নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আব্দুর রাজ্জাক থেকে নায়করাজ রাজ্জাক

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৫


আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি নায়করাজ রাজ্জাক নামে সুপরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্র পত্রিকা চিত্রালীর সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাকে নায়করাজ উপাধি দিয়েছিলেন।নিজের জন্মস্থান কলকাতায় সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে জহির রায়হানের বেহুলা চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। অভিনয়জীবনে তিনি বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, এতটুকু আশা, নীল আকাশের নীচে, জীবন থেকে নেয়া, ওরা ১১ জন, অবুঝ মন, রংবাজ, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, ছুটির ঘণ্টা এবং বড় ভালো লোক ছিলসহ মোট ৩০০টি বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে তিনি মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।

রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশুকিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা। তিনি ১৯৬৪ সালে শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে আসেন। ষাটের দশকের মাঝের দিকে তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ষাটের দশকের বাকি বছরগুলোতে এবং সত্তরের দশকেও তাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। রাজ্জাক ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে "ঘরোয়া" নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় পান। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন এবং কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন।
নায়ক রাজ্জাক পরিচালিত চলচ্চিত্র হলঃ
রাজ্জাক চলচ্চিত্র পরিচালনায়ও সফলতা অর্জন করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র অনন্ত প্রেম ১৯৭৭ সালে মুক্তি পায়। তার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র আয়না কাহিনী মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। তিনি সব মিলিয়ে প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।তার পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে
অনন্ত প্রেম
অভিযান
জ্বিনের বাদশা
বাবা কেন চাকর
আমি বাঁচতে চাই
কোটি টাকার ফকির
মন দিয়েছি তোমাকে
আয়না কাহিনী ।

চিত্রনাট্য পরিচালক জহির রায়হান বেহুলা চলচ্চিত্র
১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। ছবিটি নির্মিত হয়েছে বাংলার প্রচলিত লোককাহিনী, হিন্দু পুরাণ মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা লখিন্দরের উপাখ্যান অবলম্বনে। প্রযোজনা করেছেন ইফতেখারুল আলম। ছবিটিতে অভিনয় করেন সূচন্দা, রাজ্জাক, সুমিতা দেবী, ফতেহ লোহানী, মোহাম্মদ জাকারিয়া, আমজাদ হোসেন ।

নীল আকাশের নিচে ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্বকালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।কাহিনীকার ইসমাইল মোহাম্মদ একটি কাহিনী তৈরি করেন এবং ছবিটি পরিচালনা করেছেন পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতা। তৎকালীন বাঙালি পরিবারের গল্পই ছবিটির প্রধান উপজীব্য বিষয়। ছবিতে প্রধান দুইটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক ও কবরী। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্রে অভিনয় করেন,আনোয়ার হোসেন, রোজী সামাদ, হাসমত, সিনা, এনাম আহমেদ, রব্বানী, কোরেশী-সহ আরও অনেকে।

জীবন থেকে নেয়া একটি বাংলা চলচ্চিত্র। জহির রায়হান এর নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ১৯৭০ সালের এপ্রিল মুক্তি পায়। সামাজিক এই চলচ্চিত্রে তৎকালীন বাঙালি স্বাধীনতা আন্দোলনকে রূপকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন রাজ্জাক, সুচন্দা, রোজী সামাদ, খান আতাউর রহমান, রওশন জামিল, আনোয়ার হোসেন, প্রমুখ।এই ছবিতে আমার সোনার বাংলা গানটি চিত্রায়িত হয়েছিল, যা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।এটি জহির রায়হান নির্মিত শেষ কাহিনী চিত্র।

ওরা ১১ জন ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।১৯৭১এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত, স্বাধীনতায়োত্তর প্রথম চলচ্চিত্র। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার ডাক দেন, এই ছবির গল্পে সেই ঐতিহাসিক ভাষনের কিছু অংশ দেখানো হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। এ ছবিতে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা অভিনয় করেছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন খসরু, মুরাদ, হেলাল ও নান্টু। এছাড়াও ছবির প্রধান চরিত্র গুলোতে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, হাসান ইমাম, আলতাফ, মুরাদ, নান্টু ,বেবী, আবু, খলিলউল্লাহ খান সহ আরও অনেকে।

অবুঝ মন ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র । ছবিটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত পরিচালক কাজী জহির। এই বছরই স্বাধীনতার পরপর ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ওরা ১১ জন ও পরে ‘অবুঝ মন’ ছবি দুটি সারাদেশে অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি লাভ করে। ছবির প্রধান দুইটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক ও শাবানা এছাড়াও কয়েকটি গুরুপ্তপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজাতা, শওকত আকবর, নারায়ন চক্রবর্তী, খান জয়নুল, সাইফুদ্দিন ও হাসমত।

রংবাজ ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করছেন জহিরুল হক। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অ্যাকশনের সূচনা করেন নায়করাজ রাজ্জাক তার 'রংবাজ' ছবির মাধ্যমে। এটিই বাংলাদেশের প্রথম অ্যাকশন ধর্মী ছবি।অভিনেতা রাজ রাজ্জাক এর নিজ চলচ্চিত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন ব্যানারে ছবিটি নির্মাণ করা হয়।এবং 'রংবাজ' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একজন প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন নায়ক রাজ রাজ্জাক।ছবির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিখ্যাত অভিনেতা রাজ রাজ্জাক, কবরী, রোজি ও নওয়াব সিরাজদৌলা খ্যাত আনোয়ার হোসেন।

আলোর মিছিল , এটি ১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতা ছবিটি পরিচালনা করেছেন।ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক,ববিতা, রাজ্জাক, সুজাতা।

অশিক্ষিত ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশীবাংলা ভাষার চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন আজিজুর রহমান এবং কাহিনী লিখেছেন প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহা। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন রাজ্জাক, অঞ্জনা রহমান, সুমন, রোজি সামাদ, এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ। ছায়াছবিটি বাণিজ্যিক সফলতার পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়ায়।

ছুটির ঘন্টা ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী শিশুতোষ চলচ্চিত্র।ছবিটি পরিচালনা করেছেন আজিজুর রহমান। ঈদের ছুটি ঘোষণার দিন স্কুলের বাথরুমে সকলের অজান্তে তালা বন্ধ হয়ে আটকে পড়ে একটি ১২ বছর বয়সের ছাত্র। আর তালা বন্ধ বাথরুমে দীর্ঘ ১১ দিনের ছুটি শেষ হওয়ার প্রতিক্ষার মধ্যে দিয়ে হৃদয় বিদারক নানা ঘটনা ও মুক্তির কল্পনায় ১০ দিন অমানবিক কষ্ট সহ্য করার পর কিভাবে একটি নিষ্পাপ কচি মুখ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এমনই একটি করূন দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে।ছবির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছে শিশু শিল্পী সুমন ও অনন্যা চরিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাক, শাবানা, সুজাতা, শওকত আকবর, এবং এ টি এম শামসুজ্জামান।

বড় ভালো লোক ছিল এটি ১৯৮২সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের বিখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ছবিটি পরিচালনা করেছেন । ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, প্রবীর মিত্র, অঞ্জু ঘোষ, সাইফুদ্দিন আহম্মেদ ।ছবিটি পরিচালনা করে শ্রেষ্ঠত্বের সীকৃতি সরুপ পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক (১৯৮২) পুরস্কার লাভ করেন।

রাজ্জাক অভিনীত চলচ্চিত্রের একটি তালিকা নিচে দেয়া হলঃ
ষাটের দশকের মাঝের দিকে তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ষাটের দশকের বাকি বছরগুলোতে এবং সত্তরের দশকেও তাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত।তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে "ঘরোয়া" নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ক'টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।
কার বউ,মিয়াবাড়ির চাকর,ভালোবাসার শেষ নেই,জন্মদাতা,এই যে দুনিয়া,আখেরি স্টেশন,
উজালা,১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন,কাগজের নৌকা,ডাক বাবু,নিশি হলো ভোর,আনোয়ারা,
আগুন নিয়ে খেলা,জুলেখা,দুই ভাই,সংসার,সুয়োরাণী দুয়োরাণী,বাঁশরী,কুচবরন কন্যা,গৌরি ,মনের মতো বউ,আগন্তুক,
শেষ পর্যন্ত,মেহেরবান,আঁকা বাকা,সমাপ্তি,যোগ বিয়োগ,দর্পচুর্ণ,মধুমিলন,ঢেউয়ের পর ঢেউ,ছদ্মবেশী,অধিকার,পিতা পুত্র,
পায়েল,বড় বউ,কত যে মিনতি,প্রতিশোধ,শপথ নিলাম,চৌধুরী বাড়ি,পলাতক ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৭

সনেট কবি বলেছেন:




বিদায় হে নায়ক রাজ

ছিল সে রাজার মতো অভিনয়ে সেরা
যে আসন ছেড়ে গেল ভক্ত হৃদয়েতে
নেই সে তবুও আছে গুণেতে অপার
রাখবে মানুষ তাঁরে স্মৃতির মিনারে।
হে নায়ক রাজ গুণী আব্দুর রাজ্জাক
শূণ্যতায় ভরে দিল তোমার প্রস্থান।
অভিষেক হয়ে কারো তোমার সে স্থানে
হয়নি এখনো সেই স্থানটি পূরণ।

বিদায় তো স্বাভাবিক সকলের হয়
কিন্তু সকল জনের কথা মনে থাকে
এমন ক’জন আছে পৃথিবীর মাঝে?
অথচ গুণের ভারে হয়েছ অমর
মরেও এখন তুমি; আছ স্মরণেতে
ভক্তর হৃদয়ে এক শক্ত অবস্থানে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: তিনি আমাদের হাজারো ভক্তর হৃদয়ে চিরকাল স্মরণ হয়ে থাকবেন।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৯

সনেট কবি বলেছেন:




নায়ক রাজ রাজ্জাক স্মরণে-

তুমি চলে গেলে চির প্রস্থান স্থানের
গহিনে হারিয়ে; ছেড়ে ভক্ত কূল দলে
শোকের আড়ালে একা, হে নায়ক রাজ
রাজ্জাক, তোমার স্মুতি স্মরণে অম্লান।
তুমি চেয়েছ গুণের মর্মর প্রাসাদ
সাজিয়ে সেথায় গড়ে আনন্দ ধারার
রকমফের, সেথায় আনবে নতুন
চিত্ত বিনোদক সব শান্তির বারতা।

তুমি পেরেছ নায়ক স্বার্থকতার কি
অফুরান সুখ, সেটি অনুভব করে
নিজ রাজ্যে বিচরণ করতে নিয়ত।
সালাম নায়ক আজ বিদায়ী সালাম,
দিয়েছ অনেক তুমি পেয়েছ অনেক
ভক্তের হৃদয়ে চির পেয়েছ আসন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: প্রাণ ভরে দোআ করি আল্লাহু যেন তার সকল গুণাহ মাপ করে দেন এবং তাকে যেন বেহেস্ত দান করেন।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: আল্লাহু তার পরিবারকে শোক ভুলার তৌফিক দিন । তারও আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আল্লাহু আমাদের সকলের প্রাথনা কবুল করুন।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:১৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বিদায় হে নায়ক রাজ্জাক !

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বিদায় হে মহা নায়ক রাজ রাজ্জাক !

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এসেছে বিদায়ের ক্ষণ, এসেছে বিদায়ের লগ্ন
প্রিয়জন চলে যায়, করে হৃদয় ভগ্ন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৫৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আল্লাহু তাকে বেহেস্ত দান করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.