![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি সময় দেখা যেত কাজীনজরুল ইসলামের একটি মন্তব্য নিয়ে
অনেকেই বিভ্রান্তমূলক একটি ধর্মজাল সৃষ্টি করেছিলেন । তথাকথিত অনেকেই এই কাজটি করেছেন ইচ্ছাকৃত ভাবে । আর সেটা হল ইচ্ছা করে সাহিত্য থেকে আদর্শ বলে যে বিষয়টা আছে তাকে ছেঁটে ফেলার জন্য । আবার দেখাগেছে অনেকে না বুঝেও কাজীনজরুল ইসলামের মন্তব্যটি তুলে ধরতেন ।
মন্তব্যটি হলঃ ইবরাহীম খাঁর সেই গুরুত্বপূর্ন ও ঐতিহাসিক চিঠির জবাবে নজরুল একটি জায়গায় লেখেছিলেনঃ ( ইসলাম ধর্মের সত্যকে নিয়ে কাব্য রচনা চলতে পারে কিন্তু তার শাস্ত্রকে নিয়ে নয় । শুধু ইসলাম কেন কোন ধর্মেরই শাস্ত্র নিয়ে কোন কাব্য লেখা চলে বলে বিশ্বাস করি না । ইসলামের সত্যিকার প্রাণশক্তি গণশক্তি ও গণতন্ত্রবাদ এবং সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ও সমানধিকার । ইসলামের এই অভিনবত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব আমি তো স্বীকার করিই তাছাড়াও যারা ইসলাম ধর্মবলম্বী নন একথা তারাও স্বীকার করেন । ইসলামের এই মহান সত্যকে কেন্দ্র করে শুধু কাব্য কেন মহাকাব্যও সৃষ্টি করা যেতে পারে । আমিতো ক্ষুদ্র কবি আর আমার বহু লেখার মধ্য দিয়ে আমি ইসলামের এই মহিমাগান করেছি । তবে কাব্যকে ছাপিয়ে ওঠেনি সে গানের সুর । আর উঠতে পারেও না । তাহলে তা কাব্য হবে না । আমার বিশ্বাস কাব্যকে ছাপিয়ে উদ্দেশ্য বড় হয়ে উঠলে কব্যের হানি হয় । )
কাজীনজরুল ইসলামের ওপরের এই বক্তব্যের জন্য ( ইসলামধর্মের সত্য নিয়ে কাব্যরচনা করা চলতে পারে কিন্তু তার শাস্ত্রকে নিয়ে না ) কেবল এই অংশটুক তুলে ধরতেন এক শ্রেণীর লেখক ও সমালোচকেরা এমনকি অনেক বক্তারাও বেশ কৌতুকের সাথে তুলে ধরতেন ।
না নজরুলের ভাবনা বা তার মন্তব্যটুকোর ভিতরে দোষের কিছু দেখলাম না । আমার সাধার জ্ঞান হিসেবে আমি যা বুঝি বং কাজীনজরুল ইসলাম এখানে প্রতেক ধর্মের মানুষকেই মিথ্যে বিভ্রান্ত থেকে সতর্ক করে দিয়েছেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৪
হলুদ বাঁশ বলেছেন: কাজী নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যে অবহেলিত বলে মনে হয়। আমি যখন (২০১১) বাংলায় ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেছি তখন খুবই কম নম্বরের পরীক্ষা হতো নজরুলের ওপর।