নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পলাশী যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বর্ননা

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১


পলাশীর যুদ্ধের শেষে মীরজাফর ও লর্ড ক্লাইভের সাক্ষাৎ ফ্রান্সিস হেম্যানের একটি চিত্র
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পলাশী নামক স্থানে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তার সাথেই আমরা পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত । ১৭৫৭ সালের ২৩রা জুনে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল । এই যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হলেন এবং ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হলো ।
যুদ্ধের বিবরণঃ
১৭৫৭ খৃস্টাব্দের ১২ই জুন কলকাতার ইংরেজ সৈন্যরা চন্দননগরের সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয় । সেখানে দুর্গ রক্ষার জন্য অল্প কিছু সৈন্য রেখে তারা ১৩ই জুন অবশিষ্ট সৈন্য নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করেন । কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের পথে হুগলি কাটোয়ার দুর্গ, অগ্রদ্বীপ ওপলাশীতে নবাবের সৈন্য থাকা সত্ত্বেও তারা কেউ ইংরেজদের পথ রোধ করেন না । নবাব বুঝতে পারলেন সেনাপতিরাও এই ষড়যন্ত্রে শামিল আছেন । বিদ্রোহের আভাস পেয়ে সিরাজ মিরজাফরকে বন্দী করার চিন্তা বাদ দিলেন । তিনি মিরজাফরকে ক্ষমা করে তাকে শপথ নিতে বললেন । মিরজাফর পবিত্র কুরআন স্পর্শ করে অঙ্গীকার করলেন যে তিনি শরীরের একবিন্দু রক্ত থাকতেও বাংলার স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন হতে দেবেন না । গৃহবিবাদের মীমাংসা করে তিনি রায়দুর্লভ ইয়ার লতিফ, মিরজাফর, মিরমদন, মোহনলাল এবং ফরাসি সেনাপতি সিনফ্রেঁকে সৈন্য চালানোর দায়িত্ব দিয়ে তাদের সঙ্গে যুদ্ধযাত্রা শুরু করেন । ২৩শে জুন সকাল থেকেই পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজরা মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন । ১৭৫৭ সালের ২২ জুন মধ্যরাতে রবার্ট ক্লাইভ কলকাতা থেকে তার বাহিনী নিয়ে পলাশী মৌজার লক্ষ্মবাগ নামে আম্রকাননে এসে তাবু গাড়েন ।

বাগানের উত্তর পশ্চিম দিকে গঙ্গা নদী । এর উত্তর পূর্ব দিকে দুই বর্গমাইলব্যাপী আম্রকানন । সকাল আটটার সময় হঠাৎ করেই মিরমদন ইংরেজবাহিনীকে আক্রমণ করেন । তার প্রবল আক্রমণে টিকতে না পেরে ক্লাইভ তার সেনাবাহিনী নিয়ে আমবাগানে আশ্রয় নেন । ক্লাইভ কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। মিরমদন ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছিলেন। কিন্তু মিরজাফর ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ যেখানে সৈন্যসমাবেশ করেছিলেন সেখানেই নিস্পৃহভাবে দাড়িয়ে থাকলেন । তাদের সামান্য সহায়তা পেলেও হয়ত মিরমদন ইংরেজদের পরাজয় বরণ করতে বাধ্য করতে পারতেন । দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে সিরাজদ্দৌলার গোলা বারুদ ভিজে যায় । তবুও সাহসী মিরমদন ইংরেজদের সাথে লড়াই চালিয়ে যেতে লাগলেন । কিন্তু হঠাৎ করেই গোলার আঘাতে মিরমদন মৃত্যুবরণ করেন । গোলান্দাজ বাহিনীর প্রধান নিহত হওয়ার পর সিরাজদ্দৌলা মীরজাফর ও রায় দুর্লভকে তাদের অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে তীব্র বেগে অগ্রসর হতে নির্দেশ দেন । কিন্তু উভয় সেনাপতি তার নির্দেশ অমান্য করলেন । তাদের যুক্তি হলো গোলন্দাজ বাহিনীর আশ্রয় ছাড়া অগ্রসর হওয়া আত্মঘাতী ব্যাপার । কিন্তু কোম্পানি এবং নবাবের বাহিনীর মধ্যে তখন দূরত্ব মাত্র কয়েক শ গজ । বিকেল পাঁচটায় সিরাজদ্দৌলা বাহিনী নির্দেশনার অভাবে এবং ইংরেজ বাহিনীর গোলন্দাজি অগ্রসরতার মুখে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেন অর্থাৎ পরাজয় স্বীকার করেন । নবাবের ছাউনি ইংরেজদের অধিকারে আসে । ইংরেজদের পক্ষে সাতজন ইউরোপিয়ান এবং ১৬ জন দেশীয় সৈন্য নিহত হয় । তখন কোন উপায় না দেখে সিরাজদ্দৌলা রাজধানী রক্ষা করার জন্য দুই হাজার সৈন্য নিয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু রাজধানী রক্ষা করার জন্যেও কেউ তাকে সাহায্য করেনি । সিরাজদ্দৌলা তার সহধর্মিণী লুৎফুন্নেসা এবং ভৃত্য গোলাম হোসেনকে নিয়ে রাজধানী থেকে বের হয়ে স্থলপথে ভগবানগোলায় পৌছে যান এবং সেখান থেকে নৌকাযোগেপদ্মা ও মহানন্দার মধ্য দিয়ে উত্তর দিক অভিমুখে যাত্রা করেন । তার আশা ছিল পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারলে ফরাসি সৈনিক মসিয়ে নাস এর সহায়তায় পাটনা পর্যন্ত গিয়ে রামনারায়ণের কাছ থেকে সৈন্য সংগ্রহ করে ফরাসি বাহিনীর সহায়তায় বাংলাকে রক্ষা করবেন ।

পলাশীর যুদ্ধের মানচিত্র
বিখ্যাত পর্তুগিজ ঐতিহাসিক বাকসার পলাশীর যুদ্ধকে গুরুত্বের দিক থেকে পৃথিবীর সেরা যুদ্ধগুলোর অন্যতম একটি যুদ্ধ মনে করেন ।

তথঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বর্ননা। ধন্যবাদ

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য দিয়ে অনুপেরিত করায় কৃতজ্ঞতা থাকলাম ।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

কাজী মেহেদী হাসান। বলেছেন: আমাদের নিজস্বতার ইতিহাস। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যে অনুপেরিত হোলাম ।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৪

ধমনী বলেছেন: আপনার কাছ থেকে আরো বেশি বর্ননা আশা করি ভাই। ভালো লিখেছেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আগামীতে বেশি লেখার আশা থাকল।

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সংক্ষেপে চমৎকার বর্ণনা! ভালো লাগলো ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু ভাই ।

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সংক্ষেপে বেশ ভালো বনণা দিয়েছেন ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ঠ্যঠা মফিজ ভাই ।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

সাদিকনাফ বলেছেন: ঈসস!!!! একটা মীর জাফরের কারনে বাংলার ইতিহাস অন্যরকম হয়ে গেলো।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: মীর জাফররাই সারা জীবন বাংলার ইতিহাসগুলোকে অন্যরকমই করে দেয় । মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ....... মীরজাফরকে ধিক্কার...... আবারো,,,,,,, বারবার,,,,,, শতবার,,,,,,,,,,,,,লাখোবার......

(পোস্ট আরো বিশদ করতে পারতেন)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ । মীর জাফরদেরকে আমাদের সকলের পক্ষ থেকে লাখো ধিক্কার জানাই ।

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: ইংরেজরা সারা ভারতেই এই ডিভাইড এন্ড কনকোয়্যার নীতিতে সফল ছিলো। সবচেয়ে বড় সত্য হলো পুরা ভারত কখনোই জাতিভেদ ভুলে একীভুত হতে পারেনি কোন আমলেই। হতে পারলে আজকে ইউরপের আসনে থাকতো এই উপমহাদেশ। আমাদের এখানে ওরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে আসতো।

পোস্ট সংক্ষিপ্ত হলেও সুলিখিত। শুভকামনা রইলো। :)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: মন্তব্যে সত্যটুক তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । শুভকামনা রইলো ।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

জর্দ্দা জামাল বলেছেন: ভালো লাগা পোস্ট

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ জামাল ভাই ।

১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভুলে যাও দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে...


আমাদের ইতিহাসকে এত বেশি আড়ালে রাখি.. যেন ভুলেই গেছি!! অথচ এগুরো বেশি বেশি চর্চিত হবার বিষয়! ধন্যবাদ। মরচে ধরা চেতনায় শান দেয়া ইতিহাসের ঘষা দেয়ায়!

মীরজাফরের রক্তরা আজো ষড়যন্ত্র করছে! রাতের আঁধারে দেশ জাতি আমজনতার স্বার্থবিরোধী চুক্তি করছে, সন্ধি করছে নিজেরে বিক্রি করছে। আমরা চেতনার আফিমে বুদ!!!!!!!!

!!!!!!!!!!!!!!!!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অসাধারন এবং বাস্তব মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস জানলাম ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩০

অস্পষ্ট নিয়ন আলো বলেছেন: ভালো লেগেছ.....

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৩

উল্টা দূরবীন বলেছেন: সংক্ষেপে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: দারুন,লাইক,প্রিয়তে...............সবি:)

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৯

আমি মিন্টু বলেছেন: সব মিলিয়ে দারুন ইতিহাস ভালো লাগল ।

১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

ফয়সাল এম,এফ,কে বলেছেন: মনে হল আমি যেন পলাশির প্রান্তরে দাঁড়িয়ে.। অসাধারন লিখেছেন।

১৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মূল কারন মীরজাফর হলেও, আমি মনে করি নবাবের অদূরদর্শীতা আর সঠিক মানুষ চিনতে না পারাই এর কারণ। আর কোরান ছুঁয়ে বেঈমানকে প্রতিজ্ঞা করানোটা মহৎ হৃদয় নয় বরং নির্বুদ্ধিতার পরিচয়...তিনি ছিলেন নির্বোধ এবং ভীতু প্রকৃতির! সেজন্য সম্মুখ সমর থেকে পিছু হটে গেছেন 'বাংলাকে স্বাধীন' করতে! তিনি সাহসী হলে সেখানেই শহীদ হতেন! মীর জাফররা সব সমাজেই আছে, তাদের দমন করার দায়িত্ব সিরাউদ্দৌলাদের! তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ, ইতিহাস পরিবতর্নের ক্ষমতা মীরজাফরদের নাই! আমারা বাঙ্গালীরা আমাদের নেতাদের মহান করে ভাবতে পছন্দ করি...যদিও সবক্ষেত্রে তাঁরা তা নন!

একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাই শেখ মুজিবের ক্ষেত্রেও! তিনিও নাম ধরে শত্রু চিনিয়ে দেয়ার পরও, মানুষ চিনতে পারেন নাই; তাজউদ্দিনদের দূরে সরিয়ে মোশতাকদের কাছে টেনেছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.