নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১২ নভেম্বর ২০১৫ বাবা-মাকে হত্যার ঘটনায় ঐশী রহমানের ফাঁসির আদেশ দেয় ঢাকার একটি দ্রুত বিচার আদালত।বাংলা একটি প্রবাদ আছে " সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে"। এ প্রবাদ বাক্যের মত হয়ত বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে, নেশাকরে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিল ঐশী। হয়ত তার পিতা পুলিশের একজন বড়কর্তা হলেও পারিবারিক শিক্ষার অভাব ছিল যথেষ্ট।
সম্প্রতি রোকসানা ইয়াসমিন রেশনার " ঐশির প্রানভিক্ষা, অত:পর বেঁচে থেকেও প্রতিনিয়ত তিলে তিলে মরা" লেখাটি বাংলা কথায় প্রকাশিত হওয়ার পর সেটি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে। একদিকে অনেকে যেমন ঐশির প্রানভিক্ষা পক্ষে অনেকে জোরাল যুক্তি তুলে ধরছেন অন্যদিকে তাকে কোন ধরনের অনুকম্পা প্রদর্শনের বিপক্ষে অনেকে মতামত ব্যাক্ত করছেন।
এশী আদলত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত আসামী। এটা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই।এখন প্রশ্ন হচ্ছে তার মত একটি উচ্ছল প্রানবন্ত মেয়ে যখন ঘুরে বেড়াবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে, তখন কেন তাকে প্রতি নিশ্বাসে মৃত্যুর দিন গুনতে হবে?। এ দায় কাদের?
আমরা যখন ঐশীর মৃত্যুদন্ডের দাবী তুলি তখন কি ভেবে দেখেছি, ঐশী যে নেশাটি গ্রহণ করতো, সেই নেশার উৎস কোথায় ? কারা এর যোগান দাতা ? সেই নেশা কি শুধু ঐশীই গ্রহণ করেছে? আরও গোপন ঐশী কি আমাদের সমাজে নেই?
আমরা সকলেই কমবেশী জানি কারা এই মরণ নেশার ব্যবসায়ী। কিন্তু পেশী শক্তির ভয়ে হোক বা আমাদের কাপুরুষতায় হোক, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কলম গর্জে ওঠে না। ফলে প্রশ্ন থেকে যায়, ঐশীর বখে যাওয়ার পাপ কি আমাদের স্পর্শ করে না?
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে তিনি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর মৃত্যুদন্ড মওকুফ করার ক্ষমতা রাখেন। অতীতেও রাষ্ট্রপতিরা তাদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের দন্ড মওকুফ করে দিয়েছেন, এমন নজির রয়েছে। বরং অনেকক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিদের এমন সিদ্ধান্তকে মানবিক বিবেচনায় অভিনন্দিত করা হয়েছে।অনেকেই ঐশীর ফাঁসি চাই। এই ব্যাপারে দ্বিমত করার সুযোগ ও কম।
কিন্তু যখন আমরা দেখি একাধিক হত্যা মামলার আসামী অসুস্থতার অজুহাতে ফাঁসির মঞ্চে না নিয়ে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির বিশেষ অনুকম্পা পাওয়ার ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয় তখন প্রশ্ন জাগে ঐশী কেন নয়?
যখন দেখি লক্ষ্মীপুরের বি এন পি নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়া হত্যা মামলায় (চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মামলা নং ৪৮/২০০৩) ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি এএইচএম বিপ্লবের ফাঁসির দন্ড মওকুফ করা হয় তখন ঐশী কেন নয়?
খুন ও সন্ত্রাসের ২৯টি মামলার আসামী ও নব্বইয়ের দশকের আলোচিত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তোফায়েল আহমেদ জোসেফের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায় তার সামনে মাত্র একটি মামলা আছে। ধারনা করা হয় তার মুক্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাহলে ঐশী কেন নয়?
ঐশী এই অবস্থার জন্য রাষ্ট্রের অক্ষমতা অনেকাংশ দায়ী। আর এই অক্ষমতাকে আড়াল করতে হয়ত ঐশীর ফাঁসির কোনো বিকল্প রাষ্ট্রের হাতে নেই। তাই তার প্রানভিক্ষা বা শাস্তি মওকুফকের দাবী একধরনের বিলাসিতা বৈকি।
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৫
মনুআউয়াল বলেছেন: হতে পারে
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: ঐশির ফাঁসির চেয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ জরুরী দরকার।
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৬
মনুআউয়াল বলেছেন: সহমত
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: বাংলাদেশে নারীদের মৃত্যুদন্ড সহজে হয় না
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশে নারীদের মৃত্যুদন্ড সহজে হয় না। হয়তো উচ্চ আদালতে গিয়ে যাবজ্জীবন হয়ে যাবে। আরো অনেক বছর লাগবে চূড়ান্ত রায় আসতে...