নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিষাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিমা হব......\n\nআমি পৃথিবীর কবি/ ছদ্মবেশী সম্রাট/ জলজ প্রজাপতি/ উইকিপিডিয়ার বুড়ো/ বাংলার নব প্রভাকর/ পরিব্রাজক/ তিমির হন্তারক/আগুন পাখি / বিষাদ পাখি .../ ভালোবাসিতে এসেছি ভালোবাসা পাবার প্রত্যাশি নই ...

অভিলাষ মাহমুদ বাকলিয়া

অভিলাষ মাহমুদ / এ্যাসিস্ট্যান্ট সাব এডিটর/ বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়: ১৩ ও আর নিজাম রোড(৫ম তলা) , পাঁচলাইশ , চট্টগ্রাম। বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়: ১৩ ও আর নিজাম রোড(৫ম তলা) , পাঁচলাইশ , চট্টগ্রাম।

অভিলাষ মাহমুদ বাকলিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ও নাস্তিকতা

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭


কয়েকদিন থেকে "অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী" প্রজাতির কিছু লোক; সম্মিলিতভাবে নাস্তিকতা প্রচারের লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে।
সৈয়দ শামসুল হক; সাহিত্যমনা কিছু লখক ও পাঠক ছাড়া যারা নাস্তিক ও আস্তিকতার ধুয়ো তুলছে তাদের কাছে কতটা পরিচিত? তবুও তাঁর সমগ্র সাহিত্যকে বিচার না করে শুধুমাত্র কয়টি লাইন দিয়ে তাঁকে একজন নাস্তিক আবিষ্কার করতে পেরে তথাকথিত আস্তিকবাদীদের আনন্দ যেন আর বাঁধ মানছে না। তিনি আজীবন জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে বলে তাদের খুশির অন্ত নেই। একজন মৃত মানুষকে নিয়ে এমন নির্লজ্জ টানাহেঁচড়া মুর্খতা ছাড়া আর কী?
‌‘কা কা কা! কা কা কা!! কা কা!!!
জন্মের মধ্যেই কর্ম ওই- কা! কা! পারিস তো আজানের আওয়াজটা ডুবিয়ে দে দেখি! দেখি গলার কত জোর!
[সূত্র:"Dead Peak" সৈয়দ শামসুল হক, প্রথম আলো ঈদসংখ্যা ২০১৪, পৃষ্ঠা ১৫২]
পুরোটা পড়লে বুঝা যায়, তিনি বলতে চেয়েছেন: তুই পারবি না। তাই বেহুদা কা-কা করে লাভ নেই। এবার বলুন, এতেই কি তিনি নাস্তিক হয়ে যান?
অথবা-
ও কাক! তুই জোড়ে জোড়ে কা কা কর,
যাতে মুয়াজ্জিনের আযানটা আর শোনা না যায়!
শামসুল হক এর "Dead Peak" এর বঙ্গানুবাদ "মরা ময়ূর" কাব্যনাটক এর লাইন।
কাব্যনাটকের প্লট টা এমন ছিল.... এক মেয়েকে একজন মুয়াজ্জিন ধর্ষণ করে, তাকে এমনভাবে ভয় দেখানো হয়, যাতে সে কারো কাছে মুখ না খুলে এবং সে প্রায়ই মেয়েটার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো!
মেয়েটার বাড়ি মসজিদের পাশেই ছিল... প্রতিদিন সকালে যখন সে মুয়াজ্জিন আযান দিতো, মেয়েটা তখন ঘৃণায় বলতো... ও কাক তুই জোড়ে জোড়ে ডাক, যেন অই মুয়াজ্জিন এর গলায় তার আযান শুনতে না হয়!!
কাব্যনাটকের লাইন দুটো অই মেয়ের ভাষায়ই বলা!!
কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই উক্তি সেটা আলোচনায় এলো না শুধুমাত্র কবিকে নাস্তিক আখ্যা দিয়েই খালাস!!! সামাজিক অবক্ষয়ের এই চিত্র খুবই সাধারণ এবং বাস্তব। এখানে নীতি বিবর্জিত লম্পট মুয়াজ্জিনকে যদি ঘৃনা করে কোন লাঞ্জিতা এমন উক্তি করে তা কি সকলে মুয়াজ্জিনকে নির্দেশ করে? নাকি আজানের মতো সুন্দর ও পবিত্র আহ্বানকে অস্বীকার করে বা আজানকে অবমাননা করে?? বোদ্ধা পাঠক মাত্রই বুঝবেন যে, এখানে সুনির্দিষ্টভাবে একজন ব্যাক্তিকে; যে লাম্পট্যের শেষ সীমা অতিক্রম করেছে তাকে বুঝানো হয়েছে। এই উক্তির জন্য যদি কোন লেখক নাস্তিক অপবাদ পায় তবেতো এমন ঘৃন্য কাজের প্রতিবাদও করা যাবে না। কবিকে নাস্তিক আখ্যাদানকারীরা হয়ত এটাই চায়। তাতে হয়ত তাদের চরিত্রের ন্যাক্কারজনক দিকগুলো ধামাচাপা পড়ে।
যারা কবি'র সুন্দর ইসলামি কবিতার বিপরীতে "Dead Peak"এর মনগড়া বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁকে নাস্তিক প্রমাণ করে ইসলামের মহাখেদমতের আঞ্জাম দিতে গিয়ে মূল্যবান ঈমান বিপন্ন করার বোকামী করছেন তাদের উদ্দেশ্যে নীচের কথাগুলো।
কাউকে নাস্তিক-কাফের-জাহান্নামী বলা আমাদের মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে। অথচ, এই শব্দগুলো এতটা ভয়ঙ্কর যে, মুহূর্তেই আমাদের ঈমানের সীমানা থেকে ঝেটিয়ে বের করে দেবে। কাউকে নাস্তিক বলার আগে কম করে হলেও কোটিবার ভাবা উচিত। হাদিসে এসেছে:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَا حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا قَالَ الرَّجُلُ لِأَخِيهِ يَا كَافِرُ فَقَدْ بَاءَ بِهِ أَحَدُهُمَا
অর্থ: কেউ যদি তার ভাইকে কাফের বলে তবে দু’জন থেকে একজন কাফের হয়ে যাবে।(বোখারি)
অনেক মূর্খ বাহাদুর কপিসৈনিককে দেখলাম, মৃত সৈয়দ হকের নামে যেনার অপবাদ দিতে। হায়, কোথায় গেল আমাদের লজ্জা, কোথায় গেল আমাদের বিবেক?
হায়, আমাদের চিন্তার সঙ্গে প্রিয়নবীর চিন্তার কত পার্থক্য! আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের মতো চিহ্নিত মুনাফিকের জন্যও আল্লাহর রাসূল ব্যথিত হয়েছেন। আল্লাহ যখন বললেন, তুমি তার জন্য ৭০ বার ক্ষমা চাইলেও আমি ক্ষমা করবো না। তিনি বললেন, আমি ৭০ বারের চেয়েও বেশি ক্ষমা চাইবো। হযরত উমরের অনুরোধ উপেক্ষা করে তিনি নিজে তার জানাজা পড়ান। পরে সূরা তাওবার ৮৪ নাম্বার আয়াত নাজিল করে আল্লাহ কাফেরের জানাজা পড়া হারাম ঘোষণা করেন।
ধিক তাদের জন্য, যারা মানুষকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে খুশি হয়।
কৃতজ্ঞতা: Sayeed Hossain ও ইসতিয়াক হোসেন

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

অভিলাষ মাহমুদ বাকলিয়া বলেছেন: লেখাটা আমার এক আপুর ওয়াল থেকে নেওয়া । কেউ আবার ভাববেন না । কারো লেখা চুরি করে নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছি ।
অন্যের সন্তানের জনক কখনোই হওয়া যায় না ।[

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.