নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৮৫৭সালের সিপাহী বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত বর্ননা ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৮


সিপাহী বিদ্রোহের একটি চিত্রকল্প
সিপাহি বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের ১০ মে মিরাট শহরে শুরু হওয়া ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সিপাহিদের একটি বিদ্রোহ। ক্রমশ এই বিদ্রোহ গোটা উত্তর ও মধ্য ভারতে অধুনা উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও উত্তর মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লি অঞ্চল ছড়িয়ে পড়েছিল। এই সব অঞ্চলে বিদ্রোহীদের দমন করতে কোম্পানিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ১৮৫৮ সালের ২০শে জুন গোয়ালিয়রে বিদ্রোহীদের পরাজয়ের পরই একমাত্র বিদ্রোহ দমন করা সম্ভব হয়। সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, মহাবিদ্রোহ, ভারতীয় বিদ্রোহ, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ এবং ১৮৫৮ সালের গণ অভ্যুত্থান নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। কোম্পানি শাসিত অন্যান্য অঞ্চলগুলি বাংলা প্রদেশ বোম্বাই প্রেসিডেন্সি এবং মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি শান্তই ছিল।পাঞ্জাবের শিখ রাজ্যগুলি ব্রিটিশদের সৈন্য সরবরাহ করে সমর্থন জোগায়। বড় দেশীয় রাজ্যগুলির হায়দ্রাবাদ, মহীশূর, ত্রিবাঙ্কুর ও কাশ্মীর পাশাপাশি রাজপুতানার মতো ছোট রাজ্যগুলিও বিদ্রোহ থেকে দূরে থাকে। অযোধ্যার মতো কোনো কোনো অঞ্চলে বিদ্রোহীরা ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চূড়ান্ত দেশপ্রেমের নিদর্শন স্থাপন করে। ঝাঁসির রানি লক্ষ্মী বাঈ, তুলসীপুরের রানি ঈশ্বরী কুমারী দেবী প্রমুখেরা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে লোকনায়কে পরিণত হন। যদিও তাঁরা কোনো উচ্চ আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হননি। সিপাহি বিদ্রোহের পর ১৮৫৮ সালে ভারতে কোম্পানি-শাসনের অবসান ঘটে, ব্রিটিশরা সেনাবাহিনী, অর্থব্যবস্থা ও ভারতীয় প্রশাসন পুনর্গঠনে বাধ্য হয়। ভারত প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটেনের রানির শাসনের অধীনে আসে।

সিপাহী বিদ্রোহের পর লখ্‌নৌ এর সেকুন্দ্রা বাগ,১৮৫৮ সালে ফেলিস বিয়াতো নামক ইতালীয়র তোলা ছবি
ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রসারণ হওয়া
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথমে শুধুমাত্র তাদের বাণিজ্যকুঠি সংলগ্ন অঞ্চলগুলির প্রশাসন পরিচালনা করতেন। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের পর পূর্ব ভারতে কোম্পানির শাসনের ভিত্তি দৃঢ় হয়। ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে বিহারে জয়লাভের পর পরাজিত মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম কোম্পানিকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি রাজস্ব আদায়ের অধিকার প্রদান করতে বাধ্য হন। ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধ ১৭৬৬ ১৭৯৯ ও ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধের ১৭৭২-১৮১৮ পর নর্মদা নদীর দক্ষিণে দাক্ষিণাত্যের সুবিশাল অঞ্চল ইংরেজদের অধীনে আসে। কোম্পানির এলাকা বোম্বাই এবং মাদ্রাজকে কেন্দ্র করে বর্ধিত হয়। কোম্পানির এলাকা প্রসারণ করতে গিয়ে কোম্পানিকে কম বাধার মুখে পড়তে হয়নি। ১৮০৬ সালে বাহিনীতে নতুন উর্দি চালুকে কেন্দ্র করে হিন্দু এবং মুসলমান সিপাহিরা বিদ্রোহী হয়। এই ঘটনা ভেলোর বিদ্রোহ নামে পরিচিত পরিচিত লাভ করে ।

উনিশ শতকের প্রথম ভাগে গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি যে রাজ্যবিস্তার নীতি গ্রহণ করেন তার ফলে পরবর্তী দুই দশক ধরে ইংরেজরা ভারতে একের পর এক এলাকা দখল করতে থাকেন। কোম্পানির প্রতি ভারতীয় শাসকবর্গের অধীনতামূলক মিত্রতা বা প্রত্যক্ষ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে এই রাজ্যবিস্তার চলে। অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিতে সম্মত রাজ্যগুলি দেশীয় রাজ্য নামে পরিচিত হয়। সেই সব রাজ্যের শাসক ছিলেন হিন্দু মহারাজা বা মুসলমান নবাবেরা। ১৮৪৯ সালে দ্বিতীয় ইঙ্গ শিখ যুদ্ধের পর পাঞ্জাব উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং কাশ্মীর অধিকৃত হয়। যদিও কাশ্মীর কিছুদিনের মধ্যেই জম্মুর ডোগরা রাজবংশের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এটিও হয়ে যায় দেশীয় রাজ্য। ১৮০১ সালের পর থেকে ব্রিটিশ ভারত ও নেপালের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ বৃদ্ধি পায়। তার ফলে ১৮১৪থেকে১৬ সাল নাগাদ ইঙ্গ নেপাল যুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং গোর্খারা ব্রিটিশদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ১৮৫৪ সালে বেরার এবং দুই বছর পর অযোধ্যা অধিকৃত হয়। এইভাবে কোম্পানিই কার্যত ভারতের সরকারে পরিণত হয়েছিল।

সমস্ত তথ্যাধিকার ইন্টারনেট থেকে নেওয়া ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫২

প্রামানিক বলেছেন: অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিতে সম্মত রাজ্যগুলি দেশীয় রাজ্য নামে পরিচিত হয়। সেই সব রাজ্যের শাসক ছিলেন হিন্দু মহারাজা বা মুসলমান নবাবেরা।

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

রাঘব বোয়াল বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগলো।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: গোয়ালিয়রে বিদ্রোহ সম্পর্কে একটু জানান।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ইতিহাস পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এবং সেই সাথে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগল ইতিহাস পড়ে ধন্যবাদ

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৪

ধমনী বলেছেন: অন্যান্য যুদ্ধের বর্ননার মত এটাও সবিস্তারে হবে ভেবেছিলাম। আরো তথ্য আশা করেছিলাম। তবে পোস্টেরর জন্য ধন্যবাদ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সময় সংক্ষেপ হওয়ায় পোস্ট যতটুক সম্ভবত সংক্ষিপ্ত হয়েছে আপু । দেখি আগামীতে একটু বড় করা চেস্টা থাকলো ।
মন্তব্যের জন্য অসংক্ষক ধন্যবাদ ।

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

ধমনী বলেছেন: আমার প্রোফাইল ছবিটা ছেলে শিশুর....

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সরি ভাই আমার মনে হয়েছিল ধমনী মেয়েদের নাম তাই আর কি ।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার দারুন সব পোস্ট ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.