নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৪৮ হায়দ্রাবাদ গনহত্যর না জানা ইতিহাস

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

১৯৪৮ হায়দ্রাবাদ গনহত্যায় মুসলিমদের ধরপাকরের একটি দৃশ্য
হায়দ্রাবাদ দখলের পরপরই গণহত্যার খবর শুরু হয়। আবার অন্যদিকে ভারতজুড়ে মুসলিমদের গণঅসন্তোষের ভয়ে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কংগ্রেসের সংসদ সদস্য পন্ডিত সুন্দরলালের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন যাতে হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের লোকই সদস্য ছিল।
সুন্দরলাল সে রিপোর্ট
সে কমিটি হায়দ্রাবাদ ঘুরে এসে তাদের রিপোর্ট জমা দেন যে রিপোটটি সুন্দরলাল রিপোর্ট নামে পরিচিত পায়। নেহেরু থেকে শুরু করে মনমোহন পর্যন্ত ভারত সরকার সে রিপোর্ট সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রাখেন। গণহত্যার বিষয়ে বহির্বিশ্ব এবং ভারতের জনগণকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়। সর্বশেষে ২০১৩ সালে দিল্লীর নেহেরু স্মৃতি জাদুঘরে সে রিপোর্ট জনসম্মুখে আসে। কমিটির মতে খুব কম করে ধরলেও ২৭০০০ থেকে ৪০০০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। যদিও এ জি নুরানি এবং অন্যান্য গবেষকদের মতে এ সংখ্যা দুই লাখ বা তার থেকেও বেশী হবে । কমিটির রিপোর্টে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনী সে সকল গণহত্যায় সরাসরি জড়িত ছিলেন।
সেনাবাহিনী মুসলিমদের পুরোপুরি নিরস্ত্র করলেও হিন্দুদের তো নিরস্ত্র করা হয়ইনি বরং সেনাবাহিনী উৎসাহিত করেছেন আর কিছু ক্ষেত্রে বাধ্য করেছে স্থানীয় হিন্দুদের মুসলিমদের বাড়িঘর এবং দোকানপাট লুটপাট করার জন্য। সুন্দরলাল রিপোর্টের সাথে পেশ করা একটা গোপনীয় নোটে হিন্দুদের রক্তলোলুপ এই চরিত্রের এক জঘন্য নমুনা দেখা যায়।শুধু হত্যা আর লুটই না অসংখ্য মুসলিম মহিলা সশস্ত্র হিন্দু মিলিশিয়াদের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সে সময়। মুহাম্মাদ হায়দারের ভাষায়,“ হাজার হাজার পরিবার ভেঙ্গে গিয়েছিল, শিশুরা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে আর স্ত্রীরা তাদের স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। মহিলা ও তরুণীদের ধাওয়া করা হত আর ধর্ষণ করা হত”। যাদের সামর্থ্য ছিল তারা পাকিস্তানে হিজরত করেছিলেন। জাতিসঙ্ঘ এবং মানবাধিকার সে সময় অবশ্য অন্ধ ছিলেন। বিশ্বের “সর্ববৃহৎ গনতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে” এ অপরাধের জন্য কাউকে শাস্তি পেতে হয়নি, কারো বিচার হয়নি বরং এর দৃশ্যায়ন আবার ঘটেছিল গুজরাটে।একটি মুসলিম ট্র্যাজেডি” শীর্ষক এক প্রবন্ধে অধ্যাপক উইলফ্রেড ক্যান্টওয়েল স্মিথ প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য উল্লেখ করে লিখেছেন, “যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর মুসলমানরা (গণহারে) ব্যাপক আঘাত ও পাশবিক হামলার শিকার হয়। ধ্বংসযজ্ঞের পর যারা বেঁচে ছিলেন তারাও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। তাদের হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয় এবং উচ্ছেদ করা হয় কয়েক লাখ মানুষকে। মুসলিম বাহিনীর সহযোগীদের কথিত সহিংসতার প্রতিশোধ নেওয়ার অজুহাত দেখিয়েই এইসব নারকীয় অভিযান চালানো হয়েছিল।
সূত্রঃ
https://www.scribd.com/doc/239943850/Pandit-Sundarlal-Committee-Report-on-the-Massacres-in-Hyderabad-1948
http://www.bbc.co.uk/news/magazine-24159594
হায়দ্রাবাদ ১৯৪৮ : ভারতের গোপন গণহত্যা– যুগান্তর , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩
এবং
১৯৫০ সালে প্রকাশিত ‘দ্য মিডল-ইস্ট জার্নাল’, খণ্ড-৪

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

পথে-ঘাটে বলেছেন: লোমহর্ষক X(

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পাঁঠাদের এইসব চোখে পড়বোনা ! মুসলমানদের উপর গণহত্যাও তাহাদের কাছে মশার কামড় মনে হয় , অন্য ধর্মের লোকজনের পায়ে কাঁটা বিধলেও এদের হার্ট ফেল মারে ! X(
কাশ্মীরকে ভারত নিজেদের দাবি করে কারণ ধজঃভঙ্গ মহারাজ নাকি ইন্ডিয়াতে যোগ দিতে চাইছিলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান কি চাইছিলো তাহা ধর্তব্য নহে ! কিন্তুক হায়দ্রাবাদের নবাব স্বাধীন থাকতে চাইছিলো, জনগণের দোহাই দিয়া ভারত তাহা দখল করে ! ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আর কাহাকে বলে ! ভারত মানে দুইমূখো সাপ ! X((

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: মন্তব্যের সাথে একমত না হয়ে পারলাম না,তাই আগে আমাদের ভারতকে ছাড়তে হবে,যদি দেশের ভালো কিছু করতে চাই।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: এই লেখকের পোষ্টসব প্রিয়তে নিতে নিতে পাগল হৈয়া গেলাম

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।আপনেরা আছেন বলেই লেখায় অনুপেরনা পাই ।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

নাইক্যডিয়া বলেছেন: +++++++++++++++

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: প্লাচের জন্য ধন্যবাদ ।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.