![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেরেশতা হলেন ইসলামী বিশ্বাসমতে এবং দৃষ্টিকোন থেকে স্বর্গীয় দূত। তারাও মানুষের ন্যায় আল্লাহর সৃষ্টি। আরবিতে ফেরেশতাদের একবচনে মালাইক ও বহুবচনে মালাক বলে। ফেরেশতারা নভোমণ্ডল এবং ভূমণ্ডলের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তারা সর্বদা এবং সর্বত্র আল্লাহুর উপাসনায় রত থাকেন এবং আল্লাহর অবাধ্য হবার কোনো ক্ষমতা ফেরেশতাদের নেই। ফেরেশতারা নূর থেকে তথরূপ আলোর তৈরি।রূহানিক জীব বলে তারা খাদ্য এবং পানীয় গ্রহণ করেন না। তারা সুগন্ধের অভিলাষী এবং পবিত্র স্থানে অবস্থান করেন। তারা যেকোনো স্থানে গমনাগমন এবং যে কোন আকৃতি পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখেন। ইসলাম, খ্রিস্টান এবং ইহুদী ধর্ম ছাড়াও হিন্দু ধর্মেও ফেরেশতা তথা স্বর্গীয় দূতদের অস্তিত্ত্বের কথা বলা আছে।
ফেরেশতাদের সম্পর্কে সূরা আল-আম, কুরআনের ৬নম্বর সূরা ৮নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেঃ
وَقَالُوا لَوْلَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ مَلَكٌ ۖ وَلَوْ أَنْزَلْنَا مَلَكًا لَقُضِيَ الْأَمْرُ ثُمَّ لَا يُنْظَرُونَ
আর তারা বলে থাকে, তাদের কাছে কোন মালাক,ফেরেশতা কেন পাঠানো হয়না? আমি যদি প্রকৃতই কোন মালাক/ফেরেশতা অবতীর্ণ করতাম তাহলে যাবতীয় বিষয়েরই চূড়ান্ত সমাধান হয়ে যেত, অতঃপর তাদেরকে কিছুমাত্রই অবকাশ দেয়া হতনা।
ফেরেশতাদের সংখ্যা অগণিত।তবে কোনো কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ কাজের উপর ভিত্তি করে ফেরেশতাদের তের থেকে চৌদ্দটি শ্রেণীতে ভাগ করে থাকেন। যাদের মধ্যে চারজন ফেরেশতাকে উচ্চমর্যাদার ফেরেশতা বলা হয়ে থাকে।
(১)হামালাত আল-আরশ, যেসমস্ত ফেরেশতা আল্লাহর আরশ ধরে রাখেন।
(২)জিবরাইল (আঃ) হলেন আল্লাহর দূত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ফেরেশতা। এই ফেরেশতার নাম তিনবার পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে । জিবরাইল ফেরেশতাকে পাকরূহ বা রুহুল কুদুস বলা হয়েছে। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ এবং সংবাদ আদান-প্রদান যেসব ফেরেশতার দায়িত্ব জিব্রাইল হলেন তাদের প্রধান। জিব্রাইল-ই আল্লাহর নবীদের বা বাণীবাহকদের কাছে গমনাগমন করেন।
(৩)মিকাইল (আঃ) কুরআনে এই ফেরেশতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বৃষ্টি এবং খাদ্য উৎপাদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
(৪)ইসরাফিল (আঃ)এই ফেরেস্তা কিয়ামত বা বিশ্বপ্রলয় ঘোষণা করবেন। তার কথা কুরআন শরীফে এবং হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
(৫)আজরাইল (আঃ) তাকে কুরআনে মালাক আল-মাউত নামে অভিহিত করা হয়েছে। তিনি হলেন মৃত্যুর ফেরেশতা এবং প্রাণ হরণ করেন।
(৬)সাতটি বেহেশতের ফেরেশতাগণ।
(৭)হাফাজা বা তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাগণ।
(৮)মুনকার ও নাকীর হলেন কবরে প্রশ্নকারী ফেরেশতাগণ।
(৯)দারদায়িল
(১০)মালিক ফেরেশতা হলেন জাহান্নাম বা নরক তত্ত্বাবধানকারী ফেরেশতা।
(১১)রেদওয়ান ফেরেশতা হলেন জান্নাত বা স্বর্গ তত্ত্বাবধানকারী ফেরেশতা।
(১২)জাবানিয়া ফেরেশতা হলেন জাহান্নামে দায়িত্ব পালনকারী ফেরেশতাগণ।
(১৩) নিয়ম শৃঙ্খলা পালনকারী ফেরেশতাগণ।
তাছাড়াও আরো বিশেষ দুজন ফেরেশতা আছেন তারা হলেন কিরামুন এবং কাতিবীন আর এরা সর্বক্ষন প্রতিটি মানুষের ভালো ও মন্দ কাজের হিসাব রাখেন ।
১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আগেও জানতাম আবারো জানলাম ধন্যবাদ ভাই ব্লগ সার্চম্যান।
১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৩
মেরিনার বলেছেন: আপনি বলেছেন: "আরবিতে ফেরেশতাদের একবচনে মালাইক ও বহুবচনে মালাক বলে।"
কথাগুলো ঠিক নয়!
বরং ملائكة (মালাইকাহ্ বা malāʾikah) হচ্ছে বহুবচন আর ملاك বা مَلَكْ (malāk বা মালাক বা মালাকুন) হচ্ছে একবচন।
১০ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৭
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৩
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: মোটামুটি জানা বিষয়। তবু এ এমন বিষয় যা বার বার পড়া যায়।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।