নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কষ্টই সুখের জননী- নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫


কষ্ট যেখানে সেখানেই সুখ। গোলাপ ফুলের দিকে তাকালেই তো বুঝা যায়- কাঁটা আছে, আছে ফুলের সুবাস। তাই কষ্ট আসলে সুখ আসতেই হবে। এটা সুখ আসার ওয়ার্নিং বেল এর মত। মা বাচ্চা প্রসব করে। কি যে সেই কষ্ট। মায়েরাই কেবল তা বুঝতে পারে। বাচ্চা প্রসবের পর যে সুখ তারা পায় তাও কেবল একজন মাই বুঝতে পারে। কবি তাই বলেন- ‘কাটা হেরি ক্ষান্ত … দুঃখ বিনা সুখলাভ হয় কি মহিতে।’

কষ্ট আসলে তাই সব শেষ এমন ভাবা ঠিক নয়। এ দু সময়টা পার করার চেষ্টা করতে হবে। কোনরকম পার হলেই শান্তি আর শান্তি। হ্যাঁ এটা ঠিক কষ্টের সময় যেন সহজে শেষ হয় না। ধৈর্য্য থাকে না অনেকে সময়। এর তীব্রতা জ্ঞানবুদ্ধি লোপ করে দেয়। কথা হল কষ্ট যত তীব্র হবে তত তীব্র সুখও হবে। এটা হল সুখের মাপকাঠি। প্রসূতি মা জানে প্রসব বেদনা তীব্র কষ্টের তারপরও এই বেদনা পেতে চায়। কারণ সে জানে এ বেদনা তাকে সুখের সাগরে ভাসিয়ে দিবে। কষ্টের পরে তাই সবাই সুখের আশা করে। কষ্টের পর কষ্ট আসে যদি বুঝতে হবে সুুখে আসতে দেরি হবে। তার মানে এই নয় যে সুখ আসবে না। কষ্টের পর শত কষ্ট আসলেও একসময় সুখ আসবেই আসবে। আর সুখের পর দু:সময় আবার আসতেই পারে। এটা একটা চক্র।

সুখ আর দুখের চক্র। এই চক্রে ধৈর্য ধারণ এর ভূমিকা হল মূল। দাত মুখ খিচে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যে যত তারাতারি এ মর্ম বুঝে ধৈর্য্য ধারণ করবে সে তত তারাতারি সুখের দেখা পাবে। আর যে ধৈর্যচ্যুত হবে বার বার কষ্টে পড়তে থাকবে। এভাবে সুখের দেখা পেতে তার দেরি হয়ে যাবে। কষ্টের সময় কষ্টকে নিয়ে তাই বেশি মাতামাতি করতে নেই। যতই কষ্টে ঘা পরে ততই ক্ষত গাঢ় হয়। নতুন নতুন ইনফেকশন। কাজেই কষ্টকে ঘাঁ না করে তার প্রতিকার ধৈর্য নিয়ে করতে হবে। আর ধের্য্য গুণটি তারাই পায় যারা কষ্টের মাঝে বড় হয়। ফার্মের মুরগীর মত বড় যারা হয় তারা অল্পতেই কাতর হয়ে যায়। তাই বলা যায় কষ্ট মানুষকে ধর্যশীল করে। যেমন মাটির পরত পড়তে পাললিক শিলা হয় তখন তার গায়ে লেগে শক্তিশালি জাহাজও ভেঙ্গে যায়। তেমনি কষ্টের জ্বালায় জ্বলতে জ্বলতে কষ্টের এক পাহার তৈরি হয়। তখন সে পাহারের কাছে অন্য কোন কষ্ট আর কষ্টই থাকে না। স্বাভাবিক হয়ে যায়।

তাই বলা যায় কষ্ট সওয়ার মধ্যে একধরনের শক্তি রয়েছে। আবার কষ্ট সইতে পারে সাহসি মানুষ। ভিতুরা কষ্ট থেকে পালাতে চায়। সাহসিরা তার মোকাবিলা করে। তাইতো দেখা যায় ভিতুরা কষ্টের তিব্রতা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে। প্রবাদে আছে ভিতুরা মরার আগে বহুবার মরে। কষ্ট স্রষ্টার একটা উপহার। কষ্টা না থাকলে দুনিয়া জীবনকে বুঝা যেত না। অর্ধেক সুখ অর্ধে কষ্ট এই মিলিয়ে দুনিয়া। শুধু ষুখ বা শুধু কষ্ট দিয়ে দুনিয়াকে বুঝা যায় না। তাই কৌশলী মহান স্রষ্টা দুটোই সৃষ্টি করেছেন। একটি আরেকটির পরিপুরক। নারী আর পুরুষ যেমন জোড়া ঠিক তেমনি জোড়া হল সুখ দু:খ বা কষ্ট।

কষ্ট থাকবেই জীবনে। বিশ্বাসীরা বলে পরীক্ষা কিংবা শাস্তি। অবিশ্বাসিরা বলে কোন ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া। যাই হোক কষ্টকে অস্বিকার কেউই করে না। তাই বলা যায় কষ্ট থাকবেই। তবে কষ্টের ভিন্নতা আছে। ম্যান টু ম্যান ভেরি করে। একেক জনের কষ্ট একেক রকম। কারো টাকার কষ্ট। কারো ভালবাসার কষ্ট। কারো শারীরিক কষ্ট। কারো মানসিক কষ্ট। নানা আঙ্গীকে নানা রুপে কষ্ট আসে মানুষের জীবনে। আর সকল কষ্টের পরই সুখ । একজন রোগি কষ্ট করে ভুগতে ভুগতে যখন মারা যায় তখন সবাই তাই বলে যাক কষ্ট থেকে অবশেষে মুক্তি মিলল। মুক্তিটাই সুখ। তাই সুখের ডেফিনেশন মানে সংজ্ঞা হলো কষ্ট থেকে মুক্তি। মুক্তি কি সহজলভ্য? কষ্টের পরিমানের উপর তা নির্ভর করে। ছোট কষ্টে মুক্তি তারাতারি ।বড় কষ্টে মুক্তিতে দেরি। কষ্টে পড়লে হাল ছেরে দিলে কষ্ট বাড়তেই থাকবে। লাগাম টেনে ধরে কষ্টের সময় সংগ্রাম করতে হবে। কষ্টের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে। জিহাদ মানে ইচ্ছাশক্তিকে তিব্রতর করা। তিব্র পচেষ্টা চালানো। প্রচষ্টার তিব্রতার উপরই কষ্টের পতন নির্ভর করে। তাই কষ্টথেকে মুক্তি পেতে তিব্র প্রচেষ্টা মানে জিহাদ দরকার। কষ্টে কাবু হয়ে বাবুর মত ফিডার খেলে চিরকাল বিছানই শুয়ে থাকতে হবে মাঠ ঘাটে আর ছুটা হবে না। হবে না হাত পা ছুড়ে খেলাধুলা। তাই কষ্টকে জয় করা শিখতে হবে। কষ্ট দেখলে ঘাবড়ানো যাবে না। কথায় আছে-আছার এর কষ্ট না সইলে কেউ হাটা শেখেনা।

কষ্টের সময় বুন্ধ চেনাযায়। প্রকৃত বন্ধু কষ্টের সময় পাসে থাকে। বন্ধুর পাশে থেকে কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করে। তাই তো প্রাবদ আছে বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। তাই অন্যের কষ্ট দেখে আমাদর উচিত তাদের পাশে দাড়ানো। তাদের প্রকৃত বন্ধু হওয়া। প্রকৃত বন্ধু নিজের কষ্টের সময় বন্ধুকে জানান দেয় না যে আমি কষ্টে আছি।কিন্তু বন্ধুর কষ্ট জেনে দৌড়িেয় হাজির হয়। প্রকৃত বন্ধুতো সে যে নিজের তৃষ্ণার কথা গোপন করে বন্ধুর তৃষ্ণা নিবারন করে। তাই বলা যায় বন্ধু চিনায় কষ্টের যথেষ্ট ভুমিকা রয়েছে।

কষ্ট নিয়ে এতসময় নষ্ট করার একটাই কারন – সুখের অবস্থান নির্ণয় করা। সুখ কোথায় আছে? সুখ কোথায় আছে? বলে যারা বিলাপ করে তাদের জন্য এই কষ্ট করা। সুখ আছে কষ্টের ভিতরে । যেমন মায়ের পেট্ সন্তান। অর্থাৎ সুখের মা হল কষ্ট।

সুরা ইনশিরাহ কষ্ট আর সুখ সম্পর্কে এভাবে বলা হয়েছে-

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ

01
আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?

وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ

02
আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,

الَّذِي أَنقَضَ ظَهْرَكَ

03
যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ।

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

04
আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।

فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

05
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

06
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।

فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ

07
অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।

وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ

08
এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০২

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।
এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।

মহান আল্লাহপাক তো দু'দুবার নিশ্চয়তা দিয়েছেন "নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে" তাই উপসংহারে বলেছেন :
"অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।
এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।"

তাই করা উচিত !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.