![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অভিলাষ মাহমুদ / এ্যাসিস্ট্যান্ট সাব এডিটর/ বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়: ১৩ ও আর নিজাম রোড(৫ম তলা) , পাঁচলাইশ , চট্টগ্রাম। বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়: ১৩ ও আর নিজাম রোড(৫ম তলা) , পাঁচলাইশ , চট্টগ্রাম।
১৯৯৯ আমার চরম একাকীত্বের সময় । আমার সহপাঠিরা ( বাড়ির দুই/চার বন্ধু ) পড়া লেখা অসমাপ্ত রেখে কম্মমুখি হয়ে পড়ছে । কিন্তু আমার পড়ালেখাতে মন না বসলেও একেবারে ছেড়ে দি নাই । চলছে পড়ালেখা । যাচ্ছি আর আসছি...
কেমন যেন অবহেলিত হয়ে পড়ছি । তখন বয়সঃ সন্ধিকাল । সবার কাছ থেকে সরে থাকা...
সবকিছুতেই সবাই ভুল বুঝতে লাগলো । কাউকে কিছু বলতেও পারছি না । বললেও কেউ আমলে নিচ্ছে না । তখন সঙ্গী হলো কবিতা । আমি আর কারো কাছে বলতে যাই না কিছু । কারো কাছে কিছু চাওয়া পাওয়ার কথাও ভাবি না । পেলে তা নেই । না পেলে কোন উচ্চ-বাচ্চ শব্দ করি না ।
ভাবনার পরিধি আরো বাড়তে লাগলো -
পারিপার্শিকতা ছাড়িয়ে আরো আরো দেখার জানার সুযোগ হলো ।
মানুষ মানুষের মাথায় কীভাবে হাত বুলিয়ে চলে ... !
বাপকে হত্যা করে সন্তানকে এতিম করে তার মাথায় হাত বুলায় সোয়াবের আশায় (!)
কারণ ইসলাম ধর্মে আছে । এতিমের মাথায় হাত বুলালে সওয়াব পাওয়া যায় ।
যখন দেখা গেলো এলাকায় এতিম সন্তান পাওয়া যায় নি তখন তো কাউকে না কাউকে হত্যা করতে হবে । তখন সে এতিম হবে ।...
তারপর আর কী যত সে এতিমের মাতায় হাত বুলানো হচ্ছে তত সোয়াবের ভাগিদার হচ্ছে ।
আমি যেন সবার উপহাসের পাত্র । সব লাঞ্চনা সয়েও লেখালিখির মাঝে ব্যাস্ত রাখি নিজেকে । এ ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ আমি খুঁজতে চাইও না । অবশ্যই আমার এই লেখালিখির জন্য মাঝ সময়ে বাবারও কত না কথা শুনতে হয়েছে ।
আবার সেই বাবার নিরব সম্মতিতে চলছে আমার লেখালিখি । যে প্রতিবাদ গায়ের জোরে হবে না সে প্রতিবাদ চলবে মসির জোরে ।
লেখালিখি করে কী পাবো আর কী পাব না । আমার মনের ভেতর নেই কোন সেই ভাবনা ।
দুমুখো সাপের চেয়েও দুমুখো মানুষ ভীষণ ভয়ঙ্কর ! আশে পাশের দুমুখো মানুষগুলোকে চেনা দায় । তারা ভালো মানুষের ভিড়ে বিচরণ করছে। আমি আজীবন ভ-ামি/ উগ্রতার বিপক্ষে লিখে যাবো ।
আমার মাথা নত করে দাও হে প্রভু তোমার চরণ ধূলার তলে ।
আমার লেখনী যেন না হয় ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিপক্ষে না যায় । থাকতে চাই সুন্দরী কবিতার আজন্ম ক্রীতদাস হয়ে ।
শব্দের সুড়সুড়ি
ধুর ছাই ! আর লিখব না কবিতা
গ-ারের চামড়ায় কি আর
অনুভূত হয় শব্দের সুড়সুড়ি ?
প্রেমজাল
তুমি হামাসের চতুর রমণী আমি ইসরায়েলী বোকাসেনা-
চুকে দিয়ে চলে যাবো জীবনের সব লেনাদেন ।
বুভুক্ষু বাঘিনীর হিংস্র থাবা
বুভুক্ষু বাঘিনী....
তোমার হিংস্র থাবায় ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছো-
মায়া মৃগের কোমল সুন্দর কায়া।
কত রক্ত চাও তুমি ? আর কত রক্ত - মাংস পেলে-
তোমার এই তৃষ্ণা- ক্ষুধা নিবারণ হবে ?
ক্ষান্ত হও ! থামাও তোমার হিংস্র থাবা ।
চাওয়া
কখনো উপরের আকাশ হতে চাইনি ... হতে চাইনি মহাসমুদ্র ।
যৌবনদীপ্ত চাঁদও নয় ; চাইনি দিবসের তপ্ত রবি হতে-
শুধু চেয়েছি শীতের সকালে ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু হতে ।
তুমি যখন খুব ভোরে খালি পায়ে দেবতার পূজা দিতে ফুল আনতে যাবে, তখন
আমি তোমার পায়ের পাতার সাথে লেপটে যেতে পারব এই আমার সুখ, এই আমার চাওয়া ।
হৃদয় ফ্রেম
আমার হৃদয় ফ্রেম সুসজ্জিত রেখেছিলাম
আকাশের নীল মেঘের টুকরো কিংবা প্রকৃতির সবুজে সাজাবো বলে ।
কখোনো ভাবিনি কেউ একজন এসে আমার হৃদয় ফ্রেম
সাজাবে আগুন কয় লার কারুকাজে ।
হতাশ
মায়ের নামটি মানবতা বিবেক আমার বাবা ।
তাদের ছেলে হতাশ আমি বুকে দুঃখ থাবা !
ফাগুনের উৎসব
হলুদ গাঁদা ফুলের বাগীচায় আজ ফাগুন উৎসব।
মাতোয়ারা এক জোড়া শাদা পায়রা।
গত ঊনত্রিশ ফাগুন আমার কোনো আনন্দ উৎসব ছিলো না।
হৃদয় বন্দরে ভালোবাসার সদায় নিয়ে আসেনি কোনো তরনী।
ত্রিশ ফাগুনের উৎসবে এক তারার তালে তালে নৃত্য করে আমার মাছরাঙ্গা মন।
বিরহ
বিরহ ?
সেই তো প্রেম যমুনার ওপাড়ে থাকে।
আমি এখনো প্রেম যমুনায় যেতেই পারলাম না। আর বিরহ ?
আমার জন্য বিরহ সে বড় দূরহ ব্যাপার !
স্বপ্নেরা ফিনিক্স পাখি হলে ---
ওদের দুঠোঁটে ফুঁড়ে দিয়েছি বিষাক্ত আলপিন
ওরা আর কিছু বলতে পারবে না...
বিষ ব্যথায় কাতরাতে থাকবে -
শরীর নীলাভ হয়ে যাবে- অবস হয়ে যাবে ।
স্বপ্নেরা ফিনিক্স পাখি হলে- আবার জীবিত হবে।
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪০
অভিলাষ মাহমুদ বাকলিয়া বলেছেন: