নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অটোলক

এত সুর আর এত গান....

অটোলক

আমি অটোলক

অটোলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আর্টসেল" গানের লিরিক্সগুলো

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৫

১। অন্য সময়





আর্তনাদে হিঁচড়ে পড়ছে বেদনা

হৃদয়ের কলুষতা বিষাক্ততা

দুষিত করেছে আমায়

সমাজের নিত্য চাপে......



গ্রাস করেছে আমাকে

গ্রহণ লেগেছে স্বত্তায়

দাসত্বের দাস হয়ে ফিরছি

বিবাগী পথিকের বেশে

বারে বারে একই ঠিকানায়।।



মানুষ এগিয়ে যায় অন্য সময়ে

আকাশ বদলে যায় অন্য আকাশে

দেহের বায়ু ক্রমশ ফুরিয়ে

জীবনের চাহিদা কিছু বাকি রয়ে যায়

হৃদয়ের পাখি এখন বন্দি খাঁচায়

জীবনের সীমানা দূরে দেখা যায়



মুক্তির সিঁড়ি পেরিয়ে

কেবা তার দেখা পায়

দাসত্বের দাস হয়ে ফিরছি

বিবাগী পথিকের বেশে

বারে বারে একই ঠিকানায়







২। ভুল জন্ম



আমি জন্মাতে দেখেছি

জীবনের সব ভুলগুলো

জীবন ভুল না হতে পারে

হয়ত সময় ভুল ছিল

সময়ের ভুলে জীবন মঞ্চে

অভিনয় করছি আমি

নষ্ট হচ্ছে স্বকীয়তা

ক্রমশ নষ্ট হচ্ছি আমি



তবু চিৎকার যখন অর্থহীন আর্তনাদ

প্রতিবাদ কোন দুর্বোধ্য ভাষা

সবাই যখন আদিম উল্লাসে মত্ত

ভুল জন্ম তোমাকে জানাই বিদায়



স্বপ্ন মঞ্চে মেলানো যায়না জীবন

অলীক স্বপ্নে বদলায় না বাস্তবতা

সময় বদলায়, বদলায় এ জীবন

ধীরে ফিকে হয়ে যায় আমার এ অস্তিত্ব



ভুলের বেসাতি শেষ হয়ে যাক এবার

কষ্টে ডুবে থাকা নয়

নয় আর হাহাকার

আমার দ্বৈত স্বত্তা

করছে আজ অস্বীকার

সময় তাকিয়ে দেখো

পরিবর্তন বাস্তবতার



চোখের কোণে লেগে থাকা স্মৃতি

ঘুমের মত তীব্র ভালবাসা

আলিঙ্গনে নিমগ্ন শূন্যতা

ভুল জন্মে আমার অসারতা........





৩। "বাংলাদেশ, স্মৃতি ও আমরা"



এখানে নত সময়ে বোবা শহর ফেটে পড়ে-

বাকরুদ্ধ মানুষের রুদ্ধ ক্রোধে।

গ্রেনেডের নিরবতা থেমে আছে-

কবে আবার মিছিল হবে...

স্বপ্নের অনাগত অদেখা জুড়ে-

সময়ের বিবর্ণ অস্থিরতা।

অন্ধ-মানুষ পায়ে হেঁটে-

শহীদ-স্মৃতির হিম-মিনারে-

তবু আসে ভালোবেসে।

এখানে বেড়ে ওঠে শহীদমিনার।

বন্ধুর স্বপ্নের স্বপ্নহীন এক হাহাকার

মৃত মানুষ অচেনা ভয়ে-

মাতৃভূমির ছায়াগারে;

বেঁচে থাকে গ্রেনেডের গঠিত গর্জনে।

তোমাদের দুঃস্বপ্নে লেখা স্বপ্নগুলো-

জানালাবদ্ধ ঘরে

বাতাসের অনাহারে মিশে আছে-

আহত বাংলাদেশে।

স্বাধীনতা লেগে আছে তবু

বিকেলের বৃদ্ধ রোদে।

মানুষের মিছিলে-

আজো জেগে আছে মাথা তুলে শহীদ একুশে......



স্বপ্নের অনাগত অদেখা জুড়ে-

সময়ের বিবর্ণ অস্থিরতা।

অন্ধ মানুষ পায়ে হেঁটে-

শহীদ-স্মৃতির হিম-মিনারে;

তবু আসে ভালোবেসে।

এখানে নত সময়ে-

কোনো মানব-অন্ধ চোখে;

শহীদ-সরণী ধরে হেঁটে-হেঁটে-

নিজের স্মৃতির অন্ধকারে ফিরে আসে, ফিরে আসে.........







৪। "শহীদ সরণী"



ভোর হোক তোমারও জানালায়

ভোর হোক ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া শহরে।

শহীদ সরণীর পীচঢালা পথে,

রোদ্র আসুক আশাবাদী অক্ষর হয়ে।

বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক,

মানুষের অনন্তকালের ইতিহাসের পায়ে।

তোমার স্থল মাইন আবাদী মাটির প্রাণরসে ভিজে,

কান্নাসিক্ত পৃথিবী হোক।

তোমার জানালায় মৃত শিশু, পড়ে থাকে

যুদ্ধাহত সময়ের বাসী রোদ।

কবির মতন দুঃস্থ ও উদার হোক,

তোমার ব্যারাকে ব্যবহৃত প্রতিটি সৈনিক হৃদয়।

তোমার বিনিদ্র প্রহরার রাত,

শব্দ পাক মানুষের গরাদ ভাঙার।

ভোর হোক তোমার অন্ধচোখে,

যুদ্ধের অহর্নিশ ধ্বংসস্তূপ, ইতিহাস।







৫। পথচলা



আমার পথ চলা আমার পথে

যেন বেলা শেষে আকাশ কার মোহে

আমার স্বপ্ন আমার সাথে

যেন স্বপ্নে ফিরে আসে স্বপ্ন হয়ে

খুঁজে পায় জীবনের তীর

জীবনকে কোন এক স্বপ্ন ভেবে

আমি কার আশাতে

ছুটে চলি পথে পথে

যেন কার মায়াতে

বাঁধা পড়েছে জীবন যে



কত সুখ কত কল্পনা কত মিথ্যে অভিনয়

কষ্টের প্রতিটি ক্ষণে

শোনায় তার আহ্বান

আমার আলোয় আলোকিত

হতে চেয়ে আঁধারে মিলিয়ে

আমি আজ নেই তবু

কত সুর ওঠে বেজে

তোমার এই গানের মাঝে

এই পথ গেছে মিশে

আমার বেলা শেষে

স্বপ্ন ফিরে আসে

পৃথিবীর দূর দেশে

জীবনকে কোন এক স্বপ্ন ভেবে......







৬। রূপক (একটি গান)



মনের ভেতর যুদ্ধ চলে আমার সারাক্ষণ

নেশার মতন থমকে থাকে

ক্লান্ত এ জীবন

ধ্বংস স্মৃতির পারে বসে আমার আহ্বান



দুঃখ ভুলে নতুন করে

লিখছি এ গান

মিছিল ভাঙ্গা নির্জনতায় দাড়িয়ে একা

আলোর নিচের অন্ধকারে

স্মৃতির দেখা

চার দেয়ালের শব্দগুলো এখন শুধুই ছাই

মেঘে ঢাকা শহরটাতে তুই কেবল নাই

মনের ভেতর ভাঙ্গা গড়ার

আদিম আয়োজন

শূন্যতায় ডুবে থাকে আমার সারাক্ষণ

নিয়ম ভাঙ্গার মগজ জুড়ে এখন শুধুই ছক

তেপান্তরের নির্বাসনে হারিয়ে গেছে রূপক





মনেই যুদ্ধ আমার নিজের সাথে লড়ি

স্মৃতির দেয়াল ছুঁয়ে হাজার মূর্তি গড়ি



চোখের দেখায় যা দেখি

আর হয়নি যা দেখা

অভিমানের নদীর তীরে

দাড়িয়ে থাকি একা





ভুল জন্মে কষ্ট আমার লেখার আপোষে

অদেখা এক স্বর্গ ভাসে অচেনা আকাশে

মনের ভেতর যুদ্ধ এখন

আমার সারারাত

অন্ধকারের কোলাহলে ধরেছি

তোমারি হাত



একলা ভীষণ আমার ঘরে

স্মৃতির হাহাকার

আলোয় চাইছি নিভিয়ে দেব

মলিন অন্ধকার

মনের ভেতর যুদ্ধ চলে আমার সারাক্ষণ

মহাকালে মিলিয়ে গেলি হঠাৎ কখন......



৭। মুখোশ



মুখোশে আমায় যেমন দেখ

পরিচ্ছন্ন তোমার মত

মুখোশে আমার শরীর ঢাকা

তোমার চোখেও মুখোশ আঁকা



যতই মিথ্যের দেয়াল গড়ি

তোমার আমার চারপাশে

নিজের আয়নায় মুখোশ বিহীন

পড়ে থাকি গল্প শেষে আমি

জানালার ভেতরে বাহিরে দুজন

দেয়ালের কাছাকাছি যাই

দেয়ালে বাঁধা সস্তা জীবন

নিজের আয়নায় একলা দাঁড়াই



মুখোশে যাকে তুমি চেন

চেন না যাকে মুখোশ বিহীন

আমরা দুজন সত্য পুরুষ

নিজের ভেতর দুজনেই পরাধীন

শূন্যতায় প্রশ্ন থেকে দাঁড়ায়

মনের খোলা ঘরে

দেয়ালে চৌকাঠে আয়নায়

কে সত্য? তুমি না আমি?.......







৮। ধূসর সময় -



নোনা স্বপ্নে গড়া তোমার স্মৃতি

শত রঙ্গে রাঙ্গিয়ে মিথ্যে কোন স্পন্দন

আলোর নিচে যে আধার খেলা করে

সে আঁধারে শরীর মেশালে

আজ আমি ধূসর কী রঙ্গীন সময়ে

পথ হারাই তোমাতে



জীবনের কাটা তারে তুমি

অন্তহীন এর অপূর্ণতায়

বেওয়ারিশ ঘুড়ি উড়ে যাও অনাবিল

আকাশের শূন্যতায়

তবুও আমি...



কি খুঁজি মানুষের বিষাদের চোখে

কোথায় আলোর উৎসবে

স্বপ্নের প্রতিবিম্ব ভাঙ্গে

একা একা আমি থাকি দাড়ায়ে

স্মৃতির ঝড়ো বাতাসে দুজনের

শরীর মেশাই





৯। তোমাকে



তোমাকে আলো ভেবে

চোখ চেয়ে থেকেছি আঁধারে

নীরব থেকে

দেখেছি আমার একা নির্জনে!



তোমাকে যখন চেয়েছি সত্তার অন্তরালে সংগোপনে

তখনই আলো হয়ে তুমি আমার আধারে

আর যখন এ ভেবেছি বাঁধব সীমা চারপাশে তোমাকে ঘিরে

তখনই ফেলেছি হারিয়ে তোমাকে

আপন আধারে



যেখানে স্বর্গ ভাসে

তোমার আমার আকাশ সেখানে

অন্য রঙ্গে আঁকা আয়নায় মৃত জলছবি

সেই ছবিতে অন্ধ কবি আমি (এক)

হাতড়ে ফিরি আলোর সিঁড়ি!!







১০। দু:খ বিলাস



তোমরা কেউ কি দিতে পারো

প্রেমিকার ভালোবাসা

দেবে কি কেউ জীবনে উষ্ণতার

সত্য আশা



ভালোবাসার আগে নিজেকে নিও বাঁচিয়ে

আমার মনের মত নিও সাজিয়ে

আমি বড় অসহায় অন্যপথে

একটি নাটকই দেখি মহাকালের মঞ্চে



ও আমায় ভালোবাসেনি

অসীম এ ভালোবাসা ও বোঝেনি

ও আমায় ভালোবাসেনি

অতল এ ভালোবাসা তলিয়ে দেখেনি





তোমরা কেউ কি করবে

আমার জন্য অপেক্ষা

ভালোবাসবে শুধুই আমায়

করবে প্রতিজ্ঞা



ভালোবাসার আগে নিজেকে নিও বাঁচিয়ে

আমার মনের মত নিও সাজিয়ে

আমি বড় অসহায় অন্যপথে

একটি নাটকই দেখি মহাকালের মঞ্চে



ও আমায় ভালোবাসেনি

অসীম এ ভালোবাসা ও বোঝেনি

ও আমায় ভালোবাসেনি

অতল এ ভালোবাসা তলিয়ে দেখেনি



এতো ভিড়েও আজো আমি একা

মনে শুধু যে শূন্যতা

আঁধারে যতো ছড়াই আলো

সবই আঁধারে মেলায়

ও যে কোথায় হারালো

ব্যাথা কাকে যে শুধাই







১১। উৎসবের উৎসাহে



আমার অবারিত দরজা জুড়ে

সম্ভাবনার রঙিন মলাট

আমার শরীর ডুবে আছে

অবিরাম মৃত উষ্ণতায়



তুমি যে রোদ মাখবে বলে

মেতে উঠেছো রঙের উৎসবে

আমার বিষাদ ছায়া হয়ে

ঢেকে দেয় তোমায়





জানবে আমি শুধু আমি নই

আমি মানে অন্য কেউ কিংবা প্রতিবিম্ব

তোমাতে মিলিয়ে আমার

সব সুর তোমারই সঙ্গোপনে



তোমারই অন্ধকারে

যে শব্দ বয়ে চলে

এসো কান পেতে রই নিরবে

মনেরই ইন্দ্রজাল জুড়ে

যে স্বপ্ন খেলা করে

নেব সেই সীমানায় তোমাকে







যত দুর চলে গেলে দুরত্ব ঘোচালে

নিভে যাওয়া মানুষ জ্বলবে আলো হয়ে

সেইখানে তোমাকে জানাবো গোপনে

স্বপ্ন মানে পাশে থাকা

সময়ের হাত ধরে নতুন স্মৃতি এলে

আমি থাকব পথ চেয়ে ছদ্মবেশে



আবার এসে দাঁড়ালে একা

দেখবে আমার চোখে সম্ভাবনা

জীবন জুড়ে থাকে পরাজয়

হয়েছে ম্লান চিরকাল

জানবে তুমি ভোর হওয়া চোখে

যে অবিরাম স্বপ্ন দেখেছ

আমে সেই বাস্তবতা

কিংবা মলিন সান্তনা



আমাদের অভিধানে মিথ্যের হয় অনুবাদ

অবসাদ আশ্রয় খুঁজে

মানুষের অন্ধকার ঘরে

প্রতিবাদ প্রতিরোধ ভুলে

আনমনে মেনে নেয় পরাজয়





তখন ভাঙ্গতে হবে ঘোর

হাতে রেখে হাত

হেরে যাওয়াকে বন্দি করে রেখে

জাগতে হবে রাত

আলো জ্বেলে রেখে

উৎসবের উৎসাহে

বিস্তীর্ণ উজানে একলা হয়ে গেলে

চিনিয়ে নেব পথ

চিহ্ন এঁকে এঁকে

পিছু ফিরে পাই

ফিরতে যদি হয়

পাড়ি দেব পথ নিমিষে



১২। রাহুর গ্রাস



শূন্যতায় এঁকেছি গভীরতা

দৃপ্ত নেশায় উন্মাদ স্বচ্ছতা

জানিনা জীবনের সে সলতে কোথায়

ঝড়ো বাতাসেও, প্রদীপ জ্বালায়

স্বপ্নঘর এ ধরায় মগ্ন এক বিলাসিতায়



পাষণ্ড জগতের কোথায় শেকড় গাঁরা

ব্যর্থ শৃঙ্খলিত মনে তারই ছায়া

পাপের দংশনে দংশিত এ রক্ত ধারায়

শেষ প্রহরে শ্বাসরুদ্ধ রাহুর ছায়ায়



স্বপ্নের ছায়ায় কারও উষ্ণতায়

ঝাপসা সুখে অশ্রু ঝরায়

অস্তমিত ওই রবির

শেষ আলোকছটাও বিলীন

শ্রান্ত এক যুবা উদ্ভ্রান্ত মৌন মলিন



দুর্ভোগের উপহাস কিসের স্বপ্ন

কিসের উষ্ণতা

ঘন ঘোর আঁধার কোলে

ছোটে গন্তব্য শূন্যতা।







১৩। ইতিহাস-সময় ও অদৃষ্ট



আজ আমি আলোছায়া

আজ আমি অন্ধকার

সময়ের হারানো পথে

আজ ভেঙ্গেছে ঘুম চেতনার

পৃথিবীর কোলাহল নির্জনে

আপসের এ বেঁচে থাকা

পেছনে ফেলে ইতিহাস

যাবেনা ভাঙ্গা চার দেয়াল



কুয়াশা ঢাকা স্বপ্ন আমার

খুঁজে ফিরি ধূসর সীমানায়

বদ্ধ ঘরে আলোছায়ায়

থমকে থাকি নির্জনতায়

হয়নি পাওয়া কিছু আর

শুধুই অন্ধকার

আজ আমিই এক শূন্যতা

তবু চেয়ে রই মুক্তির আশায়

শান্তির আশায়...



বিধাতারই একটু ইশারায়

ভেঙ্গে গেছে স্বপ্ন অসহায়

পথিকের মত খুঁজে ফিরি

পথে পথে করুণা

সুন্দর যা দেখো সবই

মিথ্যের মায়াজালে ঘেরা

আমাদের সাথে ছলনা

অদৃষ্টের করা।











১৪। কৃত্রিম মানুষ



কালো মেঘে ঘেরা পৃথিবীতে

কৈশোর বয়সে

আমি শিখেছি নিজেকে চিনতে

অন্যের দৃষ্টিতে



যাযাবর আমি পৃথিবীতে

মানুষের রূপ ধরে

আমি দেখেছি মানুষের হাতে

গড়তে দেবতারে

অন্যায় আর অবিচারের

কালিমা বুকে নিয়ে

আকাশ এখানে মাথা তুলে

দাঁড়াতে ভুলে গেছে



সব সকাল রাতেরি মাঝে

বিলীন হয় অবশেষে

মানুষ শুধু বেঁচে থাকে

অন্য মানুষের মাঝে

বিষাক্ত বাতাস চারদিকে



আমাকে আঁকড়ে ধরে

আছে আমার আত্মবিশ্বাস

বাতাসের আঘাতে

ভেঙ্গে গেছে স্বপ্নগুলো রাতের অন্ধকারে



চারদিকে এখন শুধু হাহাকার শুনি

আমাকে ছেড়ে গেছে চলে

আমার অতীত স্মৃতিগুলো

আমার দেহে আছে পড়ে

অপমানের শত চিহ্ন



এখনো আমি আছি বেঁচে

যেন কৃত্রিম মানুষ হয়ে

আমার চারিদিকে জ্বলছে আগুন

আমারি জ্বালানো...১। অন্য সময়





আর্তনাদে হিঁচড়ে পড়ছে বেদনা

হৃদয়ের কলুষতা বিষাক্ততা

দুষিত করেছে আমায়

সমাজের নিত্য চাপে......



গ্রাস করেছে আমাকে

গ্রহণ লেগেছে স্বত্তায়

দাসত্বের দাস হয়ে ফিরছি

বিবাগী পথিকের বেশে

বারে বারে একই ঠিকানায়।।



মানুষ এগিয়ে যায় অন্য সময়ে

আকাশ বদলে যায় অন্য আকাশে

দেহের বায়ু ক্রমশ ফুরিয়ে

জীবনের চাহিদা কিছু বাকি রয়ে যায়

হৃদয়ের পাখি এখন বন্দি খাঁচায়

জীবনের সীমানা দূরে দেখা যায়



মুক্তির সিঁড়ি পেরিয়ে

কেবা তার দেখা পায়

দাসত্বের দাস হয়ে ফিরছি

বিবাগী পথিকের বেশে

বারে বারে একই ঠিকানায়







২। ভুল জন্ম



আমি জন্মাতে দেখেছি

জীবনের সব ভুলগুলো

জীবন ভুল না হতে পারে

হয়ত সময় ভুল ছিল

সময়ের ভুলে জীবন মঞ্চে

অভিনয় করছি আমি

নষ্ট হচ্ছে স্বকীয়তা

ক্রমশ নষ্ট হচ্ছি আমি



তবু চিৎকার যখন অর্থহীন আর্তনাদ

প্রতিবাদ কোন দুর্বোধ্য ভাষা

সবাই যখন আদিম উল্লাসে মত্ত

ভুল জন্ম তোমাকে জানাই বিদায়



স্বপ্ন মঞ্চে মেলানো যায়না জীবন

অলীক স্বপ্নে বদলায় না বাস্তবতা

সময় বদলায়, বদলায় এ জীবন

ধীরে ফিকে হয়ে যায় আমার এ অস্তিত্ব



ভুলের বেসাতি শেষ হয়ে যাক এবার

কষ্টে ডুবে থাকা নয়

নয় আর হাহাকার

আমার দ্বৈত স্বত্তা

করছে আজ অস্বীকার

সময় তাকিয়ে দেখো

পরিবর্তন বাস্তবতার



চোখের কোণে লেগে থাকা স্মৃতি

ঘুমের মত তীব্র ভালবাসা

আলিঙ্গনে নিমগ্ন শূন্যতা

ভুল জন্মে আমার অসারতা........





৩। "বাংলাদেশ, স্মৃতি ও আমরা"



এখানে নত সময়ে বোবা শহর ফেটে পড়ে-

বাকরুদ্ধ মানুষের রুদ্ধ ক্রোধে।

গ্রেনেডের নিরবতা থেমে আছে-

কবে আবার মিছিল হবে...

স্বপ্নের অনাগত অদেখা জুড়ে-

সময়ের বিবর্ণ অস্থিরতা।

অন্ধ-মানুষ পায়ে হেঁটে-

শহীদ-স্মৃতির হিম-মিনারে-

তবু আসে ভালোবেসে।

এখানে বেড়ে ওঠে শহীদমিনার।

বন্ধুর স্বপ্নের স্বপ্নহীন এক হাহাকার

মৃত মানুষ অচেনা ভয়ে-

মাতৃভূমির ছায়াগারে;

বেঁচে থাকে গ্রেনেডের গঠিত গর্জনে।

তোমাদের দুঃস্বপ্নে লেখা স্বপ্নগুলো-

জানালাবদ্ধ ঘরে

বাতাসের অনাহারে মিশে আছে-

আহত বাংলাদেশে।

স্বাধীনতা লেগে আছে তবু

বিকেলের বৃদ্ধ রোদে।

মানুষের মিছিলে-

আজো জেগে আছে মাথা তুলে শহীদ একুশে......



স্বপ্নের অনাগত অদেখা জুড়ে-

সময়ের বিবর্ণ অস্থিরতা।

অন্ধ মানুষ পায়ে হেঁটে-

শহীদ-স্মৃতির হিম-মিনারে;

তবু আসে ভালোবেসে।

এখানে নত সময়ে-

কোনো মানব-অন্ধ চোখে;

শহীদ-সরণী ধরে হেঁটে-হেঁটে-

নিজের স্মৃতির অন্ধকারে ফিরে আসে, ফিরে আসে.........







৪। "শহীদ সরণী"



ভোর হোক তোমারও জানালায়

ভোর হোক ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া শহরে।

শহীদ সরণীর পীচঢালা পথে,

রোদ্র আসুক আশাবাদী অক্ষর হয়ে।

বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক,

মানুষের অনন্তকালের ইতিহাসের পায়ে।

তোমার স্থল মাইন আবাদী মাটির প্রাণরসে ভিজে,

কান্নাসিক্ত পৃথিবী হোক।

তোমার জানালায় মৃত শিশু, পড়ে থাকে

যুদ্ধাহত সময়ের বাসী রোদ।

কবির মতন দুঃস্থ ও উদার হোক,

তোমার ব্যারাকে ব্যবহৃত প্রতিটি সৈনিক হৃদয়।

তোমার বিনিদ্র প্রহরার রাত,

শব্দ পাক মানুষের গরাদ ভাঙার।

ভোর হোক তোমার অন্ধচোখে,

যুদ্ধের অহর্নিশ ধ্বংসস্তূপ, ইতিহাস।







৫। পথচলা



আমার পথ চলা আমার পথে

যেন বেলা শেষে আকাশ কার মোহে

আমার স্বপ্ন আমার সাথে

যেন স্বপ্নে ফিরে আসে স্বপ্ন হয়ে

খুঁজে পায় জীবনের তীর

জীবনকে কোন এক স্বপ্ন ভেবে

আমি কার আশাতে

ছুটে চলি পথে পথে

যেন কার মায়াতে

বাঁধা পড়েছে জীবন যে



কত সুখ কত কল্পনা কত মিথ্যে অভিনয়

কষ্টের প্রতিটি ক্ষণে

শোনায় তার আহ্বান

আমার আলোয় আলোকিত

হতে চেয়ে আঁধারে মিলিয়ে

আমি আজ নেই তবু

কত সুর ওঠে বেজে

তোমার এই গানের মাঝে

এই পথ গেছে মিশে

আমার বেলা শেষে

স্বপ্ন ফিরে আসে

পৃথিবীর দূর দেশে

জীবনকে কোন এক স্বপ্ন ভেবে......







৬। রূপক (একটি গান)



মনের ভেতর যুদ্ধ চলে আমার সারাক্ষণ

নেশার মতন থমকে থাকে

ক্লান্ত এ জীবন

ধ্বংস স্মৃতির পারে বসে আমার আহ্বান



দুঃখ ভুলে নতুন করে

লিখছি এ গান

মিছিল ভাঙ্গা নির্জনতায় দাড়িয়ে একা

আলোর নিচের অন্ধকারে

স্মৃতির দেখা

চার দেয়ালের শব্দগুলো এখন শুধুই ছাই

মেঘে ঢাকা শহরটাতে তুই কেবল নাই

মনের ভেতর ভাঙ্গা গড়ার

আদিম আয়োজন

শূন্যতায় ডুবে থাকে আমার সারাক্ষণ

নিয়ম ভাঙ্গার মগজ জুড়ে এখন শুধুই ছক

তেপান্তরের নির্বাসনে হারিয়ে গেছে রূপক





মনেই যুদ্ধ আমার নিজের সাথে লড়ি

স্মৃতির দেয়াল ছুঁয়ে হাজার মূর্তি গড়ি



চোখের দেখায় যা দেখি

আর হয়নি যা দেখা

অভিমানের নদীর তীরে

দাড়িয়ে থাকি একা





ভুল জন্মে কষ্ট আমার লেখার আপোষে

অদেখা এক স্বর্গ ভাসে অচেনা আকাশে

মনের ভেতর যুদ্ধ এখন

আমার সারারাত

অন্ধকারের কোলাহলে ধরেছি

তোমারি হাত



একলা ভীষণ আমার ঘরে

স্মৃতির হাহাকার

আলোয় চাইছি নিভিয়ে দেব

মলিন অন্ধকার

মনের ভেতর যুদ্ধ চলে আমার সারাক্ষণ

মহাকালে মিলিয়ে গেলি হঠাৎ কখন......



৭। মুখোশ



মুখোশে আমায় যেমন দেখ

পরিচ্ছন্ন তোমার মত

মুখোশে আমার শরীর ঢাকা

তোমার চোখেও মুখোশ আঁকা



যতই মিথ্যের দেয়াল গড়ি

তোমার আমার চারপাশে

নিজের আয়নায় মুখোশ বিহীন

পড়ে থাকি গল্প শেষে আমি

জানালার ভেতরে বাহিরে দুজন

দেয়ালের কাছাকাছি যাই

দেয়ালে বাঁধা সস্তা জীবন

নিজের আয়নায় একলা দাঁড়াই



মুখোশে যাকে তুমি চেন

চেন না যাকে মুখোশ বিহীন

আমরা দুজন সত্য পুরুষ

নিজের ভেতর দুজনেই পরাধীন

শূন্যতায় প্রশ্ন থেকে দাঁড়ায়

মনের খোলা ঘরে

দেয়ালে চৌকাঠে আয়নায়

কে সত্য? তুমি না আমি?.......







৮। ধূসর সময় -



নোনা স্বপ্নে গড়া তোমার স্মৃতি

শত রঙ্গে রাঙ্গিয়ে মিথ্যে কোন স্পন্দন

আলোর নিচে যে আধার খেলা করে

সে আঁধারে শরীর মেশালে

আজ আমি ধূসর কী রঙ্গীন সময়ে

পথ হারাই তোমাতে



জীবনের কাটা তারে তুমি

অন্তহীন এর অপূর্ণতায়

বেওয়ারিশ ঘুড়ি উড়ে যাও অনাবিল

আকাশের শূন্যতায়

তবুও আমি...



কি খুঁজি মানুষের বিষাদের চোখে

কোথায় আলোর উৎসবে

স্বপ্নের প্রতিবিম্ব ভাঙ্গে

একা একা আমি থাকি দাড়ায়ে

স্মৃতির ঝড়ো বাতাসে দুজনের

শরীর মেশাই





৯। তোমাকে



তোমাকে আলো ভেবে

চোখ চেয়ে থেকেছি আঁধারে

নীরব থেকে

দেখেছি আমার একা নির্জনে!



তোমাকে যখন চেয়েছি সত্তার অন্তরালে সংগোপনে

তখনই আলো হয়ে তুমি আমার আধারে

আর যখন এ ভেবেছি বাঁধব সীমা চারপাশে তোমাকে ঘিরে

তখনই ফেলেছি হারিয়ে তোমাকে

আপন আধারে



যেখানে স্বর্গ ভাসে

তোমার আমার আকাশ সেখানে

অন্য রঙ্গে আঁকা আয়নায় মৃত জলছবি

সেই ছবিতে অন্ধ কবি আমি (এক)

হাতড়ে ফিরি আলোর সিঁড়ি!!







১০। দু:খ বিলাস



তোমরা কেউ কি দিতে পারো

প্রেমিকার ভালোবাসা

দেবে কি কেউ জীবনে উষ্ণতার

সত্য আশা



ভালোবাসার আগে নিজেকে নিও বাঁচিয়ে

আমার মনের মত নিও সাজিয়ে

আমি বড় অসহায় অন্যপথে

একটি নাটকই দেখি মহাকালের মঞ্চে



ও আমায় ভালোবাসেনি

অসীম এ ভালোবাসা ও বোঝেনি

ও আমায় ভালোবাসেনি

অতল এ ভালোবাসা তলিয়ে দেখেনি





তোমরা কেউ কি করবে

আমার জন্য অপেক্ষা

ভালোবাসবে শুধুই আমায়

করবে প্রতিজ্ঞা



ভালোবাসার আগে নিজেকে নিও বাঁচিয়ে

আমার মনের মত নিও সাজিয়ে

আমি বড় অসহায় অন্যপথে

একটি নাটকই দেখি মহাকালের মঞ্চে



ও আমায় ভালোবাসেনি

অসীম এ ভালোবাসা ও বোঝেনি

ও আমায় ভালোবাসেনি

অতল এ ভালোবাসা তলিয়ে দেখেনি



এতো ভিড়েও আজো আমি একা

মনে শুধু যে শূন্যতা

আঁধারে যতো ছড়াই আলো

সবই আঁধারে মেলায়

ও যে কোথায় হারালো

ব্যাথা কাকে যে শুধাই







১১। উৎসবের উৎসাহে



আমার অবারিত দরজা জুড়ে

সম্ভাবনার রঙিন মলাট

আমার শরীর ডুবে আছে

অবিরাম মৃত উষ্ণতায়



তুমি যে রোদ মাখবে বলে

মেতে উঠেছো রঙের উৎসবে

আমার বিষাদ ছায়া হয়ে

ঢেকে দেয় তোমায়





জানবে আমি শুধু আমি নই

আমি মানে অন্য কেউ কিংবা প্রতিবিম্ব

তোমাতে মিলিয়ে আমার

সব সুর তোমারই সঙ্গোপনে



তোমারই অন্ধকারে

যে শব্দ বয়ে চলে

এসো কান পেতে রই নিরবে

মনেরই ইন্দ্রজাল জুড়ে

যে স্বপ্ন খেলা করে

নেব সেই সীমানায় তোমাকে







যত দুর চলে গেলে দুরত্ব ঘোচালে

নিভে যাওয়া মানুষ জ্বলবে আলো হয়ে

সেইখানে তোমাকে জানাবো গোপনে

স্বপ্ন মানে পাশে থাকা

সময়ের হাত ধরে নতুন স্মৃতি এলে

আমি থাকব পথ চেয়ে ছদ্মবেশে



আবার এসে দাঁড়ালে একা

দেখবে আমার চোখে সম্ভাবনা

জীবন জুড়ে থাকে পরাজয়

হয়েছে ম্লান চিরকাল

জানবে তুমি ভোর হওয়া চোখে

যে অবিরাম স্বপ্ন দেখেছ

আমে সেই বাস্তবতা

কিংবা মলিন সান্তনা



আমাদের অভিধানে মিথ্যের হয় অনুবাদ

অবসাদ আশ্রয় খুঁজে

মানুষের অন্ধকার ঘরে

প্রতিবাদ প্রতিরোধ ভুলে

আনমনে মেনে নেয় পরাজয়





তখন ভাঙ্গতে হবে ঘোর

হাতে রেখে হাত

হেরে যাওয়াকে বন্দি করে রেখে

জাগতে হবে রাত

আলো জ্বেলে রেখে

উৎসবের উৎসাহে

বিস্তীর্ণ উজানে একলা হয়ে গেলে

চিনিয়ে নেব পথ

চিহ্ন এঁকে এঁকে

পিছু ফিরে পাই

ফিরতে যদি হয়

পাড়ি দেব পথ নিমিষে



১২। রাহুর গ্রাস



শূন্যতায় এঁকেছি গভীরতা

দৃপ্ত নেশায় উন্মাদ স্বচ্ছতা

জানিনা জীবনের সে সলতে কোথায়

ঝড়ো বাতাসেও, প্রদীপ জ্বালায়

স্বপ্নঘর এ ধরায় মগ্ন এক বিলাসিতায়



পাষণ্ড জগতের কোথায় শেকড় গাঁরা

ব্যর্থ শৃঙ্খলিত মনে তারই ছায়া

পাপের দংশনে দংশিত এ রক্ত ধারায়

শেষ প্রহরে শ্বাসরুদ্ধ রাহুর ছায়ায়



স্বপ্নের ছায়ায় কারও উষ্ণতায়

ঝাপসা সুখে অশ্রু ঝরায়

অস্তমিত ওই রবির

শেষ আলোকছটাও বিলীন

শ্রান্ত এক যুবা উদ্ভ্রান্ত মৌন মলিন



দুর্ভোগের উপহাস কিসের স্বপ্ন

কিসের উষ্ণতা

ঘন ঘোর আঁধার কোলে

ছোটে গন্তব্য শূন্যতা।







১৩। ইতিহাস-সময় ও অদৃষ্ট



আজ আমি আলোছায়া

আজ আমি অন্ধকার

সময়ের হারানো পথে

আজ ভেঙ্গেছে ঘুম চেতনার

পৃথিবীর কোলাহল নির্জনে

আপসের এ বেঁচে থাকা

পেছনে ফেলে ইতিহাস

যাবেনা ভাঙ্গা চার দেয়াল



কুয়াশা ঢাকা স্বপ্ন আমার

খুঁজে ফিরি ধূসর সীমানায়

বদ্ধ ঘরে আলোছায়ায়

থমকে থাকি নির্জনতায়

হয়নি পাওয়া কিছু আর

শুধুই অন্ধকার

আজ আমিই এক শূন্যতা

তবু চেয়ে রই মুক্তির আশায়

শান্তির আশায়...



বিধাতারই একটু ইশারায়

ভেঙ্গে গেছে স্বপ্ন অসহায়

পথিকের মত খুঁজে ফিরি

পথে পথে করুণা

সুন্দর যা দেখো সবই

মিথ্যের মায়াজালে ঘেরা

আমাদের সাথে ছলনা

অদৃষ্টের করা।











১৪। কৃত্রিম মানুষ



কালো মেঘে ঘেরা পৃথিবীতে

কৈশোর বয়সে

আমি শিখেছি নিজেকে চিনতে

অন্যের দৃষ্টিতে



যাযাবর আমি পৃথিবীতে

মানুষের রূপ ধরে

আমি দেখেছি মানুষের হাতে

গড়তে দেবতারে

অন্যায় আর অবিচারের

কালিমা বুকে নিয়ে

আকাশ এখানে মাথা তুলে

দাঁড়াতে ভুলে গেছে



সব সকাল রাতেরি মাঝে

বিলীন হয় অবশেষে

মানুষ শুধু বেঁচে থাকে

অন্য মানুষের মাঝে

বিষাক্ত বাতাস চারদিকে



আমাকে আঁকড়ে ধরে

আছে আমার আত্মবিশ্বাস

বাতাসের আঘাতে

ভেঙ্গে গেছে স্বপ্নগুলো রাতের অন্ধকারে



চারদিকে এখন শুধু হাহাকার শুনি

আমাকে ছেড়ে গেছে চলে

আমার অতীত স্মৃতিগুলো

আমার দেহে আছে পড়ে

অপমানের শত চিহ্ন



এখনো আমি আছি বেঁচে

যেন কৃত্রিম মানুষ হয়ে

আমার চারিদিকে জ্বলছে আগুন

আমারি জ্বালানো...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:১৪

এস.বি.আলী বলেছেন: আর্টসেল সিম্পলি The Best.

৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫১

অটোলক বলেছেন: জ্বি ভাই আর্টসেল এশিয়ার শ্রেষ্ঠ হেভি মেটাল ব্যান্ড।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.