নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিকতা যার মধ্যে আছে সেই আল্লাহকে পায়

আতা স্বপন

আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।

আতা স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন ধর্মীয় উৎসব পালনে বিতর্ক এড়িয়ে চলি

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২


ধর্মীয় উৎসবের একটা বিরাট প্রভাব আমাদের শিল্প সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ঘিরে আছে। সেটা যে ধর্মের অনুসারীই হোক না কেন। আমাদের প্রকৃতি ও ইতিহাস নির্ভর কিছু উৎসব রয়েছে। যা আমার পালন করি। কিন্তু তার প্রভাব শুধু একটি দিনই থাকে। কিন্তু ধর্মীয় উৎসব এর প্রভাব আগে ও পড়ে থাকে। একটা উৎসব পালন কে ঘিরে আগে থেকেই থাকে আমাদের মাস ব্যপি পরিকল্পনা। আবার উৎসব শেষে থাকে একে ঘিরে পূর্ন মিলনী সহা নানা অনুষ্ঠান। যেন ছোট গল্পের মত। শেষ হইয়াও হইলনা শেষ। আমাদের এই দেশে ধর্মীয় সম্প্রতির যে সুনাম তা এই উৎসবগুলোকে ঘিরে। কোন সম্প্রদায় সে মেজোর কিংবা মাইনোর যাই হোক কারো ধর্মীয় উৎসবে বিঘ্ন ঘটায় না। সবাই স্বতছফুর্ত ভাবে যার যার উৎসব পালন করে আসছে।

মুসলামান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, নৃগোষ্ঠি সহ অন্যান্য ধর্মাম্বলীরা তাদের স্ব স্ব উৎসব পালন করছেন। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। যদিও এটি নিয়ে বিতর্ক আছে। এটা ভিন্নপ্রসঙ্গ । কথা হলো এদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান ভাবে তাদের ধর্মীয় ‍উৎসব পালন করতে পারছে। এদেশের মানুষ আবেগী বেশী। ধর্মীয় সম্প্রতী দেখাতে যেয়ে অনেকে দেখা যায় অন্যধর্মের অনুসারি ঈদগাহে যেয়ে নামাজ পড়ছেন, মন্দিরে যেয়ে পুজা করছেন। নানা ধর্মীয় আরাধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করছেন। তারা নিজেদের অতি মাত্রায় অসম্প্রদায়িক দেখাতে যেয়ে এগুলো করছেন। এগুলো করা কি আদো উচিত হচ্ছে? বরং এতে করে ধর্মীয় গুরু আলেম ওলামা সবার কাছে এ বিষয়গুলো বিতর্কি সৃষ্টি করছে। এতে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

সাধারন ভাবেতো এটাই যে, সকল ধর্মের অনুসরীদের মাঝে পারস্পরিক সু সম্পর্ক রক্ষাই হলো ধর্মীয় সম্প্রীতি। আমার কারনে যাতে অন্যকোন ধর্মের কেউ কষ্ট না পায় বা তার কোন অনুভতি আঘাত প্রাপ্ত না হয় এটাইতো ধর্মীয় সম্প্রিতি। অন্যধর্মাবলম্বীকে আরেকজনের ধর্মীয় আরধনায় অংশগ্রহন করেই ধর্মীয় সম্প্রীতি পালন করত হবে নচেত ধর্মীয় সম্প্রীতি পালন হবে না এমনতো নয়। যার যার মত সে ধর্ম পালন করুক । আমরা প্রত্যেকে অন্যের ধর্ম কে শ্রদ্ধা করব। ধর্ম পালনে একে অন্যকে সহযোগীতা করব যদি এটা নাও পারি বাধার কারণ যাতে না হই এটাইতো প্রকৃত সম্প্রীতি। হ্যা আমার অংশ গ্রহন করব এমন কিছু অনুষ্ঠান যা সা্র্বজনিন। যা সবার জন্য আনন্দের আর উৎসবের। সর্বদা বিতর্ক এরিয়ে চলা উচিত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেহেতু, প্রতিটি ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেছে যে, অন্য ধর্মের মানুষেরা পাপী, এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের কোন উৎসবকে মনের থেকে মেনে নেবে না।

০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

আতা স্বপন বলেছেন: ধর্মমতের মানুষেরা যে বিশ্বাস করে সবাই তারটা ঠিক মনে করে। এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে অন্য ধর্মকে জানতে চাইলে জানতে পারে যে কেউ। নিজের বিশ্বাসের সাথে অন্য বিশ্বাসের কম্পেয়ার করতেই পারে। পাপী যদি ভাবেও সেটা আখেরাতে দুনিয়াতে কি? দুনিয়াতে সবাই সবার উৎসব পালন করবে যার যার মত করে। অন্যকারো উৎসবে যোগ দিলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হয় না। অন্যকে নির্বঘ্নে উৎসব পালনের সুযোগ বা পরিবেশ সৃষ্টি করাও সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি। কোন বাধা যাতে না থাকে কোন বিতর্ক যাতে না থাকে । এটাই হলো মূল কথা।

২| ০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

সুপারডুপার বলেছেন: দেশে ধর্মীয় উৎসব পালন উপলক্ষে চাকরিজীবিদের জন্য ভালো ছুটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশ এখন পর্যন্ত পেলাম না যেখানে দেশের সব ধর্মাবলম্বীদের জন্য ছুটি দেওয়া হয়। বিতর্ক করলে ছুটি উপভোগ করা যাবে কেমন করে ! বিতর্ক বাদ দিয়ে ছুটি উপভোগ করা উচিত এবং পারিবারিক সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ানো উচিত। এতে সবারই মঙ্গল। তাই আপনার কথাটাই একটু অন্যভাবে আমিও বলি আসুন ধর্মীয় উৎসবের ছুটি পালনে বিতর্ক এড়িয়ে চলি।

৩| ০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রাশিয়া বলেছেন: আমাদের দেশের জয়া আহসান বা টলিউডের নুসরাত জাহান ছাড়া আর কাউকে তো দেখিনা কপালে সিঁদুর মেখে দূর্গাপূজা করতে যেতে। অভিনেত্রী ফেরদৌসি মজুমদারের বাড়িতে প্রতিমা পূজা হত, কিন্তু তিনি নিজে কখনো তাতে অংশ নেননি। এই তথ্য ঐ পরিবারের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ এক সরকারি আমলা আমাকে দিয়েছেন। কাজেই আপামর মুসলিম জনগন, যারা নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে - তারা কখনও এ ধরণের বেলেল্লাপনার সাথে যুক্ত হয়না।

আর হিন্দুরা মুসলিমদের ঈদ্গাহে গিয়ে নামাজ পড়বে? এই আজগুবি চিন্তা মাথায় এল কি করে?

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:১৭

আতা স্বপন বলেছেন: এখানে ঈদগাহে অন্য ধর্মমতের অনুসারি নামাজ পড়তে যায় বলেছি। কোন সম্প্রদায় এর নামতো বলিনি। আর এটা আজগুবি নয়। চোখ কান খোল রাখলে চোখে পড়বে। আমার পড়েছে । আপনার হয়তো পড়েনি। ধন্যবাদ

৪| ০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম ছিল কম-জ্ঞানীদের বড় আবিস্কার, উহার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:২০

আতা স্বপন বলেছেন: প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় যখন ধার্মীক বক ধার্মীক হয়। এখনও পুরো সমাজ তেমনটা হয়নি। তবে কেয়ামতের আগে হবে। তখন পৃথিবীর প্রয়োজনই শেষ হয়ে যাবে। আল্লাহ গুটিয়ে নেবেন তার এ সৃষ্ট জগৎ।

৫| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ । ভালো থাকুন।

৬| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম কোনো বিষয় না।
বাঙ্গালী দুঃখী জাতি। তাই একটা উতসবে সবাই অংশ গ্রহন করবে। আনন্দ করবে এটাই স্বাভাবিক।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:৪২

আতা স্বপন বলেছেন: আনন্দে বাধা নাই কিন্তু বিতর্ক যাতে না হয় সেভাবে করতে হবে। এমনিতেই বলছেন দুঃখি জাতি আনন্দ দরকার কিন্তু সেই আনন্দ করতে গিয়ে যদি আবার নিরানন্দ ঘটনার জন্ম হয় দুঃখতো আরো বাড়বে। ধন্যবাদ

৭| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১১:৫৮

আহা রুবন বলেছেন: দেশে বৈধ আনন্দের সব রাস্তা একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম শেষে কৃষক বা শ্রমিক অথবা যৌবনের উচ্ছ্বাস ভরা তরুণেরা সব সময় জ্ঞানের কথা-ধর্মের কথা শুনতে চায় না, চায় একটু আনন্দ। কোথায় তাদের একটু হাসি-তামাশা করার যাত্রাপালা, বাউল গান, নাটক, গানের অনুষ্ঠান! সব বন্ধ! এরা বাধ্য হয়ে এখন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ভেতরে আনন্দ খুঁজতে যায়, হুজুররাও সেটি বুঝে গিয়েছে--তারা ধর্মের আলোচনা বাদ দিয়ে নানান রসিকতা করে মানুষকে আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করে। এটাই হবে, সামনে আরও বাড়বে।

০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১০:৪১

আতা স্বপন বলেছেন: আনন্দ হোক অবারিত কিন্তু বিতর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.