নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৪র্থ পর্ব

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২২



আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) প্রথম পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ২য় পর্ব
আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৩য় পর্ব

জেনগিদের বিরুদ্ধে বিজয়ের পর সালাহউদ্দিন নিজেকে রাজা ঘোষণা করলেন । সালিহর নাম জুম্মার খুতবা এবং মুদ্রা থেকে বাদ দেওয়া হয় । বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা সালাহউদ্দিনের ক্ষমতাপ্রাপ্তিকে স্বাগত জানান এবং তাকে মিশর ও সিরিয়ার সুলতান হিসেবে ঘোষণা করা হয় । আইয়ুবী এবং জেনগিদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই হামার যুদ্ধের পর শেষ হয়ে যায়নি । সাইফউদ্দিন ক্ষুদ্র রাজ্য দিয়ারবাকির এবং জাজিরা থেকে সেনা সংগ্রহ করার সময় সালাহউদ্দিন মিশর থেকে ব্যাপক সেনা সমাবেশ করেন । তিনি আলেপ্পো থেকে ২৫ কিঃমিঃ দূরে তিল সুলতানে পৌছান এবং সেখানে সাইফউদ্দিনের সেনাদের সাথে লড়াই করেন । জেনগিরা সালাহউদ্দিনের বাহিনির বাম অংশকে ভেঙে ফেলতে সক্ষম হন । এসময় সালাহউদ্দিন জেনগিদের প্রধান অংশকে আক্রমণ করেন । জেনগি সেনারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন । সাইফউদ্দিনের অধিকাংশ অফিসাররা নিহত বা বন্দী হয়ে যায় । সাইফউদ্দিন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । জেনগি সেনা ক্যাম্প ঘোড়া মালামাল তাবু ইত্যাদি আইয়ুবীদের হস্তগত হয়ে যায় । যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয় । তাছাড়াও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সেনাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয় । সালাহউদ্দিন নিজের জন্যও কিছু রাখেননি । তিনি আল্লেপোর দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন । যাত্রাপথে তার সেনারা বুজা এবং এরপর মানবিজ অধিকার করেন । সেখান থেকে তারা পশ্চিমে আজাজ দুর্গ অবরোধের জন্য এগিয়ে যান । কয়েকদিন পর সালাহউদ্দিন তার এক সেনাপতির তাবুতে বিশ্রাম নেয়ার সময় এক হাশাশিন তাকে ছুরি দিয়ে মাথায় আক্রমণ করেন । তার শিরস্ত্রাণের ফলে হামলা সফল হয়নি । তিনি হামলাকারীকে ধরে ফেলেন । আততায়ীকে হত্যা করা হয় । এ ঘটনার জন্য তিনি গুমুশতিগিনকে দায়ী করেন এবং অবরোধে শক্তিবৃদ্ধি করেন । ২১ জুন আজাজ অধিকৃত হয় এবং গুমুশতিগিনকে মোকাবেলা করার জন্য সালাহউদ্দদিন তার সেনাদেরকে আলেপ্পোর দিকে পাঠেয়ে দেন । তার হামলা তখনও প্রতিহত করা হয় । তিনি একটি সন্ধি এবং আলেপ্পোর সাথে পারস্পরিক মিত্রতা স্থাপন করেন । এতে গুমুশতিগিন এবং সালিহকে শহরে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে হয় এবং এর বিনিময়ে তারা সালাহউদ্দিনকে তার অধিকৃত সকল এলাকায় সার্বভৌম হিসেবে মেনে নেন । মারদিন এবং কাইফার আমিররাও সালাহউদ্দিনকে সিরিয়ার রাজা হিসেবে মেনে নেন ।


হাশাশিনদের সাথে দ্বন্দ্বের ঘটনা

সালাহউদ্দিন তার প্রতিপক্ষ জেনগি এবং জেরুজালেম রাজ্যের ১১৭৫ সালের গ্রীষ্মে অধিকার করে নেন সাথে চুক্তিতে আসলেও রশিদউদ্দিন সিনানের নেতৃত্বাধীন হাশাশিনদের হুমকির সম্মুখীনও হন । নুসাইরিয়া পর্বতমালায় তাদের ঘাটি অবস্থিত । তারা নয়টি দুর্গ নিয়ন্ত্রণ করতেন । সেগুলো সবই উচ্চভূমিতে অবস্থিত ছিল । সালাহউদ্দিন ১১৭৬ সালে আগস্ট মাসে নুসাইরিয়া রেঞ্জে তার সেনাবাহিনীকে নিয়ে যান । একই মাসে তাদের আবার ব্যর্থ হয়ে পিছু হটতে হয় । অধিকাংশ মুসলিম ইতিহাসবিদদের মতামত অনুযায়ী সালাহউদ্দিনের চাচা হামার গভর্নর সিনান এবং সালাহউদ্দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতা করেন ।হাশাশিনদের গুপ্ত ঘাটি আক্রমণ করার পরে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । তিনি তার রক্ষীদের সংযোগ আলো সরবরাহ করান এবং তার তাবুর চারপাশে খড়ি ও কয়লা ছিটিয়ে দেওয়া হয় যাতে করে সহজেই হাশাশিনদের পদচিহ্ন সনাক্ত করা যায় । এই বিবরণ অনুযায়ী একরাতে সালাহউদ্দিনের রক্ষীরা মাসাইফ পাহাড়ে আলোর স্ফুলিংগ দেখতে পায় এবং তা আইয়ুবী তাবুর মধ্যে হারিয়ে যায় । এসময় সালাহউদ্দিন জেগে উঠে কাউকে তার তাবু থেকে বের হয়ে যেতে দেখতে পান । তার বিছানার পাশে বিষাক্ত ছুরির সাথে গেথে দেয়া একটি বার্তা পান । আর তাতে লেখা ছিল যে তিনি যদি তার এই অভিযান বন্ধ না করেন তাহলে তার জন্য তাকে মরতে হতে পারে । সালাহউদ্দিন চিৎকার দিয়ে উঠেন এবং দাবি করেন সিনান নিজেই তার তাবুতে এসেছিল । অন্য একটি তথ্য অনুযায়ী সালাহউদ্দিন তার সেনাদের সরিয়ে নিয়েছিলেন কারণ সে সময় লেবানন পর্বতের কাছে একটি ক্রুসেডার দলকে প্রতিহত করা খুব জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ছিল । হাশাশিনরা তার সাথে একপ্রকার মিত্রতা স্থাপন করতে চান । ক্রুসেডারদের বিতাড়নে পারস্পরিক লাভ আছে বিবেচনা করে সালাহউদ্দিন এবং সিনান তারপর সহযোগীতার সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং সালাহউদ্দিনের সেনাদের শক্তিবৃদ্ধির জন্য কিছু লড়াইয়ে সিনান সেনাসরবরাহ করেন ।



নুসাইরিয়া পর্বত ত্যাগের পর সালাহউদ্দিন দামেস্কে ফিরে যান । তার সিরিয়ান সেনারা বাড়ি ফিরে আসে । তিনি তুরান শাহকে সিরিয়ার দায়িত্ব দেন এবং ব্যক্তিগত লোকদের নিয়ে মিশরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন । ২২ সেপ্টেম্বর তিনি কায়রো পৌছেন । দুই বছর অনুপস্থিত থাকার পর ফিরে আসায় মিশরকে সংগঠিত এবং তদারক করার জন্য তার অনেক সময় ব্যয় করতে হয় । শহরের প্রতিরক্ষা মজবুত করেন । শহরের দেয়াল সংস্কার করা হয় এবং বর্ধিত অংশ তৈরী করেন । সেসময় কায়রো দুর্গের নির্মাণ শুরু করা হয়েছিল । ২৮০ ফুট ৮৫ মিঃ গভীর বীর ইউসুফ বা ইউসুফের কুয়া বলা হয় যাকে সে কুয়া সালাহউদ্দিনের নির্দেশেই খনন করা হয়েছিল বা হয় । কায়রোর বাইরে নির্মিত প্রধান স্থাপনা ছিল গিজার বড় সেতু । মুরিশ আক্রমণ ঠেকাতে তখন প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে এটি নির্মিত হয়েছিল ।

এর পর সালাহউদ্দিন কায়রোর উন্নয়ন সাধন করেন । সেখানে তলোয়ার প্রস্তুতকারকদের শিক্ষালয় স্থাপন করেন । রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক আদেশ এখান থেকে দেওয়া হত । ১১৭৭ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ফিলিস্তিনে আক্রমণ পরিচালনা করেন । ক্রুসেডাররা সম্প্রতি দামেস্কের অঞ্চলের ভেতর আক্রমণ চালান । ফলে সালাহউদ্দিন চুক্তি আর বলবত নেই ধরে নেওয়া হয় । আলেপ্পোর উত্তরে হারিমের দুর্গ দখলের জন্য ক্রুসেডাররা বড় আকারের একটি সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন । ফলে দক্ষিণ ফিলিস্তিনে কম সংখ্যক প্রতিরক্ষাকারী অবস্থান করছিলেন । সালাহউদ্দিন অবস্থা অনুকূল বিবেচনা করেন আসকালন যাত্রা করেন । একে তিনি সিরিয়ার বধু বলতেন । উইলিয়াম অব টায়ারের বিবরণ অনুয়ায়ী আইয়ুবী সেনাবাহিনীতে মোট ২৬০০০ সেনা ছিল আদের ৮০০০ ছিল বিশেষ সৈনিক আর ১৮০০০ সুদানের কালো সৈনিক । সেনাবাহিনী গ্রামাঞ্চলের দিকে এগিয়ে গিয়ে রামলা এবং লুদ আক্রমণ করেন এবং তাদের জেরুজালেমের ফটক পরন্ত তাড়িয়ে নেন ।




তথ্য গুগল এবং বিভিন্ন ইন্টারনেট বা ওয়েব সাইট ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই ।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ইতিহাস পড়তে ভালই লাগে । আরো বেশি বেশি লেখুন ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । চেষ্টা করমু আপনেরা পাশে থাইকেন ।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৯

আমি মিন্টু বলেছেন: এগুলো সেই অশিক্ষিত কলা পাতায় লেখা বা প্রচীণ যুগের ইতিহাস :)
ভালো ভালো লেখে চলুন ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: মিন্টু ভাই মানব সমরাজ্রে এগুলোই আসল ইতিহাস আপনি পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো ।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামে শুরু থেকেই নিজেদের ভেতর এত হানাহানি ছিল?
এখনো তো একই অবস্থা ..।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হু ঠিক কইছেন ভালর ভিতরে কিছু খারাপ থেকে সব সময় ভালোকে খারাপ করতে চায় । তেমনি ইসলামের শুরু থেকেই
ইসলামের শত্রুরা ইসলামের পিঁছনে লেগে আছে শুধু ইসলামকে বিকিত করার জন্য ।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: সুলতান সালাহউদ্দিন নিয়ে অনেক আগে একবার পড়েছিলাম।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ হু ভাই ইতিহাস যত পড়া হয় ততয় আরো পড়তে ইচ্ছা করে ।

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

কালের সময় বলেছেন: দারুন সব ইতিহাস ভালো লগলো ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.