নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম ফয়সাল বিন হুসাইন বিন আলী আল হাশেমী

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭


ফয়সাল বিন হুসাইন বিন আলী আল হাশেমী ফয়সাল ইবন হুসাইন সিরিয়া আরব রাজতন্ত্র বা বৃহত্তর সিরিয়ায় ১৯২০ সালে স্বল্প সময়ের জন্য রাজা ছিলেন এবং ২৩ আগস্ট ১৯২১ থেকে ১৯৩৩ পর্যন্ত ইরাক রাজতন্ত্রের বর্তমান ইরাক এরও রাজা ছিলেন । জন্মগতভাবে তিনি হাশিমী রাজবংশের একজন সদস্য ছিলেন । ফয়সাল সুন্নি এবং শিয়াদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ভুলে এক আনুগত্যের অধীনে থাকতে উৎসাহ প্রদান করেন এবং ইরাক ও সিরিয়া এবং উর্বর চন্দ্রকলার অবশিষ্টাংশকেও অন্তর্গত করে একটি আরব রাষ্ট্র তৈরীর জন্য প্যান আরবিজমের পৃষ্ঠপোষকতা করেন । ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি তার প্রশাসনে বিভিন্ন জাতিগত এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের নিযুক্ত করে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেন । কিন্তু তা অর্জন করতে তিনি প্রচন্ড চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন কারণ অত্র অঞ্চল তখন ইউরোপীয়দের বিশেষত ফরাসি ও ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং সেসময়কার অন্যান্য আরব নেতারা তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যাপারে ব্যস্ত থাকায় এই ধারণার প্রতি বিরূপ ছিলেন। অধিকন্তু, ফয়সালের প্যান আরব জাতীয়তাবাদ কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে ।

ফয়সাল তাইফে বর্তমান সৌদি আরবে ১৮৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ছিলেন মক্কার শরীফ হুসাইন বিন আলীর তৃতীয় পুত্র । তিনি ইস্তানবুলে বড় হয়েছেন । নেতৃত্ব বিষয়ে তিনি তার পিতার কাছে শিক্ষালাভ করেন । ১৯১৩ সালে ফয়সাল অটোমান সংসদে জেদ্দার প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন । ১৯১৬ সালে ইস্তানবুলে একটি মিশনের পথে তিনি দামেস্ক দুইবার ভ্রমণ করেন । এই ভ্রমণগুলোর একটিতে তিনি দামেস্ক প্রটোকল লাভ করেন । তিনি আল ফাতাত নামক আরব জাতীয়তাবাদীদের দলে যোগ দেন এবং তার পিতা হেজাজের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং আরব বিদ্রোহ

প্যারিস শান্তি সম্মেলনে ফয়সাল ও তার প্রতিনিধিদল স্থান ভার্সিলি প্রাসাদ । বাম থেকে ডানে রুস্তম হায়দার, নুরি আস সাদি, যুবরাজ ফয়সাল, ক্যাপ্টেন পিসানি ফয়সালের পেছনে টি ই লরেন্স, ফয়সালের হাবশি কৃতদাস নাম অজানা, ক্যাপ্টেন তাহসিন কাদরি । ১৯১৬ সালের ২৩শে অক্টোবর ওয়াদি সাফরার হামরায় ফয়সাল এবং ক্যাপ্টেন টি ই লরেন্সের সাক্ষাৎ হয় । লরেন্স কায়রোর একজন জুনিয়র ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা ছিলেন । যুদ্ধপরবর্তী আরব রাষ্ট্রের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই লরেন্সের ছিল এবং এই উদ্দেশ্যে আরব বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সঠিক মানুষকে খুজে নেয়ার প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেন । লরেন্সের সহায়তায় ফয়সাল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে সহযোগীতা করেন এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহ সংগঠিত করেন । দীর্ঘ অবরোধের পর ফখরুদ্দিন পাশার প্রতিরোধ ভেঙে তিনি মদিনা জয় লাভ করেন ।

ফয়সালের কিছু সমালোচক তার খ্রিষ্টানদের পাশাপাশি লড়াই করাকে ইসলামের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে গণ্য করেন যা ইকবালকে তার বিরুদ্ধে লিখতে উৎসাহিত করে । নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বংশধর হলেও ধর্ম নয় বরং আরব জাতীয়তাবাদ এবং স্বাধীনতা তার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল । ফয়সাল ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃহত্তর সিরিয়া জয় এবং দামেস্ক দখল করতে মিত্রবাহিনীকে সাহায্য করেন । ১৯১৮ সালে তিনি সেখানকার নতুন আরব সরকারের সদস্য হন ।
শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ
১৯১৯ সালে ফয়সাল প্যারিস শান্তি আলোচনায় আরব প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন। গেরট্রুড বেলের সমর্থনে প্রাক্তন উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীন এলাকা নিয়ে স্বাধীন আরব আমিরাত প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি জোরালো দাবি জানায় । লরেন্স লিখিত সেভেন পিলার্স অব উইজডোম বইয়ে আরব বিদ্রোহে ফয়সালের ভূমিকা বর্ণিত আছে । তবে এই বইয়ের সঠিকতা নিয়ে ইতিহাসবিদরা অনেকেই অনেক সমালোচনা করেছেন ।
সিরিয়া আরব রাজতন্ত্র
ব্রিটিশ এবং আরব বাহিনী ১৯১৮ সালের অক্টোবরে দামেস্ক দখল করে নেন । তুর্কি শাসন শেষে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষার অধীনে আরব নিয়ন্ত্রিত বৃহত্তর সিরিয়ায় আরব সরকার স্থাপনে সাহায্য করে । ১৯১৯সালের মে মাসে সিরিয়ান জাতীয় কংগ্রেসের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।
ফয়সাল-ওয়েইজমেন চুক্তি
১৯১৯ সালের ৩রা জানুয়ারি ফয়সাল এবং ওয়ার্ল্ড জায়নিস্ট অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট চেইম ওয়েইজমেনের মধ্যে আরব ইহুদী সহযোগীতার জন্য ফয়সাল ওয়েইজমেন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল । তাতে ফয়সাল শর্তের ভিত্তিতে বেলফোর ঘোষণা মেনে নিলেন । যুদ্ধকালীন সময়ের এই ঘোষণায় ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য আবাসভূমি গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি ছিল । ফয়সাল নিম্নোক্ত বিবৃতি দেন :
ফয়সাল এবং চেইম ওয়েইজমেন বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে আরব পোষাক পরিহিত, সিরিয়া, ১৯১৮।
ইরাকের রাজা হিসেবে অভিষেক

“আমরা আরবরা … গভীর সহানুভূতির সাথে জায়নিস্ট আন্দোলনের উপর দৃষ্টিপাত করি । প্যারিসে শান্তি সম্মেলনে আমাদের প্রতিনিধিদল গতকাল জায়নিস্টদের উত্থাপিত প্রস্তাব সম্পর্কে অবগত এবং আমরা একে সহনীয় ও যথার্থ মনে করি । আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা করব, যতদূর এভাবে সাহায্য করে আমরা উদ্বিগ্ন; আমরা ইহুদিদেরকে অন্তর থেকে ঘরে ফেরার অভিনন্দন জানাই । আমি ও আমার জনগণ এমন একটি ভবিষ্যতের দিকে তাকাই যেখানে আমরা পরস্পরকে সাহায্য করব । এতে আমরা সেসব দেশের ব্যাপারে পারস্পরিকভাবে আগ্রহী তা আবার বিশ্বের সভ্য জনগণের মধ্যে স্থান করে নেবে ।”

এই প্রতিশ্রুতিগুলো তাৎক্ষনিকভাবে পূরণ হয়নি । কিছু ক্ষেত্রে এমনকি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরও । কিন্তু ফয়সাল ওয়েইজমেন চুক্তির বহু বছর পর যখন আরব রাষ্ট্রগুলো ইউরোপীয় শক্তির কাছ থেকে স্বায়ত্তশাসন লাভ করে এবং নতুন রাষ্ট্রগুলো ইউরোপীয় এবং জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায় ওয়েইজমেন দাবি করেন যে যেহেতু দাবিগুলো শেষপর্যন্ত পূরণ হয়েছে তাই ফিলিস্তিনে ইহুদি আবাসভূমি তৈরীর চুক্তি এখনও বহাল আছে । কিন্তু আরব রাষ্ট্রগুলো ফিলিস্তিনে ইহুদি এবং আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একে ভাগ করার জাতিসংঘের পরিকল্পনাকে সহিংসভাবে প্রতিহত করায় এবং ইসরাইলীদেরকে আক্রমণ করায় এই অংশীদারিত্ব কায়েম হয়নি ।
ইরাক এবং সিরিয়ার রাজা


১৯২০ সালের ৭ মার্চ হাশিম আল আতাসসির ফয়সাল সিরিয়ান জাতীয় কংগ্রেস সরকার কর্তৃক ফয়সালকে সিরিয়া আরব রাজতন্ত্রের রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হয় । ১৯২০সাল এর এপ্রিলে সান রেমো সম্মেলনে ফ্রান্সকে সিরিয়ার মেন্ডেট দেয়া হয় যার ফলশ্রুতিতে ফরাসি সিরিয়ান যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল । ১৯২০ সালের ২৪ জুলাই মায়সালুনের যুদ্ধে ফরাসিরা জয়ী হন এবং ফয়সাল সিরিয়া থেকে বহিষ্কৃত হন । সেই বছরের আগস্টে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসের জন্য যান । ১৯২১ সালের মার্চে কায়রো সম্মেলনে ব্রিটিশরা ফয়সালকে ইরাকে ব্রিটিশ মেন্ডেটের শাসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু সেসময় ইরাকে বসবাসকারী খুব অল্প মানুষই তার সম্পর্কে জানত । যদিও তিনি সেখানে জনপ্রিয় নন তবুও বিরোধীদের অনুপস্থিতি শাসক হিসেবে টিকে থাকার ব্যাপারে সহায়ক হত ।
ইরাকের মেন্ডেটধারী ব্রিটিশ সরকার এখানের অস্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল । তারা সরাসরি শাসনকার্য থেকে পিছিয়ে আসে এবং ইরাকে একটি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন । তবে ইরাকের উপর তাদের মেন্ডেট বহাল ছিল । ৯৬% পক্ষে রায় হওয়া একটি গণভোটের পর ফয়সাল রাজা হতে রাজি হন । তবে গণভোটের ফলাফল যথার্থ ছিল না বরং এটি ব্রিটিশ মন্ত্রীপরিষদের বানানো ছিল । তারা ফয়সালকে ক্ষমতায় বসাতে চাইতেন । ১৯২১ সালের আগস্টে তিনি ইরাকের রাজা হন । বাগদাদের হাইফা সড়কের শেষপ্রান্তে ফয়সালের নামে নামকৃত চত্বরে তার ভাস্কর্য বানানো হয় ।
সিরিয়া থেকে বহিষ্কৃতদের তিনি ইরাকি সিরিয়ান সুসম্পরকের জন্য উৎসাহিত করতেন । শিক্ষার উন্নতির জন্য তিনি চিকিৎসক এবং শিক্ষকদের নিয়োগ দেন । দামেস্কের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সাতি আল হুসরিকে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগ ইরাকের সিরিয়ান ও লেবানিজদের মধ্যে যথেষ্ট বিরক্তির জন্ম দেয় । ফয়সাল বাগদাদ থেকে দামেস্ক এবং বাগদাদ থেকে আম্মান পর্যন্ত মরুভূমির মধ্য দিয়ে মোটর রুটের উন্নয়ন করেন । এর ফলে মসুলের তেলক্ষেত্র যথেষ্ট লাভবান হন । তার পরিকল্পিত ভূমধ্যসাগরীয় বন্দরে তেলের পাইপলাইন বসানোর কাজেও এটি সহায়ক হিসেবে কাজ করে । আরবে ইরাকের প্রভাব বৃদ্ধির আশায় সহায়ক হয় । ফয়সাল তার শাসনকালে ইরাকি সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে জোর প্রচেষ্টা করেন । তিনি বাধ্যতামূলক সামরিক বাহিনীতে যোগদানের বিষয়ে চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন । কারো মতে এটা তার প্যান আরব পরিকল্পনার অংশ ছিল ।
১৯২৫ সালে সিরিয়ান দ্রুজদের উত্থানের সময় ফরাসি সরকার ফয়সালের সাথে সিরিয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে । দামেস্কে হাশিমী শক্তিকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর জন্য ফরাসিদেরকে উপদেশ দেন । ইরাকে তার সাফল্যের জন্য ফরাসিরা তার সাথে আলোচনার ব্যাপারে উৎসাহিত হয়েছিল । ১৯৩০ সালের ইঙ্গ-ইরাকি সন্ধি ইরাককে রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিলেও একে তিনি তার প্যান-আরব এজেন্ডার সামনে বাধা হিসেবে দেখতেন। তিনি এই সন্ধিকে সমাপ্ত হিসেবে দেখতে চাইতেন কারণ এটি সিরিয়া ও ইরাককে আরো বিভক্ত করে ফেলছিল। এর ফলে দুটি প্রধান আরব অঞ্চলের একতা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। ফয়সালের প্যান-আরব এজেন্ডায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইরাকের আরব জাতীয়তাবাদীদের কাছে এই এই চুক্তি ইতিবাচক ছিল। তারা একে অগ্রগতি হিসেবে দেখত। সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে অবস্থার তুলনায় একে উত্তম বলে মনে হত । ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ মেন্ডেট শেষ হয় । ৩ অক্টোবর ইরাক জাতিপুঞ্জে যোগ দেন । একই বছরে ফয়সাল স্বপ্ন দেখেন যে সাহাবী হুযাইফা ইবনে আল ইয়ামান তাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, “ হে রাজা! জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারি ও আমাকে টাইগ্রিস নদীর তীর থেকে সরিয়ে অন্যত্র কোথাও নিরাপদ স্থানে সমাহিত করুন কারণ আমার কবর ইতিমধ্যে পানিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে আর জাবিরের কবরে ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করছে।” সেই বছরে বিপুল সংখ্যক মুসলিম এবং অমুসলিম, রাজা, গ্র্যান্ড মুফতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মিশরের যুবরাজ ফারুক এই দুই সাহাবীর মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত হন। বলা হয় যে দুজনের শরীরই অক্ষত ছিল। তাদের খোলা চোখ থেকে স্বর্গীয় আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল যার ফলে দর্শকদের চোখ ঝলসে উঠে । অধিকন্তু, তাদের কফিন, কাপড় ও কাফন পর্যন্ত অক্ষত ছিল । প্রথম দেখায় মনে হচ্ছিল যেন তারা জীবিত। দুজনের মরদেহ বাগদাদের ৩০ মাইল দূরে সালমান পার্কে আরেক সাহাবী সালমান ফারসির কবরের পাশে সমাহিত করা হয় ।

১৯৩৩ সালের জুলাইয়ে সিমেলি গণহত্যার মত ঘটনার কারণে ইরাক ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । প্রধানমন্ত্রী রেমজে ম্যাকডোনাল্ড হাই কমিশনার ফ্রান্সিস হামফ্রিকে অ্যাসিরিয়ান খ্রিষ্টানদের হত্যার উপর শুনানির আদেশ দেন । ব্রিটিশ সরকার দোষীদেরকে মুসলিম, খ্রিষ্টান নির্বিশেষে শাস্তি দেয়ার জন্য দাবি জানায় । উত্তরে ফয়সাল লন্ডনে ইরাকি প্রতিনিধিদের এই মর্মে তারবার্তা পাঠান “যদিও ইরাকে এখন সবকিছু স্বাভাবিক এবং আমার স্বাস্থ্যও দুর্বল, আমি বাগদাদে স্যার ফ্রান্সিস হামফ্রির আগমনের অপেক্ষায় থাকব, কিন্তু এখানে দুশ্চিন্তার কারণ নেই । ব্রিটিশ সরকারকে আমার টেলিগ্রামের বিষয়ে জানিয়ে দিন ।”

১৯৩৩ সালের জুলাইয়ে মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে ফয়সাল লন্ডনে যান । সেখানে তিনি আরব-ইসরাঈলী সংঘর্ষের ফলে আরবদের বর্তমান অবস্থা এবং ফিলিস্তিনে ইহুদিদের অভিবাসনের হার নিয়ে তার শঙ্কা প্রকাশ করেন । এসবের ফলে আরবদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল । ইহুদি অভিবাসন ও ভূমি বিক্রয় সীমাবদ্ধ করার ব্যাপারে তিনি ব্রিটিশদের দাবি করেন । তার ভয় ছিল অন্যথায় নিকট ভবিষ্যতে আরবরা ফিলিস্তিন থেকে বিতারিত হবে নাহয় অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে পর্যুদস্ত হবে ।

সুইজারল্যান্ডের বের্নে অবস্থানকালীন ফয়সাল হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ১৯৩৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেন । তার জ্যেষ্ঠ পুত্র গাজি তার উত্তরাধিকারী হন । বাগদাদের হাইফা সড়কে তার নামে একটি চত্বর রয়েছে । চত্বরে ঘোড়ার পিঠে আরোহী অবস্থায় তার একটি ভাস্কর্য আছে । ১৯৫৮ সালে রাজতন্ত্র উচ্ছেদের সময় ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হলেও পরবর্তীতে পুনরায় স্থাপন করা হয়।


ফয়সাল হাজিমা বিনতে নাসেরকে বিয়ে করেন । তাদের এক পুত্র ও তিন কন্যা ছিল ।
প্রিন্সেস আযযা বিনতে ফয়সাল
প্রিন্সেস রাজিহা বিনতে ফয়সাল
প্রিন্সেস রাইফা বিনতে ফয়সাল
গাজি ১৯১২ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৩৯ সালের ৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন । তিনি হেজাজের রাজা আলীর কন্যা প্রিন্সেস আলিয়া বিনতে আলিকে বিয়ে করেন ।

তথ্যঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও এত রাত অবদ্ধি জেগে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১১

কল্লোল পথিক বলেছেন: আরবের ইতিহাস বড় বিচিত্র।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । শুভ প্রভাত

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: যদিও বিতর্ক আছে অনেক তবে তার অবদানও অনস্বীকার্য।
চমৎকার পোষ্ট।অনেক কিছু শিখলুম।
ধন্যবাদের চেয়েও অনেক অনেক বেশি..................দিলুম।:)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । শুভ প্রভাত

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগা রেখে পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.