নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম নারীদের ঘরের বাইরে যে ভাবে যেতে দেয় ?

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫


ইসলামে নারীর অধিকার নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ইসলাম নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের সূরা আহযাবে বলা হয়েছে:
হে নবী, বলুন আপনার স্ত্রী ও কন্যাদেরকে এবং বিশ্বাসী নারীদেরকে যে, তাঁরা যেন তাঁদের বহিরাবরণ পরে থাকে যখন বাইরে যাবে। এটা তাদের পরিচিতির অত্যন্ত উপযোগী। তারা যেন পরিচিত হয় বিশ্বাসী নারী হিসেবে তাহলে আর অহেতুক উৎপিড়ীত হবে না। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল দয়াবান।
সাধারণত ইসলাম সর্বাবস্থায় কোন নারীকে বা নারীদের ঘরে আবদ্ধ করে রাখার কথা বলে না। এই সম্পর্কে হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,
রাসূল (সাঃ) বলেন অবশ্যই প্রয়োজনে তোমাদের ''নারীদের,, বাইরে যাওয়ার অণুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে সেক্ষেত্রে দূর যাত্রা হলে সাথে মাহ্রম নিতে হবে। মাহ্রম হল সাথে কোনো পুরুষ অভিভাবক । এই সম্পর্কে সহীহ বোখারী শরীফে
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন মাহ্রমের উপস্থিতি ব্যতীত কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে না। এক ব্যক্তি ওঠে দাঁড়িয়ে জিগ্যেস করল ইয়া রাসূলুল্লাহ আমার স্ত্রী হজ্বে বেরিয়ে গেছে এবং অমুক অমুক জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। নবী (সাঃ) বললেন ফিরে যাও এবং স্ত্রীর সাথে হজ্ব সমাপন কর।

ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় অশ্লীলতা এবং ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে নারী ও পুরুষ, উভয়েরই তাদের নিজ নিজ রূপ লাবণ্য এবং সৌন্দর্যকে একে অপরের চোখ থেকে আড়ালে রাখার জন্য ইসলামে যে বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে তাকে হিজাব বা পর্দা বলা হয়। ইসলাম মুসলমান নারী এবং পুরুষ উভয়ের ওপর পর্দা ফরজ করে দিয়েছে। এই সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সূরা নূরে বলা হয়েছে,
প্রত্যেক বিশ্বাসী পুরুষদের বল তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে। এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহ হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য উত্তম পন্থা। আল্লাহ তায়ালা সে বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত। এবং বিশ্বাসী নারীদেরকে বল তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে। এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের সংযত সংরক্ষণ করে এবং তাদের দৈহিক সৌন্দর্য ও অলংকারের প্রদর্শনী না করে। তারা যেন তাদের বক্ষের ওপরে চাদর ঝুলিয়ে দেয় এবং তাদের স্বামী, তাদের পিতা, শ্বশুর এবং সন্তানদের ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে।

ইসলামের গবেষকরা এই আয়াত সমূহ এবং এ সংক্রান্ত হাদিসের ওপর ভিত্তি করে, নারী পুরুষের পর্দার একটা সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক হল, কমপক্ষে নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা। আর নারীর জন্য বাধ্যতামূলক হল, কমপক্ষে দুই হাতের কব্জী এবং মূখ মন্ডল ছাড়া পুরো শরীর ঢেকে রাখা। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, তাও ঢেকে রাখতে হবে। এছাড়া পর্দার বাকি শর্তগুলো হল, পরিধেয় পোশাক ঢিলেঢালা হবে। যেন দেহের মূল কাঠামো প্রকাশ না পায়। পোশাক এত পাতলা ও স্বচ্ছ হবে না, যাতে ভেতরটা দেখা যায়। পোশাক বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করার মত আকর্ষণীয় হবে না। পোশাকের ধরন বিপরীত লিঙ্গের মত হবে না। এবং পোশাকের ধরন অবিশ্বাসীদের মত হবে না। এই শর্তগুলো নারী পুরুষ উভয়ের জন্য একই রকম।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: যে যত ঝুকেছে ধর্মের দিকে তার চিন্তাশক্তি , যুক্তি তত বেশীলোপ পেয়েছে।সমস্ত সমস্যার সমাধান খুজেছে পবিত্র গ্রন্থে ।ফলে মানসিক বিকাশের পরিবর্তে জন্ম নিয়েছে অন্ধত্বের।তাদের কাছে বিশ্বাসই মুখ্য এবং বিচার বুদ্ধি যুক্তি তর্ক গৌন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: তবে পবিত্র গ্রন্থকে ফেলে দেওয়া যাবে না ।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

তালপাতারপাখাই বলেছেন: আপনা পোস্ট খুব হার্ড হয় । একটু হালকা করলে ভালো হবে ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ দেখি কি করা যায় ।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে যত বেশি ছেড়েছে ধর্মের শিকড় তার চিন্তাশক্তি , যুক্তি তত বেশীলোপ পেয়েছে ভোগবাদীতায়। সমস্ত সমস্যার সমাধান খুজেছে নিজের নফসের অনুকুলে ।ফলে মানসিক বিকাশের পরিবর্তে জন্ম নিয়েছে পশুত্বের। তাদের কাছে ভোগই মুখ্য এবং বিচার বুদ্ধি যুক্তি তর্ক সব সে অনুপাতে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন ভাই । কমেন্টে মুগ্ধ হোলাম ।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পর্দার বিষয়টা বাড়াবাড়ি রকম আবরণে পরিণত হয়েছে ইয়াজিদ পরবর্তী ইসলামী মেনুপুলেশনের সময়।
জ্ঞান এবং বোধের পর্দা না থাকলে কেবলই পোষাক কখনোই সুরক্ষা দেয় না!

আয়াতটা লক্ষ করুন দৃষ্টি সংযত করার কথা বলা হয়েছে। দৃষ্টি ষংযত হলে সামনে সুইমিং কস্টিউম থাকলেও সমস্যা হবার কথা না। আপনার দৃষ্টি শুধু দৃশ্যমান চোখ নয়- চেতনারও বটে আপনাকে বিরত রাখে মন্দ ভাবনা হতে।

আবার আপনার লজ্বা স্থানের হেফাজতের কথা তাগিদ দিয়েছে।
আপনার কাছে নগ্ন নারী এলেও আপনার এই চেতনাই আপনাকে হেফাজত করবে । এটা শুদূ নারীর নয় পুরুষের জণ্যও কিন্তু।
আপনার সুরক্ষাই নালীর সুরক্ষায় বদলে যায়!
তাই পোষাকের আবরণের চেয়ে জ্ঞানের বিকাশ বেশি জরুরী! আমি যৌনতাকে কিভাবে দেখব তার উপরই নির্ভর করবে আমার আচরণ।
সংযত হবে না অসংযত!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১১

বারিধারা বলেছেন: "আর নারীর জন্য বাধ্যতামূলক হল, কমপক্ষে দুই হাতের কব্জী এবং মূখ মন্ডল ছাড়া পুরো শরীর ঢেকে রাখা।"

এই বাধ্যতামূলক করল কে? কুরআন বা হাদীসে তো কোথাও এরকম কোন নির্দেশনা নেই। কোন আলেমেরা এরকম নির্দেশনা জারি করেছে? পুরুষের সেক্স ওঠে এজন্য নারীর কষ্ট করতে হবে? খাবার দেখে কারো জিহবা দিয়ে যদি লোল পড়ে, তবে সে যেন মুখ বন্ধ রাখে তার ব্যবস্থা না করে খাবার ঢেকে রাখা কোন কি বিবেচনার কাজ?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ বারিধারা।
খাবার দেখে কারো জিহবা দিয়ে যদি লোল পড়ে, তবে সে যেন মুখ বন্ধ রাখে তার ব্যবস্থা না করে খাবার ঢেকে রাখা কোন কি বিবেচনার কাজ?
ভাই খোলা খাবারে যেমন বসে মশা,মাছি,তেমন খোলা খাবার খেলে ডাইরিয়া সহ বিভিন্ন জিবানুবাহি রোগও ছড়াতে পারে ।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

শামচুল হক বলেছেন: পর্দার বাকি শর্তগুলো হল, পরিধেয় পোশাক ঢিলেঢালা হবে। যেন দেহের মূল কাঠামো প্রকাশ না পায়। পোশাক এত পাতলা ও স্বচ্ছ হবে না, যাতে ভেতরটা দেখা যায়। পোশাক বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করার মত আকর্ষণীয় হবে না। পোশাকের ধরন বিপরীত লিঙ্গের মত হবে না। এবং পোশাকের ধরন অবিশ্বাসীদের মত হবে না। এই শর্তগুলো নারী পুরুষ উভয়ের জন্য একই রকম।

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

মুন্না৩৮ বলেছেন: পর্দা ব্যবস্থায় নারীদেরকে সন্মানীত করে এবং তাদের মর্যাদাকে বাড়িয়ে দেয়।

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগল আলোচনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.