নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরআনে বর্ণিত হযরত যুল-কিফল (আঃ) এর জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট একটি ঘটনা

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

পবিত্র কুরআনে কেবল মাত্র সূরা আম্বিয়া ৮৫-৮৬ ও ছোয়াদ ৪৮ আয়াতে যুল-কিফল (আঃ)এর নাম এসেছে। তিনি আল-ইয়াসা (আঃ)এর পরে নবী হন এবং ফিলিস্তীন অঞ্চলে বনু ইস্রাঈলগণের মধ্যে তাওহীদের দাওয়াত দেন।
আল্লাহ বলেন,
وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِدْرِيْسَ وَذَا الْكِفْلِ كُلٌّ مِّنَ الصَّابِرِيْنَ- وَأَدْخَلْنَاهُمْ فِيْ رَحْمَتِنَا إِنَّهُمْ مِنَ الصَّالِحِيْنَ- (الأنبياء ৮৫-৮৬)-
‘আর তুমি স্মরণ কর ইসমাঈল, ইদরীস ও যুল-কিফলের কথা। তারা প্রত্যেকেই ছিল ছবরকারী’। ‘আমরা তাদেরকে আমাদের রহমতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। তারা ছিল সৎকর্মশীলগণের অন্তর্ভুক্ত’ (সূরা আম্বিয়া )। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَاذْكُرْ إِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَذَا الْكِفْلِ وَكُلٌّ مِّنَ الْأَخْيَارِ- (ص ৪৮)- ‘আর তুমি বর্ণনা কর ইসমাঈল, আল-ইয়াসা‘ ও যুল-কিফলের কথা। তারা সকলেই ছিল শ্রেষ্ঠগণের অন্তর্ভুক্ত’ (সূরা ছোয়াদ)।
ইবনু কাছীর বলেন শ্রেষ্ঠ নবীগণের সাথে একত্রে বর্ণিত হওয়ায় প্রতীয়মান হয় যে যুল-কিফল(আঃ) একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী ছিলেন। হযরত সুলায়মান (আঃ)পরবর্তী নবী হিসাবে তিনিও শাম অঞ্চলে প্রেরিত হন বলে ধারণা হয়।
ইবনু জারীর তাবেঈ বিদ্বান মুজাহিদ সূত্রে বর্ণনা করেন যে পূর্বতন নবী হযরত আল-ইয়াসা (আঃ) বার্ধক্যে উপনীত হলে একজনকে তার স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।আর এই উদ্ধেশ্যে তিনি তার সকল সাথীকে একত্রিত করে বললেন যার মধ্যে তিনটি গুণ বিদ্যমান থাকবে আমি তাকেই আমার খলীফা নিযুক্ত করব।আর সে গুণ তিনটি হলঃ
১। সর্বদা ছিয়াম পালনকারী
২।আল্লাহর ইবাদতে রাত্রি জাগরণকারী
৩। তিনি কোন অবস্থায় রাগান্বিত হন না।
এই ঘোষণা শোনার পর সমাবেশ স্থল থেকে ঈছ বিন ইসহাক্ব বংশের জনৈক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালেন এবং সে নবীর প্রতিটি প্রশ্নের জওয়াবে হাঁ বললেন। কিন্তু তিনি সম্ভবতঃ তাকে বিশ্বাস করতে পারলেন না। তাই দ্বিতীয় দিন আবার সমাবেশ আহবান করলেন এবং সকলের সম্মুখে পূর্বোক্ত ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করলেন। কিন্তু সবাই চুপ রইল কেবল ওই একজন ব্যক্তিই উঠে দাঁড়ালেন। তখন আল ইয়াসা (আঃ) উক্ত ব্যক্তিকেই তার খলীফা নিযুক্ত করলেন যিনি তার জীবদ্দশায় তার নবুঅতী মিশন চালিয়ে নিবেন এবং মৃত্যুর পরেও তা অব্যাহত রাখবেন। বলা বাহুল্য উক্ত ব্যক্তিই হলেন যুল-কিফল(আঃ) পরবর্তীতে আল্লাহ যাকে নবুঅত দানে ধন্য করেন (কুরতুবী, ইবনু কাছীর)।
যুল-কিফলের (আঃ) এর জীবনে পরীক্ষা
যুল কিফল (আঃ) উক্ত মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন দেখে ইবলীস হিংসায় জ্বলে উঠল এবং ইবলীসের মাথায় ঘোরপাক খেতে শুরু করল। ইবলীস তার বাহিনীকে বলল যেকোন মূল্যে তার পদস্খলন ঘটাতেই হবে। কিন্তু ইবলীসের সাঙ্গ পাঙ্গরা বলল আমরা ইতিপূর্বে বহুবার তাকে ধোকা দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। অতএব আমাদের পক্ষে একাজ সম্ভব নয়। তখন ইবলীস স্বয়ং এ দায়িত্ব নিল।যুল কিফল (আঃ) সারা রাত্রি ছালাতের মধ্যে অতিবাহিত করার কারনে কেবলমাত্র দুপুরে কিছুক্ষণ নিদ্রা যেতেন। ইবলীস তাকে রাগানোর জন্য ঠিক সেই সময়টাকেই বেছে নিল। একদিন সে ঠিক দুপুরে তার নিদ্রার সময় এসে দরজার কড়া নাড়া দিল। কাঁচা ঘুম থেকে উঠে তিনি জিজ্ঞেস করলেন কে ? উত্তর এল আমি একজন বৃদ্ধ মযলূম। তিনি দরজা খুলে দিলে সে ভিতরে এসে বসলো এবং তার উপরে যুলুমের দীর্ঘ বর্ণনা শুরু করল। এভাবে দুপুরে নিদ্রার সময়টা পার করে দিল। যুল কিফল(আঃ)তাকে বললেন আমি যখন বাইরে যাব তখন এসো। আমি তোমার উপরে যুলুমের বিচার করে দেব।

যুল কিফল(আঃ) বাইরে এলেন এবং আদালত কক্ষে বসে লোকটির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। কিন্তু সেদিন সে এলো না। পরের দিন সকালেও তিনি তার জন্য অপেক্ষা করলেন কিন্তু সে এলো না। ঠিক দুপুরে যখন তিনি কেবল নিদ্রা গেছেন ঠিক তখনই এসে কড়া নাড়া দিলেন। তিনি উঠে দরজা খুলে দিয়ে তাকে বললেন আমি কি তোমাকে বলিনি যে আদালত কক্ষে মজলিস বসার পর এসো। কিন্তু তুমি কালও আসনি আজও সকালে আসলে না। তখন লোকটি ইনিয়ে বিনিয়ে চোখের পানি ফেলে বিরাট কৈফিয়তের এক দীর্ঘ ফিরিস্তি পেশ করল। সে বলল, হুযুর আমার বিবাদী খুবই ধূর্ত প্রকৃতির লোক। আপনাকে আদালতে বসতে দেখলেই সে আমার প্রাপ্য পরিশোধ করবে বলে কথা দেয়। কিন্তু আপনি চলে গেলেই সে তা প্রত্যাহার করে নেয়। এইসব কথাবার্তার মধ্যে ওই দিন দুপুরের যুল কিফল(আঃ) এরঘুম মাটি হল।

তৃতীয় দিন দুপুরে তিনি ঢুলতে ঢুলতে পরিবারের সবাইকে বললেন আমি ঘুমিয়ে গেলে যেন কেউ দরজার কড়া না নাড়ে। বৃদ্ধ এদিন এলো এবং কড়া নাড়তে চাইল। কিন্তু বাড়ীর লোকেরা তাকে বাধা দিলেন। তখন ইবলীস সবার অলক্ষ্যে জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ল এবং দরজায় ধাক্কা-ধাক্কি শুরু করল। এতে যুল কিফল (আঃ) এর ঘুম ভেঙ্গে গেল। তিনি দেখলেন সেই বৃদ্ধ ঘরের মধ্যে অথচ ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তিনি বুঝতে পারলেন যে এটা শয়তান ছাড়া অন্যকেউ নয়। তখন তিনি বললেন তুমি তাহলে আল্লাহর দুশমন ইবলীস ? সে মাথা নেড়ে বলল হ্যাঁ। আমি আজ আপনার কাছে ব্যর্থ হলাম। আপনাকে রাগানোর জন্যই গত তিনদিন যাবত আপনাকে ঘুমানোর সময় এসে জ্বালাতন করছি। কিন্তু আপনি রাগান্বিত হলেন না। ফলে আপনাকে আমার জালে আটকাতে পারলাম না। ইতিপূর্বে আমার শিষ্যরা বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আজ আমি ব্যর্থ হলাম। আমি চেয়েছিলাম যাতে আল ইয়াসা (আঃ) নবীর সাথে আপনার কৃত ওয়াদা ভঙ্গ হয়। আর সে উদ্দেশ্যেই আমি এতসব কান্ড ঘটিয়েছি। কিন্তু অবশেষে আপনিই বিজয়ী হলেন।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:

" ইবলীস তার বাহিনীকে বলল যেকোন মূল্যে তার পদস্খলন ঘটাতেই হবে। কিন্তু ইবলীসের সাঙ্গ পাঙ্গরা বলল আমরা ইতিপূর্বে বহুবার তাকে ধোকা দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। অতএব আমাদের পক্ষে একাজ সম্ভব নয়। "

-ইবলীসের বাহিনী কত বড়? ওখানে কে কে আছে? আল্লাহ যখন উনাকে বের করে দেন, উনি তো একা ছিলেন, পরে কি বিয়ে শাদী করেছিলেন?

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: যেমন আপনা চুলের গোরায় গোরায় শয়তানি বুদ্ধি ঘুর পাক খায় তেমনি ইবলীসেরও সাঙ্গ পাঙ্গ সংগ্রহ করতে কোন সমস্যা
হয় নাই । কিন্ত শেষ পযন্ত হার মানতেও বাধ্য হয়েছে । :)
আপনা শরীর সুস্থ আছে ত ভাই । না থাকলে তারাতারি কোন ভালো ডাক্তারের সরনাপন্য হওন ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সনেট কবি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।আল্লাহ আমাদের সকলের মঙ্গল করুক।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পূন্যাত্মাদের ঘটনা শেয়ার করায় ।

শুভ চেতনায় শুভ অনুভব :)

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কমেন্টে অনুপেরিত করায় ধন্যবাদ ভাই । আল্লাহু যেন আমাদের সকলের মাঝেই শুভ চেতনায় শুভ অনুভতি দেন :)

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " যেমন আপনা চুলের গোরায় গোরায় শয়তানি বুদ্ধি ঘুর পাক খায় তেমনি ইবলীসেরও সাঙ্গ পাঙ্গ সংগ্রহ করতে কোন সমস্যা হয় নাই । কিন্ত শেষ পযন্ত হার মানতেও বাধ্য হয়েছে । :)
আপনা শরীর সুস্থ আছে ত ভাই । না থাকলে তারাতারি কোন ভালো ডাক্তারের সরনাপন্য হওন । "

-ধর্ম খুবই সুক্ষ্ম চিন্তার বিষয়; আবোল তাবোল কিছু লিখে, ধর্মের মুল বিষয়ের সাথে মিল না রেখে পোস্ট লেখা ঠিক নয়; ধর্ম নির্ভর করে বিশ্বাসের উপর, লেখা নির্ভর করে লজিকের উপর।

-সব কিতাবী ধর্মের মতে "ইবলিশ" একজন; উহার বাহিনী, এটম বোমা বা মিসাইল নেই।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: এটা কিন্ত আপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন চাঁদগাজী ভাই। সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই ।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৬

প্রোলার্ড বলেছেন: ইবলিসের বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যে আমাদের সামুর ব্লগার চাঁদগাজী এটা ভালই টের পাওয়া যাচ্ছে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আসলে উনি সবই বুঝে ঠিকি, তবে মজা করে একটু বেশি ।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৯

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: জুলকিফল (আঃ) সম্পর্কে সত্যিই খুব কম জানি, আজকের ঘটনাটা জেনে খুব ভালো লাগলো।

চমত্‌কার পোস্টির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সিনবাদ ভাই ।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩০

কানিজ রিনা বলেছেন: ইবলিস একজন কিন্তু মানুষের ভিতরেই যেসব
মানুষ সয়তান তাদেরই ইবলিস একত্রে করে
দল গঠন করে। একা ইবলিস সর্বস্তরে মানুষের
মাঝে ঢুকে পড়ে।
চাঁদগাজী ভিতর ইবলিস বসত করে। তবে
খুব একটা দামী কথা বলেছেন ইবলিস একজন। হায়রে চাঁদগাজী একট্রাম্পের ভিতর
ইবলিস বসত করে তার সাথে কত ইবলিস
যোগ দিয়েছে তৃতীয় চক্ষু মেলিয়া দেখুন?

কোরআনে নবীদের মহান ব্যক্তিত্বকে আল্লাহ্
লিপিবদ্ধ করেছেন। আবার ফেরউন নমরুদের
কাহীনি আছে কোরআনে।
ভাললাগল আপনার লেখা ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


@কানিজ রিনা ,

মনে হয়, ধর্ম খুবই সুক্ষ্ম চিন্তার বিষয়; এবং সেভাবেই ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে; চাঁদগাজী, ট্রাম্পকে শয়তান ডেকে, বা শেখ সাহেবকে ফেরাউন ডেকে আল্লাহের বাণীকে মানুষের বিপক্ষে ব্যবহার করা সঠিক নয়।

হযরত আদম (আ: ) সৃস্টির সময় বলা হয়েছে যে, মানুষ "ইবলিশ" থেকে বেশী নলেজের অধিকারী; এসব মুল লজিক থেকে সরে গেলে ধর্মে আরও বিভক্তি হবে, শিয়া, সুন্নী, কু্র্দী, আহমেদিয়া ও ওয়াহাবীদের বাহিরে আরও নতুন গ্রুপ বেরিয়ে আসবে।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০০

প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: শয়তান বের হওয়ার পর বসে থাকেনি সেও কাজ করেছে অনুসারি তৈরি করেছে নিচের আয়াতে দেখুন

ثُمَّ لآتِيَنَّهُم مِّن بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَن شَمَآئِلِهِمْ وَلاَ تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَاكِرِينَ
এরপর তাদের কাছে আসব তাদের সামনের দিক থেকে, পেছন দিক থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে। আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না। [ সুরা আরাফ ৭:১৭ ]
শয়তান শুধু জিনের মধ্যে নয় মানুষের মধ্যে আছে দেখুন-
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
এমন প্ররোচনা দানকারীর অনিষ্ট থেকে যে মানুষের মনে প্ররোচনা দান করে সে জিনদের মধ্য থেকে হোক বা মানুষদের মধ্য থেকে ।" অর্থাৎ প্ররোচনা দান করার কাজ জিন শয়তানরাও করে আবার মানুষ শয়তানরাও করে। কাজেই এ সূরায় উভয়ের অনিষ্ট থেকে পানাহ চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হাদীস বলা হয়েছে
" হে আবু যার ! মানুষ শয়তান ও জিন শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর পানাহ চাও!" আমি জিজ্ঞেস করলাম , হে আল্লাহর রসূল ! মানুষের মধ্যেও কি আবার শয়তান হয় ৷ তিনি বললেন হা ।যারা শয়তানের অনুসারী ।

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৭

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা হচ্ছে সত্যিকারের শয়তান। কারণ রমজান মাসে শয়তানদের আটকে রাখা হলেও তাদের জোচ্চুরি বন্ধ হয় না।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫২

মাহিরাহি বলেছেন: ইবলিশের কাজ মানুষদের কষ্ট দেয়া।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লেখা জানা হল অনেক কিছু । তবে ব্লগার চাঁদগাজী ভাইয়ের জন্য বড় দুঃখ হয়।

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: জুলকিফল (আঃ) সম্পর্কে জেনে খুব ভালো লাগলো।

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

তারেক ফাহিম বলেছেন: জুলকিফল (আঃ) সম্পর্কে ধারণা খুক কম ছিলো।

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জনাব চাঁদগাজী,
না জানা পাপ নয়, না জনে েঅহংকার করা পাপ! এবং অর্বাচীন বাতুল প্রশ্ন করা বাহাদুররি কিছু নয়।

শয়তান প্রসঙ্গে আপনি ৪ নং কমেন্টে বলেছেন-

-সব কিতাবী ধর্মের মতে "ইবলিশ" একজন; উহার বাহিনী, এটম বোমা বা মিসাইল নেই।
আপনার এই জানাটা ভুল।
কিতাবী ধর্ম ইসলাম এ প্রসঙ্গে বিস্তারতি বলেছে। অযাচতি বতির্কের আগে আপনার স্ব-উদ্যোগে জেনে নেয়াতেই আপনার প্রাজ্ঞতার পরিচয় ফুটে উঠত।

ইবলিম যখন শয়তান হয়ে বিতাড়িত হল সে আল্লাহর কাছ থেকে অনেক গুলো প্রার্থনা মঞ্জুর করিয়ে নিয়েছিল।
আর আল্লাহ মঞ্জুর করেছিলেন- আদমের পরীক্ষার গ্রাউন্ড বেইজ হিসেবে। সে ভিন্ন কথা
তার প্রার্থনা গুলো দেখুন
"হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।"
***সূরা হিজরঃ আয়াতঃ ১৫:৩৬; সূরা ছোয়াদঃ আয়াতঃ ৩৮:৭৯।
মহান আল্লাহ ইবলিশের প্রার্থনা কবূল করেছিলেন।

অতঃপর ইবলিশ বলেছিলঃ
"হে আমার পালনকর্তা! আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তেমনি তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানাভাবে বা নানারুপে আকৃষ্ট করে পথভ্রষ্ট করে দেব। তবে যারা আপনার একনিষ্ঠ বান্দা তাদের ব্যতীত।"
***সূরা হিজরঃ আয়াতঃ ১৫:৩৪-৪০; সূরা ছোয়াদঃ আয়াতঃ ৩৮:৭৯-৮৩।

অতঃপর মহান আল্লাহ ইবলিশকে বলেছিলেনঃ
"তুমি এখান থেকে বেড়িয়ে যাও। এখানে অহংকার করার কোন অধিকার তোমার নাই। অতএব তুমি বের হয়ে যাও। তুমি নীচূ বা হীনতমদের অন্তর্ভুক্ত।"
***সূরা আরাফঃ আয়াতঃ ৭:১৩।

এর আরো বিস্তারিত বিশ্লেষন পাই মুকাশাফাতুল কুলুব গ্রন্থে:

আল্লাহপাক মানবকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ করে সৃষ্টি করে তাদেরকে সম্মানি সেজদা করার জন্য ফিরিশতাদের আদেশ করেন। সকলে আল্লাহর এই আদেশ সাথে সাথে পালন করেন। কিন্তু ইবলিশ শয়তান আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে। এমনকি সে অহংকারবশত আল্লাহর আদেশ মান্য করতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানায়।
সেই থেকে শয়তান মানুষের শত্রু হয়ে যায়। সে প্রতিজ্ঞা করে যে, যে আদমের কারনে তাকে অভিশপ্ত হতে হয়েছে তাকে সে কোনদিন ক্ষমা করবেনা। কিয়ামত পর্যন্ত সে আদমের পেছনে লেগে থাকবে এবং আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মানতে বা আল্লাহ রাসুলের পছন্দমত চলতে বাধা সুষ্টি করবে। এ ব্যাপারে সে আল্লাহর নিকট থেকে অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে।

বর্ণিত আছে,
একদা ইবলিস বলেছিল,

হে পরওয়ারদিগার, আমাকে আদমের কারণে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করেছেন, আপনি যদি আমাকে ক্ষমতা দান না করেন তাহলে আমি তার শত্রুতা ও ক্ষতিসাধন করতে পারবোনা। আল্লাহ তায়ালা বললেন, ‘ আমি তোকে ক্ষমতা দান করলাম।’ তবে আদম সন্তানদের মধ্যে আম্বিয়াগণ যেহেতু মাসুম ও নিষ্পাপ সেহেতু তাঁদের উপর ইবলিসের ক্ষমতা চলবেনা। ইবলিস বললো, ‘ আমাকে আরো অধিক ক্ষমতা দান করুন।’ আল্লাহ পাক বললেন, ‘ এক একজন আদম সন্তানের শত্রুতার জন্য তোর দুই দুইটি সন্তান জন্ম নিবে। ‘ সে বললো, ‘আরো অধিক করে দিন।’ আল্লাহ পাক বললেন, ‘তাদের বক্ষদেশে তোর আবাসস্হল হবে এবং তাদের শিরায় শিরায় তোর চলার ক্ষমতা থাকবে।’ সে বললো, ‘ আরো অধিক করে দিন।’ আল্লাহ পাক বললেন, ‘ আদম সন্তানের বিরুদ্ধে তোর অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে মেতে উঠ। তোর সর্ববিধ সহযোগীদের নিয়ে তাদের ক্ষতি সাধনে মত্ত হয়ে যা, তাদের ধন-সম্পদ উপার্জনে, জীবিকা নির্বাহে হারাম ও ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত করার প্রয়াস চালিয়ে যা। তাদের সন্তান-সন্ততির ব্যাপারে হারাম উপায় তথা ঋতুকালিন সময়ে স্ত্রী গমনে উদ্বুদ্ধকরণ, সন্তান-সন্ততির শিরকি নাম রাখা ইত্যাদি ব্যাপারে প্রতারিত কর। অনুরূপ ভ্রান্ত ধর্ম ও মতবাদ পেশ করে গর্হিত ও কলুষিত বাক্য ও কার্যাবলীর দ্বারা তাদেরকে পথভ্রষ্ট কর।’

অপর দিকে হযরত আদম (আঃ) আরজ করলেন,

‘ হে পরওয়ারদিগার! আপনি ইবলিসকে আমার আওলাদ ও সন্তান-সন্ততির ওপর ক্ষমতাবান করে দিয়েছেন; এখন আপনার তাওফিক ও সাহায্য ছাড়া তাদের ক্ষমা পাওয়ার কোনো উপায় নেই। ‘ আল্লাহ পাক বললেন, ‘ তোমার প্রতিটি সন্তানের সাথে একজন করে সংরক্ষক ও তত্বাবধায়ক ফিরিশতা নিয়োজিত থাকবে। ‘ আদম (আঃ) বললেন, ‘ ইয়া আল্লাহ! আমাদের আরো অধিক সাহায্য করুন। ‘ আল্লাহ পাক বললেন, ‘ যতক্ষণ পর্যন্ত আদম সন্তানের দেহে প্রাণ থাকবে, ততোক্ষন পর্যন্ত তাদের জন্য তওবার দরজা খোলা থাকবে। ‘ হযরত আদম (আঃ) বললেন, ‘ আরো সাহায্য করুন। ‘ আল্লাহ পাক বললেন, ‘ আমি আদম সন্তানকে ক্ষমা করতে থাকবো, তারা যত গুনাহই করুক না কেন, আমি কোন পরওয়া করবোনা। ‘ হযরত আদম (আঃ) বললেন এখন যথেষ্ট হয়েছে।

আরো বহু বহু গ্রন্থ হাদীস সূত্র রয়েছে। পারলে অনুসন্ধান করুন। গবেষনা করুন। নিজে জানুন উপকৃত হোন, পারলে অন্যকে জানান!

ভাল থাকুন।

১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৩৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো হল অনেক কিছু জানা হল ।

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৯

blogermassud বলেছেন: ভালো লেখা । লেখায় প্লাস ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.