সহজ করুক। কোন রকম ইসলামের অবমাননা তারা সহ্য করবে না। রাষ্ট্রীয় ধর্ম হলে বেশির ভাগ লোক তাদের চাহিদামত ধর্মীয় সুবিধা পাবে। কারন বেশির ভাগ লোকই মুসলিম। এটা অনেকটা পাতিল যত বড় ঢাকনা তত বড়। মুসলিমদের যদি ১০ টা উপসনালয় করা হয় অন্য ধর্মামলম্বীদেরও কি ১০টা উপাসনালয় দরকার আছে? নাকি হবে? এখন যদি সমতা রক্ষা করতে যেয়ে করা হয় তা হবে অপচয়। তাই নয়কি? আসলা হল অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের চাহীদা মত সুযোগসুবিধা পাচ্ছে কিনা। ওর ১০টা পেয়েছে আমি কেন পেলাম না এরকম করা হলে তা কি যৌক্তিক হবে? আপনার দুটি সন্তান। একটি ক্লাস ওয়ানে পড়ে । আপনার আরেকটি সন্তান সে ক্লাস টেনে পড়ে। তাকে আপনি বড় সাইজের টেস্ট পেপার কিনে দিলেন। এখন আপনার ওয়ানে পড়ুয়া মেয়ে বায়না ধরল আমাকেও তাই দিতে হবে। আপনি কি দিবেন?
সুযোগসুবিধা সকল ধর্মের লোকেরই দরকার। সমান নয়। চাহিদা মত। যেহেতু মুসলিম বেশী । তাদের চাহিদাও বেশি। তাই চাহিদার কারনে তারা সুযোগ সুবিধা বেশি পাচ্ছে। অন্যকোন ধর্মকে ছোট করা জন্য নয়।
আচ্ছা একরুমে আছে ১০ জন আরেক রুমে আছে ৫জন। শিতের রাত। কাথা দরকার। দুই রুমে কি সমান কাথা দিবেন। না চাহিদা মত । না কম। এখন যদি ৫টি কাথা করে দুই রুমে ১০টি কাথা দেয়া হয়। এটা কি ইনসাফ হবে?
এখন বলুনতো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছাড়া অন্যকোন ধর্মকে করা কি যাবে? যেখানে অন্যধর্মাবলম্বীর সংখ্যা খুবই নগন্য। রাষ্ট্রধর্ম কনসেপট থাকলে সবা বিবেচনায় ইসলামই অগ্রগন্য। না থাকলে ভিন্ন কথা। গনতন্ত্রতো সংখ্যাগরিষ্ঠতাই মেনে চলে।
তাই রাষ্ট্রধর্ম করে বাদ দিলে ধর্মের অসম্মান রুখতে রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখাই শ্রেয়।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

অতঃপর শুভ্র বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম থেকে ইসলামকে বাদ দিলে পশ্চিমা দানাপানি হাদিয়া আসবে
বুঝলে ভাই


হায়রে সরকারঃ কপাল পোড়া মুসলমান
বাপ ছিল বাকশাল + প্রতারক আর মেয়ে ইসলামকে রাষ্ট্রিয়ভাবে কলঙ্কের কারিগর

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

আহলান বলেছেন: রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম জিনিষটাই আমার কাছে গোলমেলে ঠেকে .... এটা থাকলে কি সুবিধ আর না থাকলে কি অসুবিধা কেউ কি জানে? তবে এসব নিয়ে খোচাখুচি না করে গঠনমূলক কিছু করার উচিৎ। যেমন সাপ্তাহিক ছুটিটা রবিবারে করা উচিৎ। এতে দেশ জাতি ধর্ম সবতেরই ভালা ..... শুক্কুর বারে ছুটি হওয়াতে যত রকম দাওয়াত আর ইবলিসিয় কালচারের প্র্যাক্টিস হয় এই শুক্কুর বারেই, ফলে শুক্কুরবারেরই ইজ্জত নষ্ট করা হয় ....কিছু তো করার নাই, বন্ধ যে ঐ এক দিনই ...ধুম ধারাক্কা নাচ গান পার্টি ফুর্তি তো ঐদিনই করার সুযোগ, রবি বার তো যিশু খ্রিষ্টের দিন, অতি পবিত্র, ভদ্র সাজাইয়া অফিস করণ

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

সাগর মাঝি বলেছেন: রাষ্ট্রধর্মঃ নিরপেক্ষ করা হউক। এটা কারো বাপের দেওয়া সম্পত্তি নহে। এটা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীস্টান সবার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

ফাহিম আবু বলেছেন: রাষ্ট্র ধর্ম যখন থাকবে না , তাহলে রাষ্টভাষাই কেন থাকবে ?? দেশটা কি শুধু বাংলাভাষীদের ?? উপজাতীরা কি বাংলাভাষায় কথা বলে ???

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৬

বিজন রয় বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকুক।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩২

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: রাষ্ট্রের আর কিছু নিয়া কোন চুলকানি নাই। কেবল ধর্মের বেলাইয়ই যত সমস্যা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.