নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় মুসলিম গৃহযুদ্ধ এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ

০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮


দ্বিতীয় মুসলিম গৃহযুদ্ধ ছিল উমাইয়া খিলাফতের প্রথমদিকে সংঘটিত রাজনৈতিক এবং সামরিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে একটি যুদ্ধ। প্রথম উমাইয়া খলিফা প্রথম মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ইতিহাসবিদরা মতভেদে ৬৮০ অথবা ৬৮৩ সালকে তার সূচনা এবং ৬৮৫ থেকে ৬৯২ সালের মধ্যে তার সমাপ্তি বিবেচনা করেন। সেসময় কারবালার যুদ্ধ এবং আবদুল্লাহ ইবনুল জুবায়েরের বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।বিদ্রোহের শুরু এবং শেষ হওয়ার সময় নিয়ে মতপার্থক্য আছে। কেউ কেউ মতদেন ৬৮০ সালে প্রথম মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পরের সময় থেকে এর সূচনা ধরেন। অন্য মতে আবার তার পুত্র খলিফা প্রথম ইয়াজিদের মৃত্যুর বছর ৬৮৩ সালকে সূচনা ধরা হয়। সমাপ্তিকাল ৬৮৫ খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের অভিষেক থেকে ৬৯২ সাল আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের মৃত্যু ও তার বিদ্রোহের সমাপ্তির মধ্যে ধরা হয়। সাধারণভাবে ৬৮৩ সাল থেকে ৬৮৫সাল মধ্যে সময়কে ব্যবহার করা হয়।

দ্বিতীয় ফিতনার সময় মুসলিম বিশ্বে জটিল অবস্থা বিরাজ করছিল। সেসময় বেশ কিছু ঘটনা ঘটে। সেসবের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলে প্রতীয়মান হয় না। গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপে দেয়া যেতে পারে।৬৮০ সালে প্রথম উমাইয়া খলিফা প্রথম মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর তার পুত্র প্রথম ইয়াজিদ খলিফা হন। মুহাম্মদ (সাঃ) এর দৌহিত্র এবং সাবেক খলিফা আলি ইবনে আবি তালিবের পুত্র হুসাইন ইবনে আলির সমর্থকদের কাছ থেকে প্রথম ইয়াজিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আসে। কারবালার যুদ্ধে হুসাইনসহ অনেকেই উমাইয়া সেনাদের হাতে নিহত হন। এই যুদ্ধকে প্রায়ই সুন্নি এবং শিয়াদের মধ্যকার চূড়ান্ত ভাঙন হিসেবে ধরা হয়। কারবালার দিনকে শিয়ারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

সেসকল ঘটনার পর ইয়াজিদ আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের বিদ্রোহের মুখোমুখি হন। আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের ছিলেন সাহাবি জুবায়ের ইবনে আওয়াম এবং আসমা বিনতে আবি বকরের পুত্র। বিভিন্ন কারণে উমাইয়া শাসনের প্রতি অসন্তুষ্ট ব্যক্তিরা তার বিদ্রোহকে সমর্থন করেন। ৬৮৩ সালে প্রথম ইয়াজিদ ও তার পুত্র দ্বিতীয় মুয়াবিয়ার আকস্মিক মৃত্যুর পর আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের খলিফা হিসেবে ব্যাপক সমর্থন লাভ করেন। তিনি তার শাসনের বিরোধীদের প্রতিহত করতে সচেষ্ট হন। সিরিয়ায় প্রথম মুয়াবিয়ার এক ভাই সম্পর্কিত ব্যক্তি মারওয়ান ইবনে হাকিম নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন। সংক্ষিপ্তকাল শাসনের পর মারওয়ান ৬৮৫ সালে মৃত্যুবরণ করলে তার পুত্র আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান তার উত্তরসুরি হন। ৬৮৪ সালে মধ্য আরবে খারিজি বিদ্রোহীরা স্বাধীন রাষ্ট্র স্থাপন করলে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের তিহামাহ ও হেজাজ অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।ইরাক ও ইরানে তারপর অন্যান্য খারিজিদের উত্থান হয়। সেসময় হুসাইন ইবনে আলির মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়া এবং আলির অন্য পুত্রদের মধ্যে কাউকে খলিফার পদে বসানোর জন্য শিয়ারা বিদ্রোহ করেন। আবদুল মালিকের সমর্থক সিরিয়ান সেনারা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে। তিনি সব বিদ্রোহ দমনে সফল হন। তার সেনারা মক্কা অবরোধ করলে তারপর আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের সেনাদের হাতে নিহত হন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

আহলান বলেছেন: লেখাটা কেমন খাপ ছাড়া লাগলো ...:(

০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সব ইতিহাস আলোচনায় খাপ থাকে না । ক্ষেত্র বিশেষ মন থেকে খাপ লাগিয়ে নিতে হয় আহলান ভাই । না হলে জ্ঞান বৃদ্ধি হবে কি ভাবে । দেখা গেল আপনি একটা বিষয় বুঝেন সেটা আমি হয়ত বুঝি না ।আবার এমনও হতে পারে আমি যেটা জানি সেটা হয়ত আপনি জানেন না । আর তাই জানা না জানা সব বিষয় নিয়ে কম বেশি আলোচনা করলে সকলে জ্ঞান বৃদ্ধি হবে ।
তাতে হয়ত কিছু তর্ক বিতর্ক হবে তবু জ্ঞান অর্জন হবে । ধন্যবাদ আহলান ভাই ।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

আহলান বলেছেন: খাপছাড়া বলতে আমি ঘটনা প্রবাহের অভাবকে বুঝিয়েছি। আপনি তো আপনার মতো করে তুলে ধরতেই চেয়েছেন। ধন্যবাদ।

০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ওহ! ধন্যবাদ আহলান ভাই ঘটনা খুলে বলার জন্য ।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

তৃতীয় পক্ষ বলেছেন: ভাল লাগল।

০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.