নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহু শব্দের ইতিহাস

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯


আল্লাহ শব্দটি আরবি আল বাংলায় যারঅর্থ সুনির্দিষ্ট বা একমাত্র এবং ইলাহ বাংলায় যারঅর্থ ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা শব্দদ্বয়ের সম্মিলিত রূপ বাংলায় যার অর্থ দাড়ায় একমাত্র সৃষ্টিকর্তা বা একক ঈশ্বর। একই শব্দমূল বিশিষ্ট শব্দ অন্যান্য সেমিটিক ভাষাতেও পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হিব্রু এবং আরামাইক ভাষার কথা। প্রাচীন হিব্রু ভাষায় শব্দটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বহুবচন এলোহিম কিন্তু অর্থের দিক দিয়ে একবচন হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। আর আরামাইক ভাষায় শব্দটির রূপ এলাহা বা আলাহা । কিন্তু এই শব্দটির অর্থ এই সব ভাষাতেই সমার্থক একক ঈশ্বর। গুরু গ্রন্থ সাহিব অর্থাৎ শিখদের ধর্মগ্রন্থে আল্লাহ (ਅਲਹੁ) শব্দটি ৩৭বারের চেয়ে বেশি বার ব্যবহৃত হয়েছে।
ইসলাম পূর্ব আরবেও আল্লাহ নামের ব্যবহার খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু তা কেবল সৃষ্টিকারী দেবতা এবং খুব সম্ভবত সবচেয়ে শক্তিশালী দেবতা বুঝাতে ব্যবহার করা হতো। আল্লাহ সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন ধারণা থাকলেও পৃথিবীর প্রধান তিনটি ধর্মের অনুসারীদের অর্থাৎ মুসলমান, ইহুদী ও খ্রিস্টানদের কাছে আল্লাহ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, অদ্বিতীয়, একমাত্র অভিভাবক এবং একমাত্র আরাধনাযোগ্য, একই সঙ্গে আদি-অন্তহীন, অবিনশ্বর এবং সকল কিছুর ওপর একমাত্র তিনিই ক্ষমতাবান।

ইসলাম পূর্ব আরবে পৌত্তলিক আরবরা একশ্বরবাদী ছিল না তারা আল্লাহকে একক এবং অদ্বিতীয় মনে করতো না বরং তার সাথে সঙ্গী সাথী এবং পুত্র কন্যার ধারণা সংযুক্ত করেছিলো যা ইসলামী যুগে সমূলে উৎপাটন করা হয়। ইসলামে আল্লাহ শব্দটি দ্বারা এক, অদ্বিতীয় এবং অবিনশ্বর ঈশ্বরের দিকে ইঙ্গিত করা হয় এবং সমস্ত স্বর্গীয় গুণবাচক নামকে সেই একক সত্তার নাম বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়। ইসলামী ভাষ্যনুযায়ী আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, সমস্ত-জগৎ-সৃষ্টিকর্তা, সর্বত্র বিরাজমান, একক অধীশ্বর। এই কারণে বর্তমান-যুগের আরব-খ্রিস্টানেরা মুসলিমদের থেকে পার্থক্য সৃষ্টি করতে Allāh al-ʾAb (الله الأب, "God the Father" অর্থাৎ, ঈশ্বর-পিতা) শব্দ ব্যবহার করে।এমনভাবে কুরআনে বর্ণিত আল্লাহ শব্দার্থ, এবং হিব্রু বাইবেলে বর্ণিত আল্লাহ শব্দের অর্থে মিল এবং অমিল দুই-ই আছে।

ইউনিকোডে আরবি আল্লাহ শব্দের জন্য একটি বিশেষ কোড, ﷲ = U+FDF2, সংরক্ষিত রাখা আছে।অনেক আরবি ফন্টেও ﷲ শব্দটিকে একটি অখণ্ড অক্ষর হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

কানিজ রিনা বলেছেন: অসাধারন বেশ জানা হোল। সুবহানআল্লাহ্।

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

মিন্টু ভাই বলেছেন: সুবহানআল্লাহ্ ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কেমন আছেন মিন্টু ভাই ?

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: খুব সুন্দর।

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শব্দটি কি মানুষের দ্বারা সৃস্ট, নাকি আল্লাহ এই শব্দ মানুষের কাছে পাঠায়েছেন? হযরত আদম কি নামে সম্বোধন করেছেন আল্লাহ'কে?

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনারা বিজ্ঞানীরা একটু চেষ্টা চালান ।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

Realanswer বলেছেন: আল্লাহ শব্দ যে ঈশ্বরের আসল নাম নয় তা প্রমান করেছে কিছু অনারব অমুসলিম। তাদের আরবী ভাষার গভীরতা সম্পর্কে ধারনা নেই । আল্লাহ শব্দ থেকেই আল ইলাহ শব্দ এসেছে কিন্তু আল ইলাহ শব্দ থেকে আল্লাহ শব্দ আসে নাই যা শুধু আরবী গ্রামার যাদের ভাল ধারনা আছে তারাই জানে । ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে ইংরেজী গ্রামারের ভুল ধরছে একজন বাংগালী।

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
শব্দটি কি মানুষের দ্বারা সৃস্ট, নাকি আল্লাহ এই শব্দ মানুষের কাছে পাঠায়েছেন? হযরত আদম কি নামে সম্বোধন করেছেন আল্লাহ'কে?


আল্লাহ যদি নিরাকা হন তাহলে আল্লাহর মুখ কোথায় দেখতে পেলেন? মুখ যদি দেখতে না পান তাহলে আল্লাহ কথা কয় সেটা কি করে বুঝতে পারলেন? যার নিদ্রা নাই, খাবার প্রয়োজন নাই, আরাম নেবার প্রয়োজন নাই তার আবার কথা বলার কি প্রয়োজন?

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.