নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ১০ম এবং শেষ পর্ব

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫


আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) প্রথম পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ২য় পর্ব
আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৩য় পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৪র্থ পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৫ম পর্ব
আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৬র্থ পর্ব

আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৭র্থ পর্ব
[link|
আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৮ম পর্ব
আইয়ুব মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান ( সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে ) ৯ম পর্ব

১১৯২ সালে তারা রামলার চুক্তি স্বাক্ষর করেন । আর তার মাধ্যমে ঠিক করা হয় যে জেরুজালেম মুসলিমদের হাতে থাকবে কিন্তু তা খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে । এই চুক্তি ল্যাটিন রাজ্যকে টায়ার থেকে জাফা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করে দেন । রাজা রিচার্ডে‌র ফিরে যাওয়ার অল্পকাল পর ১১৯৩ সালে ৪এ মার্চ সালাহউদ্দিন দামেস্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুর সময় তার ব্যক্তিগত সম্পদের মধ্যে এক টুকরো স্বর্ণ এবং চল্লিশ টুকরো রূপা ছিল । তিনি তার সম্পতির অধিকাংশ গরীব প্রজাদের দান করে যান । দামেস্কের উমাইয়া মসজিদের বাইরে তাকে দাফন করা হলো । সাত শতাব্দী পর জার্মান সম্রাট দ্বিতীয় উইলিয়াম মাজারে একটি মার্বেলের শবাধার দান করেন । মূল কবরে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি । এর পরিবর্তে তা পাশে রাখা হয় ।
ইমাদউদ্দিনের বর্ণনা অনুযায়ী ১১৭৪ সালে মিশর ত্যাগের পূর্বে সালাহউদ্দিনের পাঁচ জন পুত্র ছিল । সালাহউদ্দিনের জ্যেষ্ঠ সন্তান আল আফদাল ইবনে সালাহউদ্দিন ১১৭০ সালে এবং আল আজিজ উসমান ১১৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন । দ্বিতীয়জন সিরিয়ায় সালাহউদ্দিনের সাথে ছিলেন । তার তৃতীয় পুত্র ছিলেন আজ জহির গাজি । ইনি পরে আলেপ্পোর শাসক হয়েছেন । ১১৭৭ সালে আল আফদানের মায়ের গর্ভে সালাহউদ্দিনের আরেক সন্তান জন্মগ্রহণ করেন । কালকাশান্দি কর্তৃক রক্ষিত চিঠিতে ১১৭৮ সালের মে মাসে তার বারোতম পুত্রের জন্মের সংবাদ পাওয়া যায় । তবে ইমাদউদ্দিনের তালিকা অনুযায়ী তা সালাহউদ্দিনের সপ্তম সন্তান । পুত্র মাসুদ ১১৭৫ সালে এবং ইয়াকুব ১১৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন ।

ক্রুসেডারদের সাথে সাহসী লড়াইয়ের জন্য সালাহউদ্দিন ইউরোপে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন । মধ্যযুগের পর তার আলোচনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর গোথহল্ড এফরাইম লেসিংসের নাটক নাথান দ্য ওয়াইজ এবং স্যার ওয়াল্টার স্কটের উপন্যাস দ্য তালিসমান তাকে চিত্রিত করা হয় । তাকে নিয়ে সমসাময়িক দৃষ্টিভঙ্গিসমূহ এসকল রচনা থেকে উঠে আসে । জোনাথন রিলে স্মিথের মতে স্কটের সালাহউদ্দিন চিত্রায়ণ হল আধুনিক ১৯ শতক সময়ের একজন উদাহ ইউরোপীয় ভদ্রলোক যার পাশে মধ্যযুগের পাশ্চাত্য ব্যক্তিদের সর্বদা নিচু অবস্থায় দেখা যায় । ১০৯৯ সালে জেরুজালেম দখলের পর ক্রুসেডারদের গণহত্যার পরও সালাহউদ্দিন সব সাধারণ খ্রিষ্টান এমনকি খ্রিষ্টান সেনাদেরও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এবং নিরাপদে যেতে দেন । গ্রীক অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের তুলনামূলক ভালো আচরণ করা হয় কারণ তারা পশ্চিমা ক্রুসেডারদের বিরোধীতা করত। তারিক আলির উপন্যাস দ্য বুক অব সালাহউদ্দিনে সালাহউদ্দিন এবং তার সময়কার পৃথিবী নিয়ে বর্ণনা রয়েছে ।

বিশ্বাসের পার্থক্য সত্ত্বেও সালাহউদ্দিনকে খ্রিষ্টান নেতারা বিশেষত রিচার্ড‌ সম্মান করতেন । রিচার্ড‌ একবার সালাহউদ্দিনকে মহান রাজা বলে প্রশংসা করেন এবং বলেন যে কোনো সন্দেহ ছাড়াই তিনি ইসলামি বিশ্বের সবচেয়ে মহান এবং শক্তিশালী নেতা । সালাহউদ্দিনও রিচার্ড‌কে খ্রিষ্টান নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত বলে উল্লেখ করেন । সন্ধির পর সালাহউদ্দিন ও রিচার্ড‌ সম্মানের নিদর্শন হিসেবে পরস্পরকে অনেক উপহার পাঠান । ১১৯১ সালের এপ্রিল এক ফ্রাঙ্কিশ নারীর তিন মাস বয়সী শিশু ক্যাম্প থেকে হারিয়ে যায় ও তাকে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয় । ফ্রাঙ্করা তাকে সালাহউদ্দিনের কাছে সাহায্যের জন্য যেতে বলেন । বাহাউদ্দিনের বর্ণনা অনুযায়ী সুলতান তার নিজের অর্থে সন্তানটিকে কিনে নিয়ে মহিলাটিকে ফেরত দেন এবং ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোরও ব্যবস্থা করেন ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ব্রিটিশ জেনারেল এডমন্ড এলেনবি তুর্কিদের কাছ থেকে দামেস্ক দখল করতে সফল হন । কিছু সুত্র মতে শহরে তার প্রবেশের পর তিনি সালাহউদ্দিনের বিখ্যাত ভাস্করযের সামনে তার তলোয়ার উচিয়ে স্যালুট জানিয়েছিলেন এবং ঘোষণা দিলেন আজ ক্রুসেডের যুদ্ধ সম্পূর্ণ হয়েছে । তিনি আজীবন ১৯১৭ সালে তার ফিলিস্তিন বিজয়কে ক্রুসেড হিসেবে বলার বিরোধীতা করেছেন। ১৯৩৩ সালে তিনি বলেন জেরুজালেম কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এ যুদ্ধে কোনো ধর্মীয় কারণ ছিল না । ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে তার বিজয়কে কার্টুন প্রকাশের মাধ্যমে উদযাপন করেন । এতে দেখানো হয় যে রিচার্ড‌ স্বর্গ থেকে জেরুজালেমের দিকে তাকিয়ে আছেন এবং শিরোনাম ছিল শেষ পর্যন্ত আমার স্বপ্ন সত্য হলো ।

১৮৯৮ সালে জার্মান সম্রাট দ্বিতীয় উইলিয়াম সালাহউদ্দিনের সম্মানার্থে তার মাজার পরিদর্শন করেন । এই সফর জাতীয়তাবাদী আরবদের মাঝে সালাহউদ্দিনের নতুন ভাবমূর্তি গড়ে তোলে এবং তাকে পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে একজন বীর হিসেবে চিত্রিত করা হয় । ওয়াল্টার স্কট এবং অন্যান্য ইউরোপীয়দের দ্বারা সৃষ্ট সালাহউদ্দিন ভাবমূর্তিকে তার লালন করতেন । সালাহউদ্দিনের কুর্দি বংশোদ্ভূত হওয়াকে বিবেচনা করা হত না । তার ফলে মুসলিম বিশ্বে সালাহউদ্দিনের হারিয়ে যাওয়া সুনাম ফিরে আসে যা আর সফল ব্যক্তি মিশরের বায়বার্স কর্তৃক ঢাকা পড়ে গিয়েছিল ।


তথ্যসূত্র ইন্টার নেট ও বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে সংগ্রহ করা ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

দুষ্ট পন্ডিত বলেছেন: ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ. চমৎকার পোস্ট এর জন্য.

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.