নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৭র্থ পর্ব

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২



আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) প্রথম পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ২য় পর্ব
আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৩য় পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৪র্থ পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৫ম পর্ব
আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৬র্থ পর্ব

সালাহউদ্দিন মসুলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে তাকে এত বড় শহর জয় করার কথাও চিন্তা করতে হয়েছে । মসুলের জেনগিরা আব্বাসীয় খলিফা আন নাসিরের কাছে আবেদন নিয়ে যান । নাসিরের উজির তাদের সমর্থন দিলেন । আন নাসির উঁচ্চ পদস্থ ধর্মীয় নেতা নাসির বদর আল বদরকে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য পাঠিয়ে দেন । সালাহউদ্দিন ১১৮২ সালের ১০ নভেম্বর শহরে পৌছান । ইজ্জউদ্দিন তার শর্ত স্বীকার করেন নাই । সালাহউদ্দিন এরপর শহর অবরোধ করে দেন । কয়েকটি খন্ড লড়াই এবং খলিফা কর্তৃক অবরোধে অচলাবস্থা সৃষ্টির পর সালাহউদ্দিন নিজ সম্মান হানি না করে ও সামরিক চাপ বজায় রেখে পেছনে সরে আসার ব্যাপারে চিন্তা করেন । তিনি সিনজার আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন । এটি ইজ্জউদ্দিনের ভাই শরফউদ্দিনের অধীনে ছিল । ১৫ দিন অবরোধের পর ৩০ ডিসেম্বর এর পতন হলো । সালাহউদ্দিনের কমান্ডার এবং সৈনিকরা শৃঙ্খলা ভেঙে শহর লুট শুরু করেন । সালাহউদ্দিন গভর্নর এবং তার কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য মসুলে পাঠিয়ে দিলেন । সিনজারে গেরিসন প্রতিষ্ঠার পর তিনি ইজ্জউদ্দিন কর্তৃক গঠিত আলেপ্পো মারদিন ও আর্মেনিয়ার বাহিনীর সম্মিলিত সেনাদলের অপেক্ষায় থাকেন । সালাহউদ্দিন ও তার সেনাবাহিনী হারানে ১১৮৩ সালের ফেব্রুয়ারি এদের সাক্ষাত পেলেন । কিন্তু তার অগ্রসর হওয়ার সংবাদ শুনেও তারা শান্তি প্রস্তাব পাঠায় । প্রতিটি সেনাদল তাদের শহরে চলে যান । আল ফাদিল লিখেছিলেন তারা ইজ্জউদ্দিনের সম্মিলিত বাহিনী পুরুষের মত এগিয়ে আসে নারীদের মত গায়েব হয়ে যায় । ২ মার্চ মিশর থেকে আল আদিল চিঠিতে সালাহউদ্দিনকে জানান যে ক্রুসেডাররা ইসলামের কেন্দ্রস্থলে আক্রমণ করেছে । রেনল্ড ডা শাটিলন আকাবা উপসাগর আকাবা উপসাগরে লোহিত সাগর তীরের শহর এবং গ্রাম আক্রমণের জন্য নৌবহর পাঠিয়েছিলেন । এটি সমুদ্রে প্রভাব বৃদ্ধি বা বাণিজ্য পথ দখলের প্রচেষ্টা ছিল না বরং এক প্রকার দস্যুতা ছিল । ইমাদউদ্দিন লিখেছেন যে এই আক্রমণ মুসলিমদের জন্য ভীতিকর ছিল কারণ তারা সমুদ্র পথে আক্রমণে অভ্যস্থ ছিলেন না । ইবনে আল আসিরের মতে স্থানীয় অধিবাসীদের ধারণা ছিলনা যে ক্রুসেডাররা যোদ্ধা না বণিক ।ইবনে জুবায়ের বলেছেন যে ক্রুসেডাররা ষোলটি মুসলিম জাহাজ জালিয়ে দিয়েছে । তারপর একটি হজ্জযাত্রীদের জাহাজ এবং আইদাবে একটি ক্যারাভান দখল করা হয়েছিল । তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে তাদের মদিনা আক্রমণের পরিকল্পনা এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শরীর সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনাও ছিল । আল মাকরিজি যোগ করেন যে ক্রুসেডাররা তার মাজার ক্রুসেডার অঞ্চলে স্থানান্তরিত করতে চাইছিল যাতে করে মুসলিমদের সেখানে গিয়ে তা জেয়ারত করতে হয় । আল আদিল একজন আর্মেনীয় যোদ্ধা লুলুর মাধ্যমে ফুসতাত থেকে আলেক্সান্দ্রিয়ায় তার যুদ্ধজাহাজগুলো সরিয়ে নিলেন । তারা ক্রুসেডারদের বাধা অপসারণ করেন । আর তাদের অধিকাংশ জাহাজ ধ্বংস করা হয়েছিল । এবং যারা নোঙর করে মরুভূমির দিকে পালিয়েছিল তাদের বন্দী করা হয় । বেঁচে যাওয়া ক্রুসেডারদের সংখ্যা ছিল ১৭০ জন । সালাহউদ্দিন বিভিন্ন মুসলিম শহরে তাদের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন ।

তথ্য ইন্টারনেট

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুনলাম বাশার সিরিয়ার সুলতান?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । আমি শুনেছি বাশার তার সুলতানি এলাকার সুলতান ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.