![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।
ধর্ম যার যার এদেশ সবার। কোন ধর্মের কোন উপাসনাকে কোন ধরনের কটাক্ষ করে কিছু বলা ঠিক নয়। আপনি ধর্ম মানুন চাই নামানুন কিন্তু আপনাকে প্রতিটি ধর্মের অনুভতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এটাই একজন সুনাগরিকের পরিচায়ক । করোনায় আক্রান্ত গোটা বিশ্ব।এটা একটা বৈষয়িক দুর্যোগ। এটা থেকে মুক্তির জন্য আস্তিক আর নাস্তিক সবাই চেষ্টা করছে। দোয়া ও দাওয়ার মধ্যে নাস্তিক যারা তারা দুনিয়াবী চেষ্টা তথা দাওয়ার কাজটাই শুধু করছে । আর আস্তিকরা দুনিয়াবী ও আখিরাত দুটোই অর্থাৎ দোয়া ও দাওয়া দুটোই করছে। এ অবস্থায় কে বা কারা হতে পারে তারা নাস্তিক বা অন্যকোন ধর্মের অনুসারী তারা করোনা পরিস্থিতিতে ইসলাম ধর্ম তার অনুসরীদের কোন হেফাজত করতে পারে নি এমনতর নানা পোস্ট করে অনলাইনে ব্লগে ও সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনলাইনে তেমনি একজন ব্লগারের পোস্ট আমার দৃষ্টিগোেচর হয়েছে। আমি যেহেতু মুসলামন। তাই আমার কাছে বিষয়গুলো জবাব দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।
যে বিষয়ে আমার আপত্তি আছে সেগুলো হলঃ
১।মুখে দাড়ি মাথায় টুপি পড়ে ওজনে কম দিয়া ব্যবসায়ীর আজ মাথায় হাত অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে-
দাড়ি টুপি কি ক্ষতি করেছে? দাড়ি টুপির ব্যবসায়ির মাথায় হাত অন্যদের হাত নাই? যদি বলেন তারা ধর্ম বিশ্বাসী দাড়ি টুপি জন। তারা ধর্ম মানার পরও তারা ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের মাথায় হাত। এটা কোন ধর্মের লোক নয় এটা হিউমেন ন্যাচার। প্রতিটি মানুষই বিপদের সময় প্রথম ধাক্কায় একটু হতাশ হয়। আর এসময় আল্লাহ বানী - তোমরা নিরাশ হইয়োনা । তোমারই বিজয়ী হইবে।
যারা বিশ্বাসী তারা যখন বিপদে পড়ে একথা শুনে তাদের ধর্ম বিশ্বাস আরো বেড়ে যায়। এর উদাহরণ মসজিদগুলো। আগের চেয়ে অনেক মুসল্লি ছিল। সরকার বাধ্য হয়ে সংখ্যা নির্ধারন করেছে। মাথায় হাত দিয়েছে তারা হয়তো সাময়িক ধাক্কায় স্রষ্টার দায় থেকে নিরাশ হয়নি। আর বলছেন দাড়ি টুপি ওয়ালার ওজনে কম দেয়। বাজারে চাওর হওয়া গড়পত্তা কথা বলবেন না। ভাল মন্দও /হিউমেন ন্যাচার। এটা যে কোন ধর্মের বর্ণের পোষাকের মানুষের মধ্যেই আছে। কাজেই এসব উসকানো মূলক কথা না বলাই ভাল।কারন আমরা আমাদের ব্লগিংকে বিপদে ফেলছি এসব করে। এতে করে সমাজের কিছু চরমপন্থী মানুষ ও সুবিধাবাদী মানুষ ব্লাগারদের উপর চরাও হয়। আমাদের সচেতনতাই আমাদের নিরাপত্তা।
২।মানুষের গর্ব মানুষের অহংকার ধর্মীয় মূল্যবোধের আসক্তি কুসঙ্গস্কার জড়িয়ে রাখার আকুলতা সব ঝরে পড়ছে মানুষকে বাধ্য করছে তার চিন্তা চেতনা থেকে বেরিয়ে আসতে মানুষ এখন তার নিয়ন্ত্রণ এ নাই তার বিশ্বাসকে নিয়ে এখন আর সে চলতে পারবেনা।
কে বলেছ আপনাকে? সবই আপনার কল্পনা। ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসীরা ধর্মের দিকেই ফিরে। আর কুসস্কার সেটাতো মিথ্যা সেটা সবসমই মিথ্যাই। মানুষ ধমীয় বিশ্বাসের দিকে আরো বেশী ঝুকছে। মানুষ বলছে স্রষ্টা আমাদের প্রতি রুষ্ঠ। আমাদের উচিত স্রষ্টাকে খুশি করা। বেশী বেশী তাকে স্মরন করা। তাই হচ্ছে। কে এমন যে ধর্ম পালন করত আর এখন করছে না। এটার ব্যতিক্রম থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু সেটা এতটা নগন্য যে ওটাকে ঢালও ভাবে চাপানো বোকার কাজ।
৩। যারা একদিন নামাজ পড়ার জন্য রাস্তা বন্ধ করে রাখতো জনগণকে কষ্ট দিতো আজ তাদের সেই মসজিদ ফাঁকা
যারা বলতো ঢাকা হচ্ছে মসজিদের শহর এই দেশ নব্বইভাগ মুসুলমানের দেশ আজ তাদের সেই ধর্মের দেমাগ চূর্ণ
এখন মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে পুলিশ লাঠিপিটা করে মসজিদের শহর ঢাকার মসজিদগুলো আজ ফাঁকা পড়ে আছে
আজ এই ফাঁকা মসজিদ গুলো চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলছে ঢাকার অলিগলিতে এসব মসজিদ না করে হাসপাতাল করলে আজ করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য কাজে দিতো
কবরস্থানের জায়গা গুলো কবরদিয়ে নষ্ট না করে সেখানে ফাঁকা রাখলে আজ করেন্টাইনের জন্য কাজে দিতো
কবর দিয়ে লাশ পুঁতে ফেললে ভাইরাস এর সম্ভবনা থাকে সেখানে আগুনে পুড়িয়ে সৎকার করলে কিছুই থাকেনা
শশান ভূমি কখনো শেষ হয়না কিন্তু কবরস্তান একদিন শেষ হয়।
এই যে এতো গুলি কথা ধর্মবিদ্বেস ছাড়ানো জন্য বললেন একটাও কিন্তু যৌক্তিক কথা নয়। নামাজ পড়ার জন্য রাস্তা বন্ধ রাখত মানে কি? যে কোন ধর্মী উৎসবে রাস্তা ব্লক হয়। মুসলমানদের ধমীয় উৎসব সাপ্তাহিক জুম্মা আর ঈদের জামাত এসময় রাস্তা ব্লক হতে পারে। প্রয়োজনে। ঢালও ভাবে রাস্তা বন্ধ করে নামাজ পড়ে কথা ঠিক নয়। মসজিদ ফাকা এত মজা পাবার কিছু নাই। এটা প্রতিটি মুসলমানের কষ্টের জায়গা। এতে ঘা দিয়ে কথা বলাটা আপনার উচিত হয়নি। সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের কারনে মুসল্লিরা মসজিদে যায় না।। তা নাহলে মসজিদগুলো ভরা থাকত। এটা নিয়ে ব্যংগ করার কিছু নাই। ধর্মের দেমাগ চূর্ণ- এটা কি ধরনের ভাষা। বি কেয়াফুল। আপনি কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পড়ে যেতে পারেন। মানুষ ঘরে বসে নামাজ পড়ছে। এটা তাদের দূর্বলতা নয় এটা তাদের ধর্ম ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পাড়ছেনা বলে নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশের কোন দেমাগ চূর্ন হলো? এটা এখনো নব্বই ভাগ মুসলমানেরই দেশ।
পুলিশ নামাজ পড়তে গেলে লাঠি পিটা করে শুধু হাট বাজার করতে গেলে করে না? মসজিদ ফাকা পড়ে আছে কথাটি সত্য। এর মানে মুসলমানরা সহনশীল ও আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।
মসজিদগুলো চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে কি বলছে? বুঝলাম না। যাক আপনি বলছেন মসজিদ না করে হাসপাতাল করলে ভাল হতো। দেখুন হাসপাতাল একটা বিষয় মসজিদ আরেকটা বিষয়। দুটাকে মিলিয়ে খিচুরি বানাতে জাবেন না। করেন্টাইনের জন্য জমির দরকার নাই । চাইলে পানিতেও করা যায়। আর তা খুব সহজেই। যেহেতু লঞ্চ গুলো এখন বন্ধ তাই সেগুলোকে করেন্টাইন হোম বানানো যায়। কবর দেয়াতে জায়গা কমে গেল বলে সুর তোলা ঠিক না। এটা ধমীয় বিষয়। ধর্মকে ধর্মের পথে চলতে দিন।
আর মৃত শরীরে করোনা থাকে না তা বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা ঘোষনা করেছে। কাজেই তার থেকে ভাইরাস ছড়ানো এটা একঘেয়েমি আর মূর্খতা।
পোড়ানো বা কবর দেয়া এটা যার যার ধমীয় রীতি। যে যেটা ইচ্ছা করবে।
কবর দিলে জমি স্বল্পতা হবে। কে বলল? একটি কবর পুরনো হলে তাতে আবার কবর দেয়া যায়। কাজেই জমির কম পরবে না। আর এযাবত এমন কখনো কি শুনেছেন যে জমির কম পরে গেছে কবর দিতে পারছেনা ! হ্যা যখন বন্যা হয় তখনকার কথা ভিন্ন। তখন লাশ ভাসিয়ে দেয়া যাবে। যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান সিমিত তা নিয়ে জাহির করে নিজেকে ছোট করবেন না।
পরিশেষে এধরনের ব্লগারদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা যারা বিভিন্ন পোস্ট করে মুসলমানদের হেয় করার চেষ্টা করেছেন। এটা কিন্তু মোটেই উচিত হয় নয়। এই ধরনের পোষ্ট থেকে বিরত থাকুন । তা নাহলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আপনারা অপরধি সাব্যস্ত হলে অবাক হব না।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমাদের এই ব্লগে কেউ ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে না।
বরং, মূর্খ কিছু মুসলমানের বিরুদ্ধে কথা বলে।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম নিয়ে নুরু সাহেব কিছু একটা বলতে চান। কি বলতে চান তা উনি জানেন না।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৫
রাসেল বলেছেন: Thanks for this post. The people, who don't know Islam but make commenti observing practice of some misguided muslim people, I think they should not make comment.
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো।