নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৮ম পর্ব

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫



আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) প্রথম পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ২য় পর্ব
আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৩য় পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৪র্থ পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৫ম পর্ব
আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৬র্থ পর্ব
[link| আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) প্রথম পর্ব আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ২য় পর্ব আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৩য় পর্ব আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৪র্থ পর্ব আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৫ম পর্ব আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৭র্থ পর্ব

সালাহউদ্দিনের দৃষ্টিকোণ থেকে মসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ভালো চলছিল কিন্তু তারপরও তিনি তার উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হলেন । তাকিউদ্দিন তার সেনাদের হামায় ফিরিয়ে আনেন। নাসিরউদ্দিন মুহাম্মদ এবং তার সেনারা ফিরে যান । সেসব ঘটনা ইজ্জউদ্দিন ও তার মিত্রদের পাল্টা আঘাতের সুযোগ করে দিল । পুরনো জোট হারান থেকে ১৪০ কিমি দূরে হারজামে সংগঠিত হয় । এপ্রিলের প্রথমদিকে নাসিরউদ্দিনের জন্য অপেক্ষা না করে সালাহউদ্দিন ও তাকিউদ্দিন এই জোটের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন । এপ্রিলের শেষনাগাদ তিন দিন ধরে লড়াই চলার পর আইয়ুবীরা আমিদ দখল করে নিলেন । তিনি শহরটি মালপত্রসহ নুরউদ্দিন মুহাম্মদের হাতে অর্পণ করে দেন । তাতে ৮০০০০ মোমবাতি একটি টাওয়ার ভর্তি তীরের অগ্রভাগ ও ১০৪০০০০ বই ছিল । এর বিনিময়ে নুরউদ্দিন সালাহউদ্দিনের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিলেন যে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তার প্রতিটি অভিযানে তাকে অনুসরণ করবেন ।

আমিদের পতন মারদিনের গাজিকে সালাহউদ্দিনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের উপলব্ধি করতে সহায়তা করে। ফলে ইজ্জউদ্দিনের জোট দুর্বল হয়ে পড়ে । ইজ্জউদ্দিনের বিরুদ্ধে খলিফা আন নাসিরের সমর্থন লাভের জন্য সালাহউদ্দিন চেষ্টা করেন । তিনি ইজ্জউদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের লড়াইয়ে বাধাপ্রদানকারী বলে অভিযোগ তোলেন । সালাহউদ্দিন নিজের অবস্থানের সপক্ষে দাবি করেন যে তিনি সিরিয়াতে ক্রুসেডারদের সাথে লড়াই হাশাশিনদের ধর্মদ্রোহিতা এবং মুসলিমদের অন্যায় কর্ম বন্ধ করতে এসেছেন । তিনি আরো প্রতিশ্রুতি দিলেন যে যদি মসুল তার হাতে দেওয়া হয় তবে তা জেরুজালেম কনস্টান্টিনোপল, জর্জিয়া এবং মাগরেবে আলমোহাদ অঞ্চল জয়ে কাজে দেবে । ১১৮২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাইসান আক্রমণের উদ্দেশ্যে সালাহউদ্দিন জর্ডান নদী অতিক্রম করেন। এ স্থান খালি পাওয়া যায় । পরের দিন তার সেনারা শহরটি ধ্বংস করে জ্বালিয়ে দেয় এবং পশ্চিমদিকে যাত্রা করেন । কারাক এবং শাওবাক থেকে যাত্রা করা ক্রুসেডার সাহায্যকারী বাহিনী নাবলুসের পথে তাদের মুখোমুখি হন । তাদের অনেকেই বন্দী হয়ে যায় । ইতিমধ্যে গাই অব লুসিগনানের নেতৃত্বাধীন মূল ক্রুসেডার বাহিনী সেফোরিয়াস থেকে আল ফুলার দিকে এগিয়ে যায় । সালাহউদ্দিন ৫০০ জন যোদ্ধা পাঠান যাতে তার বাহিনীকে হামলার মাধ্যমে ব্যস্ত রাখা যায় এবং তিনি নিজে আইন জালুতের দিকে অগ্রসর হলেন । ক্রুসেডার বাহিনীতে তাদের সবচেয়ে বড় সেনাবহর ছিল কিন্তু তা মুসলিমদের তুলনায় সংখ্যায় কম ছিল । আইয়ুবীদের কয়েকটি হামলার পর ক্রুসেডাররা আর আক্রমণে ইচ্ছুক ছিল না । সালাহউদ্দিন তার সেনাদের নিয়ে নদীর দিকে ফিরে যান এবং এসময়ে সরবরাহও কমে যায় ।

ক্রুসেডারদের হামলা সালাহউদ্দিনকে পরবর্তী পদক্ষেপে উদ্বুদ্ধ করে। রেনল্ড অব শাটিলন লোহিত সাগরে মুসলিম বাণিজ্য ও হজ্জযাত্রীদের বহরকে আক্রমণ করেন। এই জলপথটি উন্মুক্ত রাখা সালাহউদ্দিনের জন্য জরুরি ছিল। প্রতিউত্তরে ১১৮২ সালে বৈরুত আক্রমণের জন্য সালাহউদ্দিন ৩০টি জাহাজের একটি নৌবহর গড়ে তোলেন। রেনল্ড মক্কা এবং মদিনা আক্রমণের হুমকি দিয়েছিলেন । পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সালাহউদ্দিন দুইবার কেরাক অবরোধ করেন । সেটি ১১৮৩ থেকে ১১৮৪ পর্যন্ত রেনল্ডের অধীন ছিল । তারপর ১১৮৫ সালে হজ্জযাত্রীদের একটি ক্যারাভানে রেনল্ড আক্রমণ চালান । ১৩ শতকের Old French Continuation of William of Tyre অনুযায়ী রেনল্ড সালাহউদ্দিনের বোনকে একটি ক্যারাভান হামলায় বন্দী করেছিলেন । সমসাময়িক অন্যান্য মুসলিম এবং ফ্রাঙ্কিশ সূত্রগুলোতে এর উল্লেখ নেই তবে তাদের মতে একটি অগ্রবর্তী ক্যারাভানে রেনল্ডের হামলার পর সালাহউদ্দিন তার বোন ও বোনের পুত্রের নিরাপত্তার জন্য রক্ষীদের পাঠান ফলে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি ।

কেরাক অবরোধ ব্যর্থ হওয়ার পর সালাহউদিন তার সাময়িকভাবে তার মনোযোগ অন্য এক দীর্ঘমেয়াদি কাজের দিকে সরিয়ে নেন এবং মসুলের আশেপাশে ইজ্জউদ্দিন মাসুদ ইবনে মওদুদ ইবনে জানগি এলাকার উপর আক্রমণ শুরু করেন । এরপর মাসুদ আজারবাইজান এবং জিবালের ক্ষমতাশালী গভর্নরদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন। মসুলের প্রতিরক্ষাকারীরা যখন জানতে পারেন যে সাহায্য আসছে তারা প্রতিরোধ বৃদ্ধি করেন । সেসময় সালাহউদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন । ১১৮৬ সালের মার্চে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।

১১৮৭ সালের জুলাই সালাহউদ্দিন ক্রুসেডার জেরুজালেম রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নেন । ১১৮৭ সালের ৪ জুলাই হাত্তিনের যুদ্ধে জেরুজালেমের রাজা গাই অব লুসিগনান ও তৃতীয় রেমন্ডের সম্মিলিত বাহিনীর সাথে সালাহউদ্দিনের বাহিনী মুখোমুখি হল । যুদ্ধে ক্রুসেডার সেনাবাহিনী প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । ক্রুসেডারদের জন্য এটি একটি বিপর্যয় ছিল এবং ক্রুসেডের ইতিহাসে এটি গতি নিয়ন্ত্রক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিল । রেনল্ড অব শাটিলনকে বন্দী করা হয় । মুসলিমদের উপর তার আক্রমণের জন্য সালাহউদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে তাকে হত্যা করেন । এসব ক্যারাভানের যাত্রীরা মুসলিম এবং ক্রুসেডারদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির কথা বলে তার অনুগ্রহ চেয়েছিল কিন্তু রেনল্ড তা উপেক্ষা করেন এবং মুহাম্মদ (সাঃ) কে অপমান করেন । একথা শোনার পর সালাহউদ্দিন রেনল্ডকে হত্যার শপথ নিয়েছিলেন । গাই অব লুসিগনানকেও বন্দী করা হয় । রেনল্ডের মৃত্যুদন্ড দেখে তিনি আতঙ্কিত ছিলেন এই ভেবে যে হয়তো তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে । তবে সালাহউদ্দিন তাকে ক্ষমা করে দেন এবং বলেন যে রাজা অন্য রাজাকে হত্যা করে না কিন্তু ওই লোকটা সকল সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল এবং তাই আমি এমন আচরণ করেছি ।


তথ্যসূত্র ইন্টার নেট ও বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে সংগ্রহ করা ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মফিজ ভাই ।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০১

আমি মিন্টু বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে ভ্রাদার পরে পড়ে নিমুনি :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মিন্টু ভাই পড়ে নিয়েন ।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: চমৎকার ভাই চালিয়ে যান।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথি ভাই লেখায় অনুপেরনা যোগানে ।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২২

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: অনেক তথ্যবলি পোস্ট প্রিয়তে নিলাম ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আনন্তবিহিন ধন্যবাদ ভাই ।

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: যথারীতি প্রিয়তে,,,
চলুক

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নিয়মিত শুরু থেকেই লেখায় অনুপেরনা যোগানে ।

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

কালের সময় বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন যথারীতি প্রিয়তে,,,
চলুক আমিও তাই =p~

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ইতিহাস গুলো পড়ার জন্য । আর প্রিয়তে নেওয়ায় লেখায় উৎসাহ পেলাম ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.