নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক হাত বদল এবং দখল হয়ে যাবার কারনে শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যায়

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫২


বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বহু হুলস্থূল কান্ড কারখানার কথা শোনা যায়।নতুন জাতী দেশ হিসেবে দলীয় রাজনীতির মাধ্যমে দেশগঠনের প্রচেষ্টার ফলে যে রাষ্ট্রীয় সংকট বিরাজ করছে সেটা থেকে শিক্ষাও বাদ যাচ্ছেনা। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে সংকীর্ণ দলীয় আদর্শকেন্দ্রিক ঢেলে সাজানোর চেষ্টার ফলে এই সংকট তীব্রতর হচ্ছে।শিক্ষা ব্যবস্থা কি ধর্মীয় মুল্যবোধের ভিত্তিতে হবে নাকি সেকুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ হবে এটা নিয়ে চলছে বিভিন্ন মতামত আর তা থেকে আন্দোলন পযন্ত। ধারাবাহিক এই প্রবন্ধে আমরা দেখার চেষ্টা করব ঐতিহাসিকভাবে আমাদের শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থার বিবর্তন কিভাবে হয়েছে এবং সেটা কিভাবে বর্তমান সমস্যায় প্রভাব বিস্তার করছে।ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বহু আগে আমাদের বাংলাদেশে সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দু জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচলিত ছিল টোল (tol) নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যার লক্ষ্য ছিল সংস্কৃত ভাষায় হিন্দু ধর্মীয় বিষয় শিক্ষাদান। আরেকটি প্রতিষ্ঠান ছিল তাদের ছিল, পাঠশালা সে পাঠশালার মাধ্যমে তারা সে যুগে কারিগরি শিক্ষা দিতেন। সে সময় শিক্ষা গ্রহণ সীমাবদ্ধ ছিল কেবল মাত্র ব্রাহ্মণদের মাঝে। বর্ণপ্রথায় সবার উপরে তাদের অবস্থান হওয়ায় নিন্মবর্ণের হিন্দুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ ছিল বন্ধ। ভারতে মুসলিম শাসনের মাধ্যমে ধনী গরিব, উচ্চ বর্ণ, নিম্ন বর্ণের মানুষের সার্বজনিন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত হয় Jaffar, 1984 cited in Nazeer,2011। প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ বা বাধ্যতামুলক নীতির ভিত্তিতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই মুসলিম সুফি, সাদক, পীর, আলেমগন মানুষের মাঝে ইসলামের জ্ঞান বিতরন করেছেন। শুরুতে সূফীদের খানকাহ গুলোতে হালাকাহর মাধ্যমে কুরাআন হাদীসের মৌলিক জ্ঞান সরবরাহ করা হত। সুলতানী আমলে ইসলামে মানুষের অন্তর্ভুক্তি বাড়ার সাথে সাথে সূফী সাধকগন তাদের আবাস কেন্দ্রিক মক্তব তৈরি করেন,বা তৈরির মাধ্যমে জ্ঞান বিতরণ করেন।পরবর্তীতে মুসলিম শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় গনমানুষের জন্য মসজিদ কেন্দ্রিক গড়ে উঠে।ইসলাম ধর্মের জ্ঞান সরবরাহ করাই ছিল সেসব প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।অনেক গ্রামাঞ্চলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো বিদ্যমান।এক হিসেবে জানা যায় ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৭০ হাজার ফুরকানিয়া এবং মসজিদ ভিত্তিক মক্তব রয়েছে । তখন থেকেই হিন্দু এবং মুসলিম দুই জাতির মধ্যকার শিক্ষার একটি সতন্ত্র ধারা চলে আসছিল।

ইতিহাসে এটা আজ পযন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত যে মোঘল শাসকগন শিক্ষার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদার এবং মনযোগী ছিলেন।শিক্ষার জন্য ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা তারা উদার হস্তে দিয়েছেন এবং বহু মাদ্রাসা তৈরি করেছিলেন Francis Robinson, 2001; Ali Riaz, 2010।ব্যক্তিগত এবং শাসকদের দান করা ওয়াকফ সম্পত্তি দিয়ে পরিচালিত হত মক্তব এবং মাদ্রাসাগুলো। সেসব ওয়াকফ সম্পত্তি খাজনা মুক্ত ছিল এবং সেখান থেকে শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ হত এবং ছাত্রদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য বৃত্তি দেওয়া হতো। ইংরেজ শাসনের অধীন আসার পর বিশাল ওয়াকফ সম্পত্তি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক হাত বদল এবং দখল হয়ে যাবার কারনে শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যায়।

তখনকার সময় মুসলমানদের শিক্ষা সন্বন্ধে উইলিয়াম এ্যাডাম Willim Adam বলেন যে এই দেশে মুসলিমগন বহু বেসরকারী বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন এবং তারা শিক্ষাকে পেশা ও জীবিকা নির্বাহের উপায় বলে গ্রহন করেননি। তারা একে ন্যায় এবং পূণ্যের কাজ বলে মনে করতেন। সে আমলে প্রথম পর্যায়ের শিক্ষা বাংলা ভাষার এবং উচ্চ শিক্ষা আরবী ও ফারসী ভাষার দেওয়া হত। কিন্তু বহিরাগত মুসলিমগন বিশেষ করে পশ্চিম এবং উত্তর ভারতীয় মুসলিমগণ ফারসী ও উর্দুভাষা ব্যবহার করতেন। মুসলমান সমাজের অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে মেয়েরা মসজিদে কুরআন শিক্ষার সাথে এক বা একাধিক বিষয় যেমন বাংলা, গনিত, আরবী, ফারসী ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানলাভ করত। বিত্তশালী লোকেরা নিজকর জমি, ওয়াকফ এবং লাখেরাজ সম্পত্তি দান করে সে শিক্ষা ব্যবস্থা উৎসাহ দিতেন ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

blogermassud বলেছেন: সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন।
তখনকারদিনে
ইতিহাসে এটা আজ পযন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত যে মোঘল শাসকগন শিক্ষার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদার এবং মনযোগী ছিলেন।শিক্ষার জন্য ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা তারা উদার হস্তে দিয়েছেন এবং বহু মাদ্রাসা তৈরি করেছিলেন Francis Robinson, 2001; Ali Riaz, 2010।ব্যক্তিগত এবং শাসকদের দান করা ওয়াকফ সম্পত্তি দিয়ে পরিচালিত হত মক্তব এবং মাদ্রাসাগুলো। সেসব ওয়াকফ সম্পত্তি খাজনা মুক্ত ছিল এবং সেখান থেকে শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ হত এবং ছাত্রদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য বৃত্তি দেওয়া হতো।
আর এখনকার দিনে অর্থাৎ মুহিত সাহেবদের আমলে ভ্যাট জোরালো করে বসানো হয় ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৫

নাইম রাজ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ভাই ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।নাইম রাজ ভাই ।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৩১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো ।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলিম সাম্রাজ্যে শুধু মাত্র অটোম্যনরা স্কুলে ও কলেজের সমমান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিস্ঠান করেছিলেন।

মোগলেরা সম্রাত পরিবার ও ওমরাহদের পরিবারের লোকজনকে পড়ানোর ব্যবস্হা করতেন শিক্ষক রেখে; অন্যেরা পড়ালেখার নামও শোনেনি।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো শেয়ার।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মফিজ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.