![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেককে (একদিন) মরতে হবে এবং অবশেষে তোমাদের আমার কাছে ফিরে আসতে হবে - আনকাবূত ৫৭।
আমার উম্মতের (পার্থিব) জীবন ৬০ থেকে ৭০ বছরের। খুব কমই এর বেশী বাঁচবে - রাসুলুল্লাহ সা:, তিরমিযী।
'প্রতিদিনই আমরা আমাদের মতো মানুষকে মরতে দেখি, কিন্তু নিজেদের মৃত্যুর কথা ভুলে যাই' - আলী রা:।
.১.
অনেকদিন ব্লগে লেখা হয়না ব্যস্ততার কারনে। গতকাল বুয়েটের প্রিয় বন্ধু নাঈমের স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে খুব খারাপ লাগল। নাঈম বিয়ে করেছিল খুব সম্ভবত: বুয়েটে যখন আমরা দ্বিতীয় বর্ষে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি পূত্র সন্তান জন্ম দিয়ে ভাবী ২৩ অক্টোবর মারা যান (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন - নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তারই নিকট প্রত্যআবর্তনকারী)। বেচারা নাঈমের এখন ১ মাস বয়সী এই পূত্র সন্তান এবং এর আগের ৬ ও ৯ বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তানের যত্ন নিতে হবে। নাঈমের বাবা-মা মারা গেছেন বেশ ক'বছর আগে।
.২.
নাঈমকে ই-মেইলে সান্তনা দিয়ে কাজ শেষে বাসায় ফিরে গেলাম। মাগরিবের নামায শেষে বাসায় এসে শুনলাম - আব্বা বাংলাদেশ থেকে ফোন করেছিল - দাদী মারা গেছে (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন - নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তারই নিকট প্রত্যআবর্তনকারী)। এরকম একটা খবরের জন্য মানসিক প্রস্তুতি ছিল - কারন দাদী গত ২-৩ বছর যাবত শয্যাশায়ী। বয়স আশি-নব্বয়ের কোটায়। আমরা বড় হয়ে দেখেছি দাদীর চোখে দেখা ও কানে শোনা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা দিন দিন বেড়েছে। বাইরে পড়তে আসার আগে দাদী বলেছিল, আর কত পড়া লেখা? তখনও হাঁটতে চলতে পারতো। পরে বিভিন্ন রোগে শয্যাশায়ী। আজ আম্মা ফোনে বলল, প্রথম নাতী হিসেবে দাদী আমাকে এত বেশী আদর করতো যে, আমার বাইরে থাকাটা অনেকটা অপছন্দ করত। সবসময় আমার জন্য দোয়া করতো।
সেই দাদীকে হারালাম বিপদে যে আমার আশ্রয় ছিল। আম্মা-আব্বার বকাঝকা বা মারের পরে দাদী ছিল সান্ত্বনা। আজ বড় হয়েছি, আম্মা-আব্বার শাসন নেই, সে জন্য হয়ত: দাদীর আর প্রয়োজন নেই! কিন্তু আজ আমি মনে মনে বড়ই শূন্যতা অনুভব করছি। বিদেশে থাকার কারনে, দাদীকে গত বছর পাঁচেক দেখিনি। ইচ্ছা ছিল এবার দেশে গিয়ে দেখবো, আমার ছেলে-মেয়েরা প্রথম বারের মতো দেখবে - আর মাত্র ২-৩ সপ্তাহ পরে!
.৩.
এখানে অস্ট্রেলিয়ায় মানুষের মৃত্যু সংবাদ মাঝে মাঝে পাই। কিন্তু সময়ের অভাবে জানাযা পড়া হয়না। গত ৫ বছরে একটি মাত্র জানাযা পড়েছি। পিএইচডি করার সময় পাকিস্তানী মানছুরের মেয়ে শেযা ৬-৭ মাস বয়সে (খুব সম্ভবত) মারা গিয়েছে। শেযা আমার মেয়ের সমবয়সী। আমরা কয়েকজন কান্ট্রিসাইড থেকে মেলবোর্ন এসেছি জানাযা ও কবর দিতে। একটি কবরে চারজন বাচ্চা কবর দেয়া হয়। জানাযা শেষে সন্ধ্যা নাগাদ ফিরে গিয়েছি। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে মানছুর ও ভাবী শোকাভিবূত ছিলেন অনেকদিন। আমার মেয়েকে দেখলে বেশ আদর করতেন।
.বন্ধুরা, আমাদেরও মরতে হবে.
দুনিয়ায় এমন কেউ নাই যে মৃত্যুর মতো এই সত্যটিকে উপেক্ষা করতে পারেন। স্রষ্টায় বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কেউ বলতে পারবে না - আমি অনন্তকাল ধরে বেঁচে থাকবো। তবে বিশ্বাসীদের মতে, এই জীবনের পরেও আরেকটি জীবন আছে। তাই আমাদের সে জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন, কবর হলো পরকালীন দুনিয়ার প্রথম ধাপ (আমলের প্রথম ইন্টারোগেশন)। যে কেউ এখানে পাশ করলো, তার পরের ধাপগুলো সহজ হয়ে যাবে। যে কেউ এখানে ফেল করলো, তার পরের ধাপগুলো কঠিন হয়ে যাবে। - তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্, হাকীম।
দেখুন, দাদী বৃদ্ধা, নাঈম ভাবী মাঝবয়সী, আর শেযা মাত্র এ পৃথিবীর আলো দেখেছে। যে কারো ডাক যেকোন সময় আসতে পারে। বয়স কোন ফ্যাক্টর নয়। তাই আসুন আমরা সবাই এই শাশ্বত: সত্যের জন্য প্রস্তুতি নিই।
পরিশেষে, যারা মারা গেছেন, আল্লাহ কাছে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। পরকালের যাত্রার জন্য আমাদের সকলের প্রস্তুতি যেন ভালভাবে হয় সে দোয়া করি।
(ছবিসূত্র: গুগল)
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৪২
মো: মোফাচ্ছির হোসেন বলেছেন: মৃত্যু একটি চিরন্তন সত্য। মৃত্যুর পর সবাইকে আবার পুনরুজ্জীবিত হতে হবে এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট আমাদের কৃতকর্মের জবাবদিহি করতে হবে। এই ভাবনাটা মানুষকে আদর্শবান করে গড়ে তুলতে ভীষণ সহায়তা করে।
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৪৮
দন্ডিত বলেছেন: অনেক দিন পর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এককালের ডাকসাইটে শিবিরনেত আওরঙ্গছাগুরে দেখলাম। গদাম লাথি সহ মাইনাস>
২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫২
আওরঙ্গজেব বলেছেন: সাবধান, আপনার পায়ে যাতে ময়লা না লাগে। ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৪৮
আওরঙ্গজেব বলেছেন: রেট না করে, মন্তব্য লিখলে বেশি ভালো হবে, ধন্যবাদ।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হিডেন ম্যাসেজ ধরতে পারসি। লাব নাই, তু রাজাকার হ্যায়।
২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫২
আওরঙ্গজেব বলেছেন: হিডেন মেসেজ বুঝতে পারলেই হলো। আসুন প্রস্তুতি নিই। ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:০৩
শয়তান বলেছেন: পাকি বন্ধুও দেখি আছে
২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১৩
আওরঙ্গজেব বলেছেন: পাকি, নাপাকি (ভারতীয়), মালে, অসি সব আছে। লাগবে?
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:০৭
আবদুল হক বলেছেন: লেখার সঙ্গে এ যাবৎ প্রদত্ত মন্তব্যগুলো সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিষয়টা খারাপ লাগছে। একটা কথা আছে কে বলছে না দেখে কী বলছে দেখো। আর শালীনতাকে যাঁরা অতিক্রম করছেন, রাজাকার না দেশপ্রেমিক তার আগে নিজের বিচারবুদ্ধিকে প্রশ্ন করে দেখুন আপনি কতোখানি মানুষ!
লেখকের প্রিয়জনদের জন্যে শোক প্রকাশ করছি।
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১০
মায়া নেকড়ে বলেছেন: সমবেদনা, ১. আর ২. এর জন্য।
তবে আজকেই উদয় হয়ে ডাইভার্সন তৈরী করে মানুষের সমবেদানা শিবির গুলার দিকে নেবার চেষ্টাকে গদ্দাম সহকারে মাইনাস। ধন্যবাদ উলঙ্গজীব। ভালো থাকবেন (স্টিলের আন্ডু পরে)।
২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১৬
আওরঙ্গজেব বলেছেন: আল্লাহ সব অবিচারের সঠিক বিচার করবেন। এনিয়ে মন্তব্য করতে চাইনা।
৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২৩
েমেহদী হাসান বলেছেন:
সব বুঝলাম কিন্তু কিন্তু ছবিতে নরপিশাচের কবর খনন দেখতে পেলাম।ওটা তো মুসলমানদের কবর খনন না।এছাড়া এগুলো ক্রিমিনালের মত উক্তি কার।বাকিটা বানান গল্প।এছাড়া আমি বা আমরা মরতে চাইনা।কোন সিরিয়াল কিলারের হাতে।কারন তারা এভাবে মানুষ জ্যন্ত পুঁতে গুম করে।বহু কষ্ট পেয়েছি,লঞ্চিত করে আজ পর্যন্ত জীবন দুঃখের করে রেখেছে।মরতে তো হবেই একদিন।কিন্তু সাউন্ড অস্ত্রদিয়ে বা ভয় দেখিয়ে নেংটা জোড়া দেয়া ছবি ছাপিয়ে খুন করার যে ঘৃন্য চক্রন্ত তা কিন্তু পরিষ্কার।এছাড়া তারা আত্নহত্যা করাতে রাজি করায়।।এছাড়া রোবট দিয়ে খুন করাবার জঘন্য যে সকল চক্রান্ত তা কিন্তু অতি জঘন্য।যা পোস্টটি দেখে মনে হল।
ওহ আর পোস্ট ওরকম কেন -কারন ইনফ্রাসনিক সাউন্ড আঘাত করেছে।
১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:০৪
রাতমজুর বলেছেন:
শেষমেষ পবিত্র আল-কুরআন হৈল শিবিরের ঢাল!
২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৭
আওরঙ্গজেব বলেছেন: যদি বিশ্বাস করেন, আল-কোরআন পবিত্র, তবে আপনাকেও এটা ফলো করা উচিত এবং ঢাল হিসেবে রাখা উচিত। নতুবা ...।
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
আমি আমার বলেছেন: "এই জীবনের পরেও আরেকটি জীবন আছে। তাই আমাদের সে জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।"
সত্য কথা ভাল না লাগলেও তাসত্য কথা-
পাপকে ঘৃনা কর পাপি কে নয়
লেখক বলেছেন: আল্লাহ সব অবিচারের সঠিক বিচার করবেন।
আমি ভালতো দুনিয়া ভাল
১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩
লুথা বলেছেন:
যেসব পিশাচ এইরকম পোস্টেও মাইনাস দেয়, বাজে কথা বলে, তাদের জন্ম পরিচয় নিয়ে আমার সন্দেহ আছে...
সবাইকেই মরতে হবে, আল্লাহ এর কাছে সবাইকেই জবাবদিহি করতে হবে
১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:১৭
ফজলে এলাহি বলেছেন: মৃত্যু!
বেদনায় ভরা
কিন্তু ধরে রাখতে পারিনা দীর্ঘদিন।
শিক্ষায় ভরা
কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনা জীবন কালে।
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১০
ফারজানা মাহবুবা বলেছেন: ছোট ছোট বাচ্চাগুলো রেখে আপনার বন্ধুর স্ত্রী মারা গেলেন! বাচ্চাগুলো'র কী হবে!!
১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২০
আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: হিডেন ম্যাসেজ ধরতে পারসি। লাব নাই, তু রাজাকার হ্যায়।
১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আবদুল হক বলেছেন: লেখার সঙ্গে এ যাবৎ প্রদত্ত মন্তব্যগুলো সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিষয়টা খারাপ লাগছে। একটা কথা আছে কে বলছে না দেখে কী বলছে দেখো। আর শালীনতাকে যাঁরা অতিক্রম করছেন, রাজাকার না দেশপ্রেমিক তার আগে নিজের বিচারবুদ্ধিকে প্রশ্ন করে দেখুন আপনি কতোখানি মানুষ!
লেখকের প্রিয়জনদের জন্যে শোক প্রকাশ করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৩৯
হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: সকলকেই মারা যেতে হবে, এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সত্যি। আজ বিডিআর এর ঘটনায় মৃতদের নিয়ে ভিডিও দেখছিলাম। "আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া, করিতে পারিনি চিৎকার!"