নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুলিশের বর্বরতার কারনে নিঃস্ব প্রায় ৪ টি পরিবার । নিহতদের স্বজনদের আর্তনাদে আকাশ বাতাশ ভারী হয় উঠছে।
কালিহাতী হাসপাতালের পাশে প্রদীপ শীলের বাড়ি। একেবারে জরাজীর্ণ ছিন্নভিন্ন ছোট্ট ঘর। সেলুনে কাজ করে সংসার চালাতো। সালেংকার মো. শামীম হোসেন ধানের কলের কুঁড়া সংগ্রহ করে সংসার চালাতো। কালিহাতী উপজেলার কুষ্টিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন।ফারুকের দুই ছেলেমেয়ের একজন প্রতিবন্ধী
।ক'দিন বাদে সৌদি যাওয়ার কথা ছিল রুবেলের। বাবা ফারুক হোসেন ও মা রুপসী বেগমের ৩ ছেলে এক মেয়ের মধ্যে রুবেল ছিল সবার বড়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ পাঠানোর কথা ছিল। বিদেশ নামক শব্দ শুনলেই ভয় পেত সে। আর এ কারণেই তাকে বিদেশের জন্য চাপ দিতো না কেউ। দরিদ্র পরিবারের সন্তান রুবেল সংসার ও নিজের পড়াশোনা চালাতে কাজ করতো কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডের মীম টেলিকমে। ঘটনার দিন শুক্রবার বিকালে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের গুলির শব্দ শুনে দোকান বন্ধ করে ভেতরেই অবস্থান করে দোকান মালিক জিন্নাহ ও রুবেল। গুলির শব্দ থেমে গেলে বাড়ি ফিরছিল রুবেল। রাস্তায় তার পিছনে একটি পুলিশের গাড়ি এসে গুলি চালায়। এ সময় রুবেলসহ ৩ জন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
রুবেলের পিতা কান্না জড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রুবেলের অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। বাড়ি থেকে টাকা জোগাড় করে রাস্তায় যানজট থাকায় ঢাকা পৌঁছতে দেরি হওয়ায় ওইদিন আর তার অপারেশন হয়নি। কোন ডাক্তারও আসেনি। কেউ খোঁজ নেয়নি তার। অবশেষে বিনা চিকিৎসায় মারা গেল পোলাডা। এই বলে তিনি হাউমাউ করে সাংবাদিকদের সামনে কাঁদতে থাকেন।
কালীহাতির বর্বরতা অসভ্যতা নির্মমতা ঘটনাকে শুধুমাত্র সাধারন ধর্ষনের ঘটনা উল্লেখ কর প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে দোষীদের বাচানোর চেষ্টা এখন চলছে ।এই বর্বরতা প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামলে ধর্ষণকারীদের পক্ষে পুলিশ গুলি চালিয়ে 8 জন হত্যা করে।এখন ও চুপ আছেন আমাদের সুশীল বাবুরা, চুপ আছেন আমাদের মহান নারী নেত্রীরা তথা নারীবাদীরা। এর প্রতিবাদে কালিহাতী ছাড়া কোথা কোন প্রতিবাদ হয়নি কারন প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে প্রশাসন ব্যাস্ত।গন মাধ্যম গুলোর ভুমিকা দায়সারা গোছের। প্রতিবাদ বিক্ষোভ করায় হাজার মানুষ আসামী করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানো ও ভাঙচুরের অভিযোগ কালিহাতী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৩০০/৪০০ গ্রামবাসীকে আসামি একটি মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, ঘাটাইল থানার এসআই মোহাম্মদ ওমর ফারুক বাদী হয়ে একই অভিযোগ এনে ঘাটাইলের কালিয়া গ্রাম, হামিদপুর, সালেংকা, আঠারদানাসহ বিভিন্ন গ্রামের ৫০০/৬০০ জন অজ্ঞাত গ্রামবাসীকে আসামি আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।কোন মন্ত্রী ঘটনার জন্য বিবৃতি ও দেননি।তবে কয়েকজন এই নির্মমতার বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন।সাবেক এম পি গোলাম মওলা রনি বলেন " এমন বর্বরতা আাইয়ামে জাহেলিয়াতে ও ঘটেনি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম জাতীয় পত্রিকায় লিখেছেন" মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদাররা ছেলের সামনে মা, স্বামীর সামনে স্ত্রী, ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করত, হত্যা করত। স্বাধীনতার এত বছর পর যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেত্রী, স্পিকার, সংসদ নেতা, উপনেতা, হাটে-ঘাটে-মাঠের প্রকৃত বিরোধী দলের নেতাও নারী, বলতে গেলে নারী নেতৃত্বের স্বর্ণযুগ, তখন উলঙ্গ করে মাকে ধর্ষণ, ছেলের সঙ্গে মায়ের যৌন ক্রিয়ায় বাধ্য করে তাহলে তারা কত বড় জালেম জাহেল অমানুষ, কত বড় পশু। সেই ধর্ষণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামলে ধর্ষণকারীদের পক্ষে পুলিশ যদি গুলি চালায় তার চেয়ে দুর্ভাগ্যের কী হতে পারে? যে কালিহাতীতে হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রত্যক্ষ প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল, সেই কালিহাতীতেই এই জঘন্য ঘটনা! আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ওপর হানাদারদের চেয়েও নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে ৪ হত্যা, অর্ধ শতাধিক আহত।পুলিশের গুলিতে মানুষ মরেছে, অর্ধশত আহত হয়েছে, ঘটনার জন্য দায়ী করে সাধারণ মানুষ গ্রেফতার করা হলো কেন? আসামি হবে পুলিশ, কিন্তু আসামি করা হলো জনগণকে। তাই যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ঈদের আগেই মুক্তি দিতে হবে
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, মাতৃত্বের অপমানকে কেউ মেনে নেবে না। বিবেকসম্পন্ন মানুষ এর প্রতিবাদ করবেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জনগণ রাস্তায় নেমেছে আর তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ সেদিন যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। এর যথাযথ বিচার হলেই কেবল মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসতে পারে। তিনি বলেন, আমি যদি সেদিন কালিহাতীতে উপস্থিত থাকতাম তাহলে আমিও প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতাম।
আসুন আমরা এই প্রতিবাদে শরিক হয় দোষী পুলিশ সহ মুল হোতাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী তুলি। হতাহতদের ক্ষতিপুরন দাবী তুলে একজন দুঃখনী মায়ের পার্শ্বে দাড়াতে রাষ্ট্র তথা সরকারকে বাধ্য করি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মনুআউয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কালীহাতির বর্বরতা অসভ্যতা নির্মমতা ঘটনাকে শুধুমাত্র সাধারন ধর্ষনের ঘটনা উল্লেখ কর প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে দোষীদের বাচানোর চেষ্টা এখন চলছে ।এই বর্বরতা প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামলে ধর্ষণকারীদের পক্ষে পুলিশ গুলি চালিয়ে 8 জন হত্যা করে।এখন ও চুপ আছেন আমাদের সুশীল বাবুরা, চুপ আছেন আমাদের মহান নারী নেত্রীরা তথা নারীবাদীরা। এর প্রতিবাদে কালিহাতী ছাড়া কোথা কোন প্রতিবাদ হয়নি কারন প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে প্রশাসন ব্যাস্ত।গন মাধ্যম গুলোর ভুমিকা দায়সারা গোছের।
লজ্জ্বা ! লজ্জ্বা!
ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, মাতৃত্বের অপমানকে কেউ মেনে নেবে না। বিবেকসম্পন্ন মানুষ এর প্রতিবাদ করবেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জনগণ রাস্তায় নেমেছে আর তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ সেদিন যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। এর যথাযথ বিচার হলেই কেবল মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসতে পারে। তিনি বলেন, আমি যদি সেদিন কালিহাতীতে উপস্থিত থাকতাম তাহলে আমিও প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতাম।
আসুন আমরা এই প্রতিবাদে শরিক হয় দোষী পুলিশ সহ মুল হোতাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী তুলি। হতাহতদের ক্ষতিপুরন দাবী তুলে একজন দুঃখনী মায়ের পার্শ্বে রাষ্ট্র তথা সরকারকে বাধ্য করি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদথ্যাগ দূরে থাক তার শিষ্য ডিআইজি বলে সব গুলির দায়িত্ব নাকি তার!!!
হায় !
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
মনুআউয়াল বলেছেন: পদত্যাগ দূরে থাক,উনি তো বিবৃতি পর্যন্ত দিলেন না
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: পুলিশের কাজ পুলিশ করেছে গুলি করেছে গায়
তাই বলে পুলিশের বিচার বলো কি চাওয়া যায় ?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
মনুআউয়াল বলেছেন: হ্যা তাই তো । আসলে পুলিশের বিচার চওয়াতো অন্যায়
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: নোংড়া মানুষের একটি নোংড়া দেশ!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১
মনুআউয়াল বলেছেন: ভালো মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
রয়াজ বলেছেন: শয়তান ও হতবাক হয়ে যায়। কি নোংরা মানুষ
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯
M Islam বলেছেন: পুলিশ গুলি চালিয়েছে, পুলিশের গুলিতে মানুষ মরেছে, অর্ধশত আহত হয়েছে, ঘটনার জন্য দায়ী করে সাধারণ মানুষ গ্রেফতার করা হলো কেন? আসামি হবে পুলিশ, কিন্তু আসামি করা হলো জনগণকে। তাই যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ঈদের আগেই মুক্তি দিতে হবে।সহমত