নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ বুঝলাম কত ভালো লোক ছিলেন জমিদার সাহেব আপনি

০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩৯


মুসলমানদের নিয়ে তার কথা বা ভাবনা
যদি কখনো দেখি তাহাকে কাজের জন্য আর দরকার নাই তবে তাহাকে অনাবশ্যক বলিয়া পিছনে ঠেলিতে আমাদের বাধিবে না। তাহাকে যথার্থ আমাদের সংগী বলিয়া অনুভব করি নাই, আনুষংগিক বলিয়া মানিয়া লইয়াছি।একটা দিন আসিল যখন হিন্দু আপন হিন্দুত্ব লইয়া গৌরব করিতে উদ্যত হইল। তখন মুসলমান যদি হিন্দুর গৌরব মানিয়া লইয়া নিজেরা চুপচাপ পড়িয়া থাকিত তবে হিন্দু খুশী হইত সন্দেহ নাই; কিন্তু যে কারণে হিন্দুর হিন্দুত্ব উগ্র হইয়া উঠিল সেই কারণেই মুসলমানের মুসলমানী মাথা তুলিয়া উঠিল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সামন্তবাদী প্রজাপীড়ক জমিদার ছিলেন। তার দফায় দফায় খাজনা বৃদ্ধি এবং জোর জবরদস্তি করে তা আদায়ের বিরুদ্ধে ইসমাইল মোল্লার নেতৃত্বে শিলাইদহে প্রজা বিদ্রোহ ঘটেছিল ।জমিদার রবীন্দ্রনাথ, অমিতাভ চৌধুরী, দেশ, শারদীয় সংখ্যা, কলকাতা ১৪৮২
অন্নদা শংকর রায়ের রচনা থেকে উদ্ধৃত, রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক চিন্তাধারা, আবু জাফর, বইঘর, চট্টগ্রাম ১৯৮৫

জমিদার হিসেবে ঠাকুর পরিবার ছিল অত্যাচারী। গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। বুট পরে প্রজাকে লাথি মেরেছেন,পায়ে দলেছেন দেবেন ঠাকুর। এটাই রেকর্ড করেছিল হরিনাশ মজুমদার। যিনি মহর্ষি বলে পরিচিত, তিনি এ রকমভাবে মানুষকে পদাঘাতে দলিত করেন। গ্রাম জ্বালাবার কথাও আছে। আবুল আহসান চৌধুরীর কাছে এর সমস্ত ডকুমেন্ট আছে। সমগ্র ঠাকুর পরিবার কখনো প্রজার কোনও উপকার করে নাই। স্কুল করা,দীঘি কাটানো এসব কখনো করে নাই। মুসলমান প্রজাদের চিট করার জন্য নমঃশূদ্র প্রজা এনে বসতি স্থাপনের সাম্প্রদায়িক বুদ্ধি রবীন্দ্রনাথের মাথা থেকেই বের হয়েছিল। কাঙাল হরিনাথ মজুমদার তার ‘গ্রাম্য বার্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকায় ঠাকুর পরিবারের প্রজা পীড়নেরর কথা লেখে ঠাকুর পরিবারের বিরাগভাজন হয়েছিল।

ড. আহমদ শরীফ

দৈনিক বাংলাবাজার, ১৪ এপ্রিল ও ১মে ‘৯৭

১৮৯৪ সালে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে জমিদারীতে খাজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গরীব মুসলমান প্রজারা তাঁর পায়ে পড়লো, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নির্মমভাবে তা আদায় করলেন । পরে সেই বাড়তি আয়ের টাকায় মার্কিন কোম্পানীর কাছ থেকে ডেবরাকোল জমিদারী খরিদ করেছিলেন । এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রবন্ধকার শ্রী অরবিন্দু পোদ্দার লিখেছিলেনঃ

জমিদার জমিদারই । রাজস্ব আদায় ও বৃদ্ধি, প্রজা নির্যাতন ও যথেচ্ছ আচরণের যেসব অস্ত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বাংলার জমিদার শ্রেণীর হাতে তুলে দিয়েছিল, ঠাকুর পরিবার তাঁর সদ্ব্যবহারে কোনও দ্বিধা করেনি। এমনকি জাতীয়তাবাদী হৃদয়াবেগ ঔপনিষদিক ঋষি মন্ত্রের পুনরাবৃত্তি এবং হিন্দু মেলার উদাত্ত আহবানও জমিদার রবীন্দ্রনাথকে তার শ্রেণীস্বার্থ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।

অরবিন্দু পোদ্দার, রবীন্দ্রনাথ ও রাজনৈতিক গ্রন্থ দ্রষ্টব্য।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি ছিল পূর্ব -বাংলায়। এই পূর্ব -বাংলার মুসলমান প্রজাকুল থেকে খাজনা আদায় করে পশ্চিম – বাংলার কলিকাতায় শান্তি -নিকেতন, বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নোবেল প্রাইজ-এর পুরো অর্থও ব্যয় করেছেন বিশ্ব ভারতীতে। কিন্তু পূর্ব -বাংলার প্রজাদের কল্যাণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ছিলো একেবারে মুষ্টিবদ্ধ।

জমিদার রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তাঁরই স্বজাতি অমিতাভ চৌধুরী লিখেছেনঃ
খাজনা মওকুফের ফলে এক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের ।যা রবী ঠাকুরের ভক্তরা প্রজাদের প্রতি তার মহানুভবতা প্রমাণ করে থাকেন । কিন্তু ১৮৯৪ সালে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে জমিদারীতে খাজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন একথা তাঁরা বলেন না। গরীব মুসলমান প্রজারা তাঁর পায়ে পড়লো, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নির্মমভাবে তা আদায় করলেন । পরে সেই বাড়তি আয়ের টাকায় মার্কিন কোম্পানীর কাছ থেকে ডেবরাকোল জমিদারী খরিদ করেছিলেন ।

মুসলমান প্রজাদের চিট করার জন্য নমঃশূদ্র প্রজা এনে বসতি স্থাপনের সাম্প্রদায়িক বুদ্ধি রবীন্দ্রনাথের মাথা থেকেই বের হয়েছিল।
সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অভাব ছিল সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনেরর দুর্বলতা। কেবলমাত্র চাঁদার উপর নির্ভর করে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব ছিল না। কাজেই অর্থ সংগ্রহের জন্য এদের অবলম্বন করতে হল ডাকাতির পথ। নানারূপ বাধা-বিঘ্ন সত্বেও অনুশীলন দল প্রায় ত্রিশ বছর ধরে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।১৯৬০ সালে সন্ত্রাসবাদীদের দ্বিতীয় দল স্থাপিত হয় কলকাতায়।অধ্যাপক অরবিন্দু ঘোষ ও তাঁর ভাই রাবীন্দ্রনাথ ঘোষের নেতৃত্বে।এর নাম হল ‘যুগান্তর’ দল।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এ দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। কামরুদ্দীন আহমেদ,পূর্ব বাংলার সমাজ ও রাজনীতি, পৃ, ৫-৬

পদ্মার চরের মুসলমান প্রজাদের কাবু করার জন্য নমশূদ্র প্রজা এনে বসতি স্থাপনের সাম্প্রদায়িক বুদ্ধি ও কবির মাথা থেকে এসেছিল। এছাড়া পুত্র রথীন্দ্রনাথের শখের কৃষি খামারের প্রয়োজনে গরীব মুসলমান চাষীর ভিটে মাটি দখল করেন ।

সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অভাব ছিল সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনেরর দুর্বলতা। কেবলমাত্র চাঁদার উপর নির্ভর করে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব ছিল না। কাজেই অর্থ সংগ্রহের জন্য এদের অবলম্বন করতে হল ডাকাতির পথ। নানারূপ বাধা-বিঘ্ন সত্বেও অনুশীলন দল প্রায় ত্রিশ বছর ধরে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।……১৯৬০ সালে সন্ত্রাসবাদীদের দ্বিতীয় দল স্থাপিত হয় কলকাতায়।অধ্যাপক অরবিন্দু ঘোষ ও তাঁর ভাই রাবীন্দ্রনাথ ঘোষের নেতৃত্বে।এর নাম হল ‘যুগান্তর’ দল।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এ দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। কামরুদ্দীন আহমেদ,পূর্ব বাংলার সমাজ ও রাজনীতি, পৃ, ৫-৬ ।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:১০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি ঠাকুরের ভক্ত ছিলাম। আমার কাছে প্রায় সব বই ছিল। ইন্ডিয়া থেকে আনিয়েছিলাম। গীতাঞ্জলি ইংলিস পড়ার পর আমার চিন্তা বদলেছিল।
তারপর উনার একটা ছবি দেখে আমি সত্যি চিন্তিত এবং শংকিত হয়েছিলাম। উনার ক্ষমতার হাত অনেক লম্বা ছিল।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মাদ আব্দুলহাক ভাই

২| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সামন্তবাদী প্রজাপীড়ক জমিদার ছিলেন। "

-আপনারা মানুষকে গরুর স্তরে নেয়ার চেস্টা করছেন? নিজের দল বড় করার চেস্টা করছেন দেখছি।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সামন্তবাদী প্রজাপীড়ক জমিদার ছিলেন। "

-আপনারা মানুষকে গরুর স্তরে নেয়ার চেস্টা করছেন? নিজের দল বড় করার চেস্টা করছেন দেখছি।

হুম.............মনে হচ্ছে ইতিহাসবিদরা স্বপ্ন দেখে দেখে এসব রটাইছে ।আর নয়ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে নিশ্চিত কোন শত্রুতা ছিল তাদের । B-)

৩| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আইয়ুব ও ইয়াহিয়া খানই সব নন, উনাদের আত্মা রেখে গেছেন বাংলায়; আমাদের নিজস্ব খানেরা বড় হচ্ছেন ক্রমেই?

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কেমনে কমু ভাই কোনতা হাছা আর কোনতা মিছা ।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:২৩

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের এগুলো ঠিক না। B-)
অপনেরা একজন জমিদারকে রাস্তায় নামাতে পারেন না =p~

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: :)

৫| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:২৮

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: সরী চাঁদগাজী ভাইয়ের মন্তব্য অনুযায়ি এগুলো ঠিক না। B-)

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই ভালো অভিজ্ঞ লোক তার প্রতি আমার আলাদা সন্মান আছে ।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৩৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: আমি ব্লগে যে কোন লেখা পড়লে ভালো খারাপ যেমনই লাগুক মন্তব্য করি।এক্ষেত্রে সেই নীতির কারণেই মন্তব্য করতে হচ্ছে।আপনার লেখার শেষে এসে বুঝতে পারলাম এটা পড়াই উচিত হয়নি।সময়ের একটা মূল্য আছে।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: মাঝে মাঝে বিনোদনের মাধ্যমে সময়কে ব্যয় করতে হয়। পাশাপাশি জ্ঞান চর্চায় সময় ব্যয় হলে ক্ষতি হয় না।

৭| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

এম এ কাশেম বলেছেন: জমিদাররা সব সময় অত্যাচারী ছিলেন;
রবীন্দ্রনাথ জমিদার ছিলেন, জমিদারী করেছেন,
তাই অত্যাচার ও করেছেন,

তিনি আবার কবি ছিলেন , অনেক বড় কবি,
তাই বলে তিনি ইশ্বর ছিলেন না।
তিনি একজন মানুষ, দোষে গুণে মানুষ।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হুম খারাপ বলেন নাই।

৮| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


@এম এ কাশেম ,

উনি বাংলায় "নোবেল" পাওয়ায় সমস্যা হয়ে গেছে মনে হয়, উর্দুতে পেলে সমস্যা থাকতো না।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: মানুষ জানে অর্থের জোর বড় জোর। কাজীনজরুল ইসলাম নিশ্চয় কম বাংলা জানতেন না কিন্ত উনি নোবেল পেলেন না কেন জানেন ? উনার অর্থের অভাব ছিল আর উনি ছিলেন দরিদ্র দুঃখ মিয়া তাই।

৯| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৫৯

তপোবণ বলেছেন: কপি পেষ্ট করে করে ভাইজান এক্কেবারে হাপিয়ে উঠেছেন। সহ্য করতে হল! কারণ ব্লগে আসি মনের খোরাকের জন্য। কখনো কখনো সময় নষ্ট হয় বইকি। আজো হল এই লেখাটি পড়ে।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ছোট বেলায় স্কুলে পড়ার সময় বইয়ের মত সেম টু সেম লিখার চেষ্টা করতাম । আর ওয়েব টু ওয়েব লিখার চেষ্টা করছি বড় ভাই ।

১০| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:০২

মেরিনার বলেছেন: আমরা এতদাঞ্চলের মানুষজন, ঈশ্বরের সাথে মানুষকে গুলিয়ে ফেলি। Deification of humans অথবা Humanization of Deity - দু'টোরই প্রচার/প্রসার দেখা যায় সর্বত্র। মুসলিমদের জন্য দু'টোই ঈমান বিনষ্টকারী সমস্যা। ঈশ্বরকে ঈশ্বরের জায়গায় রাখলে, আর নশ্বর মানুষকে নশ্বর ভেবে মানুষের জায়গায় রাখলেই আর কোন সমস্যা ছিল না! রবীন্দ্রনাথ মানুষ ছিলেন - তার ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। তিনি যদি আমাদের মত ম্লেচ্ছদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেই থাকেন, সেটা মানুষ হিসেবে তার অপূর্ণতা - সে ভাবে দেখলেই তার প্রতি ইনসাফ করা হবে! সেক্ষেত্রে তার গুণগুলোকে গুণ বলতেও কোন সমস্যা থাকবে না।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১১| ০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

খালিদ১২২ বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ মানুষের অত্যাচার করেছে। ডাহা মিথ্যে।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ঠিক কইছেন হাছা কথা।

১২| ০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

এম এ কাশেম বলেছেন: @ চাঁদগাজী
হিন্দিতে ফেলে আরো ভালো হতো।

http://www.amadershomoy.biz/beta/2017/05/09/870749/#.WRFnV_krKUk

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হাহাহা তা বেশ বলেছেন।

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

আঁধার রাত বলেছেন: চাঁদগাজীর মত কিছু পাঁজি মানুষ মনে করে থাকেন রঠা গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। আসলে প্রকৃতপক্ষে রঠা না বাংলা সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন না গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। রঠা মুলত ইংরেজী সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন Song Offerings এর জন্য। Song Offerings কোন মৌলিক ইংরেজী সাহিত্য না এটি অনুবাদ সাহিত্য। গীতাঞ্জলি'র ৫১টি, গীতিমাল্য থেকে ১৬টি, নৈবেদ্য থেকে ১৫টি, খেয়া থেকে ১১টি, শিশু থেকে ৩টি, কল্পনা থেকে ১টি, চৈতালি থেকে ১টি, উৎসর্গ থেকে ১টি, স্মরণ থেকে ১টি এবং অচলায়তন থেকে ১টি কবিতা/গান ইংরেজী ভাবানুবাদ আর অনেক পরিমান তেল মসলায় নোবেল পুরষ্কার পান।
বহুদিন পূর্বে রঠার জন্মদিন উপলক্ষে শাহাজাদপুরে এক আলোচনা সভার খবর প্রথম আলোতে নিউজ করেছিল “এমপির জ্ঞানের বহর মহেশ হইল রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা”। তেমন আমার ও লিখতে ইচ্ছে করছে গাজী সাহেবের জ্ঞানের বহর রঠা বাংলা সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছে।
আর খান সাহেবদের নিয়ে গাজী সাহেবের চুলকানী থাকতেই পারে। খান সাহেব সে আমলে রঠা সাহিত্য নিষিদ্ধ করে কিছু আনওয়ানটেড চাইল্ড জন্ম দিয়ে গেছেন। আনওয়ানটেড চাইল্ডরা বাপের নাম নেওয়ার সময় একটু আধটু গালি দিয়েই থাকে আমরা কিছু মনে করি না। হাজার হলেও জন্ম দোষ বলে কথা।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ওগুলো কোন বিষয় না :P

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সত্য কথা কইলেই মানুষ জামায়েত হয়ে যায়।

১৪| ০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । তবে বিষয়টা আরও গুরুতর এবং তাৎপর্যপূর্ণ ।

রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামাত এবং জঙ্গীগোষ্ঠিগুলোর একটা গুরুত্বপূর্ণ এজেণ্ডা। এরা মাত্রাভেদে ভিন্ন হলেও, দেশ বা স্থানভেদে এরা কোথাও লাভ-জিহাদী, কোথাও যৌন-জিহাদী, নাস্তিক-কতল-জিহাদী, ট্রাক-লরি-জিহাদী থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ইতিহাস রচনা জিহাদী । বাংলাদেশে জঙ্গি আন্দোলন কে সফল করতে এরা সংস্কৃতির মূলে আঘাত করতে চাইছে । সেই লক্ষে রবীন্দ্রনাথ যেহেতু বাঙ্গালী সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রবি জীবন এবং কর্ম সম্পর্কে মানুষের মনে বিদ্বেষ রোপন করছে।

হয়ত লক্ষ করেছেন, সামু ব্লগে সাম্প্রতিক সময়ে এক বা একাধিক জঙ্গী-জামাতি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে একের পর এক বিদ্বেষপূর্ন বায়োনাট পোস্ট দিচ্ছে । এর মূল বক্তব্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, কিন্তু সে এটাকে তথ্যের সাথে মিশিয়ে তার তত্ত্বকে পরিবেশন করে খুব কায়দা করে। খুব আশ্চর্যের বিষয়, এই জঙ্গী-জামাতিরা বাংলা উইকিপিডিয়াতেও লিখছে ।

এদের লেখার একটা উদাহরণ দেই। উইকিপিডিয়ায় শিবাজির বায়োডাটায়, শায়েস্তা খাঁ সম্পর্কে বলা হচ্ছে "যালিম, লুটেরা দস্যু কাফিরদের দমন করার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড- নির্ঝঞ্ঝাট হওয়ায় বাংলায় তার শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়ার কিংবদন্তী রচিত হয়েছে।"। লক্ষ করুন উইকিপিডিয়ায় শিবাজিকে বলা হচ্ছে "কাফের" !!!!

এখন আপনার লেখা প্রসঙ্গে বলি । সাহিত্যে বাঙ্গালী কবি রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার পাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলেও রবীন্দ্রনাথের কর্মের তুলনায় এই পুরস্কার খুব বড় কিছু নয় । সাহিত্যিক হিসেবে রবীন্দ্রনাথের স্থান গ্যেটের সমতুল্য । তার কিছুটা সমসাময়িকদের মধ্যে একমাত্র তলস্তয়কে তার সাথে তুলনা করা যেতে পারে । রবীন্দ্রনাথের কর্ম জগৎ তলস্তয়ের চেয়েও বিস্তৃত । নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনের কোন-না-কোন বই আমি পড়েছি। এদের মধ্যে টমাস মান আর সম্ভবত ইয়েটস ছাড়া রবীন্দ্রনাথের সাথে তুলনীয় আর কেউ নয় । দার্শনিক হিসেবে এবং সর্বোপরি মানুষ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ আরও বড়। মনুষ্যত্বের বিচারে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিকদের মধ্যে রমা রলা আর বার্ট্রাণ্ড রাসেল হয়তবা তার কাছাকাছি হলেও হতে পারেন ।

অশিক্ষিত, অর্ধ-অশিক্ষিত, জঙ্গীমনস্ক, যৌন-জিহাদী, ইতিহাস জিহাদীরা রবীন্দ্রনাথ পাঠ করে মগজে-মননে কিছু ধারণ করতে পারলে মৃত রবীন্দ্রনাথের কোন লাভ নেই। সেই অশিক্ষিত, অর্ধ-অশিক্ষিত, জঙ্গীমনস্কদের লাভ আছে - যদি কেউ মানুষ হয়ে উঠতে পারে।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনি মনে হচ্ছে চাঁদগাজী ভাইয়ের অ্যাড দিচ্ছেন ।

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: উপরের মন্তব্যটি মুছে দিন, এটা আপনার জন্য নয় ।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ২:০০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সমস্যা নাই।

১৬| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

আঁধার রাত বলেছেন: সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আলোচনার জন্য আইয়ূব খানের আনওয়ানটেড চাইল্ডরা রয়েছে আমি বরং অন্য প্রসঙ্গে যায়ঃ
১। অনলি ওয়ান পিস ইজ মেড, দেবন্দ্রনাথ ইজ ডেড। বিশ্ব সাহিত্যে ইতিহাসে রঠা প্রতিভা বিরল। তারমত বহুমুখী প্রতিভা সচারাচর দেখা যায় না।বাংলা সাহিত্যে আর আসে নাই। বিশ্ব সাহিত্যে আর আসবে কিনা সন্দেহ আছে।
২। শিবাজী কাফেরই ছিলেন একরডিং টু মুসলিম ডেফিনিয়েশ। আর সে ও তার চ্যালারা যে দস্যূ ছিল তার প্রমান ছোট বেলার ঘুমপাড়ানি গান
”ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে”
বর্গী বলতে শিবাজী ও তার চ্যালাদেরই বোঝানো হয়েছে।
৩। টাকায় আট মন চাল পাওয়া গেলেও ঐ একটাকা আজকের দিনের একটাকা ছিল না।
শায়েস্তা খাঁর সস্তার আমলের টাকায় ৮ মন চালের হিসাব।
আট মন চাল বানাতে ৫৪৪ কেজি ধান বা ১৩.৬ মন ধান লাগে। সে আমলে উচ্চ ফলনশীল ইরি বিরি জাতের ধান ছিল না। অতি উর্বর একবিঘা জমি থেকে সাড়ে তিনমন থেকে চার মন ধান পাওয়া যেত। গড়ে সাড়ে তিন মন ধরলে প্রায় চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করা লাগত।চার বিঘা জমি ২ বার চাষ করতে দুই বলদ আর নাঙ্গল আর কৃষকের ৮ দিন সময় লাগত।চার মাস নিবিড় পরিচর্যা শেষে ধান কাটতে হত।কয় জন কৃষি শ্রমিকের কয় দিন লাগত চার বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে আনতে? ধান একা একা ঘরে ওঠে না। তাকে কাটতে হয়। বহন করে বাড়ি আনতে হয়। গরু দিয়ে মাড়াই করতে হয়। ঝাড়াই বাছাই শেষে গোলায় তুলতে হয়। এর পর বড় বড় পাতিলে সেদ্ধ করতে হবে প্রায় ১৪ মন ধান। রোদে শুকাতে হবে। তারপর ঢেঁকিতে মাড়াই করে চাল বের করতে হবে। তিনজন মহিলা সারাটা দিন ঢেঁকিতে লাথি দিয়ে দুই মন ধান থেকে চাল বের করতে পারত। ১৪ মন ধান ঢেঁকি ছাটা করতে ২১ টা শ্রমিক লাগত।
এরপর গরুর গাড়িতে বোঝাই করে হাটে/গঞ্জে নিয়ে গেলে ১ টাকা পাওয়া যেত। ঐ গঞ্জেই ২ টাকায় যুবতি দাসি কিনতে পাওয়া যেত বলে কথিত আছে। টাকায় আট মন চালের আমল মোটেও সস্তার আমল ছিল না।
৪। ধুলট কর আমার দাদার বাপ দিয়েছে শুনেছিলাম। এখন ভাবি সম্ভব হলে রঠা প্রজাদের পাদের উপরও কর বসাতো। জোরে পাদলে এক আনা, শব্দ ছাড়া গন্ধ বের হলে দেড় আনা। আফসোস পাদের হিসাব রাখার মত লোকবলের অভাবে হয়ত তা করতে পারেন নাই।
৫। বৌঠানের সাথে অতিরিক্ত মাখামাখি, অধস্তন কর্মচারী বেনীমাধবের কন্যার সাথে বিয়ে, বিয়ের কয়েকদিন পর বৌঠানের আত্নহত্যা, কাকপক্ষি জানার আগেই সৎকার সব মিলিয়ে মাইনষে বৌঠান আর রঠারে নিয়ে খারাপ কথা বলে।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ২:০৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: এতকিছু অবশ্য আমার জানা ছিল না :P

১৭| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিরোধিতা করাটা কিছু মানুষের কাছে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ২:০২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: তা যা বুঝেন,আপনারা জ্ঞানি গুণী মানুষ আপনাদের কথার উপরে কিছু বলা চলে না । ধন্যবাদ ।

১৮| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে যাহারা দেবতা বানাইয়াছেন তাহারা ভুল করিতেছেন। রবীন্দ্রনাথকে যাহারা ভিলেন বানাইতেছেন তাহারাও ভুল করিতেছেন। তিনি মানুষ ছিলেন। তাহার দোষ গুন ছিল। আমাদের উপমহাদেশে মানুষকে হয় দেবতা বানানো হয় অথবা ভিলেন বানানো হয় , মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয় না।
তখনকার জমিদার হিসেবে তিনি প্রজাপালক ছিলেননা ইহা সত্য হইতে পারে কারণ জমিদারির উদ্দেশ্যেই ছিল বেশি বেশি খাজনা আদায় করিয়া চাকচিক্য, সম্পদ বাড়ানো, ইংরেজকে সময়মতো খাজনা দিয়া জমিদারি বজায় রাখা। লেখকের উদ্দেশ্য বোধহয় তাহাকে দেবতার আসন থেকে নামানো। তবে এতো বড় মাপের মানুষকে মূল্যায়ন করিতে হইলে নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি থাকিতে হয় , যাহার অভাব আপনার লেখায় দেখা যাইতেছে।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ২:০৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ এবং আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করেছি বলে দুঃখীত ।

১৯| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৮

নাইম রাজ বলেছেন: বুঝিনা কি লাভ এসব বলে ।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ । না বুঝলে কিছু করার নাই ।

২০| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৪২

মামুন ইসলাম বলেছেন: এ বিষয়ে আপনার এই পোস্ট চাঁদগজী ভাইয়ের একটি পোস্ট বেশ কন্টেন্ট হচ্ছে :-B

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই । আমি কন্টেন্টের জন্য পোস্ট দেই না । পোস্ট দেই সকলের সাথে আলোচনা করা ও বুঝার জন্য।

২১| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৪৪

কানিজ রিনা বলেছেন: সবার হৃদয়ে রবিদ্রনাথ চেতনায় নজরুল।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: জি তাই যেন হয় আপু ।

২২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

আবদুল মমিন বলেছেন: চাঁদ গাজী একজন সবজান্তা মানুষ কোন লিখা পোস্ট করার আগে উনারে একবার জিজ্ঞাসা করিবেন ।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: না উনিও আসলে অনেক ভালো মানুষ ।

২৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: সবার নির্মোহ বিশ্লেষণ হওয়া দরকার। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকতে পারে না। কিন্তু ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ প্রশ্নাতীত নয় বলেই মনে হয়।
সমস্যা হলো, আমাদের দেশে যারা রবীন্দ্রনাথকে দেবতার আসনে বসিয়েছে, তারা নিশ্চিত যে দেবতার কোন ভূল থাকতে পারে না। অন্যদিকে, যারা ইকবালকে বিশ্বকবি মনে করে, তারা আবার রবীন্দ্রনাথের অবদানের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতাকেই রবীন্দ্রসমগ্র হিসেবে ধরে নিয়েছে।

শুভ ব্লগিং

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.