নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশেকে সঠিক নিয়ন্ত্রনের না চালানোর ফল হিসেবে জীবণ দিতে হয় বঙ্গবন্ধুকে ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

এখানে আগেই একটা কথা বলে নিচ্ছি পোস্টটি কোন দলীয় ফলিয়র ফলন না,বা দলীয় ভাবে লেখাও না। এখানে কিছু
লেখকের লেখা পড়ে যতটুকো বুঝতে পারলাম ততটুকো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।শেখ সাহেব এর মাইনাস পয়েন্ট ছিল তার আত্নীয় বাজী আর তার রক্ষী বাহিনী । আর সাথে ছিল অবশ্যয়ই বাকাশাল কায়ুম করার অপ চেষ্ঠা । অন্যদিকে স্বাধীনতার পর পরই বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসে সাড়ে ৭ কোটি কম্বল । সেখানে বঙ্গবন্ধু নিজের কম্বল পাননি,অন্য সূত্রে জানা যায় সেই কম্বল নাকি গাজী গোলাম মোস্তফা ভারতে পাচার করেছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধু নিজেও নাকি বলেছিলেন এত কম্বল বিদেশ থেকে এসেছে তাহলে আমার কম্বলটা কই ?
তিনি শেষ পযন্ত তার কম্বল না পেয়ে এমনও নাকি বলেছিলেন সবাই দেশ স্বাধীন করে পায় সোঁনার খনি,আর বাঙালি জাতি পেল চুরের খনি ।অথচ চাইলে বঙ্গবন্ধু এই কম্বল চুরির বিষয়টা গোপন রেখে,কম্বল চোরকে ধরার কোন পদক্ষেপ নিতে পারতেন,আর সেটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর উচিত কাজ । অন্যদিকে ব্যাংক ডাকাতিরও কোন উপযুক্ত বিচার করেননি বঙ্গবন্ধু,অথচ যতটুকো শোনা যায় কারা ছিল ব্যাংক ডাকাতিরসঙ্গে জড়িত তা সবই জানতেন বঙ্গবন্ধু। তবে কামাল সাহেবের অত্যাচারের ব্যাপারটা কিন্ত একেবারে মিথ্যা নয়। কারন আমি আমার পাশের বাসার একজন মুরব্বীর সাথে একবার বঙ্গবন্ধুকে আলোচনা তুললে তিনি আমাকে বঙ্গবন্ধুর ছেলের বিষয় অনেক কথাই বলেছিলেন,অবশ্য অনেক আগের কথা এখন আর আমার অতকিছু মনে নাই। তবে যে লোকটি বলেছে সেও খুব গল্প মারার লোকও নন,সব সময় দেখেছি যা সত্য তিনি তাই বলেন। যাই হোক হয়ত আমরা যা শুনি তা পুরোপুরি আবার সত্য নাও হতে পারে। তবে হ্যা বঙ্গববনন্ধু আমাদের বাংলাদেশের মানুষ এবং এই বাংলার মাটির জন্য যে অবদান রেখেছেন,তা কখনও অস্বীকার করা এবং ভুলা যাবে না ।

তবে একটা ছোটো গ্রামের গ্রাম সরকার আর একটা আস্ত দেশের রাষ্ট্র সরকারের মধ্যে বহু ব্যবধান আছে। যে যাই বলুক তবে যতটুকো মনে হয়,বঙ্গবন্ধুর মুখে ভাষনের একটা যাদু ছিল,আসলে দেশ চালানোর সঠিক কোন কাায়দা বা অভিজ্ঞতা তার ভিতরে জানা ছিলনা।

যে আর্মির লোকজন স্বাধীনতা যুদ্ধে বহু রক্ত ক্ষরণের বিনিময় বাংলাকে পেয়েছেন, এবং যুদ্ধে ছিল তাদের বহু অবদান, স্বাধীনতার পরে তাদের একটা গর্বতো থাকবেই সদ্য ছিনিয়ে আনা বিজয়ের জন্য। তাছাড়াও স্বাধীন একটা দেশের লাইসেন্সড অস্ত্রধারি হিসাবেও তাদের গায়ের রক্ত একটু গরম থাকবেই,এবং এটাই স্বাভাবিক।তবে তাদেরকেও কন্ট্রল করার দায়িত্ব দেশের প্রধান হিসিবে বঙ্গবন্ধুরই ছিল ।

অন্যদিকে সে সময় দুরদর্শীতার অভাবে এবং নিতান্ত ভালোমানুষির দরুন দেশের আনাচে কানাচে যেইসব দুস্কৃতিকারি আওয়ামিলিগের নেতা হিসাবে এগিয়ে আসছিল তাদেরকেও তিনি কিভাবে কন্ট্রোল করবেন সে ভাবনাও ভেবে এবং সঠিক কাজ বুঝে বঙ্গবন্ধুর পথ চলা
উচিত ছিল।

আরেকদিকে সেই অর্ধমুর্খ দাম্ভিক নেতারা আস্কারা পেয়ে মাথায় উঠছিল,আর ব্যাপারটা স্বভাবতই সহ্য করতে পারেনি ওই পাতিনেতাদের চাইতে বেশি যোগ্যতাধারি আর্মির লোকজনও আর আর্মিও ছিল বেয়াড়া গোছের। পৃথিবির সব দেশে আর্মির লোকজনের অবস্থান ব্যারাকেই সীমাবদ্ধ থাকে। আর বঙ্গবন্ধুর সময় দেখা যায় সব অভিজাত এলাকা থেইকা শুরু কৈরা প্রধান মন্ত্রীর বেডরুম পর্যন্ত তাদের অবাধ যাতায়াত ছিল। আরেকদিকে গাজী যে অন্যায় করেছিল,সে হিসেবে গাজীর শাস্তি হওয়া এবং বিচার হওয়া অবশ্যই দরকার ছিল। আর তা হয়নি বলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে তার মাসুল দিতে হয়েছে। আমি আসলে কিছু ইতিহাস পড়ে যা বুঝতে পারলাম তাতে এতটুকো বলতে পারি ১৫ ই আগস্টের ঘটনাটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, বরং ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রনহীনতার একটি ফল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী লীগকে সোহরাওয়ার্দী সাহেব আমেরিকান ব্লকে নিয়ে যায়; তাই মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ থেকে বের হতে বাধ্য হন; স্বাধীনতার পর, শেখ সাহেবের আমেরিকান ব্লকে থাকাটাই আমেরিকার কাম্য ছিল; উনি "বাকশাল" ভাবনা নিয়ে এলে, সিআইএ বুঝতে পেরেছিল যে, শেখ সাহেব সোভিয়েত ব্লকে চলে যাচ্ছেন; সেটাই উনার মৃত্যুর কারণ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই । একেবারে ভুল কথাও বলেননি । তাছাড়াও আপনি ভালো রাজনীতি বোঝেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.