নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিষাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিমা হব......\n\nআমি পৃথিবীর কবি/ ছদ্মবেশী সম্রাট/ জলজ প্রজাপতি/ উইকিপিডিয়ার বুড়ো/ বাংলার নব প্রভাকর/ পরিব্রাজক/ তিমির হন্তারক/আগুন পাখি / বিষাদ পাখি .../ ভালোবাসিতে এসেছি ভালোবাসা পাবার প্রত্যাশি নই ...

অভিলাষ মাহমুদ বাকলিয়া

অভিলাষ মাহমুদ / এ্যাসিস্ট্যান্ট সাব এডিটর/ বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়: ১৩ ও আর নিজাম রোড(৫ম তলা) , পাঁচলাইশ , চট্টগ্রাম। বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়: ১৩ ও আর নিজাম রোড(৫ম তলা) , পাঁচলাইশ , চট্টগ্রাম।

অভিলাষ মাহমুদ বাকলিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি খোলা চিঠি

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১১

শ্রদ্ধেয় সম্পাদক সাহেব
বিনম্র শ্রদ্ধা জানবেন
ইদানিং যা দিনকাল তাতে কারোরি ভালো থাকার অবকাশ নেই। একবিংশ শতাব্দির এ যান্ত্রিক সময়ে কে বা চিঠি লেখে কে বা পড়ে? আপনা কাজে ব্যস্ত সবাই। এখনতো ডাক একেবাওে বন্ধ বলা চলে। বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞান মনে হয় কখনো আর্শিবাদ কখনো অভিশাপ। ইন্টারনেট, ফেচবুক, ট্যাংগো, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ, ব্লগ- এসবের মাধ্যমে খবরাখবর বাতাসের সাথে ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশের আনাচে-কানাচে। বিজ্ঞানের ভালো-মন্দ দুরকম ব্যবহারই হয়। টিন এজরা বেশি ধাবিত হচ্ছে মন্দের দিকে। এসব বাদ। চলে যাই মূল কথায়-
এই সময়েন দিনকাল অতি তিক্তের বড়ই কষ্টের। বেকারত্ব তারুণ্যেও অভিশাপই বটে।
পেটের ক্ষুধায় মা বিছানায় শুয়ে আছেন জীর্ণশীর্ণ হয়ে।
সংসারের ভরণ পোষণ দূঃসাধ্য। আট পয়সার লাটের মতই আমার সময়গুলো কাটছে। যন্ত্র দিয়েছে বেগ কেড়ে নিয়েছে আবেগ/ অনুভূতি এখন সবই মেকি সবই কমার্শিয়াল। গত পরশু সন্ধ্যায় বাবার মুখাগ্নি করেছি।
তখন শক্তি বাবুর কথা মনে পড়ে গেলো।
আগুনে তার মুখ পুড়েছে হঠাৎ যখন সন্ধ্যে
বাতাস খুঁটে গা খেয়েছে ফাঁক ভরাতে মন দে
পাঁচিল পড়বে টলে। শেষ রাতে তার সময় হলে
বাতাস বাঁধে ঝড়ের মাথা ধুলোবালির গন্ধে
আগুনে তার মুখ পুড়েছে হঠাৎ যখন সন্ধ্যে
তিনদিন গত না হতে-ই বিকেলে মা দুর্গাও প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছি তখন মনে পড়েছে-
জলের মধ্যে দেহটি তার মাছেন দাঁতে কাটছে
উলুক ঝলুক শালুক ফুলের পাতায় দেহকাটছে।
আমাদেও মত মানুষদের নিয়ে নিয়তি দেবী ভালোই তামাশা করছেন। জানি না আমার ম্মুখ গন্তব্য কেমন হবে। বিষাদ সিন্দুর উত্তাল মহা ঊর্মিও চাপে তলিয়ে যাবো।
অতি বেদনায় কখনো কখনো মুর্ছা যাই
মনে পড়ে জীবনান্দেও কথা তিনি কি এক্সিডেন্ট করেছিলেন নাকি ট্রামের তলাই আপন প্রাণ বিসর্জন
দিয়ে সংসারের অভাব থেকে মুক্তি নিয়ে ছিলেন?
বনলতারা এখন নিশি রাতের মেহমান হয়ে রাতি যাপন করেন দেশ-বিদেশের নামি দামি হোটেলে।
আমাকে কেন এসব চিন্তা গ্রাস করে?
সুশীলরা তো দিনে দ্রুপদীদেও পক্ষে হয়ে সেমিনার করেন।
আর রাত হলে করেন দ্রুপদীদের বস্ত্র হরণ।
এসব নতুন নয়, এসব আর কদিন চলবে?
কে দেবে এর জবাব?
অতি নগন্য একজন-
অভিলাষ মাহমুদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.