![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ভাই কেউ না!! এই বাংলাদেশে আমার মত আরো প্রায় কোটি খানেক মানুষ আছে। শান্তিতে বাঁচতে চাই। পৃথিবীর আরো প্রায় 600 কোটি মানুষের মতই বেধরক টাইপের স্বার্থপর। কেউ গালি দিলে রাগ করি! আর কেউ রাগ করলে গালি দেই! আরে ভাই দু'দিনের দুনিয়ায় আজ আছি তো কাল নাই।
আজকাল দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু বৈতাল ইসলামের ব্যাখ্যা কে বিনুদন হিসেবে প্রচার করে ব্যাপক আনন্দ পাচ্ছে। তোমরা্ আজকে ইসলাম বনাম মুক্তিযুদ্ধ করছ। তোমাদের আমি সেই পরিমান ঘৃনা করি, ১৯৭১ এ যারা মুক্তিযুদ্ধকে ইন্ডিয়ার চাল কিংবা বাংলাদেশকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চাল বলে প্রচার করত। তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে। ইসলামের কোন কিছু যদি তোমার পছন্দ না হয়, তোমাকে কেউ জোর করেনি ইসলামের পথে আসতে, তুমি তোমার মত থাক। কিন্তু আমাকে ও আমার মত থাকতে দাও। ইসলামের নামে অযথা কটাক্ষপূর্ণ কথা বলা বন্ধ কর। বাকস্বাধীণতার নামে যা ইচ্ছা তা বলা বন্ধ কর। সব কিছুর সীমা আছে, সীমা অতিক্রম করো না।
যেসকল নব্য বুদ্ধিজীবি দেশের বাইরে বসেবসে ইসলামের নামে কিংবা বিরুদ্ধে ফটর ফটর করছ, তোমরা গো-আজম এর চেয়েও কাপরুষ। গো-আজম অন্তত দেশে বসে তার চাল চেলেছিল, কিন্তু তোমরা ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় বসে ফেসবুকে ইসলাম কিংবা মুক্তিযুদ্ধ কিংবা মুক্তচিন্তাবাজি করছ। উদাহরনটা খারাপ হয়ে গেল, কিন্তু তোমরা তারই যোগ্য। লোকে নব্য রাজাকারদের ছাগু ডাকে, তোমাদের তারা হয়ত অন্য নামে ডাকবে। হয়ত হাগু কিংবা নাগু। থাবা বাবার কথা ভূলে যেও না, ইসলামের নামে কুকথা বলে অযথা শাহবাগ আন্দোলনটাকে কলংকিত করেছিল। আদর্শিক আন্দোলন যদি করতে চাও, তাহলে ভাল আদর্শে আস, অন্যের নামে কুকথা কিংবা আজেবাজে কথা বললে কখনোই ভাল কিছু করতে পারবা না।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮
সরদার হারুন বলেছেন: হিং- টিং ছট । অর্থাাৎ কিছুই বুঝিলাম না ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা ঐতিহাসিক কারণেই এন্টি-ইসলামি চেতনার উপর ব্রিড করে । সেই সাথে ভারতের দালালি।
১. মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ইসলামের দোহাই দিয়ে পাকিস্তানকে এক রাখতে চেয়েছিল । সেই ক্ষোভ থেকে খোদ ইসলাম বিদ্বেষী প্রজন্ম বা জনতা বেড়ে উঠেছিল। লতিফ সদ্দিকী, আসাদুজ্জামান নূর এমন অনেকেই আছেন এই দলে।
২. নাস্তিক ও সেক্যুলার মনা লোকজন, বিশেষত কমিউনিস্টরা মুক্তিযুদ্ধকে আদর্শিকভাবে গ্রহণ করতে পেরেছে কারণ লড়াইটা ছিল ধর্মের দোহাই এর বিরুদ্ধে।
৩. দাড়ি টুপি দেখলে জঙ্গি মনা করা লোকজন আওয়ামীলীগেই দেখবেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে ধর্ম ভিত্তিক যেকোন ব্যবস্থাপনাকে নিপীড়নমূলক মনে করে। কাজেই ধর্ম ভিত্তিক কোন কিছু প্রকাশমান হলে সেটাকে কটাক্ষ করবে।
৪. আওয়ামীলীগকে কেউ যাতে ইসলাম বিদ্বেষী না মনে করে, তার জন্য তারা ইসলামকে নিজেদের মত মাজার-পীর-সুফি বাবা আর মদীনা সনদের মূলো দিয়ে জনগণের সামনে প্রচার করে।
৫. আশা করছি ভবিষ্যতে এমন প্রজন্ম আসবে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি, উগ্র জাতীয়তাবাদ দেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধেই সরাসরি অবস্থান নিবে।