নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজিত হত্যা মামলার রায়ে ক্ষুব্ধ-বিস্মিত তার ভাই উত্তম দাস। রবিবার (০৬ আগস্ট) চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার পরপরই এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা কেমন রায় হলো! এমনটা তো আমরা চাইনি। এটা বিচার না খেলা? আগের আদালত আট জনকে ফাঁসি দিলো। আর এখন দিলো মাত্র দুই জনকে। তাহলে আগের বিচারক কী দেখে রায় দিলেন।’
নিম্ন আদালতের সঙ্গে উচ্চ আদালতের রায়ের পার্থক্য তুলে ধরে বিস্ময় প্রকাশ করে উত্তম দাস বলেন, ‘দুই রায়ে এত পার্থক্য হয় কিভাবে! এখন দেখি চারজনকে খালাসও দেওয়া হয়েছে। তার মানে এই চারজন জড়িত ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত রায় দিলেন, কী বলব। অনেকেই জানতে চেয়েছেন খুশি হয়েছি কি না? এটা কি খুশি হওয়ার মতো রায়? কী বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমি তো বিশ্বজিতের ভাই। সাধারণ জনগণকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করুন এ রায়ে তারা খুশি নাকি। আমি তো বলব আমি খুশি নই। আমার আরও চাই।’ সেদিনের সেই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এখানে তো লুকোচুরি করার কিছু নাই। সাক্ষী-প্রমাণ বানানো বা সাজানোও নয়। সব চোখের দেখা, বাস্তবের মতো। ভিডিও ফুটেজ আছে, ছবি আছে। তারপরও দুই রায়ে এত বেশ কম।’
বিচারিক প্রক্রিয়ার তো আরও ধাপ আছে-মনে করিয়ে দিলে উত্তম দাস বলেন, ‘আর ধাপ! এই বিচারের যদি এত ধাপ লাগে, তাহলে মানুষ অন্যায় করবে না কেন? আমার মনে হয় টাকা থাকলে সব ধাপ পার করা যায়। টাকা-পয়সা খরচ করতে পারলে মনে হয় আমরাও অনেকদূর যেতে পারতাম।’ আপিল করার মতো ক্ষমতা তাদের নেই জানিয়ে তিনি বিষয়টি সরকারের হাতে ছেড়ে দেন।
বিশ্বজিতের মা কল্পনা রানী দাস বলেন, ‘এই রায় কেমনে হয়। আমার বিশ্বজিতরে কুপায়া মারল, সবাই দেখল। ভাবছিলাম সবার ফাঁসি হইব। কিন্তু হইল না। এই রায় কেমনে মানি?।’
বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত দাস বলেন, ‘সারা দিন না খায়া, টেলিভিশনের সামনে বইসা ছিলাম রায় দেখার জন্য। কিন্তু এইটা কী রায় দেখলাম? সারা পৃথিবীর মানুষ দেখলো তারে কীভাবে কুপায়া মারছে, সেখানে কীভাবে দুই জনের ফাঁসি হয়। তাহলে বাকি আসামিদের কেন ফাঁসি হইল না। আমরা তো ন্যায়বিচার পাইলাম না।’
‘সরকারের কাছে দাবি থাকবে, তারা যেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে আগের রায় বহাল রাখার ব্যবস্থা করে’ণ্ডক্ষোভের সঙ্গে বলেন বিশ্বজিতের বাবা।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
প্রোলার্ড বলেছেন: বিশ্বজিত মনে হয় শিবিরের লোক ছিল, বিএনপি পন্থী তথা আওয়ামী পরিপন্থী মনোভাবের ছিল ।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ইসলামী আইনে এক্ষেত্রে সবার ফাসি হলেও বাংলাদেশের আইনে সম্ভবত শুধু মূল খুনীদের ফাসি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে একজনকে খুনের জন্য আটজনের ফাসি হওয়াটা বিরল ঘটনা। খালাসের বিষয়টি বোধগম্য হয় নি।
বিচারের রায় হাতে পেলে বোঝা যাবে। এক্ষেত্রে বিচারের রায়ের সমালোচনা করতে হলে তা করতে বাংলাদেশের সার্বিক বিচার ব্যবস্থা নিয়ে, বিচ্ছিন্ন কোন একটি বিচার নিয়ে নয়।
প্রসংগক্রমে উল্লেখ করছি যে সৌদি আরবে যখন এরকম ভাবে অনেকের মৃত্যদন্ড কার্যকর হয় তখন বাংলাদেশে অনেকেই এর সমালোচনা করে থাকেন। কিন্তু নৃশংস হত্যাকান্ডে যারা জড়িত তাদের ফাসি হওয়াটাই ন্যায় বিচার।
এখন ফাসি কার্যকর করাটাই চ্যালেন্জ্ঞ। বাংলাদেশে বেশীর ভাগ ফাসির রায় প্রাপ্ত আসামী থাকে পলাতক যারা বিদেশে গিয়ে আরামে আয়েশে দিন কাটায়। কিছু ক্ষেত্রে আবার ফাসির আসামীরা রাজনৈতিক বিবেচনায় ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি ভাবছি যে দু'জনের ফাঁসী হয়েছে, তারাও কবে সাধারন ক্ষমায় আওতায় আসবে!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
ধুতরার ফুল বলেছেন: ফুটেজে দেখা যাচ্ছে কয়েকজনে কোপাচ্ছে, আর ফাসি হল দুই জনের!! আফসোস শুধু বিশ্বজিৎ আর তার বাবা মার জন্য।